Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

মাণিক্য


বাংলা গোয়েন্দা গল্প


All Bengali Stories    22    23    24    25    26    27    28    29    (30)       

-হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর - ১৩, আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম )




মাণিক্য
( বাংলা গোয়েন্দা গল্প )
- হরপ্রসাদ সরকার, আগরতলা, ত্রিপুরা
০৬-১০-২০১৭



Previous Parts: 1st Part    2nd Part   


◕ মাণিক্য
৩য় পর্ব

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------

কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা ধলেশ্বরের ৫ নম্বর রোড ধরে বাইরে বেড়িয়ে এল। তারপর জেল আশ্রম রোড হয়ে, পূর্বাশা, তারপর রামঠাকুর আশ্রমের সামনে দিয়ে সোজা পশ্চিম দিকে ছুটল। মিনিট পনেরর মধ্যে ওরা রামনগর পৌঁছে গেল। একেবারে ডঃ কালীপ্রসন্ন স্যারের বাড়ির সামনে। খুব সাধারণ বাড়ি। বাইরে থেকে দেখে বুঝার কোন উপায় নেই যে এই তপোবনে ইতিহাসের এত বড় এক সাধক থাকেন। বাড়িটির নামও দেওয়া হয়েছে তপোবন। কলিং বেল টিপলেন রণধীরবাবু। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে আসলেন ডঃ কালীপ্রসন্ন ধর। বাইরে বেরিয়ে এসে রণধীরবাবুকে দেখে বেশ অবাক হয়ে বললেন, "আরে রণধীর! এত সকাল, সকাল। আসো আসো। ভিতরে আসো।"

কালীপ্রসন্ন স্যারকে এই সময়ে বাড়িতে দেখে রণধীরবাবু একটু অবাক হলেন বৈকি। স্যার তো এ সময় খুব কমই বাড়িতে থাকেন। কিন্তু এই রাজবংশী কিভাবে জানে, আজ এই সময়ে ডঃ কালীপ্রসন্ন স্যার বাড়িতেই থাকবেন!

যাক সকলেই ঘরে গিয়ে ঢুকল। এটা কী ঘর না কি লাইব্রেরী। চারিদিকে শুধু বই আর বই। যেন বইয়ের সাগর। তবে ঘরটি খুব সাদা মাটা। তপস্বীরা হয়তো এমনই হয়। হিমালয়ে গিয়েই তপস্যা করতে হয়, এমন নয়। হিমালয় না গিয়েও অনেক সাধনা করা যায়। যেমন কালীপ্রসন্ন স্যার করছেন। সত্যি, ঘরটিতে ঢুকলেই একটা সাত্ত্বিক ভাব মনে মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘরের চারিদিকে কোনায় কোনায় ছড়িয়ে আছে কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা আর সাধনার ছাপ। শত চেষ্টা করেও একে ধুয়ে ফেলা যায় না। মুছে দেওয়া যায় না। এই সাধনার তেজ অদৃশ্য ভাবে সবার মনকে প্রভাবিত করে। এ গুলি চোখ দিয়ে দেখা যায় না হয়তো, কিন্তু তার প্রতিটি কণা তিল তিলে অনুভব করা যায়। সাদা-মাটা খুব সাধারণ চেয়ারে গুলিতে সবাই বসল।

কোন ভণিতা না করেই কালী স্যার বললেন, "এত সকাল সকাল তুমি এদের নিয়ে এলে? কি ব্যাপার রণধীর? এরা কারা?"

স্পষ্ট বুঝা গেল, উনি খুব সংক্ষেপে এই সাক্ষাৎকার শেষ করতে চাইছেন। নিশ্চয়ই কোন প্রোজেক্টে কাজ করছেন, আড্ডা মেরে ফালতু সময় নষ্ট করতে চাইছেন না।

রণধীরবাবুর বলার আগেই রাজবংশী নিজের পরিচয় দিয়ে বলে উঠল, "আমার নাম অনুব্রত রাজবংশী। আপনাকে একটা দুঃসংবাদ দিতে এসেছি। অথচ জানি আপনার এতে কোন দোষ নেই। তবু কথাটি আপনাকে জানানো দরকার। পাশাপাশি আপনার কাছ থেকে কয়েকটি কথা জানাও দরকার।"

স্যার একটু অবাক হলেন। বললেন, "দুঃসংবাদ! কেমন দুঃসংবাদ?"

-"রণধীরবাবু আপনাকে মহারাজ ধন্যমাণিক্যের যে দুটি ঐতিহাসিক রৌপ্যমুদ্রা দেখিয়েছিলেন, সেই গুলি চুরি হয়ে গেছে।"

যেন একটা বৈদ্যুতিক ঝটকা খেয়ে উঠলেন স্যার, "সে কি? না, মানে, বলছিলাম, তুমি কী বলতে চাইছ, মহারাজ ধন্যমাণিক্যের সেই রৌপ্যমুদ্রাগুলি চুরি হয়ে গেছে?"

-"হ্যাঁ, সেগুলি চুরি হয়ে গেছে। এখন আর সেগুলি রণধীরবাবুর কাছে নেই।"

কথাটি শুনে কেমন যেন গুম মেরে গেলেন স্যার। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ধীরে বললেন, "ওফ্! শেষ! এত দামী জিনিসগুলি -! কবে ঘটল ঘটনাটি?"

- "একদম সঠিক সময়টা তো বলা যাচ্ছে না। তবে আপনাকে যেদিন রৌপ্যমুদ্রাগুলি দেখানো হয়েছিল, সেদিন ওগুলি রণধীরবাবুর বাড়িতে কিন্তু ঠিক ঠাক ভাবেই পৌঁছেছিল। ঘটনাটি ঘটেছে তারপরে। তবে ঠিক কোন এক সময়, সেটা এখনো জানা যায় নি। চেষ্টা চলছে।"

বুঝা গেল ডঃ কালীপ্রসন্ন স্যার খুব আঘাত পেয়েছেন। কথাটা শুনার পরেই হঠাৎ কেমন যেন চুপ করে গেলেন। কিছুক্ষণ সময় তেমনিই বসে রইলেন। অন্যরাও উনাকে কিছু বলার সাহস করল না। প্রায় সাত আট মিনিট পরে নিজেই নীরবতা ভাঙ্গলেন। বললেন, "আমার কাছ থেকে কী জানতে চাও, বল? আমি সব রকমের সহায়তা করব। এমন মূল্যবান জিনিস -। আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এ ব্যাপারে রণধীরের আরও একটু সতর্ক হওয়ার উচিত ছিল।"

মাথা নিচু করে বসে রইলেন রণধীরবাবু। স্যার হয়তো ঠিক কথাই বলেছেন। আরও একটু সতর্ক হলে হয়তো এই ঘটনাটা এড়ানো যেত।

রাজবংশী ধীরে বলল, "স্যার আপনি কেন এই মুদ্রা গুলি দেখতে চেয়েছিলেন। কোন বিশেষ কারণ ছিল কী?"

-"হ্যাঁ, নিশ্চয়ই ছিল। আমি একটি লেখা লিখেছিলাম 'মহারাজা ধন্যমাণিক্য, সেই সময়ের ত্রিপুরা ও আধুনিক ত্রিপুরাতে তার প্রভাব'। বহুদিন লেগেছিল এই লেখাটি লিখতে। অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছিল। অনেক বইপত্র ঘাটতে হয়েছিল। তখনই ঐ মুদ্রাগুলির কথা আমি জানতে পারি। কিন্তু এই মুদ্রাগুলি যে এখনো ত্রিপুরাতে আছে তা আমি জানতাম না। যাক, অনেক পরিশ্রমের পর শেষ-মেষ লেখাটি শেষ হল। লেখা শেষ তো হল, কিন্তু এই লেখাটিকে লোকাল কোন প্রকাশক প্রকাশ করতে চাইলেন না। ফিরিয়ে দিলেন। উনাদের ব্যবসায়িক কোন কারণ থাকবে হয়তো। কিন্তু মুম্বাইয়ের এক প্রকাশক এটিকে লুফে নিল। যথা সময়েই তারা তা প্রকাশ করল। তারপর গত চার পাঁচদিন আগে ঐ লেখার অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ বাইরের একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশ পায়। ঘটনাচক্রে ঐ দিনই সকল বেলায় কথায় কথায় সুদীপের কাছে জানতে পারি যে রণধীরের কাছে মহারাজ ধন্যমাণিক্যের দুটি রৌপ্যমুদ্রা আছে। আমি এমন এক্সাইটেড হলাম যে, নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না। প্রথমে সুদীপকেই বলেছিলাম রণধীরের মতামত জানতে। রণধীর যখন সুদীপকে মানা করে দিল তখন রীতিমত অবাধ্য হয়েই আমি রণধীরকে আবার ফোন করলাম।"

সাধুর কাছ থেকে নোট বই আর কলমটা চেয়ে নিয়ে রাজবংশী ঐ আগের রেখাচিত্রটির মধ্যে এই ঘটনাটিও বসিয়ে দিল। এবার অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে গেল। এ ও বোঝা গেল সেই চোরাকারবারি কোথা থেকে এই রৌপ্যমুদ্রার কথা জানতে পেরেছে? কিন্তু প্রশ্ন হল, ঐ লেখাতে তো রণধীরবাবুর নাম ধাম কিছুই লেখা ছিল না। তবে সে রণধীরবাবুকে ফোন করল কীভাবে? রেখাচিত্রটির ঐ জায়গাটিতে একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিল রাজবংশী, তারপর স্যারকে তার দ্বিতীয় প্রশ্নটি করল। বলল, "ঐ রৌপ্যমুদ্রাতে আপনি আসলে কী দেখতে চেয়েছিলেন? যে দেখতে চেয়েছিলেন তা পেলেন কী?"

-"আমি সেই রৌপ্যমুদ্রার মধ্যে অনেক কিছুই দেখতে চেয়েছিলাম। যেমন ঐ মুদ্রার সময়কাল, তার ওজন, তার বিশুদ্ধতা, তার মধ্যেকার লেখা, লিপি, ছাপ ইত্যাদি ইত্যাদি।"

-"কী পেলেন?"

একটু হেসে স্যার বললেন, "ঐ রৌপ্যমুদ্রা হাতে নিয়ে আমি কী আর এই জগতে ছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন আমি মহারাজ ধন্যমাণিক্যের জামানায় চলে গেছি। পৌঁছে গেছি ইতিহাসের এক স্বর্ণময় অধ্যায়ে। ঐ গুলি হাতে নেবার পর সেই ইতিহাস, সেই স্থান, কাল, পাত্র সবই যেন আমার চোখে ভেসে ভেসে উঠছিল। সে আমার এক চরম অবস্থা। ঐ ঘোর কাটতে আমার মিনিট পাঁচেক সময় লেগেছিল। তারপর আমি রণধীরের মুদ্রাগুলি খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম। আমি দেখলাম রণধীরের কাছে যে মুদ্রাগুলি ছিল তার বিশুদ্ধতা, আমার দেখা ধন্যমাণিক্যের অন্য মুদ্রাগুলির চেয়ে অনেক বেশী। এর মানে হল ওগুলি মহারাজ ধন্যমাণিক্যের কোন খাস কাজের জন্য ব্যাবহার করা হত। আর এই মুদ্রার ওজন অন্য মুদ্রাগুলির চেয়ে অনেক বেশী। এই মুদ্রাগুলির এক পাশে কিছু বিশেষ চিহ্ন ছিল। ঐ সময়ে এই রকম চিহ্ন সকল মুদ্রাতে দেখা যেত না। মুদ্রার মাঝে এই চিহ্নগুলি দেখলে সহজেই চেনা যেত যে, এই গুলি মহারাজের নিজ হাতে দেওয়া বিশেষ পুরস্কার। ঐ মুদ্রাগুলিকে বর্তমানের খেলাধূলায় প্রদেয় মেডেলের মত মনে করা যেতে পারে। তাই এই মুদ্রাগুলি কারোর কাছে থাকা ছিল গর্বের বিষয়। এই নানাবিধ কারণে এই মুদ্রাগুলি চুরি করা সহজ ছিল না। ঐ আমলে কোন এরে-গেড়ের হাতে এরকম মুদ্রা দেখলে খুব বিপদ ছিল। সিপাহীরা ধরে সোজা রাজার কাছে নিয়ে যেত। খোঁজ খবর করা হত, কোথা থেকে সে ঐ মুদ্রা পেল? এই সব কারণে সাধারণ লেন-দেনে এই মুদ্রাগুলি ব্যবহার হত না বললেই চলে। সত্যি ঐ মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম। এই ক্ষতি কোন কিছু দিয়েই পূর্ণ করার মত নয়।" একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন স্যার।

রাজবংশী একটু সময় ভেবে বলল, "ধন্যবাদ স্যার। আজ তাহলে আসি। পরে দেখা হবে। তবে মুদ্রাগুলি পাওয়ার পর সবার আগে আমিই আপনাকে এই সুসংবাদটা দেব। আজ দুঃসংবাদটি দিয়ে গেলাম, সেদিন সুসংবাদটি দেব।"

এই কথা শুনে হঠাৎ বেশ প্রাণোজ্জ্বল হয়ে উঠলেন স্যার, "অবশ্যই, অবশ্যই। আমি অধীর আগ্রহে তোমার সেই কথা শোনার প্রতীক্ষায় থাকব। এই নাও আমার কার্ড। এতে আমার ফোন নম্বর আছে।"

কার্ডটি নিয়ে তপোবন থেকে বেরিয়ে এল সবাই। গাড়িতে বসে আবার একই পথ ধরে চলে এল সোজা রণধীরবাবুর বাড়িতে। বেলা তখন প্রায় এগারোটা। রাজবংশী বলল, "এখন আর আসছি না। বাড়িতে যাই, স্নান টান সেরে বিকেল সাড়ে চারটার আগেই এসে হাজির হব।"

রণধীরবাবু চাপাচাপি করলেন খেয়ে যাবার জন্য, নিজের গাড়িটি নিয়ে যাবার জন্য। কিন্তু রাজবংশী কোন কিছুতেই রাজি হল না। পায়ে হেঁটেই রাজবংশী আর সাধু ধলেশ্বর ৫ নম্বর থেকে ১৩ নম্বরের দিকে রওনা দিল। মিনিট বিশের মধ্যে নিজের বাড়ি, সুদামা কুঠিরে পৌঁছেও গেল। প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে। তাই ভবচরণকে ভাত বাড়তে বলেই দুজন দুদিকে দুটি বাথরুমে চলে গেল।

খাওয়া দাওয়া সেরে দুজনে পাশাপাশি বিছানায় গা এলিয়ে দিল। "একটু বিশ্রাম নেওয়া যাক।"

শুয়ে শুয়ে রাজবংশী এমনি বলল, "কী বুঝলে সাধুদা? কেসটা কেমন? কোথা থেকে চুরি যেতে পারে রৌপ্যমুদ্রা দুটি? কে চুরি করতে পারে?"

সাধু রাজবংশীর কথার সোজা উত্তর না দিয়ে বলল, "রাজ! আমি কিন্তু এই প্রশ্নটি নিয়ে ভাবছি না, আমাকে অন্য আরেকটা প্রশ্ন খুব ভাবিয়ে তুলছে?"

-"মানে!"

- "মানে, আমাকে যে প্রশ্নটি খুব বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে সেটি হল, সাউথ আফ্রিকার এক চোরাকারবারি কী করে ধলেশ্বরের এক সাধারণ ব্যক্তির মোবাইল নম্বর জোগাড় করল? কী করেই সে জানল যে রণধীরবাবুর কাছে ঐ রকম দুটি ঐতিহাসিক রৌপ্যমুদ্রা আছে? রণধীরবাবুর নাম তো কোন কাগজ-পত্রে বা লেখা-লেখিতে প্রকাশ হয়নি। তবে উনার নামটা ঐ চোরাকারবারির কাছে গেল কীভাবে? তবে কী বেশ কিছুদিন ধরে আগরতলা থেকে যেই ঐতিহাসিক জিনিসপত্রগুলি চুরি যাচ্ছে তার সাথে এই ঘটনার কোন যোগাযোগ আছে?

-"তার মানে তুমি বলতে চাইছ কেউ এই খবরটা পাচার করেছে? আর যে এই খবরটা পাচার করেছে তারা বাকি চোরাচালানগুলির সাথেও যুক্ত?"

-"আলবাত! আর হিসাবমত শুধু কাছের লোকেরাই রণধীরবাবুর এই রৌপ্যমুদ্রার কথা জানত। ফলে তার মানে দাঁড়াল, রণধীরবাবুর কোন কাছের লোকই এই খবরটা সেই চোরাকারবারিকে পাচার করেছে। কী জানিস রাজ, আমার অনুমান কী বলছে-"

রাজ মেরুদণ্ড সোজা করে বলল, "কী?"

-"আমার অনুমান বলছে, যে কয়েকজন রণধীরবাবুকে রৌপ্যমুদ্রা নিয়ে ফোন করেছিল তাদেরই মধ্যে একজন আছে যে সেই খবরটা পাচার করেছিল। সে রণধীরবাবুকে ফোন করে নিশ্চিন্ত হতে চাইছিল যে ঐ রৌপ্যমুদ্রাগুলি এখনো রণধীরবাবুর বাড়িতেই আছে কি না? না কি উনি সেগুলি অন্য জায়গাতে সরিয়ে রেখেছেন?"

একটু ভেবে নিয়ে রাজ বলল, "তাহলে আমাদের এক সাথেই দুটি অভিযান করতে হবে। রণধীরবাবুর তথ্য পাচারকারীকে ধরতে হবে। পাশাপাশি রৌপ্যমুদ্রার চোরকেও ধরতে হবে।

-"একদম ঠিক। আমাদের এই দুটি পথ সমান ভাবে ভেবেই এগোতে হবে। এবার কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়া যাক। শরীরটা একটু চাঙ্গা হলে মাথাটা ভাল কাজ করবে। ঘড়িতে আমি চারটার এলার্ম দিয়ে রাখছি।" কথা আর না বাড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ল দুজন।

Next Part   


Previous Parts: 1st Part    2nd Part   


Top of the page



All Bengali Stories    22    23    24    25    26    27    28    29    (30)    


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717