All Bengali Stories
81
82
83
84
85
86
87
88
89
90
(91)
92
-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------
◕
লাবণ্য ( পর্ব ২)
লেখিকা - রিয়া পণ্ডিত, দক্ষিণ তারাপুকুর, আগরপাড়া, কলিকাতা- ১০৯
অন্য পর্বগুলিঃ
পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
◕ পর্ব ২
আসলে লাবণ্যর মুখে এত বার অনিরুদ্ধর নামটা শুনে আর নামটা নেওয়ার সময় ওর মুখে অজান্তেই যে হাসি ফুটে সেটা দেখে লাবণ্যর মায়ের বুঝতে বাকি নেই কোনটাই;
তাই অনিরুদ্ধর সাথে আলাপ করার সাধা জেগেছে। মায়েদের চোখ থেকে কিছু লুকানো খুব মুশকিল।
লাবণ্যর বাবা পরিবেশটা স্বাভাবিক করার জন্য অন্য কথায় চলে গেল -- আচ্ছা কাল কিন্তু আমার এক পুরোনো কলিগের বাড়ি ইনভিটেশন আছে, তোমরা কিন্তু কাল বিকেলে কোন কাজ রেখো না।
লাবণ্য -- আচ্ছা বাপি।
লাঞ্চ শেষ করে লাবণ্য বিছানায় গা এলিয়ে দিলো, ভাবল কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেবে। চোখ বন্ধ করতেই ওর আবারো ওসব কথা মনে পরে গেল।
তাড়াতাড়ি উঠে বসে আপন মনেই বলতে লাগলো -- অনি তো আগে এমন ছিল না, আগে আমার সাথে একটু সময় কাটানোর জন্য পাগলামো করতো,
কিন্তু এখন আমি পাশে থাকলেও আমার সাথে সময় কাটাতে চায় না, সবসময় কেমন এড়িয়ে যায়। তাহলে কি ও আমাকে এখন আর ভালোবাসে না আগের মতো? নাকি ওর জীবনে অন্য কেউ এসেছে?
কথাটা বলতেই নিজের মাথায় নিজেই একটা বাড়ি মেরে বলল -- ধ্যাৎ এসব আমি কি ভাবছি। আমার অনি এরকম হতেই পারে না। তাও কালকে এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে।
লাবণ্য ঠিক করেই নিয়েছে এই ব্যাপারে পরদিন অনির সাথে কথা বলতেই হবে, এভাবে ও আর কষ্ট সহ্য করতে পারছে না।
সত্যি তো ভালোবাসার মানুষের দেওয়া ছোট্ট-ছোট্ট আঘাত অনেক বেদনাদায়ক। কাছের মানুষটার থেকে অবহেলা সহ্য করা যে বড্ড কঠিন।
পরদিন ও কলেজে পৌঁছে দেখল অনি ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।
লাবণ্য -- অনি একটু আসবি? তোর সাথে কিছু কথা আছে।
অনিরুদ্ধ -- কি কথা বল?
লাবণ্য -- না এখানে না, তুই আমার সাথে আয়।
দু'জনেই কলেজের বাগানের একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলো।
লাবণ্য অনিরুদ্ধর হাতটা শক্ত করে ধরে ওর চোখে চোখ রেখে বলল -- অনি তুই কি আমায় ইগনোর করছিস? সত্যি বলবি প্লিজ?
অনিরুদ্ধ লাবণ্যর নরম দু'গালে আলতো করে হাত রেখে বলল -- এসব কী বলছিস তুই, ইগনোর কেন করবো? আমারা তো একসাথেই থাকি সব সময়।
লাবণ্য করুন দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইল। এই দৃষ্টিতে লুকিয়ে আছে অনেক চাপা অভিমান,অনেক চাপা কষ্ট। লাবণ্য বলল -- না আমার মনে হচ্ছে আমরা অনেক দূরে চলে যাচ্ছি একে অপরের থেকে।
দেখ তোর জীবনে যদি অন্য কেউ এসে থাকে আমাকে বলে দিতে পারিস, আমি চলে যাবো তোর জীবন থেকে। কথাটা বলতেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো লাবণ্য।
অনিরুদ্ধ -- এই সব কেন ভাবছিস তুই। আমি শুধু তোকে ভালোবাসি আর তোকেই ভালবাসবো। প্লিজ কাঁদিস না।
লাবণ্য একটু স্বস্তি পেল কথাটা শুনে; অনিরুদ্ধকে সব চাইতে বেশি বিশ্বাস করে লাবণ্য। লাবণ্য শক্ত করে জরিয়ে ধরল অনিরুদ্ধকে।
কিছুক্ষণ পর ক্লাসে চলে এলো ওরা।
ঈশানী -- ওই তো ওরা এসে গেছে।
অনিরুদ্ধ সামান্য ভুরু কুচকে বলল -- কী ব্যাপার আমাদের অপেক্ষা করছিলিস নাকি?
ঈশানী -- হ্যাঁ, তাড়াতাড়ি বস কথা আছে।
আসলে গাইস কাল আমার জন্মদিন, সো একটা পার্টি থ্রো করছি। তোদের সবাইকে কিন্তু আসতে হবে।
লাবণ্য -- সরি ঈশানী, আমি তো আসতে পারবো না। কাল বাপির সাথে বেরোতে হবে।
ঈশানী -- ওহো..... লাবণ্য বাড়িতে কথা বলে দেখ না প্লিজ।
লাবণ্য -- না রে, প্ল্যানটা আগেই ঠিক করা ছিল। লাস্ট মুমেন্টে মানা করলে খারাপ দেখাবে।
ঈশানী -- ওকে, মিস করবো তোকে। তবে অনিরুদ্ধ, তোকে কিন্তু আসতেই হবে। লাবণ্য যাবে না বলে তুইও যাবি না এটা কিন্তু চলবে না বলে দিলাম।
অনিরুদ্ধ লাবণ্যর দিকে তাকাল, লাবণ্য চোখ টিপে ওকে সম্মতি জানালো।
অনিরুদ্ধ এক গাল হাসি দিয়ে বলল -- ওকে আমি যাবো।
ক্লাস শেষ করে সবাই বাড়ি ফিরে গেল। লাবণ্য বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। রাতে ডিনার টেবিলে,
লাবণ্যর বাবা -- কালকের যাওয়াটা কিন্তু ক্যানসেল হয়ে গেছে। অফিসে একটা জরুরি মিটিং আছে। আমি ব্যানার্জী বাবুকে বুঝিয়ে বলে দিয়েছি।
লাবণ্যর মা চোখ গোল-গোল করে লাবণ্যর বাবার দিকে তাকিয়ে বললেন, ধুস কি যে কর না তুমি! আমি শাড়ি, গয়না সব রেডি করে রেখেছিলাম আর এখন বলছে যাবে না।
লাবণ্য হাসি হাসি মুখ নিয়ে বলল -- আমার তো ভালোই হল তাহলে, কালকে ঈশানীর পার্টিতে যেতে পারবো।
লাবণ্যর মা -- কে ঈশানী?
লাবণ্য -- আসলে মা আমার কলেজের এক বান্ধবী। ওর কালকে জন্মদিন তাই আমাকে ইনভাইট করেছিল। বাপির সাথে যাবো বলে মানা করে দিয়েছিলাম।
লাবণ্যর মা -- আচ্ছা যাস, তবে বেশি রাত করে বাড়ি ফেরা চলবে না।
লাবণ্য -- ওকে মা।
ডিনার শেষ করে লাবণ্য ভাবল অনিকে ফোন করে জানিয়ে দেবে, কিন্তু জানালো না ভাবল একবারে গিয়ে সারপ্রাইজ দেবে তাই আর সেদিন অনির সাথে ম্যাসেজেও কথা বলল না।
পরদিন বিকেলে লাবণ্য জিন্স, লাল রঙের একটা সুন্দর টপ পরে, হালকা মেকআপ করে রেডি হয়ে গেল; হালকা সাজেই লাবণ্যকে দারুণ লাগে।
লাবণ্য -- মা আমি বেরচ্ছি।
লাবণ্যর মা -- আচ্ছা সাবধানে যাস, বেশি রাত করিস না কিন্তু।
লাবণ্য -- ওকে মা, টা-টা।
রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকায় একটু লেট হয়ে গেল ওর পৌঁছাতে। ঈশানীর বাড়িতে ঢুকতেই সত্যি সবাই চমকে গেল লাবণ্যকে দেখে।
রাজ আর রনি একসাথে বলে উঠলো -- ইউ আর লুকিং সো প্রিটি, বাট তুই যে বললি তুই আসতে পারবি না?
লাবণ্য মিচকি হাসি দিয়ে বলল -- সারপ্রাইজ! আচ্ছা ঈশানী কোথায় রে?
রাজ -- এইতো কেক কাটা হল, এখানেই তো ছিল। কোথায় গেল কে জানে?
লাবণ্য -- আর অনি?
পিউ -- ও এখানেই তো ছিল, আমাদের সাথেই আড্ডা দিচ্ছিল। একটা ফোন এলো, তারপর ওদিকে কোথায় গেল! যা নেটওয়ার্ক প্রবলেম এখানে।
লাবণ্য -- আচ্ছা, আমি দেখছি খুঁজে। তোরা দাঁড়া।
লাবণ্য অনিরুদ্ধকে সব জায়গায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও পেলো না কোথাও। হঠাৎ দোতলায় যেতেই ও দেখল সামনের দুটো ঘর পেরিয়ে পাশের ঘরটার দরজা হালকা করে খোলা।
কি মনে হল লাবণ্য ঘরটার সামনে গিয়ে দরজা খুলতেই ওর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল।
হাতে থাকা গিফটের প্যাকেটটা মাটিতে পরে গেল। অনিরুদ্ধ ঈশানীকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে ওর গলায় মুখ গুজে কিস করে চলেছে। লাবণ্য দরজা খুলতেই দু'জনে ঘাবড়ে গিয়ে লাবণ্যর দিকে তাকাল।
Next Part
অন্য পর্বগুলিঃ
পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
Next Bengali Love Story
All Bengali Stories
81
82
83
84
85
86
87
88
89
90
(91)
92
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717