Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

বোধিবৃক্ষ - পর্ব ৪

বাংলা গল্প

All Bengali Stories    124    125    126    127    128    129    (130)     131    132    133   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



বোধিবৃক্ষ - পর্ব ৪
বাংলা গল্প
লেখক - দীপ্তেশ মাজী, চেতলা রোড, কলকাতা
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প


অন্য পর্বগুলিঃ পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩   

## বোধিবৃক্ষ - পর্ব ৪
সেদিনের পর মি. কস্তুরির সাথে আর কথা হয়নি। মোনা কিরাণ যা করলেন আর আজ মি.লাটুর ব্যবহার তো তার চেয়েও এক কাটি বড়।

"নমস্কার, আমার নাম শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ হল সুজিত, আমার সহকারী।"

"ওরে বাবা, ডিটেকটিভ! তা পথ ভুলে এলেন নাকি?"

মি.লাটুর বাংলা বেশ পরিষ্কার। ঘরের আসবাব দেখে বোঝা যাচ্ছে উনি বেশ পরিপাটি। ওনার চশমার ঘর দেখে আমাদের চশমা মাথায় উঠেছে। কি না। করেছেন ভদ্রলোক! পৃথিবীর বিভিন্ন সময়ের, একাধিক স্থানের চশমা সংগ্রহ করে রেখেছেন। কাঠ থেকে শুরু করে পাথরের, এমনকি লিকলিকে আঠার তৈরি চশমা। কোনোটায় তো আবার সোনা জহরত বসানো। আমাদের দেখে বললেন, "আমি বাঙালি কি উর্দু, তা তোমার জেনে কি হবে টিকটিকি?"

শ্রীজাত হেসে বলল, "তা আপনার ঐ শেফার্ডকে তো দেখছি না। তাকে কি চুরির মাল পাহারায় রেখেছেন?"

এইবার লাটুর চোখ জ্বলে উঠল। চশমা নামিয়ে বললেন, "আমি চুরির কিছুই জানি না।"

দেখলাম উল্টোদিকে শ্রীজাতের চোয়াল শক্ত হয়ে এসছে। ও বলল, "আপনার রেডমার্ক আছে আমি সেটা জানি। কিভাবে পরিচিতি লুকিয়ে দুবাইয়ে গেলেন সেটাও কি বলব?"

এইবার প্রকাশরঞ্জন দাঁড়িয়ে পড়লেন। শ্রীজাত আগের মতই বসে ছিল। হাতের তুরিতে একটা আওয়াজ করতেই শ্রীজাত আমায় প্রায় টেনে সরিয়ে দিল। দেখলাম গুডুম করে একটা আওয়াজ হল, শ্রীজাত-র কালো রিভলভারটা চিবুক উঁচিয়ে আছে। মি.লাটু প্রায় হতভম্ব হয়ে বললেন, "আপনারা বেরিয়ে যান, এখুনি।"

ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা ট্যাক্সি ধরে গল্ফগ্রীনের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পথে শ্রীজাত বলল, "আর একটু হলেই ওর শেফার্ডের খুলি খুঁড়িয়ে দিতাম। পোষ্যটাও ভুল হাতে গিয়ে পড়েছে।"

আমি বললাম, "তুমি ধাক্কা দিলে তাই, তা না-হলে কুকুরটা আমার ঘাড়েই পড়তো, কি সাংঘাতিক!!"

এনগিডি মাকাওয়ানডা অবশ্য মাটির মানুষ। একটা ছোট্ট তথ্য দিলেন কস্তুরি সম্পর্কে, "I bought a ivory carved horn but till now he is not paying." আমরা এই মি.কস্তুরি সম্পর্কে এত বাজে-বাজে কথা শুনছি যে, আমার মনে হল লোকটা হয়তো সত্যিই গণ্ডগোলের। বাড়ি ফিরে শ্রীজাত টেবিলের সামনে গেল। বলল, "চুরি কে করেছে জানি না, তবে এদের চরিত্রগুলো সব মেকি। পেঁয়াজের খোলার মত ভেতরে-ভেতরে সঞ্চিত। খুঁজে বার করতে গেলেই খোঁচা খেতে হবে।" তারপর একে-একে মোনা, এনগিডি, প্রেরণা আর লাটুর ছবি সরিয়ে দিল। পড়ে রইলেন গ্রেগারী, মি.কস্তুরি, নিবৃত্তি আর পল্লবী পাল্লিক্যাল। পল্লবীকে আমরা প্রথম দিনই দেখেছিলাম, আর দ্বিতীয়বার দেখি নি।

আমাদের এই কেস যত শেষে আসছে তত কেমন প্যাঁচানো হয়ে বসছে। একের-পর এক ব্যক্তিকে দেখে মনে হচ্ছে এই হয়তো চোর। সাজানো পোশাকের ভেতরে নিম্ন মানসিকতা জড়িয়ে আছে। শ্রীজাত চাইছিল এরা যাতে নিজে থেকেই সব স্বীকার করেন। বাইরে থেকে তাপ প্রয়োগ করে যেমন বরফ-স্থিত মাছের টুকরো বেরিয়ে আসে, এটা তেমনই।

পরের দিনের অতিথি মি.কস্তুরি স্বয়ং। প্রথম দিনের আর আজের কস্তুরি একেবারে আলাদা। বিসর্জনীয় মা দুর্গার মতই ওনার অবস্থা। শ্রীজাত সোজা জিজ্ঞাসাবাদে আসল। "আচ্ছা, আপনার বৈবাহিক সম্পর্কের বিষয়টা আমাদের অজানা। আপনি কি বলবেন..."

মি. কস্তুরি বেশ ইতস্তত করলেন। আরও কয়েকটা বিষয়ে অসংলগ্ন উত্তর দিয়ে উনি চলে গেলেন। আমরাও এই কেসের অন্তিম লগ্নে এসে গিয়েছি। শ্রীজাত বলল, "কাল যে মিটিং হবে, তাতেই তুমি জানতে পারবে বোধিবৃক্ষটি আদতে কে!" আমিও মি.কস্তুরির আচরণ দেখে কিছুটা সন্দেহ করলাম। শ্রীজাত হয়তো বুঝে গেছে; কালকেই এদের দফারফা করবে।

পরের দিন সকালে আমরা দশটার মধ্যে আকাদেমিতে উপস্থিত হলাম। গ্রেগারী টেরেন্টেভ আমাদের সাথেই এলেন, বললেন, "আই নো বোথ অফ ইউ। বাট..."

শ্রীজাত বলল, "ভেতরে আসুন, চমক আরও আছে।"

কি ভাগ্যিস, গ্রেগারী কথাটা বুঝেই হো হো করে হেসে উঠলেন। শ্রীজাত-র পিঠ চাপড়ে উনি ভেতরে গেলেন। ঘরে সবাই ছিলেন। শ্রীজাত যেন ঝড়ের মত ঢুকে সব ওলট-পালট করে দিল। ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে বলল, "আপনাদের মধ্যে কেউ একজন প্রতিনিয়ত এখানে আসতেন। দ্বিতীয়ত এই নাকেরটা, ডলার সাইনের আমি আরও সহজ করে দিচ্ছি। আচ্ছা, নিবৃত্তি কুমারী আপনি 'এশিয়ান ওসাম কালেকশান' সম্পর্কে কিছু বলবেন!"

এবারেও সবার সাথে নিবৃত্তি কুমারী চুপ করে আছেন। মি.কস্তুরি একবার পল্লবীর দিকে তাকালেন।

"এটা, আপনার, ঐ কানের, নাকের। আর আপনিই ঐ বৃদ্ধা সেজে চুরিটা করেছেন। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র যন্ত্র দিয়েই আপনি পাথর সরিয়েছেন। এর মূল্য আপনি জানতেন। শেয়ালের মূর্তির ওখানে এই নাকেরটা এরই পরিচয়। তাছাড়া আপনার স্বামী মি.কস্তুরি আর মেয়ে পল্লবী তো এখানেই আছেন দেখছি।"

আমরা প্রায় হাঁ করে রইলাম। পল্লবী এই সময় ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। পরক্ষণেই দরজা দিয়ে দেখলাম একজন লোক আসলেন। শ্রীজাত বলল, "আসুন যামিনীবাবু। উনি হচ্ছেন, জি.সি.দে জুয়েলার্সের মালিক। হীরের খাদ পরীক্ষা করতে এসছেন।"

এবারে আমাদের সামনে আর একটা চমক। দেখলাম, নটরাজের নেকলেসটা দেখেই বলে দিলেন, "শ্রীজাত, এটা কিন্তু এক্কেবারেই নকল!!"

শ্রীজাত এবার মি.কস্তুরিকে বলল, "আমি জানি, আপনি সেদিন রাতেই এটা করেছেন। কারণ আপনার সন্দেহ হয়, যদি কেউ চুরি করে নেয় তাহলে আপনার কি হবে! আপনি আগেভাগেই তাই সরালেন।"

গ্রেগারীর উদ্দেশ্যে শ্রীজাত বলল, "এই চুরির মাল পাওয়া যাবে। পোল্যান্ড আগের মতই ভারতকে ভরসা করতে পারে।"

গ্রেগারী বেশ ক্ষুব্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন কস্তুরির দিকে। শ্রীজাত-র বোমার ন্যায় বাক্যবাণ ঘরের সবাইকে উন্মাদ করে দিল। নিবৃত্তি কুমারী বারে-বারে দ্বাররক্ষক পুরকায়স্থ-র দিকে তাকাচ্ছেন। মি.কস্তুরি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। শ্রীজাত সবে কিছু বলতে চাইছিল, নিবৃত্তি বললেন, "ও আমার সাথে যে আচরণ করেছে সেই কারণেই আমি এটা করেছি। দিনের পর দিন ও আমার অনুপস্থিতির সুযোগে অন্যের সাথে...ছি! তাই আমি ওকে হ্যারাস করার সুযোগ খুঁজছিলাম। মাস খানেক আগেই দেখলাম আকাদেমিতে ওর তদারকিতে প্রদর্শনী হচ্ছে। তখনই আমি প্ল্যান করি।"

শ্রীজাত আমার দিকে একবার চেয়ে বলল, "আপনাদের সবাইয়ের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সেদিনের হুমকির ফোনটা আমিই করেছিলাম।"

এইসময়, মোনা ভার্গভ চিল্লে উঠে বললেন, "কিসব হচ্ছে এখানে। সব পাগল নাকি!" উনিও ঘর দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। ওনার সাথেই এনগিডি মাকাওযানডা চলে গেলেন। ঘরে রইলেন মি.কস্তুরি আর নিবৃত্তি। কারণ আমাদের সাথে মেহের বেরিয়ে এসছেন।

মেহের বলল, "সত্যি এরা খুবই অভদ্র কাজ করার আগে ভাবে না। এরা। উপার্জন করেন অথচ এদের কুবুদ্ধি যায় না।"

এই সময় আমরা গেটে সিকান্দারকে দেখতে পেলাম। শ্রীজাত ওর কানে কি যেন ফিসফিস করে বলল। লোকটা প্রায় শ্রীজাত-র পা ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। শ্রীজাত বলল, "সিকান্দার, আমাদের পেছনেও কিন্তু পুলিশ আছে। ভুলটা দ্বিতীয়বার করো না।"

মেহের আর আমি কিছুটা গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "ব্যাপারখানা কি!" শ্রীজাত বলল, "সুজিত মনে আছে সেই ফোনটার কথা। যেটা প্রথম দিন যায় মি.কস্তুরির কাছে। আমি তখনই সন্দেহ করি। যাই হোক, ওটা নিবৃত্তি কুমারীর কথায় সিকান্দার করে। এবার আমি যদি এদের বলি তাহলে আর কিছু হোক বা নাই হোক, সিকান্দারের ওপর ক্ষোভ আগে পড়বে। বেচারার চাকরি যাবে।"

মেহের সব শুনে বললেন, "ওয়েল ডান শ্রীজাত, ভালো করেছো, বেশ করেছো। আচ্ছা, তোমরা এতকিছু মাথায় রাখো কি করে!"

শ্রীজাত হেসে বলল, "সবই আপনার ঐ বিরিয়ানির কামাল।"

আমরা সবাই হেসে উঠলাম। মেহের বলল, "মি.কস্তুরি যে চরিত্রহীন তা আমি জানতাম। ওনার আচরণেই সেটা প্রকাশ পায়।" এরপর দু একটা কথা বলে আমরা চলে আসি। নগেনকে চায়ের ফরমায়েশ দিয়ে ওকে সব খুলে বলতে বললাম। মনে-মনে আমিও সাজিয়ে নিলাম বিষয়টা।

"মি.কস্তুরি আগাগোড়াই সন্দেহ-প্রবণ, সবকিছুকেই যাচাই করে নেন। সিকান্দার হয়তো এটা বুঝত। প্রদর্শনীর প্রথমদিনই উনি স্থির থাকতে পারলেন না। তারপর ঐ ফোন কল। উনি সেদিনেই ফন্দি আঁটলেন, নেকলেস সরালেন। কিন্তু সেদিন আরও দুজনও ফন্দি এঁটে বসে আছেন। সিকান্দারের মদতে ছদ্মবেশী নিবৃত্তি কুমারী ঝোপ সরিয়ে কাঁচের জানলা টপকে ঢুকলেন। কিভাবে যেন নাকেরটা খুলে পড়ে যায়। আমার প্রথম সন্দেহ হয় মি.কস্তুরিকে দেখে। উনি অত মূল্যবান নেকলেস ছেড়ে অন্যদিকে ঘুরছেন। তারপর উনিও আমাদের সাথে স্তম্ভিত। বুদ্ধের মাথা কাটা। অর্থাৎ দ্বিতীয় চুরি। এরপর আমি ফাঁদ পাতলাম। ফোন করে মাঝরাতে সবাইকে বিব্রত করলাম। সুজিত, তুমি তখন গভীর নিদ্রায়। নিবৃত্তি কুমারীই ফাঁদে পা দিলেন। মি.কস্তুরি আগেই সবার পেছনে লোক রেখেছিলেন। আমায় বললেন, ইনি চোর। আমি তখন ল্যাপটপ ঘেঁটে জেনে নিয়েছি ওনার স্ত্রী ছিলেন নিবৃত্তি আর মেয়ে পল্লবী পাল্লিক্যাল। বোধ হয় বাবার সাথে সম্পর্ক না রাখতেই পদবী পরিবর্তন"

এই সময় আমি বললাম, "নার্সিং হোমে কস্তুরিকে কি বললে!"

ও বলল, " আমি শুধু বললাম, এই পল্লবী মেয়েটি একাধারে চরিত্রহীন এবং এই চুরি করেছে। উনি চটে গেলেন। স্ত্রীর থেকে উনি সন্তানকে বেশি ভালো বাসবেন এটাই স্বাভাবিক কিনা।"

"আচ্ছা, ছদ্মবেশী মহিলা নিবৃত্তি ছিলেন, কি করে বুঝলে? ফুটেজ দেখে তো বোঝাই যায়নি!"

"ফুটেজ অস্পষ্ট থাকলেও, আমার অনুমান শক্তপোক্ত ছিল। এটা তুমি শেয়াল দেবতার কৃপা বলতে পারো। পুরকায়স্থ এদের নিয়ে কি করবেন তা জানি না তবে, এটা আমার মতে পারিবারিক সমস্যা। অর্থবলে এরা নিজেদের ছাড়িয়ে নিতে পারে। গ্রেগারী হয়তো আর এগোবেন না। আমার যাকে বাঁচানোর বাঁচিয়ে দিয়েছি।"

আমি বেশ অবাক হয়ে বললাম, "কাকে আবার বাঁচালে! মি.কস্তুরির অসৎ চরিত্র উদ্ভাসিত হল। নিবৃত্তি কুমারী নিজের মেয়ে আর স্বামীর কাছে ছোটো হলেন, যারা ঘরে ছিলেন তাঁদের চোখে তো বটেই। আর বাঁচল কে!"

"সুজিত, এটাই আমাদের ভুল। দেখো, এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটছিল কার মদতে! সিকান্দার যদি ঐ বৃদ্ধাকে প্রশ্রয় না দিতেন, ভুয়ো ফোন কল কস্তুরিকে না করতো তাহলে কিছুই হত না। তবুও ও এদের সামনে তৃণ। আমি তাই ওর কথা কাউকে কিছুই বলিনি। এমন কি পুরকায়স্থকেও নয়..."

এরপরের অন্তিম কাজটা আমি করে দিলাম। টেবিলের সামনে সাদা বোর্ডটা খুলে আবর্জনার বাক্সে চালান করলাম। শ্রীজাত সিগারেট ধরাল, আমিও ধরালাম একটা। একটা সুখটান দিয়ে বলল, "তোমার ঐ ছাত্রী, কি যেন নাম... ও হ্যাঁ, সুনীতি। বেশ ভালো।"

আমি বললাম, "আচ্ছা শ্রীজাত, মেয়েদের কোনটা কানে পরে বা নাকে পরে, তা কিন্তু আমাদের দ্বন্দ্বে ফেলেছিল! ভাগ্যিস সে বলেছিল, ওটা নাকের।"

এই সময় পুরকায়স্থ ফোন করলেন। শ্রীজাত বলল, "নিবৃতি কুমারীর আজই ফ্লাইট ছিল! আচ্ছা, আর হ্যাঁ, কস্তুরিকে বলো, উনি যেন মাকাওযান্ডকে পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেন। তা না-হলে আবার বিপর্যয় আসবে।"
( সমাপ্ত )


All Bengali Stories    124    125    126    127    128    129    (130)     131    132    133   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717