Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

কান্না ভেজা ডাকবাংলোর রাত


বাংলা রহস্য গল্প


All Bengali Stories    36    40    41    42    43    44    45    46    47    you are in (48)    49    50   

লেখক: শান্তনু দাশ, হাওড়া, কোলকাতা

কান্না ভেজা ডাকবাংলোর রাত
শান্তনু দাশ, হাওড়া, কোলকাতা
১৬-০৬-২০১৯ ইং
পর্ব ৩

আগের পর্ব গুলি: পর্ব ১     পর্ব ২    

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



◕ কান্না ভেজা ডাকবাংলোর রাত
পর্ব ৩

চোখ খুলতে হল সেই ইন্দ্রদার ডাকে। কিন্তু আমরা কোথায়? আমরা তো টাটা সুমোর মধ্যে বসে আছি। চারিদিকে ফুটন্ত সকালের নীলচে আতরের সুগন্ধ ... রাস্তার দু'পাশে পড়ে থাকা বালিগুলি চিক-চিক করছে ... অনেক দূরে সবুজ ধানক্ষেতের উপর স্বপ্নিল ধোঁয়াশা ... আর দেখা যায় অস্পষ্ট কৃষাণ-কৃষাণী ... আর ডানদিকে কাল রাতের সেই ভয়ানক ডাকবাংলোটা।

"আমরা এখানে কী করে এলাম ইন্দ্রদা?"

"সেটা তো আমার মাথাতেও আসছে না। কাল রাতে হঠাৎ গভীর ঘুমে আচ্ছাদিত হয়ে যাবার পর চোখ খুলতেই দেখি গাড়িতে বসে আছি .. পাশে তুইও! রাক্ষুসে সেই ডাকবাংলোটা আর ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে না। সব থেকে আশ্চর্য হই তখন, যখন গাড়ি থেকে নেমে দেখি আমাদের গাড়ির চাকার কিছুই হয় নি!"

"তবে যাই বলো ইন্দ্রদা, something mysterious in that room."

"না রে সমু, something interesting. খুব খিদে পেয়েছে, কাল রাতে কিছু পেটে পড়ে নি। চল বাড়ি ফেরা যাক।"

বিকেলের দিকে কালকের ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু সাতটা দশে ইন্দ্রদার মোবাইলে একটা ফোন আসতেই কালকের ঘটনাগুলো পুনরায় ঝিলিক দিয়ে উঠল। গড়িয়ার murder case এর easy solve এর পর private detective ইন্দ্রজিৎ সান্যাল, যে ডাকবাংলোর রাতের ঘটনাটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিল, তার এক চমৎকার সুযোগ হাতে এসে গেল। তাতে অবশ্য একটা বিপদ বাড়ল ... ইন্দ্রদার গার্ল ফ্রেন্ড, ঝিলিক-দির সাথে দেখা করাটা মাটি হয়ে গেল। সে বারে তো ঝিলিক-দির জন্মদিনে সবাই যখন কেক কাটছে, ইন্দ্রদা তখন সাউথ সিটি-মলে suicide case এর তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত। এতে অবশ্য ইন্দ্রদা কিছু মনে করে না। ওর কাছে এসব মান-অভিমানের পালার থেকে adventure টা অনেক বড়। আর আমি ছোট বলে এসবে মাথা ঘামাই না। যাই হোক মোবাইলে ইন্দ্রদার কথা, আর বাতাসে গোল্ড ফ্লেকের ধোঁয়া উড়তে দেখছিলাম।

"হ্যালো speaking ... ওহো আপনি! বলুন, বলুন .... কোনও দরকার?....কী কেস বলুন তো? .... interesting ... হ্যাঁ-হ্যাঁ ... কোনও ক্লু মেলেনি? কোনও ক্ষত চিহ্ন? ... সবাই কী ঐ বাড়িটাতেই ঢুকেছিল? ... strange! all right, case টা না হয় hold করলাম, কিন্তু কোনও ...Ok, then no problem."

ফোনটা রাখার পর ইন্দ্রদা সিগারেটটা অ্যাসট্রেতে না ফেলে জানালা দিয়ে টোকা মেরে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলো, "থানা থেকে হেড অফিসারের ফোন ছিল। কাল রাতের ঐ haunting home এর আসল রহস্য জানতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ওটা একটা ভুতুড়ে বাংলো। ওখানে প্রবেশ করা দূরে থাক, ঐ জঙ্গলের রাস্তাতেও কেউ কোনোদিন পা মাড়ায় না। অথচ দিনের বেলায় ওখানে সব কিছু normal! আর রাত হলেই শোনা যায় কান্না, অট্টহাসি, ভুতুড়ে সমস্ত ডাক। কখনও বা জ্বলে উঠে আগুন। অধিক কৌতূহল-বশত যারা ঐ বাংলোয় রাতে ঢুকেছে বা দিনে কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছে, তারা প্রত্যেকে দেখতে পেয়েছে একটা রোমশ হাত আর একটা বীভৎস মুখ। সেই মুহূর্তে কেউ-কেউ হার্ট ফেল করেছে। যাদের সেই সময় কিছু হয়নি, তারা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেকে নিজেদের বাড়িতে অস্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে। তাদের গায়ে না ছিল কোনও ক্ষতচিহ্ন, না ছিল আশে-পাশে কোনও clue. শ্বাস রোধেও মৃত্যু নয়, কিন্তু পোষ্ট মরটেম রিপোর্ট বলছে বিষ প্রয়োগে মৃত। তীব্র বিষাক্ত হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিডের নমুনা সবার জিভে পাওয়া গেছে। কিন্তু dying situation দেখলে তা কখনো মনে হয় না ... there was no proof ... not a single clue."

"তুমি কী তাহলে ওখানে যাবে?"

"Of course সৌম্য, এটা ত বেশ একটা satisfied case হবে বলে মনে হচ্ছে। কাল সকালে রেডি হয়ে নিবি।"

"আমি?"

"হ্যাঁ, তুই। তোর ভুতের ভয়টা এবার কাটানো দরকার। আর তোর H.S. এর ক্লাস শুরু হতে এখনো অনেক বাকি। ওখানেই আমরা থাকবো ঠিক করেছি। থানার বড় বাবু ওনার সহকর্মী সায়ন রায়কে transfer করে ওখানকার থানায় replace করে দিয়েছেন। আমাদের থাকার ব্যবস্থা ঐ সায়ন রায়ই করে দেবেন, ওনার সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে ... মুখোমুখি আলাপ হয়নি বটে, তবে শুনেছি বেশ ভদ্র ইনস্পেক্টর।"

একটু ভোরে উঠতে হবে তাই দশটা দশে শুয়ে পড়লাম। চন্দ্র-পূজার আরতিতে আকাশের কালো মেঘগুলো ধুনোর মত ভেসে যাচ্ছিল। মাঝখানে একটা প্রকাণ্ড মেঘ নিমেষের মধ্যে চারদিকটা ঢেকে ফেলল। ডাকবাংলোটার আলোগুলো তখন জ্বলছে নিভছে। অতল রহস্যময় বাংলোটার সব আলোগুলো হঠাৎ নিভে গেল ... আর একটা তীব্র বাঁচার আর্তনাদ সেই অন্ধ-গুহার মধ্য থেকে কেঁপে-কেঁপে প্রতিধ্বনিত হতে থাকল। আবছা অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে উঠল দুটো নিষ্ঠুর চোখ... বীভৎস একটা মুখ চকিতে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। বাইরে তখন মুষলধারে ঝরঝর করে জল পড়ে চলছে একটানা।
Next Page


আগের পর্ব গুলি: পর্ব ১     পর্ব ২    

গোয়েন্দা গল্প ও উপন্যাস:
নয়নবুধী   
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
লুকানো চিঠির রহস্য   


All Bengali Stories    40    41    42    43    44    45    46    47    you are in (48)    49    50   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717