Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

নয়নবুধী


ত্রিপুরার ইতিহাসের পটভূমিতে একটি উপন্যাস


All Bengali Stories    44    (45)    46    47    48    49    50    51    52   

হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর-১৩, আগরতলা

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------


নয়নবুধী
( এক পাঁজালীর প্রেমিকা )
পর্ব ৫
ত্রিপুরার ইতিহাসের পটভূমিতে রচিত একটি উপন্যাস
লেখক - হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর, আগরতলা
( এই উপন্যাসের সকল স্বত্ব সরকারি রেজিস্ট্রিকৃত ভাবে লেখক দ্বারা সংরক্ষিত )


নয়নবুধী: সমস্ত পর্বগুলি: All Parts

◕ নয়নবুধী
পর্ব ৫

এখন নয়নবুধী আর ছোট্টটি নেই। এখন সে ষোড়শী। শৈশব আর কৈশোর পেড়িয়ে যৌবনের এক উত্তাল ভরা নদী। চাঁদের রূপ যেন ভেঙ্গে-ভেঙ্গে পড়ছে তার গায়। দিনে-দিনে রূপ-যৌবন বেড়েই যাচ্ছে। যেমন তার অঙ্গশোভা তেমনি তার মুখশ্রী; যেন পাহাড়ি এক বনদেবী।

নয়নবুধী এখন আর আগের মত ঘর থেকে বের হয় না। মা তাকে চোখে-চোখে রাখেন। ঘর থেকে বের হলেই ডাকা-ডাকি শুরু করে দেন। অসময়ে কোথাও বের হতে গেলে বাধা দেন। মা একপ্রকার বন্দী করে রাখেন নয়নবুধীকে নিজের নয়নে, নিজের মনে, নিজের টিং ঘরে। মা বলেন, "এখন তুই তো আর ছোট্টটি নেই। ক'দিন পরেই শ্বশুরবাড়ি যাবি; তোর জামাই তোকে নিয়ে যাবে। তাই বন্ধুদের সাথে বনে-ঘাটে ঘুরাঘুরি বন্ধ করে ঘরের কাজ কর্ম কিছু শিখ। শ্বশুরবাড়িতে কাজে লাগবে। ওখানে গিয়ে ত তোকে ঘরের কাজ কর্মই করতে হবে।"

মা'র কথাতে সায় দেন নয়নবুধীর বাবাও। নয়নবুধী এখন উনার চোখের মণি। জুম থেকে ফিরে এসেই মেয়ের খোঁজ করেন। পাশে বসিয়ে অনেক গল্প করেন, উপদেশ দেন। তিনিও জানেন কয়েকদিনের মধ্যেই মেয়ে বিদেয় হবে। একবার বিদেয় হলে কবে আবার মেয়ের মুখ দেখতে পাবেন, তার ঠিক নেই। আদৌ কি দেখতে পাবেন, তাও জানেন না। এত দূরের পথ, চাইলেই কি আর সহজে আসা-যাওয়া করা যায়? একাকী নির্জনে বাবার মন খুব কাঁদে। নয়নবুধী তা টের পায়। তাই সুযোগ পেলেই বাবার সাথে বসে দীর্ঘক্ষণ গল্প করে সে।

ওদিকে রাজধানী রাঙামাটিতেও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে এই ক'বছরে। মহারাজ বিজয়মাণিক্য বসন্ত রোগে মারা গেছেন। সেনাপতি গোপীপ্রসাদ ষড়যন্ত্র করে মহারাজ বিজয়মাণিক্যের কনিষ্ঠ পুত্র, অনন্ত মাণিক্যকে হত্যা করে এবং বিজয়মাণিক্যের ভাই অমরমাণিক্যকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করে নিজে রাজা হয়েছেন; নাম ধারণ করেছেন উদয়মাণিক্য। রাজধানী রাঙামাটির নতুন নাম নিজ নামের অনুকরণে রেখেছেন উদয়পুর। নয়নবুধীর শ্বশুর, রাজ-কর নিতে এসে এই খবর জানিয়ে গেছেন। তিনি আরও অনেক কথাই বলে গেছেন নয়নবুধীর বাবাকে। তাই নয়নবুধী জানে, রাজ্যের বর্তমান এই রাজা খুব সুবিধার নয়। রাজধানীতেও এখন চরম বিশৃঙ্খলা, অস্থিরতা চলছে। এসব কারণেই ওর জামাই, হীরাচাঁদ, এখনো ওকে রাজধানীতে নিয়ে যাচ্ছে না।

সেদিন আকাশ ঘন নীল, মৃদুমন্দ বাতাস সূর্যের হালকা তেজ পিঠে নিয়ে বয়ে চলছে গাছ-গাছালির ফাঁকে-ফাঁকে। বাবা জুম চাষে গেছেন, মা টং ঘরে রান্না করছেন। সুযোগ বুঝে ধীর পায়ে ঘর থেকে বের হয়ে এল নয়নবুধী। টং ঘর থেকে নীচে নামতেই মা'র ডাক কানে এল,"কই চললি লো নয়না?"

নীচ থেকে হাঁক দিয়ে নয়নবুধী জবাব দিল, "একটু ঘুরে আসি, মা!"

বেশ রাগী চেহারায়, হাতে একটি বেত নিয়ে মা ঘর থেকে বের হলেন, "কত বার তোকে বারণ করেছি, দিন-দুপুরে ঘর থেকে বের হবি না। এখুনি ঘরে আয় বলছি। আমার হাতে এটা কী দেখেছিস?"

নয়নবুধী বেশ জানে মাকে। তাই হেসে বলল, "তুমি আমাকে মারবে, রাজ-কর্মচারীর বৌকে? দাঁড়াও, তোমার জামাইয়ের কাছে তোমার নালিশ করে দেব।"

মেয়ের এ কথা শুনে মা ফুস করে হেসে দিলেন। নয়না প্রতিবারই এই এক কথা বলে মা'কে আটকে দেয়। কারণ মা বুঝতে পারেন না, নয়না কোন জামাইয়ের কথা বলছে; নিজের না মেয়ের? অগত্যা মা হেসে বললেন,"ঠিক আছে যা, তবে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবি, বলে দিচ্ছি।"

মাথা দুলিয়ে, হাত নেড়ে বনের পথে পা বাড়াল বনদেবী। সে জানে এসময় চম্পক আর ইন্দ্র কোথায় থাকবে। নটুকৃষ্ণতে গিয়ে পৌঁছল নয়নবুধী। তাকে দেখে ইন্দ্র ড্যাব-ড্যাব চোখে তাকিয়ে রইল তার দিকে। সত্যিই তাকে খুব সুন্দর লাগছিল। ইন্দ্রের এই অবস্থা দেখে নয়নবুধী বেশ রাগের সুরে ধমক দিয়ে বলল, "এই পাগলা, কী দেখছিস তুই আমার দিকে, এমন করে? আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকলে, তোর চোখদুটি আমি গেলে দেব। মেয়ে মানুষ কী কখনো দেখিস নি নাকি? কই, চম্পক তো তোর মত এমন কু-নজরে আমাকে দেখে না!"

ইন্দ্র বেশ মজার সুরে হাসতে-হাসতে বলল, "আরে ধুর। চম্পক আবার কী দেখবে তোকে? চম্পকের কী কোনও মন আছে নাকি? তার না আছে মন, না আছে নয়ন। আর আমাকে দেখ, আমার মনও আছে, নয়নও আছে। বলতে পারিস দুইই আছে। সত্যি বলছি, আজকের মত এত সুন্দর তোকে আর কখনো দেখিনি। মনে হচ্ছে, একটি চাঁদকে কেউ রিয়া আর পাছড়া পড়িয়ে বনের মাঝে ছেড়ে দিয়েছে। তুলারাম পাড়ার ঝিলে বুঝি আজ স্বর্গের শ্বেতপদ্ম ফুটেছে। সত্যি বলছি, যদি তোর বিয়েটা আগে না হয়ে যেত, তবে তোর মা-বাবাকে বলে আমিই তোকে বিয়ে করতাম, বুঝলি পাগলী।"

"ই-স-স! 'আমিই তোকে বিয়ে করতাম', কাক পক্ষীর আবার সোনার ডিম! বলি, নেশা-টেশা কিছু কী খেয়ে রেখেছ নাকি? আমার সাথে প্রেমের কসরত দেখাচ্ছ? বলি, কোথায় শিখলি এমন চক্রাকার কথা? আরেক বার ও কথা বলবি, কি আমার দিকে ওভাবে চাইবি, এই দেখ, এই কঞ্চি দিয়ে তোর চোখ আমি গেলে দেব, শয়তান। জানিস না আমি তোদের রাজ-কর্মচারীর বৌ! আবার আমার দিকে চেয়ে হি-হি হাসছিস?"

নয়নবুধীর হাসিতে হেসে উঠে ইন্দ্র। দূরে বসে হাসতে থাকল চম্পকও। বেশ কৌতুকের সুরে ইন্দ্র জবাব দিল, "তোর হাতে যদি অন্ধ হইরে পাগলী, তবে তো খুব আফসোস থাকবে। অন্ধ হয়ে তোকে না দেখে বেঁচে থাকতে চায় কোন পাগল? তবে তোর হাতে যদি মরণ হয়, তবে খুব সুখ পাই। এক ঝটকায় সব জ্বালা শেষ।"

"দাঁড়া শয়তান! তাহলে এবার তোকে মরণ সুখই দিচ্ছি," এই বলে হাতের ছড়ি দিয়ে ইন্দ্রকে পেটাতে লাগল নয়না, "তোর সাহস তো কম নয়, বান্দর? জানিস না আমি রাজধানীর বৌ? আমার জামাইকে দেখেছিস, রাজপুত্রের মত! আমার শ্বশুরবাড়ির সামনে দিয়ে মহারাজ রোজ আসা-যাওয়া করেন। আমি কেন রে তোর লক্ষ্মীছাড়া ভাঙ্গা টংয়ে বৌ হয়ে থাকব?" কথাগুলি বলেই নয়নবুধী মনে-মনে আঁতকে উঠল,"সর্বনাশ, এ কী বলে ফেললাম আমি?" কারণ সে জানে, সত্যি ইন্দ্রের পারিবারিক অবস্থা খুব খারাপ। অতি ছোট বেলায় ওর মা মারা যায়। তারপর থেকে ওর বাবা একজন পাক্কা নেশাখোর হয়ে উঠে। ছোট্ট ইন্দ্র কী খাবে-না খাবে, সে ব্যাপারে তার বাবার কোনও চিন্তাই ছিল না। প্রতিবেশীদের অসীম দয়ায় সেদিন ইন্দ্র প্রাণে বাঁচে। সেই খেদ, সেই অভিমান, সেই জিদ ইন্দ্রের মনে আজো আছে, নয়নবুধী এ কথা খুব ভাল জানে। এই কারণে কোনোদিন সে ইন্দ্রকে এমন ভাবে কথা বলেনি। আজ রাগের মাথায় হোক, কিংবা মুখ ফসকেই হোক, কথাগুলি বলে মনে-মনে চরম অনুতপ্ত হতে লাগল নয়নবুধী। লজ্জায় চাঁদের ফর্সা মুখ টক-টকে লাল হয়ে গেল। সে ঠিক বুঝতে পারল, ইন্দ্রকে এমন কথাটা বলা ঠিক হয়নি। এই কথাগুলিকে ইন্দ্র সহজ ভাবে মোটেই নেবে না। ইন্দ্রের পরিবারে অশান্তি থাকতে পারে, কিন্তু সে একজন খাঁটি সোনার মানুষ।

চরম অনুতপ্ত মনে, খুব বিনয়ীর সাথে নয়নবুধী বলল, "আমায় তুই ক্ষমা করে দিবি ইন্দ্র, আমি রাগের মাথায় ভুল বলে ফেলেছি। এমন কথা বলাটা আমার একদম ঠিক হয়নি, উচিত হয়নি। তুই খারাপ ভাবিস না। তোকে ঐ কথাগুলি বলে আমি নিজেই খুব লজ্জা অনুভব করছি। এই দেখ আমি হাত জোর করে তোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কানে ধরছি, এই দেখ!"

ইন্দ্র ফিরেও তাকাল না, অন্যদিকে চেয়ে উদাস সুরে বলল, "ওসব কথা থাক নয়না। ওসব কথা বলে আর লাভ কী? তুই তো ঠিকই বলেছিস, কিছুই তো ভুল তো বলিস নি। যার বাবা এমন, যার ঘর এমন; তাকে মেপে-মেপে নিজের দিকে চেয়েই কথা বলা উচিত ছিল। এখানেই তো আমি হেরে গেছি, তোর কাছে, সবার কাছে। আজ তুই সত্যিই জিতে গেলি নয়না। শিশু-বেলা থেকে এতকাল আমি যা বুঝতে পারিনি, আজ তোর মনের কথা বুঝতে পেরে ভালই লাগছে, সব পরিষ্কার লাগছে। যেন নিজেকে খুব চিনতে পেরেছি। আমারই ভুল ছিল, আমিই ভুল পথে তোর সাথে ঠাট্টা-তামাসা করছিলাম। আর কোনোদিন প্রেম-ভালবাসা নিয়ে তোর সাথে কোনও রকম ঠাট্টা-তামাসা করব না। কারণ দেখলাম, এতে নিজের সম্মানই যায় বেশী।"

নয়নবুধী পাথরের মত ওখানেই দাঁড়িয়ে রইল, কিছুই বলতে পারল না। জবাব দেবারও কিছু ছিল না তার, কথা বাড়িয়ে ইন্দ্রকে আর দুঃখ দিতে চাইল না সে। অতি ভারী মনে, মাথা নিচু করে মরা কাঁঠাল গাছের একটি গুড়িতে বসে পড়ল সে। ভাবতে লাগল, "এ কী হয়ে গেল? কী বলতে কী বলে ফেলেছি? কেন বলেছি? ইন্দ্রের কথার জবাব কেন দিতে গেলাম? চুপ করে থাকলেই বা কী ক্ষতি হতো? মা'ও তো বলেন, তুই এখন আর ছোট্টটি নেই, তোর রূপ-গুন অনেক বেড়ে গেছে। খুব কাছের বন্ধু হয়ে সত্যি কথা বলায় ইন্দ্রের দোষ কোথায়? কেউ যদি আমার রূপের প্রশংসা করে, তবে কি তাকে এমন ভাবে দুঃখ দেওয়ার আছে? তাও এমন ঘনিষ্ঠ ছেলেবেলার বন্ধুকে? সে তো ভুল কিছু বলেনি, খারাপ কিছু বলেনি, শুধু ওর মনের কথাটাই বলেছিল? নিজেকে বড় দেখাতে গিয়ে ইন্দ্রকে এমন ভাবে অপমান করাটা কী ঠিক হয়েছে? না, না, খুব ভুল হয়ে গেছে। অনিচ্ছা স্বত্বেই হোক, ভুল তো ভুলই। ছিঃ, ছিঃ, এ আমি কী করলাম?"

দূরে বসে চম্পক এতক্ষণ সব দেখছিল। এবার উঠে এসে কাছে দাঁড়াল। মুখ বেঁকিয়ে বলল, "বাঃ! বাঃ! খুব সুন্দর! খুব সুন্দর!
ইন্দ্ররাজের ভাঙ্গা টং নয়না-বুড়ির ঘাড়ে,
নয়না-বুড়ির লজ্জা শিয়াল ডাকছে নদীর ধারে!!
ছিঃ! ছিঃ! তোদের দু'জনেরই লজ্জা হওয়া উচিত। ছেলেবেলার সাথীকে কয়েকদিনের মধ্যেই চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে হবে, এই কথা ভেবে কোথায় আমারা একে-অপরের হাত ধরে থাকব, একে-অপরকে চিরদিন মনে রাখার প্রতিজ্ঞা করব, দূরে থাকলেও যেন চিরদিন সুখে-দুখে সাথী থাকতে পারি, সে কথা বলব; তা না করে তোরা নিজেদের মান-অভিমান নিয়ে টানাটানি করছিস, নিজের-নিজের মান-অপমানের পাথর মাথায় নিয়ে বসে আছিস! ছিঃ। এই বুঝি আমাদের এত কালের বন্ধুত্ব? এরই নাম বুঝি বাল্যকালের বন্ধু? তুই একবার কি ভেবে দেখেছিস ইন্দ্র, নয়না যেদিন আমাদের ছেড়ে খুব দূরে চলে যাবে, তারপর থেকে হয়তো সারাজীবনেও ওর মুখ আর দেখতে পারব না, সেও আমাদের দেখতে পারবে না; এই কথা ভেবেই মন খুব কাঁদে। তাও ভাবি, সে দূরে থাকুক, তবু ভাল থাকুক, সুখে থাকুক। কোথায় আমরা তার মঙ্গল কামনা করব, তা না করে -"

নিজের কথা শেষ করতে পারল না চম্পক। তার আগেই নয়নবুধী জোরে-জোরে ফুঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। এই প্রথম প্রাণবন্ত, ফুরফুরে প্রজাপতি নয়নাকে চোখের সামনে এমন ভাবে কাঁদতে দেখল ওরা। নিজেদের অতি প্রিয় বন্ধুটিকে এমন ভাবে কাঁদতে দেখে মুহূর্তে মান-অপমানের পাথর, কর্পূরের মত উড়ে গেল; সব কিছু আবেগ-পূর্ণ, অশ্রুময় হয়ে গেল। নয়নবুধীকে মানাতে ওরা কী করবে-না কী করবে, ভেবে পেল না।

ওদিকে নিজের জন্মস্থান, মা-বাবা, ছেলেবেলার সঙ্গী-সাথী, সব কিছুর স্মৃতি এসে ঝড় তুলল নয়নবুধীর মনের আয়নায়। সে অঝরে কাঁদেই যেতে লাগল। ইন্দ্র আর চম্পকের চোখের জলও ছল-ছল করছে। উদাস সজল চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল চম্পক। ইন্দ্র নত মস্তকে চেয়ে রইল পুকুর পাড়ে পড়ে থাকা শুকনো মরা একটি গাছের ঢালের দিকে, জীবনটা যেন আজ তারই মত শুষ্ক হয়ে গেছে। বিদায়ের আগেই চোখের জলে নয়নবুধীকে আজ বিদায় দিল ওরা।

এমন সময় দুটি কুকুর খুব ঘেউ-ঘেউ করতে করতে নীচে নেমে এল?

Next part

গোয়েন্দা গল্প:
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
লুকানো চিঠির রহস্য   
কান্না ভেজা ডাকবাংলোর রাত    


All Bengali Stories    44    (45)    46    47    48    49    50    51    52   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717