Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

সে তবে কে?


বাংলা গোয়েন্দা গল্প


All Bengali Stories    49    50    51    52    53    54    55    (56)     57   

লেখক- শান্তনু দাস, হাওড়া, কোলকাতা



সে তবে কে?
বাংলা গোয়েন্দা গল্প

Detective-Story
লেখক- শান্তনু দাস, হাওড়া, কোলকাতা

পর্ব ৩
০৭-০২-২০২০ ইং


বাকি পর্ব গুলি: পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



◕ সে তবে কে?
পর্ব ৩
◕ "এত মন দিয়ে কি ওয়াচ করছিলে ইন্দ্রদা?"

"আয় বোস, সৌম্য। ফিঙ্গার প্রিন্টের ওপর লেখা ব্রিটিশ লেখকের একটা বই দেখছিলাম।"

ইন্দ্রদা টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ঐ বইটা পড়ছিল। টেবিলের উপর একটা ক্যাসেট রাখা ছিল। ও আমাকে ডেকে সোফায় বসতে বলল। ওয়াগম্যানে ক্যাসেটটা ভরতে-ভরতে বলতে শুরু করলো, "এবার মন দিয়ে শোন মৃত অলীক সেনের মৃত্যুর ঠিক আগের কথাগুলো। অলীক প্রথমে গান শুনছিল ঠিকই কিন্তু মৃত্যুর ঠিক আগে সে বুঝতে পেরেছিল যে খুনি তাকে খুন করতে এসেছে। তাই বুদ্ধিমান অলীক ওয়াগম্যানের রেকর্ডিং সুইচ অন করে দিয়েছিল। কিন্তু মুশকিল হল খুনি একটা কথাও বলেনি যাতে করে তার গলার স্বর চেনা যায়। স্রেফ গুলি করে পালায়। নে, এবার নিজের কানেই শোন।" ইন্দ্রদা ক্যাসেটটা রিওয়াইণ্ড করে প্লে করে দিল। রেকর্ডিং এর শব্দ ভেসে এল, "দেখো তোমাকে আগেও বলেছি এখনও বলছি, ভয় দেখিয়ে আমাকে তোমাদের দলে টেনে নিতে পারবে না। আমি আমার ইউনিয়নকে শ্রদ্ধা করি। সেখানে তোমাদের ঐ জঘন্য কাজকর্ম করা দলে আমি কোনোদিন যাবো না। তুমি কি ভাবছ আমাকে খুন করলে পুলিশ তোমাকে ছেড়ে কথা বলবে? পুলিশের হাতে ধরা তোমাকে পড়তেই হবে। সাহস থাকে তো সামনে এসো।" তারপর কিছুক্ষণ কোনো শব্দ নেই। আবার অলীকের গলা শোনা গেল আর প্রায় সঙ্গে-সঙ্গে গুলির আওয়াজ, "একি ! তু ... তুমি ... সুমি ... আঃ আঃ আঃ আঃ।" ইন্দ্রদা স্টপ করলো।

আমি প্রশ্ন করলাম,"সুমি কি তাহলে কারোর নাম? তোমার কি মনে হয়?"

"হ্যাঁ, তবে অলীক আসলে যে নামটা বলতে চেয়েছিল সেটা সম্পূর্ণ হয়নি।"

"মানে?"

"সুমিলি। সুমিলি বলতে গিয়ে অলীক সুমি বলে আটকে যায়।"

"সুমিলি?"

"হ্যাঁ সৌম্য। আমি যখন হোস্টেলে অলীকের ড্রয়ারটা খুলি তখন ওখানে কতকগুলো গ্রিটিংস কার্ড পাই। তার মধ্যে একটাতে সুমিলি লেখা ছিল।"

"সুমিলি অলীক সেনের কলেজ ফ্রেন্ড হতে পারে।"

"একবার অলীকদের বাড়ি তমলুক যাবো ভাবছি। ইন্সপেক্টর সমাদ্দার কি বলেন দেখি। আচ্ছা রেকর্ডিং শুনে তোর কি কমেন্ট সৌম্য?"

"একটা জিনিস তো জলের মত পরিষ্কার, ইন্দ্রদা। অলীকের কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে, যখন অলীক খুনিকে প্রথম দেখল তখন অন্য কাউকে এক্সপেক্ট করেছিল। কিন্তু যেহেতু 'একি সুমি !' বলল, তাই বলা যেতে পারে, পর মুহূর্তেই সে দেখতে পেয়েছিল আনএক্সপেক্তেড কাউকে। মানে বলতে চাইছি ,অলীক সেন প্রথমে খুনিকে চিনতে ভুল করেছিল। কাছে আসতেই সে বুঝতে পেরেছিল এ লোক অন্য।"

"গুড। আর একটা কথা, রাঁধুনি শবরের কথা শুনে কিছু বুঝলি?"

"সবটা বিশ্বাস হল না।"

"আমারও সিক্সথ সেন্স তাই বলছে যে, শবর পুরোটা বলছে না।"

"হুম, তাই মনে হয়, না-হলে অলীক সেন গুলি লাগার আগে এতগুলো কথা বলল অথচ পাশের ঘরে শুয়ে থাকা শবর কিছুই শুনতে পেল না?"

"রাইট সমু।"

"আচ্ছা, সুমি মানে কি সুমিলিই হতে হবে ইন্দ্রদা?"

"তার আগে জানতে হবে সুমিলি মেয়েটা কে? তবে সুমি মানে আর একজনও হতে পারে, কিন্তু -" ইন্দ্রদাকে থামতে হল কারণ, ওর মোবাইলটা ভাইব্রেট করছে। "হ্যালো-"

"হ্যালো ইন্দ্র বাবু। নতুন খবর দেবার আছে। আপনি আমাদের বাড়িতে চলে আসুন, গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমার ছেলে এই খুনের ব্যাপারে কিছু ইনফরমেশন দেবে।"

"আপনার ছেলে?"

"হ্যাঁ, ও তো অলীকের সাথে স্কটিশচার্চে একই ডিপার্টমেন্টে পড়তো।"

"আগে বলেন নি তো কালীচরণ বাবু! বাই দা বাই বিকেলে গেলে হয় না?"

"না, আপনারা এখনই আসুন। এখানেই লাঞ্চ করবেন। বিকেলে একজনের বাড়ি যাবার প্ল্যান আছে।"

"আবার খাওয়া দাওয়ার ঝামেলা কেন? আমরা -"

"ঝামেলার প্রশ্নই নেই, বরং আপনারা না এলেই আমার ওয়াইফ অসন্তুষ্ট হবে। আমার স্ত্রী সুচিত্রা আপনার আর সৌমাভর চরম ভক্ত। বীরভূমের ব্লু ডায়মন্ড কেসটা শোনার পর আপনাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অনেক আশা করে আছে।"

"অল রাইট সমাদ্দার বাবু। আমরা রেডি হয়ে নিচ্ছি। উই মাস্ট কাম।"

সাড়ে ছটা নাগাদ কালীচরণ সমাদ্দারের ফ্ল্যাটে পৌঁছলাম। সুন্দর সুবিশাল ঘর। সুন্দর কারুকার্যের আরাম কেদারা আর দামি আসবাব। মেঝেতে মখমল কার্পেট বিছানো। জানলা থেকে ভেসে আসছে রজনীগন্ধার সৌরভ। ওনার স্ত্রী সুচিত্রাদেবীর সঙ্গে পরিচয়ে বুঝলাম ভদ্রমহিলা যথেষ্ট সাদাসিধে, সরল, মিশুকে। ওনার চোখদুটো ভীষণ প্রাণবন্ত, হাসলে গালে টোল পড়ে, চিবুকের নিচে পড়ে ভাঁজ। কালীচরণ বাবু বাইরে বাজারে বেরিয়েছিলেন। ওনার ছেলের সঙ্গে আলাপ হল। বাইরে থেকে এল বলে পরনে ছিল হলুদ রঙের একটা শার্ট, ডেনিম জিন্স, চোখে ফাসট্র্যাকের সানগ্লাস। সুন্দর করে ঘন চুলগুলো ছোট কপালের উপর সাজানো। মুখের মধ্যে উদাসীন ভাবটা দু'চোখের আগ্রাসনে চাপা পড়ে গেছে। জিম করা পেটাই চেহারা। "আপনারা কতক্ষণ এলেন? আমি একটু বাইরে বেরিয়েছিলাম বাবার সাথে, বাবার আসতে একটু দেরি হবে বলে আমাকে তাড়াহুড়ো করে পাঠিয়ে দিল। ডোন্ট মাইন্ড।"

"ইটস ওকে, আপনার মায়ের রাজকীয় আপ্যায়নের পর মাইন্ড করার কোনো জায়গাই নেই। আপনিই তাহলে অলীকের ক্লাসমেট?"

"হ্যাঁ আমি রজক সমাদ্দার। আপনি আমাকে তুমি বলতে পারেন ইন্দ্রজিৎ বাবু।"

"থ্যাঙ্ক ইউ," ইন্দ্রদা টেবিলের উপর রাখা একটা ম্যাগাজিন তুলে নিয়ে বলতে শুরু করলো, "আচ্ছা রজক, অলীকের ব্যাপারে তুমি কিছু বলবে শুনলাম।"

শান্ত পরিষ্কার দৃঢ় কণ্ঠে রজক বলতে লাগলো, "অলীক আর আমি একই ব্যাচের। ও আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিল। অলীকও আমায় খুব ভালোবাসতো। খুব ব্রাইট স্টুডেন্ট ছিল অলীক। কোনোরকম অন্যায় যেমন করতো না সেরকম কোনোরকম অন্যায়কেও প্রশ্রয় দিত না।"

"সুমিলি বলে কাউকে চেনো তুমি, রজক?"

"হ্যাঁ সুমিলিও ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের, তবে সেকেন্ড ইয়ার। আমরা চারজন, আমি, অলীক, সুমিলি, সুমিত অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলাম। কলেজ থেকে আমাদের বাড়ি একই দিকে মানে ডানলপের দিকে হওয়ায় আমরা একসঙ্গে ফিরতাম। অলীক অবশ্য কলেজ হোস্টেল পেয়েছিল, ওখানেই থাকতো। ওর বাড়ি তমলুকে।"

"আচ্ছা রজক, সুমিলির সঙ্গে কোনোদিন অলীকের ঝগড়া হয়েছিল?"

"সে যেমন বন্ধুদের মধ্যে হয়, আপনি কি সুমিলিকে সন্দেহ করছেন?"

"না সেটা নয়, নাউ ডোন্ট মাইন্ড, আই উইল ডিসকাস অল ওপেনলি, সুমিলি আর অলীক কি শুধুই বন্ধু ছিল? আই মিন টু সে, এনি উইকনেস?"

"নো নো নাথিং ইন্দ্রজিৎ বাবু, দে ওয়ের অনলি ফ্রেন্ডস, নট মোর দ্যান দ্যাট। তবে সুমিত আর সুমিলির মধ্যে ..."

"এনি লাভ অ্যাফেয়ার? বলে ফেলো, মাইন্ড ইট ইটস আ কেস অফ মার্ডার।"

"বলতে পারবো না। ওদের দুজনের মধ্যে কোনো কিছু চললেও সেটা আমি আর অলীক কোনোদিন জানতে পারিনি।"

"সুমিতের ফোন নম্বরটা আমাকে একটু দাও। আর কোনো ছবি থাকলে আমাকে একটু দেখাও।"

রজক ওর মোবাইল থেকে সুমিতের নম্বরটা ইন্দ্রদাকে দিল। মোবাইলে ওদের চার বন্ধুর একটা গ্রুপ ফটো আমাদের দেখাল। ইন্দ্রদার ভ্রু কুঁচকে গেছে সুমিতের ছবি দেখে। আমরা দুজনে একসঙ্গে বলে উঠলাম, "চেনা চেনা লাগছে!" কিন্তু কোথায় দেখেছি মনে করতে পারলাম না।

ইন্দ্রদা রজক আবার বলল, "আচ্ছা এতক্ষণ তো আমিই তোমাকে প্রশ্ন করতে থাকলাম, খুনের ব্যাপারে তুমি কিছু বলবে বলছিলে?"

"হ্যাঁ সেজন্যই তো বাবা আপনাদের ডেকেছে।"

"কাউকে সন্দেহ হয় তোমার?"

"সেটাই আপনাদের বলবো ইন্দ্রজিৎ বাবু। অলীকের প্রধান বন্ধু বলতে আমরা তিনজনই ছিলাম। সুমিত, সুমিলি আর আমি। সুমিত একটু স্বার্থপর টাইপের, এটা আমার সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত। খুন সুমিত করতেই পারে না কারণ ঐদিন রাতে সুমিত মামার বাড়ি বর্ধমান চলে যায়। আমাকে সন্দেহ করা না-করাটা আপনাদের ব্যাপার। সুমিলি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী, আমাদের এক ক্লাস জুনিয়ার। সকলের প্রতি ওর যেমন সিমপ্যাথি আছে তেমনি সকলেরও ওর প্রতি সিমপ্যাথি আছে। সুমিলি অলীককে খুন করবে স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। খুন যদি কেউ করতে পারে, সে একজনই; হীরা।"

"হীরা? মানে হিরণ্ময় রায়?" আমি বললাম।

"হ্যাঁ হিরণ্ময় রায়। একই কলেজে পড়ে। আমাদের দু'বছরের সিনিয়ার। ফেল করতে-করতে আমাদের ব্যাচে। প্রোফেসাররা পর্যন্ত হীরাকে ভয় পায়। জুনিয়ার টু সিনিয়ার, কলেজের সবাই হীরাকে চেনে। একবার কী যেন একটা হয়েছিল, তাতে হীরাকে কলেজ থেকে প্রায় টিসি দিয়ে দিচ্ছিল প্রিন্সিপ্যাল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। হীরার ঐ অবস্থার জন্য দায়ী ছিল অলীক, ও-ই প্রিন্সিপ্যালের কাছে কমপ্লেন করে। যাইহোক, ঐ হিরণ্ময় রায় আর কয়েকটি ছেলে, অলীককে শাসাচ্ছিল। অলীক তাতে একটুও দমে যায়নি। এই কিছুদিন আগে থেকে ওরা অলীককে হুমকি দিতে থাকে এই বলে যে, ওদের দলে যোগ দিতে হবে। কিন্তু অলীক ঐ নোংরা দলে ঢুকে নোংরা কাজকর্ম করার এতটুকু উৎসাহও দেখায় নি।"

"তুমি এতসব জানলে কি করে?"

"আমরা যখন কলেজ ছুটির পর একসঙ্গে বাড়ি ফিরতাম তখন প্রায় দিনই হীরা দলবল নিয়ে অলীককে শাসাতো। অলীক পড়াশুনোতে ভাল ছিল, চেহারাতেও বেশ হিরোইজম ছিল। তাই ওরা অলীককে ওদের দলে টেনে নিতে চাইছিল। ঘটনাটা ইদানীং দশ বারোদিন ধরে চলছিল।"

"তোমরা কমপ্লেন করোনি?"

"বাধা দিতে গেলেও কি ওরা শুনবে? আর অলীকও ছিল একরোখা। হীরার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও বেশ আনন্দই পেত। অলীক যেদিন রাতে খুন হয় সেদিন অর্থাৎ পরশু বিকেলের ঘটনা, সুমিলি, অলীক আর আমি হেদুয়া পার্কে দাঁড়িয়ে ছিলাম, সুমিত সেদিন ছিল না। দেখি একটা রিক্সা করে পঁইত্রিশ-ছত্রিশ বছরের বিবাহিত এক ভদ্রমহিলা আমাদের সামনে এসে দাঁড়াল, অলীক বলে উঠল, 'একি বৌদি! তুমি এখানে?'
'হ্যাঁ রে, অনেকদিন বাবার এখানে আসা হয়নি তাই এসেছি।'
'দাদা এসেছে নাকি? আমাকে একবারও জানালে না বৌদি?'
'না, আমি একাই এলাম, হঠাৎ করেই। এখনই তমলুক ফিরবো। তোদের তো আজই ছুটি পড়ল। চল একসঙ্গে যাই, আমি ওয়েট করছি।'
'না বৌদি, আমাকে হোস্টেলে ফিরে কতকগুলো নোটস লিখতে হবে, মাকে বোলো কাল সকালে আমি যাচ্ছি।'
'কিন্তু কলেজে ছুটি পড়ে গেলে তো তোদের হোস্টেলে কেউ থাকে না?'
'তাতে কি ! হোস্টেলে রাতে রাঁধুনি থাকে।'
তারপর অলীক তখন আমার আর সুমিলির সঙ্গে বৌদির পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, এমন সময় হীরা ও তার চারজন বন্ধু এসে অলীককে হুমকি দিতে লাগলো, ওদের দলে না এলে ওরা অলীককে শেষ করে দেবে। বৌদি তখন পাশেই ছিল। হীরাকে আমি ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। ও আমার কথা তো শুনলই না, উল্টো বৌদিকে যা নয় তাই বলে অপমান করতে লাগলো। অলীক আর চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না, হীরার সঙ্গে মারপিট শুরু করে দিল। সুমিলি, আমি আর পাশাপাশি দোকানের কয়েকজন মিলে ওদের কোনোভাবে আলাদা করলাম। হীরার নাক দিয়ে তখন গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। ও অলীককে শাসিয়ে গেল যে, সেদিন রাতেই ওকে দেখে নেবে। ঠিক হলও তাই। সেই রাতেই অলীক খুন হল।" রজক মাথা নিচু করল।

ইন্দ্রদা টেবিলের ওপর হাতে ধরা ম্যাগাজিনটা রেখে বলল,"তারপর?"

"তারপর আর কি। বৌদি অলীককে অত করে বলল যে, রাতে আর হোস্টেলে থেকে কাজ নেই, বৌদির সঙ্গে অলীক ঘর চলুক, কিন্তু অলীক গেল না। আমি আর সুমিলি কত বোঝালাম, আসলে একরোখা অলীকের মৃত্যুটা ভাগ্যে লেখা ছিল ইন্দ্রজিৎ বাবু। আমার তরফ থেকে যতটুকু জানানোর ছিল, তা আমি আপনাকে বললাম। আমরা সবাই চাই অলীকের খুনি তাড়াতাড়ি ধরা পড়ুক।"

"থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ রজক, তোমার ইনফরমেশন আমার ভাবনার নতুন দিক খুলে দিয়েছে।"
Next Part

বাকি পর্ব গুলি: পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯   


অন্যান্য গোয়েন্দা গল্প ও উপন্যাস:
নয়নবুধী   
কান্না ভেজা ডাকবাংলোর রাত    
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
লুকানো চিঠির রহস্য   
একা বড়ো একা   



All Bengali Stories    50    51    52    53    54    55    (56)     57   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717