Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

লুকানো চিঠির রহস্য


ত্রিপুরার বাংলা গোয়েন্দা গল্প


All Bengali Stories    30    31    32    33    34    35    (36)     37      

-হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর - ১৩, আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম )

লুকানো চিঠির রহস্য
( ত্রিপুরার বাংলা গোয়েন্দা গল্প )
রাজবংশী সিরিজের চতুর্থ গোয়েন্দা গল্প
- হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর-১৩, আগরতলা
০৭-১১-২০১৮ ইং

সমগ্র পর্বগুলি: সমগ্র পর্বগুলি

◕ লুকানো চিঠির রহস্য
৫ম পর্ব

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------

রাজবংশী টেবিল থেকে একটি পত্রিকা হাতে নিয়ে বলল, "এই পত্রিকাটিতে আপনার স্বামী, বাহাদুর প্রসাদের খুনের ঘটনাটি লেখা আছে। হয়তো আপনিও পড়ে থাকবেন। তবু আমি আপনার মুখ থেকে ঘটনাটি একবার শুনতে চাই। কোনও অসুবিধা -"

"না, না। কোন অসুবিধা নেই। বরং এটা তো আমার দায়িত্ব, আপনার কাছে সব কিছু খুলে বলা। আমি যদি সব খুলে না বলি তবে আপনি ঘটনাটি জানবেন কি করে? হয়তো আমার কথার মাঝেই সেই খুনির কোনও কল-কব্জা লুকিয়ে থাকতে পারে? কে জানে, হয়তো আমার কথাতেই আপনি সেই খুনিকে চিনতে পারলেন! তাই আপনাকে সব কিছু খুলে বলা আমার দরকার। দেখুন, আমার স্বামী খুন হয়েছিল ঠিক দুপুর বেলায়। আমি তখন স্কুলে ছিলাম; মানে আমি একটি প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা করি আরকি। সেদিন সকালবেলা রান্না-বান্না সেরে আমরা দুজনে প্রতিদিনের মত একসাথে খাওয়া-দাওয়া করি, তারপর ওর বাইকে বেড়িয়ে পড়ি। ও আমাকে আমার স্কুলের গেইটে নামিয়ে দিয়ে নিজের অফিসে চলে যায়। তারপর বেলা প্রায় ১টা, আমি সপ্তম শ্রেণীতে বাংলা পড়াচ্ছিলাম, হঠাৎ স্কুলের হেড-মাস্টার মশাই আমাকে জরুরী তলব করলেন। আমি উনার রুমে যেতেই উনি সাথে-সাথে আমাকে স্কুলের গাড়িতে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। তখনও আমি কিছুই জানতাম না। পুলিশ উনাকে ফোন করে আমার স্বামীর মৃত্যু খবর দিয়েছিল, কিন্তু উনি আমাকে কিছুই বলেন নি। যাক, বাড়িতে এসে দেখি বাড়ি ভর্তি পুলিশ। ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে বাহাদুর। তখনও তার গায়ে অফিসে যাবার সেই পোশাকটি। ঘরের সব জিনিস উল্টে-পাল্টে লণ্ড-ভণ্ড, স্টিলের আলমারি ভাঙ্গা, তাতে যা টাকা-পয়সা ছিল, গয়না-গাটি, সোনা-দানা সব উধাও। পুলিশ আমার জবানবন্দী নিল। খুনির তল্লাসি চলল, ব্যাস।"

চন্দ্রবালার সকল কথা সদানন্দ তার ডায়রিতে লিখে নিল। রাজবংশীও খুব মন দিয়ে চন্দ্রবালার কথা শুনল। কথা শেষ হলে সে করে প্রশ্ন করল, "আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনারা আগরতলাতে দীর্ঘদিন ধরে আছেন। আপনাদের সাজানো-গোছানো একটা সংসারও আছে; তবে পত্রিকাটিতে যে লিখল আপনারা বেড়াতে এসেছেন? আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন, আপনি তো নেপালের লোক, তবু এমন সুন্দর বাংলা কীভাবে বলতে পারেন?" এক ফালি হাসি ছুঁয়ে গেল চন্দ্রবালার টুকটুকে দুটি গাল। তিনি বলতে লাগলেন, "হ্যাঁ, আপনি ঠিক প্রশ্ন করেছেন।আমি আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেই আপনি আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আমি নেপালের মেয়ে হলেও জন্ম আর লেখাপড়া সবই আমার কোলকাতাতে। বলতে পারেন কোলকাতাই হল আমার প্রথম ঘর। নেপালের মেয়ে, কিন্তু নেপালে শুধু বেড়াতেই যাই, দুই-তিন বছরে একবার। তবে বাহাদুরের কথা আলাদা। সে নেপালেই বড় হয়েছে। পড়াশুনা করতে সে কোলকাতায় আসে। কোলকাতাতেই তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। পরিচয় বদলে যায় প্রণয়ে আর প্রণয় বদলে যায় পরিণয়ে। বাহাদুর দেখতে শুনতে খুব ডেসিং ছিল, যেন রাজপুত্র। ছেলেদের মধ্যে এমন রূপ সচরাচর চোখে পড়ে না। তার রূপের মতই ছিল তার মার্জিত রসিক কথাবার্তা। কত মেয়ে যে ওর জন্য পাগল ছিল! আমাদের বিয়ের পরেও বেশ কয়েকটি মেয়ে ওকে প্রপোজ করে, কিন্তু সে কোনও কিছুকেই পাত্তা দেয়নি। কারণ তার লক্ষ্য ছিল অন্য, শিল্প সাহিত্য নিয়েই সে রাত-দিন পড়ে থাকত। এবার আসি আমাদের বিয়ের কথায়, আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় দেড় বছর, কিন্তু আমাদের পরিচয় প্রায় ছয় বছরের। পড়া শেষ করেই বাহাদুর নেপাল ফিরে যায়। বিয়ের পরে আমারও নেপালেই ফিরে যাবার কথা ছিল, কিন্তু তা হল না। হঠাৎ একদিন কোনও এক ব্যবসার কারণে বিয়ের আগেই বাহাদুর আগরতলায় চলে আসে আর এখানেই বসবাস শুরু করে। ফলস্বরূপ আমিও বিয়ের পরে এখানেই চলে আসি। সেই থেকে এখানেই আমাদের ঘর-সংসার শুরু হয়।"

"অ- বুঝতে পেরেছি। কিসের ব্যবসা করতেন আপনার স্বামী?"

প্রশ্নটি শুনে একটু থমকে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন চন্দ্রবালা। তারপর ধীরে-ধীরে মুখ খুললেন, "মিস্টার রাজবংশী, আমি জানতাম আপনি আমাকে এই প্রশ্নটি করবেন। এই প্রশ্নের জবাব আমি কী দেব, তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এই প্রশ্নটিকে তো আর এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। তাই এর জবাব আমাকে দিতে হবে। তবে দেখুন, আমি অনেক বিশ্বাস করে আপনার কাছে এসেছি আর অনেক বিশ্বাস করে কিছু গোপন কথা আপনাকে বলব। আশাকরি আমার বিশ্বাসখানি আপনি রাখবেন; আমার কথাগুলি আমাদের মাঝেই শুধু থাকবে।"

রাজবংশী মাথা নেড়ে বলল, "নিশ্চয়, নিশ্চয়। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন চন্দ্রবালা দেবী, আমি আপনার বিশ্বাসের সম্মান রাখব। যদি অগত্যাই এই গোপন কথার প্রকাশের কোনও দরকার হয়ে পড়ে, তবে আমি অবশ্যই আপনার অনুমতি নিয়ে তবে তা প্রকাশ করব।"

"ধন্যবাদ। আপনার কাছে তেমনটাই আমি আশা করেছিলাম। আমার স্বামীর ব্যবসা সম্পর্কে আসল কথা এবং সত্যি কথা হল, আমার স্বামী কখনোই কোনও ব্যবসা করত না। পাশাপাশি এটাও সত্য যে, আমার স্বামী ব্যবসা না করলে এখানে কেন এসেছিল, তা আমি জানি না। কথাটি শুনে হয়তো হাসবেন অথবা আমাকে মিথ্যাবাদী বলবেন, কিন্তু আমি সত্যিই জানি না, ও এখানে কেন এসেছিল? ওর স্ত্রী হয়েও কথাটি আমার অজানা। ঘটনাটি বিশ্বাস করার মত নয়, কিন্তু এটাই সত্য। আমি সত্যিই জানি না, সে কেন ত্রিপুরাতে এসেছিল? তবে সে ব্যবসা করতে যে এখানে আসেনি, তা নিশ্চিত ভাবে আপনাকে বলতে পারি। কেন এত নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, তারও কারণ আছে। ভারতের বহু জায়গা থেকে বাহাদুরের জন্য ভাল-ভাল চাকরির অফার এসেছিল। কিন্তু সে ওগুলিকে পাত্তাই দেয়নি; সোজা এখানে চলে আসে আর সামান্য একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কেরানীর চাকরী শুরু করে। অথচ দেখুন, বাহাদুরের টাকা-পয়সার কোন অভাব নেই। কারণ, তার পরিবার, বহু পুরানো এক জমিদারের পরিবার, এক বনেদী নেপালি পরিবার। আট-দশ পুরুষ ধরে ওদের জমিদারি ছিল। আজও বিশাল টাকার মালিক ওরা। এখনো ওদের যা ধন-সম্পদ আছে, তা তাদের পরের সাত পুরুষ আরামসে বসে-বসে খেতে পারবে। এত টাকা-পয়সা থাকা স্বত্বেও সামান্য কেরানীর চাকরীর দরকার কী, তা আজও আমার মাথায় আসে নি। আপনি আরও অবাকে হবেন এই কথা শুনে যে, বাহাদুর তার নেপালের বাড়ির লোকজনদের জানিয়ে রেখেছে, সে এখানে বড় একটা ব্যবসা খুলে বসেছে, অথচ নিজে করে এক সামান্য কেরানীর কাজ। আজও তার পরিবারের লোকজন আসল কথা জানে না। তারা জানে, সে এখানে খুব বড় একটি ব্যবসা খুলে বসেছে। অন্য দিকে আমার বাবার পরিবারও খুব বনেদী পরিবার, বংশ-পরস্পরায় খুব নামি-ডাকি লোক। এই সব কারণেই আমি চাই, আমার স্বামীর পেশা নিয়ে যে কথাগুলি এই মাত্র বললাম, সেগুলি যেন গোপনই থাকে।"

"অ -বুঝলাম! আচ্ছা, আপনার স্বামী না হয় কোনও বিশেষ কারণে কেরানী চাকরি করতেন, কিন্তু আপনি কেন শিক্ষকতা করেন? আপনারও তো টাকা-পয়সার কোনও অভাব নেই!"

"হ্যাঁ, আমাদের টাকা-পয়সার কোন অভাব নেই, বলতে পারেন শুধু মনের খোরাক মিটাতে আমি শিক্ষকতা করি। ঘরে একা একা বসে থেকে কী করব তাই-"

"ও! কিন্তু ধরুন, যদি কোনও না-কোনও ভাবে আপনার পরিবার বা আপনার স্বামীর পরিবার এই গোপন কথাগুলি জানতে পারে, তখন?"

"মিথ্যাকে সারা জীবন ঢেকে রাখা যায় না। আমি জানি, একদিন না -একদিন সবাই নিশ্চয়ই আসল কথা জানবে। সেদিন হয়তো আমি কোনও না-কোনও ভাবে ওটাকে সামাল দিতে পারব। কিন্তু বর্তমানের অবস্থাটি ভিন্ন। আমার সকল দুশ্চিন্তাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আরেকটি ঘটনা, আর সেই কারণেই আমি আপনার কাছে ছুটে এসেছি। অবশ্য আমি আপনার নাম ঠিকানা কিছুই জানতাম না। আমার স্কুলের এক বান্ধবী, মানে সহকর্মী, তিনিই আমাকে আপনার নাম-ঠিকানা সব দিলেন। বললেন, আপনার কাছেই আমার সব সমস্যা সমাধান হতে পারে। তাই-"

"কী নাম আপনার বান্ধবীর?"

"কাবেরী ঘোষ। হিন্দি স্কুলের পাশেই তাদের বাড়ি।"

নাম শুনেই খুক-খুক করে কেশে উঠল রাজবংশী। আর পরিচয়ের দরকার হল না। কাবেরী যখন চন্দ্রবালাকে এই চন্দ্রলোকে পাঠিয়েছে তখন ঠুক-ঠাক যাচাই করেই পাঠিয়েছে। রাজবংশী বেশ হাসিমুখে বলল, "আপনি এই মাত্র যার নাম বললেন তিনি আমার খুব পরিচিত, আমার কাছে খুব সম্মানীয়া। তিনি আমার বিশিষ্ট বন্ধু পটভবেশ ঘোষের স্ত্রী। ওর সাথে আপনার পরিচয় হয়েছে জেনে খুশি হলুম। এবার নির্দ্বিধায় বলুন, কোন জিনিসটি আপনাকে ভাবিয়ে তুলছে।" ( পটভবেশ আর কাবেরীর বিষদ বিবরণ আছে রাজবংশী সিরিজের তৃতীয় গল্প 'প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্যে' )

চন্দ্রবালা নিজের কাঁধের ব্যাগটি খুলে একটি ছোট কাগজ বের করলেন আর এগিয়ে দিলেন রাজবংশীর দিকে, "এই নিন, একটি ছোট্ট চিঠি। এই চিঠিটিই আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলছে। গতকালকে ঘর ঘোচাতে গিয়ে এক কোনে এটি পেলাম। এই চিঠির কথা কাবেরীদি ছাড়া আর কেউই বলিনি; পুলিশকেও না।"

রাজবংশী হাত বাড়িয়ে কাগজটি হাতে নিল। খুব ছোট্ট একটি কাগজের টুকরা। তাতে কম্পিউটারে ছাপানো লেখা, "তোকে সাবধান করে দিলাম, নজরে পড়েছিস। সামলানোর সময় পাবি না। আমি আসছি।"

রাজবংশী বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল চিঠিটির দিকে। তারপর বলল, "ভারী আশ্চর্য জিনিস! এ চিঠি সম্পর্কে আপনার অভিমত কী, চন্দ্রবালা দেবী?"

চন্দ্রবালা একটু সময় নিয়ে ভেবে বললেন, "আমার অনুমান ভুলও হতে পারে, তবে আমার মনে হচ্ছে বাহাদুর নিশ্চয়ই কোন অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই রমণীর পরিবার কোনও না-কোনও ভাবে তা জানতে পেরেছে। ফলে তারা সেই রমণীর জীবন থেকে বাহাদুরকে সরিয়ে দিল। আবার এমনও হতে পারে, বাহাদুরের কাছে ঐ নারীর কোন নিষিদ্ধ ছবি বা চিঠি রয়ে গেছে। তা ফিরে পেতে সেই প্রেমিকা বা তার পরিবারের লোকজন বাহাদুরকে এই চিঠি দেয় ও হামলা করে। অসম্ভবের কিছু নয়, তবে এ সব কিছুই আমার আন্দাজ মাত্র। আমার অনুমান ভুলও হতে পারে । কারণ, আমি কিন্তু বাহাদুরের মধ্যে আজ পর্যন্ত কখনোই কোনও দ্বিচারিতা লক্ষ্য করিনি। সে আমাকে সত্যিই মন-প্রাণে ভালবাসত আর আমিও ওকে ছাড়া আর কিছুই চিন্তা করতে পারি না। তাই এই চিঠিটি আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলছে, খুব মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে। আমি এই ভেবে খুব কষ্ট পাচ্ছি যে, আমাদের মধ্যের এই তৃতীয় ব্যক্তিটি কে? সে এল কোথা থেকে, যার কথা বাহাদুর কোনও দিন আমাকে বলেনি? সেই নারী এল আর আমার বাহাদুরকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল, এত সহজে?"

নিজের হিসাব মিলাতে-মিলাতে বেশ চিন্তিত স্বরে রাজবংশী বলল, "এত বছর পরে হঠাৎ কেন আপনার মনে হল যে আপনার স্বামীর কোনও অবৈধ প্রেমিকা থাকতে পারে? কেন আপনার মনে হল যে, আপনাদের মাঝে তৃতীয় কেউ আছে?"

"দেখুন, সবটাই আমার অনুমান। এমনটা হয়েই থাকবে, এ কথা আমি বলছি না। হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। এই নিয়েই তো আমি প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। একে তো বাহাদুর এভাবে অসময়ে আমাকে ছেড়ে চলে গেল, সেই ব্যথা কী কম? তার উপর আবার এরকম একটি মানসিক চাপ। আমি যে সত্যি-সত্যি ভিতর-ভিতর খুব ভেঙ্গে পড়েছি।"

এই প্রথম চন্দ্রবালার চোখের কোনা ভিজে উঠল। এতক্ষণে ঠিক বুঝা গেল বাইরের এই চাকচিক্য শুধুই এক আভিজাতিক ভদ্রতার নকল আবরণ। আসল মানুষটি ভিতরে-ভিতরে নিজের স্বামীর জন্য শুধুই হাহাকার আর হাহাকার করে যাচ্ছে। রাজবংশী একটু থেমে বলল, "আপনি কী আমাকে আপনার সন্দেহের কারণটি খুলে বলতে পারেন?"

Next Part

সমগ্র পর্বগুলি: সমগ্র পর্বগুলি

রাজবংশী সিরিজের অন্য গোয়েন্দা গল্প:
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
গোয়েন্দা গল্পের সম্পূর্ণ তালিকা

All Bengali Stories    30    31    32    33    34    35    (36)     37   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717