Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

লুকানো চিঠির রহস্য


ত্রিপুরার বাংলা গোয়েন্দা গল্প


All Bengali Stories    33    34    35    (36)     37    38    39    40   

-হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর - ১৩, আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম )

লুকানো চিঠির রহস্য
পর্ব ১৮
( ত্রিপুরার বাংলা গোয়েন্দা গল্প )
রাজবংশী সিরিজের চতুর্থ গোয়েন্দা গল্প
- হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর-১৩, আগরতলা
২০-০২-২০১৯ ইং

সমগ্র পর্বগুলি: সমগ্র পর্বগুলি

◕ লুকানো চিঠির রহস্য
পর্ব ১৮

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------

কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হলেন IG সাহেব। উনার তত্ত্বাবধানে সকল নিয়ম নীতি মেনে আক্রমণকারীর দেহ পোস্ট মর্টামের জন্য মর্গে পাঠানো হল। সব কাজ শেষ হতে-হতে রাত তিনটা। রাজবংশীর কথায় ততক্ষণে পুলিশের স্পেশাল আর্টিস্টকে ডেকে আনা হল রাজবংশীর বাড়িতে। IG সাহেবের সামনে বসে সে সকলের বিবরণ শুনে-শুনে ধুতি পড়া লোকটির চেহারা আঁকতে লাগল। প্রায় ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই হুবহু সেই চেহারাটি সে ফুটিয়ে তুলত তার খাতার পাতায়। তখন ভোর চারটা, পুলিশের একটি গাড়ি চন্দ্রবালা দেবীকে, আরেকটি গাড়ি ফতুর আলিকে নিয়ে হাজির হল রাজবংশীর বাড়িতে। রাজবংশী ফতুর আলির সামনে ছবিটি মেলে ধরল,"ফতুর, তুমি কী একে চিনতে পারছ?"

ঘুমের চোখ কচলাতে-কচলাতে ফতুর আলি হঠাৎ ক্ষেপে উঠল, লাল হয়ে উঠল তার চোখ মুখ,"শালা শয়তান, শূয়রের বাচ্চা" চেঁচিয়ে উঠে ফতুর ঝাঁপিয়ে পড়ল ছবিটির উপর,"আজ তোকে আমি শেষ করে ফেলব!" চন্দ্রবালা চীৎকার করে উঠলেন, "আরে, আরে, এ তো আমাদের স্কুলের হেডমাস্টার, দক্ষিণ কুমার চন্দ!"

হঠাৎ যেন পৃথিবীটা আটকে গেল, কেঁপে উঠল সারাটি ঘর, যেন বিশাল একটি বোম ফাটল এই মাত্র; ঝাঁকুনি খেয়ে উঠল সবাই,"হোয়াট? আর ইউ শিওর? না-না ভাল করে লক্ষ্য করুন, এই দেখুন, ছবিটি আরেকবার ভাল করে দেখে তারপর বলুন," চন্দ্রবালার সামনে শক্ত হাতে ছবিটি মেলে ধরল রাজবংশী।

"আরে মশাই, আমার স্কুলের হেডমাস্টারকে আমি চিনব না। এই দেখুন, গত ১৫ই আগস্ট স্কুলের অনুষ্ঠানে তোলা ছবি; কেমন হাসি দিয়ে আছেন," চন্দ্রবালা নিজের মোবাইল ফোনের একটি ছবি এগিয়ে দিলেন রাজবংশীর দিকে।

"ইয়েস! ইয়েস! এই তো সেই শয়তানটা! ওরে বাবা! তবে কিনা মায়াবী-রাবণ শেষ-মেশ আপনার স্কুল থেকে বেরোল, তাও একেবারে হেডমাস্টার সেজে? আপনি জানেন এই লোকটিই আপনার স্বামীর খুনি?"

"মানে! আমার স্বামীর খুনি? গত রাতেই তো আমার বাড়িতে গিয়েছিলেন! কিছুক্ষণ বসলেন, তারপর চলে গেলেন।"

"ও মাই গড! বলেন কী আপনি? লোকটি গত রাতে আপনার বাড়িতে গিয়েছিল? আপনি কী জানেন, এই লোকটি এখান থেকে তাড়া খেয়ে পালিয়ে তবে আপনার বাড়িতে ঠাই নিয়েছিল। আমি জোর গলায় বলতে পারি, সে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার বাড়িতে যায়নি! এই দেখুন, আপনার স্বামী এই ডাইরির শেষ দিকে আকারে-ইঙ্গিতে অনেক কথাই লিখে গেছেন, কিন্তু কারোর নাম-ঠিকানা লিখে যাননি। ধুতি পড়া, টাক মাথার এক কুকুরও এঁকে গেছেন তিনি। তখন তো এটা উনার চরম রসিকতা বলেই ভেবেছিলাম, বুঝতে পারিনি, কিন্তু এখন সব কিছু পরিষ্কার বুঝতে পারছি, তিনি আসলে কী বুঝাতে চেয়েছেন! ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে, গত রাতে আপনি বাল-বাল বেঁচে গেছেন। আপনার বাড়িতে পুলিশের পাহারা থাকায় সে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। তা না হলে আরেকটি সাক্ষী-প্রমাণ আপনার প্রাণের সাথে-সাথে শেষ হয়ে যেত। চন্দ্রবালা দেবী আপনি নিশ্চয়ই জানেন এই হেডমাস্টারটি কে? 'দক্ষিণ কুমার চন্দ' নিশ্চয়ই আপনাদের পূর্ব পরিচিত? কারণ ডায়রিতে বাহাদুর লিখেছেন, 'ডান-কুকুরকে আমরা চিনি'।"

মাথা নেড়ে চন্দ্রবালা বললেন, "হ্যাঁ, আমি আর আমার স্বামী, অনেক আগে থেকেই তাকে চিনতাম, জানতাম। কলেজে পড়ার সময় তিনি ছিলেন আমাদের কয়েক বছরের সিনিয়র।"

"একদম ঠিক, লোকটি কলেজে আপনাদের কয়েক বছরের সিনিয়র ছিলেন। কিন্তু একটি ব্যাপার আপনি জানেন না, তা হল, এই খুনি আপনার সৌন্দর্য পাগল হয়ে মনে প্রাণে আপনাকে কামনা করত। এই কারণে সে প্রথম থেকেই নানা ভাবে ঘুরিয়ে-ফিরেয়ে নিজেকে আপনার সাথে যুক্ত রাখতে চাইত। বাহাদুরকে ত্রিপুরাতে এই লোকটিই ডেকে আনে আর তাকে কোম্পানি খুলতে সাহায্য করে, কারণ সে জানত, বাহাদুরকে ডেকে আনলে তার পিছু-পিছু আপনিও ত্রিপুরাতে আসবেন। এখানেই শেষ নয়, এই লোকটিই বাহাদুরকে বলে-কয়ে, চাপ দিয়ে আপনাকে তার স্কুলে শিক্ষকতা করতে রাজী করায়, যাতে আপনি সব সময় তার চোখের সামনে থাকেন। স্কুলে চাকরির অজুহাতে আপনি এই ফাজিলের মহা চক্করে ফেঁসে গিয়েছিলেন। বাহাদুর কিন্তু তখনো এ সবের কিছুই জানতেন না। তিনি হেডমাস্টারের সকল বদ উদ্দেশ্যর কথা কোনও-না কোনও ভাবে জানতে পারেন মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন আগে। এই ডাইরিতে তিনি সেই কথা আকারে ইঙ্গিতে লিখে রেখে গেছেন। কিন্তু একের-পর এক ঘটনা এত দ্রুত ঘটে গেল যে, আপনার স্বামী আপনাকে বলার কিংবা নিজেকে বাঁচানোর, সামলানোর কোনও সুযোগই পেলেন না।

বিস্ফোরিত চোখে চন্দ্রবালা, "মাই গড! এত খেলা চলছিল আমাকে নিয়ে? লোকটার পেটের ভিতরে এত বিষ ভরা ছিল?"

"না, শুধু আপনাকে নিয়েই খেলা চলে নি, খেলা চলেছিল আরও কিছু নিয়ে। সে কথায় পরে আসছি, তার আগে বলুন তো, আপনার হেডমাস্টারের বাড়িটি কোথায়?"

"বাড়ি তো চিনি না, তবে জানি তিনি ভট্টপুকুরের দিকে কোথাও থাকেন।"

ততক্ষণে পুলিশও খবরাখবর নিয়ে চলে গেছে হেডমাস্টারের বাড়িতে। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল রাতের বেলাতেই হেডমাস্টার সুইসাইড করেছে। তার লাস বিছানায় পড়ে আছে, পাশে নিজ হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট,"চন্দ্রবালা, আমাকে ক্ষমা করো। তোমাকে সাথে নিয়ে চলতে পারি নি, এ দুঃখ আমার চিরকাল থাকবে। এই দুঃখকেই বুকে নিয়ে যাচ্ছি। আপসোস, রাজবংশীকে শেষ করতে পারলে হয়তো আরও কয়েকটা দিন বেঁচে যেতে পারতাম, প্রাণ ভরে তোমাকে দেখতে পারতাম। যাক, আমি একা মরলেও জিনিসগুলিও তাকে দেব না, সাথে নিয়ে গেলাম।" ঘরের ঠিক মাঝখানে মেঝেতে পড়ে আছে অনেক ছাই। হেডমাস্টার তার মৃত্যুর আগে নিশ্চয়ই কোনও জিনিস পুড়ে ফেলেছে এখানে। সব কিছুর ছবি সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হল রাজবংশীর কাছে। IG সাহেব প্রশ্ন করলেন, "আপনি কেন এত নিশ্চিত ছিলেন যে, আজকেই আপনার উপর আক্রমণটা হবে?"

"হ্যাঁ স্যার, আমি একপ্রকার নিশ্চিত ছিলাম। এর কারণ হল, চন্দ্রবালা দেবীর বাড়িতে গিয়ে যখন দেখলাম খুনটি কোনও এক অতি পরিচিতর ব্যক্তি, তখন মনে হল, এই খুনি নিশ্চয়ই এই বাড়ির সব খবরাখবর রাখছে, হতে পারে সে চন্দ্রবালার উপরেও নজর রাখছে। কিন্তু কীভাবে? হোয়াসঅ্যাপ আর ফেসবুকও সেই খবরাখবরের একটি ভাল মাধ্যমে। লক্ষ্য করলাম, চন্দ্রবালা দেবীর মোবাইল ফোনটি টুং-টাং সারাক্ষণ বেজেই যাচ্ছে। হতে পারে চন্দ্রবালা দেবী নিজেই নিজের অজান্তে খুনিকে সকল তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন! তারপর যখন আমরা বাহাদুরের অফিসে গেলাম, সেখানে গিয়ে মনে হল, শুধু বাড়ি নয়, বাহাদুরের অফিসকেও ফলো করা হচ্ছে, এবং তা খুব ঘনিষ্ঠ কেউ করছে। এখন কথা হল, এই ঘনিষ্ঠ লোকদের খুঁজে বের করা কখনো-কখনো খুব শক্ত হয়ে যায়। ওরা জেগে থেকে ঘুমের ভান করে পড়ে থাকে। এদের জাগানো খুব কষ্ট। আমি খুনিকে বেশী সময় দিতে চাইলাম না, কারণ সে যদি আবার অঘটন ঘটায়! তাই খুনির পিছনে না ছুটে, আমি চাইলাম খুনি আমার কাছে ছুটে আসুক। এই উদ্দেশ্যে তাকে আরও উত্তেজিত করতে অফিসের সকল স্টাফদের দিয়ে আমার অনুসন্ধানের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে দিলাম। কিন্তু সব খেলা পাল্টে দিল ফতুর আলি। সে দৈবাৎ আমাদের সামনে এসে পড়ে আমাদের কাছে চা খেতে চায়। চা খাবার জন্য সে যেখানে আমাদের নিয়ে যায়, সেটাই ছিল বাহাদুরের খুনির আড্ডা। প্রথমে আমার কোনও সন্দেহ হয়নি, কিন্তু যখনই সেই দোকানদারটি ফতুর আলির বিপক্ষে কথা বলতে শুরু করল তখনই আমার মনে একটু সন্দেহ দেখা দিল। সন্দেহ দেখা দিতেই আমি ভাল করে দোকানদারের দিকে লক্ষ্য করলাম। তখন আমার চোখে পড়ল, তার বুকের কাছে আর দু'হাতে বহু পুরানো লম্বা ধারালো ক্ষত চিহ্নের দাগ, তাতে সেলাইয়ের দাগগুলি স্পষ্ট। দেহের গড়ন এমন মজবুত যে, কাউকে ঝাপটে ধরলে একজন সাধারণ মানুষ কিছুতেই ছুটতে পারবে না। এ সব দেখে সন্দেহটা অনেক বেড়ে গেল, বুঝলাম লোকটি খুব অপরাধ প্রবণ। তীক্ষ্ণ চোখে দোকানটির চারিদিকে ভাল করে লক্ষ্য করতে লাগলাম। আর তখনই একটি জিনিস আমার চোখে পড়ল আর তাতেই আমি প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাই। একটি অতি ছোট কিন্তু খুব শক্তিশালী সি-সি ক্যামেরা। খুব ভাল করে লক্ষ্য করলেও সেই ক্যামেরাটি অতি সহজে লোকজনের চোখে পড়বে না, যদি না কারোর সেই ক্যামেরা সম্পর্কে ধারণা থাকে। ভাঙ্গাচোরা এক চায়ের দোকানে এমন শক্তিশালী সি-সি ক্যামেরার কী দরকার? এই দোকানে কী এমন মূল্যবান সোনার খনি এতে আছে যে এতে সি-সি ক্যামেরার দরকার? মানলাম, এটা দোকানদারের একটি সখ। এটাও মানলাম, সে রাজা-বাদশাহ'র দোকানের মত তার দোকানেও একটি সি-সি ক্যামেরা রাখতে চায়। থাকনা, রাখনা, কোনও অসুবিধা তো নেই, কিন্তু ক্যামেরার মুখটি 'মাইক্রো ফাইনাইন্স কোম্পানির' গেইটের দিকে ফিরানো কেন? কেন? ক্যামেরাটি চায়ের দোকানে লাগানো অথচ তার মুখ মাইক্রো-ফাইনাইন্স কোম্পানির গেইটের দিকে ফিরানো! তার মানে! কোম্পানির গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য এটি লাগানো হয়েছে! এ দিয়ে কোম্পানির গতিবিধি অতি সহজে লক্ষ্য করা হচ্ছে। নিজের দোকানে বসে অন্যের কোম্পানির খোঁজ খবর রাখার এত কী দরকার পড়ল ঐ দোকানদারের? তাও একেবারে আট-ঘাট বেঁধে খুব পাকা-পোক্ত ভাবে? তখনই মনে হলে, ঠিক জায়গাতেই এসে গেছি; এটাই খনি। কিন্তু আগে আমার অনুমান ছিল, খুনি খুব পরিচিত, কোনও উচ্চ শিক্ষিত, মার্জিত রুচির, অভিজাত লোক। যদি তাই হয়, তবে দোকানদারটি তো অতি সামান্য এক ফকির-ফক্কর মাত্র। তার মানে কী, রাজা দূরে বসে যুদ্ধ পরিচালনা করছে? এ রকমটাই ভেবে নিয়ে আমি সিপাহীর কান টেনে রাজার নাক কাটতে চাইলাম। আমি দোকানদারকে ফুসলিয়ে আমার বাড়িতে আসতে বাধ্য করলাম। আমার বাড়িতে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানের দু'শ কাপ চায়ের অর্ডার দিলাম। এই অর্ডারের আড়ালে আসলে আমি সেই রাজাকে জানিয়ে দিয়ে এলাম যে, এই দোকান আর দোকানদার, উভয়ই আমার নজরে পড়ে গেছে। তা না হলে, ধলেশ্বরে কী চায়ের দোকান কম ছিল? ঐ দোকানদার কী আকবর-বাবরের শাহী চায়ী নাকি যে, তাকে ডেকে আনতে হবে এত দুর থেকে? আরে, ও যা চা বানায়, তার থেকে ভাল চা তো আমাদের ভবচরণ বানায়। তা হলে আর বাকী রইল কী? অর্ডার না রেখে দোকানদারের উপায় ছিল না। এবার অর্ডার যখন সে রাখল তখন অর্ডার সাপ্লাই তাকে করতেই হবে। না হলে পরদিন আমি তাকে ধরব, সে ক্ষেত্রে বিপদ অনেক বেশী। আর সে যদি আমার বাড়িতে অর্ডার সাপ্লাই করতে আসে তখন আমি তাকে টুক-টাক, কিছু-না কিছু প্রশ্ন তো করবই, অন্য ভাবে বলতে গেলে পুলিশের জেরা। তাহলে বাকী রইল কোন পথ, হয় পালিয়ে যাওয়া, নয় আক্রমণ। সে পালিয়েও যেতে পারত, কিন্তু পালিয়ে গেলে তো সে তার দোষ নিজেই স্বীকারই করে নিল, আর পালিয়ে যাবেই বা কদ্দূর? ঠিকানা তো দেখেই ফেলেছিলাম, তাই আক্রমণই একমাত্র রাস্তা ছিল।"

Next Part

সমগ্র পর্বগুলি: সমগ্র পর্বগুলি

রাজবংশী সিরিজের অন্য গোয়েন্দা গল্প:
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
গোয়েন্দা গল্পের সম্পূর্ণ তালিকা

All Bengali Stories    33    34    35    (36)     37    38    39    40   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717