Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

বিসর্জন

স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার বিজয়ী গল্প ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , 2021)

All Bengali Stories    92    93    94    95    96    97    98    99    (100)     101   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে ) Result
--------------------------



বিসর্জন

লেখকঃ অঙ্কন দাস
বাবার নাম: অমিয় দাস, সোন্দলপুর, অষ্টঘড়িয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ

স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার বিজয়ী গল্প ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , 2021)

07 th June, 2021

## বিসর্জন
গ্রীষ্মের বিকেলে মনটা তাজা করার জন্য আমার চার-চাকাটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু প্রকাশ দত্ত আর আমার ড্রাইভার অমরেশ মাপদার। আমি এখন বলাগড় কোর্টের সরকারি উকিল আর প্রকাশ একজন প্রফেসর। আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে সবাই আজ মোটামুটি ভালো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। আমার ড্রাইভার অমরেশ মাপদার আমার বাবার কারখানার মুন্সিজীর ছেলে; খুব শান্তশিষ্ট। বয়স ত্রিশ-বত্রিশ, গাড়ি চালাতেও খুব দক্ষ। এক কথায় সে আমার বন্ধুরই মতন। ওর বাবার অনুরোধে ওকে এই কাজটা আমিই দিয়েছি। তাছাড়া আমারও একজন ড্রাইভারের দরকার ছিল। সুযোগ পেলেই আমরা তিনজন এদিক-ওদিক বেরিয়ে পড়ি। আজ আমরা ঠিক করেছি গঙ্গার হাওয়া-টাওয়া লাগিয়ে রাত্রিতে বাড়ি ফিরব। ধাত্রীগ্রাম সংলগ্ন মালতিপুরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুন্দর ভাগীরথী নদী। তার শান্ত, স্নিগ্ধ জলে বহু মানুষ পুণ্য অর্জনের ইচ্ছায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গঙ্গার ধারে বসে থাকে বৃদ্ধ-অবাল-বনিতারা। অবশ্য এই সময় একটু নির্জনে, গাছপালার আড়ালে বসে প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রেমালাপ করতে থাকে। প্রেমালাপের সঙ্গীহীন ব্যক্তিরা একটি উঁচু টিবির উপর বসে গঙ্গার শীতল অনুভূতি যুক্ত হাওয়া লাগায়। পাশেই একটি বহু প্রাচীন শিব মন্দির। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মন্দিরের ভেতর ধূপ-দীপ জ্বলতে থাকে। এই মন্দিরে পুরোহিত আছেন দু'জন। একজনের ডিউটি সকাল থেকে দুপুর, আরেকজনের ডিউটি দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধ্যার পরেই ভক্তদের নিবেদিত চাল, কলা, ফল, দক্ষিণা বোঁচকায় বেঁধে, মন্দিরে তালা দিয়ে পুরোহিত মশাই গৃহে ফিরে যান। তার ফেরার সময় ইট ভাট্টার ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েগুলি হাত পাতলে, তিনি কলা ছাড়া আর কিছুই দেন না; তাতেই ছেলে-মেয়েগুলির দিব্যি আনন্দ।

বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমরা গঙ্গার কাছে এসে পৌঁছলাম। আমরা দুই বন্ধু গাড়ি থেকে নেমে হাটতে লাগলাম আর অমরেশ গাড়িটা পার্কিং করে আমাদের কাছে আসবে। আমরা যেই মাত্র গঙ্গার ধারে এসেছি তখুনি আচমকা প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেল। যারা বসেছিল তারা সকলে যে-যার মত ছুটে পালাল, আমরাও ছুটে গাড়ির দিকে আসতে লাগলাম। দেখলাম অমরেশ আমাদের দিকে ছুটে আসছে। ও বলল, "গাড়ি পার্কিং করার সময় একটা গজাল গাড়ির ডান দিকের সামনের চাকায় ডুকে গেছে। তাতে চাকাটা লিক হয়ে গেছে।" সুতরাং আর এগোবার কোনও উপায় নেই। কথাতেই আছে, ভগবান মারার হলে আর কে-ই বা বাঁচাতে পারে! আমরা তিনজন বাধ্য হয়ে শিবমন্দিরের বিস্তীর্ণ আট-চালায় গিয়ে বসলাম। মন্দিরের ভিতর তখনো দু-একটি বড়-বড় মোমবাতি জ্বলছে। মন্দিরে কোনও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নেই। ধীরে-ধীরে গোধূলির আলো ক্ষীণ হতে-হতে নিঃশেষ হয়ে গেল। তীব্র বাতাসের দাপটে মন্দিরের ভেতরের জ্বলন্ত মোমবাতিগুলির অগ্নিশিখা দোদুল্যমান। মন্দিরের চারিদিকে যেন এক আশ্চর্য অন্ধকারের খেলা চলছে। আমি ভেবেছিলাম আমরা তিনজন ছাড়া এই মন্দিরে আর কেউ নাই। কিন্তু আমার চলাফেরায় হঠাৎ আমার পায়ের আঘাতে এক ব্যক্তি একটু চীৎকার করে উঠল। ব্যক্তিটি কম্বল গায়ে মন্দিরের এক পাশে শুয়েছিল। কম্বলের ফাঁক দিয়ে তার দাড়ি, গোঁফ ভরা নোংরা মুখখানা দেখা যাচ্ছিল। তার এক মাথা পাকা চুল, পরনে ময়লা ছাই রঙের প্যান্ট, গায়ে জামা বলতে হয়তো কিছু নেই। স্বাভাবিক ভাবেই মনে হল ব্যক্তিটি এই চেনা পৃথিবীর অচেনা জীবেরই একজন। তার স্বভাবও তাকে পাগল বলেই চিহ্নিত করে।

মোমবাতির মৃদু আলোয় তার মুখখানা আমার কাছে হঠাৎ স্পষ্ট হয়ে উঠল। ঐ দাঁড়ি-গোঁফযুক্ত মুখের আড়ালে লুকিয়েছিল আমার স্মৃতিপটে জীবিত সুবেন মুখার্জি, তথা আমার ক্লাসফ্রেন্ড। আমি এক দৃষ্টে ওর দিকে তাকিয়েই রইলাম। আচমকা প্রকাশের ডাকে আমার তন্দ্রাহীন ঘোর ভাঙ্গল। প্রকাশ বলল, "কি রে, ঐ পাগলটার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছিস?"

বললাম, "ও এখন পাগল ঠিকই, কিন্তু জানিস, একসময় ওর মধ্যে লুকিয়ে ছিল আমাদের ক্লাসের ফার্স্ট বয়ের নির্দিষ্ট স্থানটি। আমি শত চেষ্টা করেও কখনো ওর জায়গাটা দখল করতে পারিনি।"

"মানে তুই সেই সুবেনের কথা বলছিস?"

প্রকাশও বুঝতে পারল আজ সেই সুবেন তার সকল প্রতিভাকে বিসর্জন দিয়ে ভ্রাম্যমাণ জগতের সবচেয়ে চিন্তামুক্ত জীবিকা গ্রহণ করেছে।

তখন আমরা সবে ক্লাস ফাইভে উঠেছি। তখনো সুবেনের সঙ্গেও আমার পরিচয় ঘটেনি। আমার ধারণা ছিল আমিই এই ক্লাসের সেরা ছাত্র। আচমকা সেই ভুলটা ভেঙ্গে গেল একমাস যেতে-না যেতেই। প্রতিদিনের পড়া মুখস্থ করে একটা ছেলে স্যারের কাছে প্রিয় ছাত্র হয়ে উঠছে। পরে জানলাম আমি আর প্রকাশ যে রিক্সাওয়ালার রিক্সা চেপে রোজ স্কুলে যাতায়াত করি, এই ছেলেটি সেই রিক্সাওয়ালার একমাত্র ছেলে সুরেন মুখার্জি। আমরা ওর উপর খুব হিংসা করতাম। ফাইভের ফাইনাল পরীক্ষার পর বাবা বললেন, "সামান্য রিক্সাওয়ালার ছেলে হয়ে ও তোদের হারায় কি করে? তোদের লজ্জা করে না। পড়াশুনা ছাড়িয়ে দেব একেবারে!" কথাগুলি বলেই বাবা আমার দু'গালে ঠাস-ঠাস চড়াতে লাগলেন। তাই আমি একদিন স্কুলে সুবেনকে আধলা ইট ছুড়ে মারলাম। ওর মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত পড়তে লাগল। ঘটনাটি আবার দেখে ফেলেছিলেন আমাদের প্রধান শিক্ষক মহাশয়। কিন্তু আমি খুব পয়সাওয়ালা বড় রাইস মিলের মালিকের ছেলে বলে ঐ যাত্রায় রেহাই পেয়ে যাই।

ক্লাস সিক্সেও আমি ফার্স্ট হতে পারলাম না। বাবা রেগে আবার আমাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবার অবশ্য স্কুলে যাবার জন্য বাবা একটা মোটর গাড়ি কিনলেন। ড্রাইভার রাখলেন বাবার বিশ্বস্ত ড্রাইভারকে।

আমাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আর ছুটির পর বাড়ী পৌঁছে দেওয়ার জন্য সুবেনের বাবা একটা মাস মাইনে পেত। একথা সুবেন ভালো ভাবেই জানতো। সে এটাও বুঝতে পারল যে, ওর বাবার এই কাজটা গেছে ওর ফার্স্ট হওয়ার জন্যই। তাই জানা অঙ্কগুলিও না করে ও ক্লাস সেভেনের ফাইনাল পরীক্ষা দিল। কিন্তু তীব্র প্রতিভা যার রয়েছে তার পরাজয় এত সহজে সম্ভব নয়। সেইবার অঙ্ক খাতা দেখেছিলেন আমাদের অঙ্ক-টিচার অজয়বাবু। তিনি সুবেনের মেধাকে খুব ভালভাবে জানতেন। তাই ঐ পরীক্ষায় সুবেনকে তিনি এক্সটা মার্কস দিয়ে এবারও প্রথম স্থানাধিকারী বানিয়ে দিলেন। যেদিন আমাদের রেজাল্ট বের হল সেদিন সুবেন অঝরে কেঁদেছিল, আর স্যারকে বার-বার বিনীত অনুরোধ করেছিল, স্যার যেন দয়া করে তাকে সেকেন্ড করে দেয়।

অজয়বাবু সব ঘটনাটা বুঝতে পেরে সুবেনকে বলেছিলেন, "সুবেন, আমি জানি তুমি তোমার বাবার কাজটা ফিরিয়ে দেবার জন্য ইচ্ছা করে ঐ অঙ্কগুলি দাও নি। কিন্তু জেনে রাখ, জীবনটা এত সংকীর্ণ নয়। তোমাকে খুব ভাল পড়াশুনা করে মানুষ হতে হবে। তোমার বাবাকে রিক্সাচালক থেকে সম্মানীয় মানুষ করে দিতে হবে। আর সেটা সম্ভব হতে পারে শুধুমাত্র ভাল পড়াশুনা করে তুমি একটি ভাল চাকরি পেলে। তোমাকে এখন থেকেই দেখাতে হবে যে, রিক্সাচালকের ছেলেও রাইস-মিলের মালিকের ছেলেকে পড়াশুনাতে হারানোর ক্ষমতা রাখে। শুধু মোটা টাকা দিয়েই শিক্ষাকে কেনা যায় না। শিক্ষা সব কিছুর ঊর্ধ্বে। জীবনের ধন, দৌলত, যৌবন, বার্ধক্য শিক্ষাকে কখনো বাঁচতে শেখায়নি, বরং শিক্ষা তাদের সবাইকে বাঁচতে শিখিয়েছে, চলতে শিখিয়েছে।"

সেই স্যারই সুবেনের বুকে প্রথম আগুন জ্বালিয়েছিল। আমরা দেখেছিলাম অজয়বাবু প্রায়ই সুবেনকে পড়াশুনার খরচ দিতেন। এই ভাবেই ক্লাস এইট, নাইন,টেন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সুবেন ঝড়ের বেগে এগোতে থাকল। প্রত্যেক পরীক্ষায় ফার্স্ট।

স্কুল ছেড়ে কলেজে উঠার পর আমাদের সাথে বন্ধু-বান্ধবদের বিচ্ছেদ ঘটে গেল। যে-যার মত করে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হল, কেউ বা পড়াশুনা ছেড়েই দিল। আমি মুড়োগাছা কলেজে পল-সাইন্সে অনার্স নিয়ে ভর্তি হলাম। সুবেনও একই বিষয়ে একই কলেজে অনার্স নিয়ে ভর্তি হল। সুবেন পড়াশুনাটা আগের মতই চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন পর ও যেন একটু বদলে গেল। সে কারোর প্রেমে পড়েছিল, আমি ওর হাবভাব দেখে অনুমান করেছিলাম। ও তখন শুধু কবিতা লেখে, গল্প লেখে আর গান গায়। কবিতায়, গল্পে আর গানে শুধু একটি মেয়েরই নাম; লীনা রায়। এ হল সেই লীনা রায় যার সাথে আমার প্রেম বহুদিনের। আমরা ওর এই প্রেমের সুযোগ নিলাম। লীনার সাথে সব ঠিক-ঠাক করা হল।

আমাদের প্ল্যান যেদিন স্টার্ট হল, যেদিন সুবেন লীনাকে প্রপোজ করল। লীনাও সুবেনের সাথে খুব সুন্দর প্রেমের অভিনয় করতে লাগল। সুবেন আমাদের খেলাটা বিন্দুমাত্র বুঝতে পারল না আর ওর পড়াশুনার বারোটা বাজতে লাগল।

সুবেন কলেজে এলেই লীনা, লীনা আরম্ভ করে। পড়াশুনা বাদ দিয়ে, ক্লাস ফাকি দিয়ে একসাথে গাছতলায় বসে গান গায়, সিনেমা দেখতে যায়, পার্কে ঘুরতে যায়। আমাদের প্ল্যান সাকসেসফুল হতে শুরু করল। সুবেনের পড়াশুনার এবার বারোটা বেজেই গেল। ও কলেজের অনার্সে ব্যাক পেল। লজ্জায়, দুঃখে ও লীনাকে বলল একটা কাজ দেখতে। এভাবে পিছুতে-পিছুতে সুরেন শেষ পর্যন্ত আর পেরেই উঠল না। বাধ্য হয়ে ও কলেজ ছেড়ে দিল, কিন্তু লীনার সাথে প্রায়ই দেখা করত।

আমার ভয় হতে লাগল, যদি লীনা সত্যিই ওর প্রেমে পড়ে যায়! একদিন সুবেন, আমার আর লীনার বহুবছরের প্রেমের খবরটা জানতে পারল। আমাদের বিয়ের খবরটা শুনে ও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে গেল, কিন্তু ভাগ্যক্রমে সে যাত্রায় বেঁচে যায়। 'ছেলে আত্মহত্যা করেছে', এই অসম্পূর্ণ খবরে তার বাবা হার্ট-এটাকে মারা যায়।

সুবেনকে ডাক্তাররা বাঁচিয়ে তুললেও সে পুরাতন স্মৃতিতে নিজেকে জর্জরিত করে মাথার রোগে আক্রান্ত হয়ে চেতনাহীন, ভাবনাহীন মনুষ্যজাতির অতি আপনজন হয়ে উঠে।

আজ বাইশ বছর পর সুবেনকে এই অবস্থায় দেখে আমার পুরানো সেই স্মৃতি আবার উজ্জীবিত হয়ে উঠে। সব কিছু ভেবে আমি কাঁদতে লাগলাম। কিন্তু কী লাভ? সুবেনের এত বড়ো ক্ষতি আমি করেছি, আমি ভাবতেই পারছি না। শত হোক ও যে আমার বন্ধু, আমার বাল্যসখা, আমার ক্লাসফ্রেন্ড। আমি দৌড়ে সুবেনকে আমার বুকে জড়িয়ে ধরলাম। ও তখনো মেঘে ঢাকা চাঁদের দিকে এক ভাবেই চেয়ে আছে। বলছে, "হে চাঁদ, তুমি বেশী সুন্দর, না তোমাকে যে দুরন্ত চাহনিতে দেখে সে বেশী সুন্দর?"

এই কথার উত্তর আমি কখনোই পাই নি, কিন্তু সুবেন পেয়েছে। ও আমাকে চিনতে পেরেছে কি পারেনি, জানি না। কিন্তু ওর চোখে আমি অশ্রু লক্ষ্য করলাম। আমার জন্য সুবেন জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত বিসর্জন দিয়েছে। আমার জীবন সাগরে সে তার জায়গা, প্রেম, সম্মান, পরিবার সব বিসর্জন করেছে। আমি কাঁদতে-কাঁদতে ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখলাম।
( সমাপ্ত )

Next Bengali Story


All Bengali Stories    92    93    94    95    96    97    98    99    (100)     101   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717