Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

সে তবে কে?

বাংলা গোয়েন্দা গল্প
লেখক- শান্তনু দাস, হাওড়া, কোলকাতা

All Bengali Stories    49    50    51    52    53    54    55    (56)     57   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



সে তবে কে?
বাংলা গোয়েন্দা গল্প
লেখক- শান্তনু দাস, হাওড়া, কোলকাতা

পর্ব ৮

বাকী পর্ব গুলি: পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯   

◕ সে তবে কে?
পর্ব ৮
ইন্দ্রদা আমার মুখ থেকে কেন প্রশ্নটা আশা করছিল? আমি জানতাম ওকে এখন কিছু জিজ্ঞেস করলেও বলবে না। তাই ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালাম। যাইহোক দুপুরে ঘণ্টাখানেক ভালই ঘুম দিলাম। বিকেলে সময়মত ইনস্পেক্টর সমাদ্দারের বাড়ি পৌঁছে গেলাম। উনি একটা নতুন খবর দিলেন। সুমিলি বাবা-মায়ের সাথে তমলুকে কোনো এক আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে। উনি অবশ্য ফোনে সুমিলিরা যেখানে আছে তার ঠিকানা জেনে নিয়েছেন। ইন্দ্রদা ঠিকানাটা নোট করে পাশের ঘরে একা রজকের সঙ্গে কিছু কথা বলল। প্রায় কুড়ি মিনিট পর ইন্দ্রদা বেরিয়ে এসে সমাদ্দার বাবুকে বলল, "আজ রাতেই অলীকদের বাড়ি যেতে হবে, ওখানেই খুনি আসবে।"

"বলেন কি মশাই? আমি তো এখনো অথই জলে।"

"মোটামুটি রাত আড়াইতে নাগাদ পৌছাতে হবে আমাদের। আমি কিন্তু আগেই চলে যাবো। আপনি সৌমাভকে নিয়ে ঐ টাইমে পৌঁছে যাবেন।"

"কিন্তু ..."

"আপনাদের কাজ হল ঝোপের আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে থাকা। সন্দেহজনক কাউকে দেখতে পেলে ফলো করবেন। আমি ঠিক সময়েই পৌঁছে যাবো। একটা সুন্দর নাটকের প্ল্যান আছে। বেস্ট অফ লাক।"

সন্ধ্যে সাতটা। অলীকদের বাড়িতে দেওয়ালঘড়ির সাতটা ঘণ্টা বাজা শেষ হতে না হতেই কলিংবেল বাজলো। সীমন্তিনী সেন দরজা খুলে দিলেন।

"এই সময়ে তুমি?"

"হ্যাঁ একটু দরকারেই ... ভেতরে আসতে পারি কি?"

"এসো, কিন্তু এত দূর থেকে ..."

"বৌদি, অলীকের কাছে আমার একটা ডায়রি রয়ে গেছে, সেটা হোস্টেলে নেই। এখানে হয়তো থাকতে পারে তাই এলাম, খুবই জরুরী।"

"কেউ কি বাড়ি নেই বৌদি?"

"না। তোমার দাদা এখনো বাড়ি আসে নি, আর মা ঐ ঘরে শুয়ে পড়েছেন। ভোর-ভোর ওঠেন তো তাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েন।"

"আমাকে একটু জল দেবেন বৌদি?"

"বোসো সরবত করে আনছি।"

রজক সমাদ্দার এবার সোফা ছেড়ে উঠে পড়ে অলীকের মায়ের ঘরের দিকে মুখ বাড়ালো। সীমন্তিনী সেন জল খাবার নিয়ে আসার আগেই আবার সোফায় এসে বসে টেবিলের উপর পড়ে থাকা একটা ম্যাগাজিনের পাতা ওলটাতে লাগলো। সীমন্তিনী সেন এলেন।

"তুমি খাও। আমি দোতলার পড়ার ঘরে দেখে আসি ডায়রিটা আছে কিনা? কি রঙের ডায়রি?"

"লাল রঙের, ওপরে আমার নাম লেখা আছে।"

বৌদি চলে যেতেই রজক সমাদ্দারের চোখের চাহনিটা কেমন রহস্যময় হতে লাগলো। সে সন্তর্পণে অলীকের মায়ের ঘরে পা টিপে-টিপে ঢুকে পড়ল। উনি তখন খাটে নিশ্চিন্তে পাশ ফিরে শুয়ে আছেন। পাশে টেবিলে এক গ্লাস জল রাখা। দু'পাশটা একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে রজক একটা সাদা বড়ি গ্লাসে মিশিয়ে দিল। তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। ওদিকে সীমন্তিনী সেন অলীকের ঘরে কোনো ডায়রি না পেয়ে নিচে নেমে এলেন।

"রজক, রজক ... ভাই রজক, কিছুই তো পেলাম না। আমার মনে হয় ... রজক, রজক কোথায় গেলে?"

রজকের আকস্মিক আগমন এবং রহস্যজনক পলায়ন সীমন্তিনী সেনকে বেশ চিন্তায় ফেলে দিল। ওদিকে ঘড়িতে তখন রাত দশটা। তমলুকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সুমিলির বাবা-মা, সুমিলি ও আরও কয়েকজন গল্প করছিল। হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজ। সুমিলির বাবা দরজা খুললেন।

"কে আপনি? আপনাকে তো ঠিক ..."

গম্ভীর গলায় সিগারেট মুখে ধোঁয়া ছাড়তে-ছাড়তে আগন্তুক বলল, "আমাকে আপনি চিনবেন না, দরকারটা সুমিলির সাথে।"

"কে বলুন তো আপনি, এত রাতে ..."

"সুমিলির সাথে কথা বলব ... মে আই কাম ইন?"

আমি আর ইনস্পেকটর কালীচরণ সমাদ্দার অলীকদের ফ্ল্যাটের কাছে পৌঁছলাম ঠিক দুটো বেজে পঁয়ত্রিশ মিনিটে। চারদিক অন্ধকার নিস্তব্ধ। শহরের উপর লাইটপোস্টের আলোগুলো কেমন টিমটিম করছে। বন্ধ রেস্তোরা ও দোকানগুলো চকচক করছে চাঁদের আলোতে। অলীকদের বাড়ির ঝাউগাছের চারপাশে অন্ধকার আরও বেশি করে জমাট বেঁধেছে। আমরা একটা ঝাউগাছের আড়ালে এসে দাঁড়ালাম। ইন্দ্রদা এখন কোথায় কে জানে? ইনস্পেকটর বারবার ঘড়ি দেখছেন। দেখতে-দেখতে তিনটে বাজলো। আমার খুব ঘুম আসছিল। ইনস্পেকটর হাই তুলতে-তুলতে বললেন, "হায়, কোথায় তোমার খুনি? কোথায় বা তোমার ইন্দ্রদা? কোনো বিপদ হল না তো আবার?"

ইন্সপেক্টরের মুখ দেখে মনে হল এত রাতে এই ঝোপঝাড়ে ইন্দ্রদার কথায় আসতে হয়েছে বলে খুব খুশি হন নি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে পা কনকন করছিল বলে আমরা রুমাল পেতে মাটিতে বসে রইলাম। আমি বলে উঠলাম, "কই চারিদিকে তো কাউকেই দেখছি না।"

দূরে অতর্কিতে জ্যোৎস্নার নির্জনতর সিমেন্টের রাস্তার ওপর দিয়ে একটা কালো বেড়াল মিয়াঁই ম্যাও ... ম্যায় হু না করতে করতে চলে গেল। হঠাৎ ইন্সপেক্টরের মোবাইল বেজে উঠল। ইন্দ্রদা ফোন করেছে।
Next Part


বাকী পর্ব গুলি: পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯   

অন্যান্য গোয়েন্দা গল্প ও উপন্যাস:
নয়নবুধী   
কান্না ভেজা ডাকবাংলোর রাত    
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
লুকানো চিঠির রহস্য   
একা বড়ো একা   



All Bengali Stories    50    51    52    53    54    55    (56)     57   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717