Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

অর্ধেক সম্পর্ক উপত্যকা

Bengali Story

All Bengali Stories    90    91    92    93    94    95    96    97    (98)     99   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



অর্ধেক সম্পর্ক উপত্যকা- পর্ব ২

লেখিকা - শ্রীপর্ণা দে, দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিট, কলকাতা
( বিভিন্ন লেখা দেশ, কথাসাহিত্য, উনিশ কুড়ি, প্রসাদ, উদিতা, নন্দন, গৃহশোভা এবং আরও অনেক লিটিল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।)

■ অর্ধেক সম্পর্ক উপত্যকা
পর্ব ২
আগের পর্ব

হালকা নিঃশ্বাস ফেলে শুভময়বাবু বলতে শুরু করলেন, "ঘটনাটি একদম দুঃস্বপ্নের মত। আজও ভাবলে খারাপ লাগে। দৃপ্তর বয়স তখন দশ কিংবা এগারো হবে। দিল্লীতে থাকতাম আমরা। দুবছর আগে আমার স্ত্রী, মানে দৃপ্তর মা মারা যান ব্রেন ক্যান্সারে। আমার সন্তানকে নিয়ে কর্মব্যস্ততায় দিনগুলি কোনোরকমে কেটে যাচ্ছিল। দৃপ্তর ক্লাস ফাইভের পরীক্ষা শেষ হলে সেবার খুব বায়না করছিল কলকাতায় মামার বাড়ি যাবার। বাগবাজারে ওর মামার বাড়ি। আমিও মা হারানো ছেলের বায়না মেটাতে ছুটিতে দৃপ্তকে নিয়ে কলকাতা গেলাম। সেই সময় আমার কাজের চাপ বেশ কম ছিল। এত নামডাক হয়নি আমার। যথা সময় দৃপ্তকে নিয়ে আমি কলকাতা গিয়েছিলাম। দৃপ্তর মামা-মামিমা ভীষণ খুশি। সদ্য মাতৃবিয়োগ হওয়ায় মাতৃতুল্যা মামিমাকে ছোট দৃপ্ত মন থেকে আঁকড়ে ধরল। দৃপ্তর মনের শূন্যতা অনেকটাই পূর্ণ হয়ে গেল মামিমাকে পেয়ে। স্নেহের শিকলে মামিমাও দৃপ্তকে বেঁধে ফেললেন। দৃপ্তর মামিমার খুব ছেলের সাধ ছিল একসময়। কিন্তু সে আশায় ঈশ্বর বাধ সাধলেন। দৃপ্তর মামিমার কোল আলো করেছিল এক কন্যা সন্তান, নাম দীপা। দীপা আমার দৃপ্তর থেকে বছর পাঁচেকের ছোট হবে। দীপা তখন স্কুলে সবে ভর্তি হয়েছে কেজি ওয়ানে। মায়ের স্নেহ দৃপ্তর প্রতি প্রবল হওয়ায় দীপা খুব রেগে যেত। দুজনে ঝগড়াও করত খুব। মামাও দৃপ্তকে স্নেহ করত একমাত্র বোনের ছেলে বলে। প্রায় চোখের নিমেষেই ছুটি কেটে গেল। পনেরো দিন কাটিয়ে আমার সঙ্গে দৃপ্তর দিল্লীতে ফেরার কথা ছিল। কলকাতা থেকে দিল্লী ফেরার আগের দিন রাত্রে দৃপ্তর কান্নাকাটি মামা-মামিমাকে স্থির থাকতে দিলো না। স্নেহ অতি বিষম বস্তু। সে যদি আবার সন্তান স্নেহ হয় তাহলে তো কথাই নেই। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও দৃপ্তকে আমি দুর্বোধ্য স্নেহের জাল কেটে বাইরে আনতে পারিনি। যাইহোক, কলকাতার স্কুলে দৃপ্ত ভর্তি হয়ে গেল। আমার খারাপ লাগাটা মনেই থেকে গেল। নিঃসঙ্গ জীবনে যতটা পারলাম নিজেকে কাজের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিলাম। প্রতি মাসে সব ফেলে একবার কলকাতায় ছুটে যেতাম দৃপ্তকে দেখতে। পরে কাজের চাপ বাড়লে বছরে একবার করে যেতাম। খালি মনে হতো দূরে থাকলেও দৃপ্ত তো আমারই সন্তান। দেখতে-দেখতে আটটা বছর পেরিয়ে গেল। দৃপ্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছে। দীপাও বেশ বড়-সড় হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে। আমি নিয়মমাফিক বছরে একবার করে দেখা করতাম দৃপ্তর সঙ্গে। দৃপ্তর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখা হল ঠিকই। কিন্তু মনে হল দৃপ্ত কেমন যেন পাল্টে গেছে। আগে আমি যাওয়াতে দৃপ্ত কত খুশি হতো। ধীরে-ধীরে সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে সে খুশি ম্লান হয়ে যেতে লাগল। হতে পারে দৃপ্তর বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে এ পরিবর্তন। মানুষের বয়স বাড়লে ছেলেমানুষিগুলো কোনো সংবাদ না দিয়ে ধীরে-ধীরে বিদায় হয়। এক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়েছে। এটাই আমি ভেবেছিলাম। নিজের সন্তানের উপর খুব অভিমানই হল। আমি অভিমান-বশত পাঁচ বছর কলকাতা মুখোও হলাম না। সময় তো কারো জন্য থেমে থাকে না। দৃপ্তর মামার সঙ্গে ফোনে নিয়মিত কথার সুবাদে জানতে পারলাম যে, দৃপ্ত বড় কার্ডিওলজিস্ট হয়েছে। দীপাও বি.কম সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে। দৃপ্ত যে কিভাবে বড় হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না।"

কথার ফাঁকে বাড়ির রান্নার লোক দু'প্লেট খাবার নামিয়ে দিয়ে গেল শুভময় ও নার্সকে। খাবারে ছিল ফ্রায়েড রাইস, মিক্সড ভেজ, চিকেন আর স্যালাড। শুভময়বাবু হেসে বললেন, "কথা বলতে বলতে দেখেছেন দুপুর হয়ে গেছে। খেয়ালই নেই আমার।"

নার্স আগ্রহ-বশত বলল, "তারপর কি হল! বলুন।"

শুভময়বাবু বললেন, "আগে খেয়ে নিন। খাওয়া শেষ হলে বলছি।" আধ ঘণ্টার মধ্যে দুজনের খাওয়া শেষ হল। শুভময়বাবু বলতে শুরু করলেন দৃপ্তর জীবনের বাকি ঘটনা। হালকা কেশে তিনি বললেন, "পাঁচ বছর যে আমি কলকাতা গেলাম না তার জন্য দৃপ্ত একবারও আমার খোঁজ নিল না। 'আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড'-এর মতো ব্যাপার। আমিও অভিমানটাকে পোষা বিড়ালের মতো পুষে রাখলাম। দু'বছর আমি নিশ্চুপ থাকলাম পাঁচ বছরের মতোই। দু'বছর কাটার পর হঠাৎই অপ্রত্যাশিতভাবে দৃপ্তর ফোন এলো আমার কাছে। আমি ভাবলাম আমার সন্তান আমার খোঁজ নিতে ফোন করেছে। কিন্তু আমার সব ভাবনা ভুল প্রমাণিত হয়ে গেল দৃপ্তর কথায়। নিজের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাতে সে সেদিন ফোন করেছে। সে বলল যে, সে দীপাকে বিয়ে করতে চায়। দীপারও নাকি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ মত আছে। দৃপ্তর কথা শুনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। দৃপ্তর মায়ের মৃত্যুর পর কোনদিন তাঁর ছবির সামনে যাইনি। সেদিন অসহায় মানুষের মতো ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, 'দৃপ্ত ভুল পথে যাচ্ছে জেনেও আমি বাবা হয়ে কিছু করতে পারছি না। আজ তুমি বেঁচে থাকলে বোধ হয় এই সময়টা আসত না। সংসারে তোমার অভাবটা আজ বড় বেশি করে বুঝতে পারছি।' আমি দৃপ্তকে সংক্ষেপে জানালাম যে তার সিদ্ধান্ত ভুল। আমার কথা শুনে দৃপ্ত বোধ হয় সেদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। দৃপ্তর সিদ্ধান্ত জানানোর প্রায় এক মাস পর দৃপ্তর মামিমার হঠাৎ ফোন আমাকে আশ্চর্যই করেছিল। দৃপ্তর মামা ফোন করলেও মামিমা কোনদিন আমাকে ফোন করেনি। দৃপ্তর মামিমা ফোনে আমাকে বলল যে, দৃপ্তকে নাকি তারা দুধ ভাত দিয়ে কালসাপ পোষার মতো পুষেছেন। দৃপ্ত মামা-মামিমার না থাকার সুযোগে দীপাকে ফুঁসলে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক করেছে। ঘটনাটা ঘটেছে নাকি দীপার অনিচ্ছাকৃত। আমি দৃপ্তর মামিমাকে হাতজোড় করে বলেছিলাম যে, ওরা দুজনে যা করেছে ভুল করেছে, অন্যায় করেছে। জানি না আমার দৃপ্ত এসব কাজ কেন করল! এত কিছু কিভাবে ঘটে গেল! দৃপ্তর মামিমা আমাকে ঝাঁঝিয়ে বলল যে, আমি দিল্লী থেকে টাকা পাঠিয়ে দিয়েই সব কর্তব্য থেকে সরে এসেছি। সাত বছর ছেলের কোনো খবর রাখিনি। দাদা-বোনের সম্পর্ক বোঝে না আমার ছেলে। এক বছরের মাথায় সে তার মেয়ের বিয়ে দেবে। আমি যেন আমার ছেলেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসি। দৃপ্তর মামিমার মুখ থেকে অতগুলো কথা শোনার পর আমি অপরাধীর মতো ফোন রেখেছিলাম। পরদিন সকালের ফ্লাইটে কলকাতা গিয়েছিলাম দৃপ্তকে আনতে। দৃপ্তও বাধ্য ছেলের মতো বাড়ি এলো। শরীরটা বাড়ি এলো শুধু, দৃপ্তর মন পড়ে রইল সুদূর কলকাতায় দীপার কাছে। কাজের ফাঁকে আমারও তখন অবসর নেওয়ার সময় ছিল না। এরই মধ্যে একদিন স্বল্প অবসরে আমার চোখে পড়ল দৃপ্ত এখনও দীপার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে। আমি মুখ বুজে সব সহ্য করে নিচ্ছিলাম। আমার নীরবতাই হয়তো দৃপ্তর আজ এই অবস্থার জন্য অনেকখানি দায়ী ছিল। মাস-খানেক দীপার সঙ্গে দৃপ্তর সম্পর্কের জের চলল। এরমধ্যেই একদিন হঠাৎ করেই কানে এলো দৃপ্ত ফোনে উত্তেজিত হয়ে দীপার সঙ্গে কথা বলছে। আমি ভেবেছিলাম মামুলি কোনো ঝগড়া। ঠিক তার দু'দিন পর আমি সকালে নিয়মমাফিক নিজের কাজে বেরিয়েছি। দৃপ্ত বাড়িতে একাই ছিল। শরীর খারাপ লাগছিল বলে ও চেম্বার যায়নি। দুপুরের দিকে সেদিন কাজ সেরে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন দৃপ্তর অবস্থা দেখে আমার হাত পা একেবারে ঠাণ্ডা। সারা ঘরের জিনিস লণ্ডভণ্ড হয়ে ছড়িয়ে আছে। দৃপ্ত খাটের নিচে জ্ঞানশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে ওর। আমি সঙ্গে-সঙ্গে দেরি না করে দৃপ্তকে হসপিটাল পাঠাবার ব্যবস্থা করলাম। দৃপ্তকে হসপিটাল পাঠানোর পর কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে যাব এমন সময় দৃপ্তর মামিমার ফোন। দৃপ্তর মামিমা এরকম একটা পরিস্থিতিতে কুশল সংবাদ দেবে না বলাই-বাহুল্য। সে উত্তেজিত গলায় বলল যে, আমাকে কথা দিয়েছিল এক বছরের মাথায় দীপার বিয়ে দেবে। সেই দিন নাকি আসন্ন। পাত্র চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্ট। গুজরাট নিবাসী। দীপারও এই বিয়েতে সম্পূর্ণ মত আছে। আমি দৃপ্তকে নিয়ে যেন দীপার বিয়েতে যাই। আমার সেই মুহূর্তে কথা বলার ক্ষমতা ছিল না। আমি ফোনের লাইনটা বিচ্ছিন্ন করি। সেদিনের দিন রাত কেটে গেল কোনোরকমে। সকালে হসপিটাল থেকে ফোন এলো দৃপ্তর জ্ঞান ফিরেছে। আমি সাগ্রহে ছুটে গেলাম সব অভিমান পিছনে ফেলে। সমস্ত কিছুকে অস্বীকার করে সেদিন একটাই কথাই মনে হয়েছিল যে, দৃপ্ত তো আমারই সন্তান। ডাক্তারবাবু জানালেন দৃপ্ত মাথায় গুরুত্বর চোট পেয়েছে। ও ওর সমস্ত পূর্বস্মৃতি হারিয়েছে। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে দৃপ্ত। আমি দৃপ্তর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখলাম সে নির্বোধ শিশুর মতো বসে আছে। আমায় দেখে অসহায় দৃষ্টিতে চাইল। আমার মনে হল বুকের ভিতর কে যেন চরম আঘাত করল। যন্ত্রণা প্রচণ্ড যন্ত্রণা হল সন্তানের এই দৃশ্য দেখে। চোখের জল বাধা মানল না। ডাক্তারবাবু বললেন যে, সময়ের হাতে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া তাঁদের আর কিছু করার নেই। আমি বাড়ি নিয়ে এলাম দৃপ্তকে। বাবা হিসাবে চাইলাম বাড়িতে নার্স রেখে দৃপ্তকে সুস্থ করে তুলতে। দৃপ্ত ছাড়া আমার এ পৃথিবীতে আপন বলে তো কেউ নেই। ওকে বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও রাখলে আমি একেবারে একা হয়ে যেতাম। টাকা, পয়সার আজ আমার কোনো অভাব নেই। কত চিকিৎসা হল। কিন্তু আমি আমার আগের দৃপ্তকে এখনও ফিরে পেলাম না।"

কথা বলতে-বলতে আর্দ্র হয়ে এলো শুভময় সেনের গলা। নার্স সহানুভূতি-পূর্ণ গলায় বলল, "ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিন। উনি সব কিছু ঠিক করে রেখেছেন। আপনি চিন্তা করবেন না। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব দৃপ্তবাবুকে সুস্থ করে তুলতে। ওদিকে দৃপ্তবাবু কি করছে কে জানে! যাই দেখি গিয়ে।" নার্স দৃপ্তর ঘরের দিকে পা বাড়াল।

বিকেলটা ঢলে পড়ছে সন্ধ্যার কোলে। ইট-কংক্রিটের দেওয়াল বেয়ে নামছে কালো অন্ধকার। চারিদিকে যেন যুগ-যুগান্তরের স্তব্ধতা। স্তব্ধতা যেন কুহক রচনা করছে ঘরের চারপাশে। নার্স দৃপ্তর ঘরে ঢুকে দেখল অদ্ভুত দৃশ্য। শূন্য ঘরের ভিতর রিক্ত দু'হাতে কালো অন্ধকারকেই যেন আলিঙ্গন করছে দৃপ্ত। মানসিক ভারসাম্যহীন দৃপ্ত জানালার বাইরে দু'হাত বাড়িয়ে চিৎকার করে বলছে, "আলো নয়, অন্ধকার দাও। দাও অন্ধকার আমায়। কত কালো মুখ দেখো দীপা! আমার দু'হাতে কালো অন্ধকার। এভাবেই প্রতিটা রাতের অন্ধকার তোমাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখাবে। আমি সেই স্বপ্ন দেখতে-দেখতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ব।"
( সমাপ্ত )

আগের পর্ব

Next Bangla Story

All Bengali Stories    90    91    92    93    94    95    96    97    (98)     99   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717