Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

গরল

বাংলা গোয়েন্দা গল্প

All Bengali Stories    100    101    102    103    104    105    106    107    (108)     109    110   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



গরল
( গোয়েন্দা গল্প)
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প
লেখিকা- সন্দীপা সরকার মুখার্জী, পিতার নাম- শ্রী সুকুমার সরকার, তালপুকুর, শ্রীরামপুর, হুগলী


30 th June, 2021

## গরল
( গোয়েন্দা গল্প)
লেখিকা- সন্দীপা সরকার মুখার্জী, পিতার নাম- শ্রী সুকুমার সরকার, তালপুকুর, শ্রীরামপুর, হুগলী
পর্ব ১

অন্যান্য পর্বগুলিঃ পর্ব ১     পর্ব ২     পর্ব ৩    

গরল
পর্ব ১
#
মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে রাজন্যা কিছু মানুষের মুখে এক সময়ের নাম করা ওয়েট লিফটার বিনীতা খাস্তগিরের মারা যাওয়ার কথা শুনতে পেল। আলোচনাটা শুনে থমকে দাঁড়িয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করতে জানতে পারল ক'দিন ধরেই ভুগছিলেন। আজ মারা যান। রাজন্যা পার্কে কয়েকটা চক্কর মেরেই বাড়ি ফিরে ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে ওর মা-বাবার সাথে খবরটা ভাগ করে নিয়ে নিউজ চ্যানেলটা চালাতেই দেখল টিভিতেও খবরটা দেখাচ্ছে। বডি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পোস্টমর্টেমের জন্য, রাজন্যা মন দিয়ে বডিটা দেখছে। ক্লোজে মুখটা দেখাচ্ছে। বেশ করুণ, যন্ত্রণার ছাপ মুখে স্পষ্ট। এই চারমাস আগেও ইনি একটি পাড়ার ক্লাবে বাৎসরিক স্পোর্টসে জাজ হয়ে গিয়েছিলেন। তার আগে রাজন্যার বাবা যে ক্লাবের সদস্য সেখানে গিয়েছিলেন। রাজন্যা ওর বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলল, "আচ্ছা বাবা, পুজোর সময় যখন তোমাদের ক্লাবে এসেছিলেন কি সুন্দর লাগছিল, তাই না! বয়স হলেও গায়ের চামড়া টানটান ছিল। ছোটচুলের জমাট বাধা মাথা, কেমন করে এত চুল উঠে গেল? কিছু কি রোগ হয়েছিল? কিছু জান?"

"নাতো রে মা। সত্যি কেমন বিশ্রী চেহারা হয়ে গেছে বিনীতাদেবীর"

টিভির সামনে বসে রাজন্যা মন দিয়ে খবরটা দেখছে। এমন সময় ফোনে অরিজিত নামটা ভেসে উঠতেই 'গুডমর্নিং' বলে বিনীতাদেবীর মারা যাওয়ার কথাটা জানাতে গিয়ে বাধা পেল। অরিজিত জানাল, ও এতক্ষণ ওখানেই ডিউটি করছিল। বডি পোস্টমর্টেমে পাঠিয়ে ওকে ফোন করছে।

"বলছি, অস্বাভাবিক কিছু মনে হল কি তোমার দেখে?"

"না, তেমন কিছু বোঝা যায় নি। প্রাথমিক তদন্তে হার্টঅ্যাটাক বলেই অনুমান করা হচ্ছে। এখন দেখা যাক, রিপোর্টটা এলে বোঝা যাবে। যদি অস্বাভাবিকতা থাকে মৃত্যুতে, তবে তো দেবী আপনার শরণাপন্ন হতেই হবে; কেসটা সামলে নেবেন।"

"দেখো কি হয়! আমি তো এক পায়ে রাজি।"

#
"স্যার, বিনীতা খাস্তগিরের পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা।

"হ্যাঁ,দিন।"

রিপোর্ট পড়ে চক্ষু চড়কগাছ অরিজিতের। থ্যালিয়ামের মত মারাত্মক বিষক্রিয়ায় মৃত্যু। রিপোর্টটা নিয়ে অরিজিত উচ্চপদস্থ অফিসার প্রণয় রায়ের কাছে গিয়ে রিপোর্টটা দেখাতেই উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুনিকে ধরার অর্ডার দিলেন। রিপোর্টটা হাতে নিয়ে অরিজিত ভাবতে লাগল, কিসের মধ্যে বিষ আছে সেটা জানা খুব দরকার। সেদিনই বডি চলে যাওয়ার পর বিনীতাদেবীর ঘর থেকে কিছু ওষুধের স্ট্রিপ, ওষুধের বোতল, জলের বোতল, এমনকি ফ্রিজে মজুত রাখা সব খাবার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এখন শুধু সেগুলোর রিপোর্ট আসার অপেক্ষা, তাহলেই বোঝা যাবে বিষটা ঠিক কিসে ছিল।

দু'দিন পরে সব জিনিসের পরীক্ষার রিপোর্ট এল। প্রতিটা লিকুইড ওষুধের ভেতর থ্যালিয়ামের বিষ পাওয়া গেছে। এমনকি আশ্চর্যজনক ভাবে সিল করা বোতলগুলোর মধ্যেও বিষ পাওয়া গেছে। রিপোর্ট পড়ে অরিজিত এবং অফিসার প্রণয় রায়ের মাথায় হাত।

"সিল করা বোতলে বিষ? এটা কি করে সম্ভব অরিজিত? আপনার মাথায় কিছু ঢুকছে?"

"ঠিক বুঝতে পারছিনা স্যার। সিল করা ওষুধের ভেতর বিষ কি করে ঢুকল?"

"কাল সোজা ওষুধ কোম্পানিতে গিয়ে চার্জ করবেন। এই ওষুধে বিষ ওরা ছাড়া কে ঢোকাবে?"

পরেরদিন অরিজিত সেই ওষুধ কোম্পানির মালিক, একজন অবাঙালী ভদ্রলোক, নাম রনজয় প্যাটেলের সাথে দেখা করে সব বৃত্তান্ত জানাতে তিনিও অবাক এই ঘটনা শুনে। প্রতিটা বোতল কতটা সন্তর্পনে প্যাকিং হয় অরিজিতকে দেখালেন তিনি। রনজয় প্যাটেল আরো বললেন "সভি প্লেস পে আপ লোগ পাতা লাগাকে দেখিয়ে অওর কোনও মানুষ এই ওষুধ খেয়ে মর গেছে কিনা। হাম লোগ তো ইস মেডিসিনকে ম্যানুফ্যাকচারার হ্যায়। হাম কিউ জহর দেঙ্গে বিনীতা ম্যাডামজী কো? হাম তো ঘর যাকে সাপ্লাই নেহি করতে হয় না। ও মেডিসিন-কা সাপ্লায়ার পার্চেজ করতা হ্যায় ইয়ে মেডিসিন। ফির এসব ওষুধ দুকানদারকে পাস যা কর পাবলিককে পাস যাতা হ্যায়। তাও ভি প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ওষুধ ইকদম বিক্রি মানা আছে। অওর ইয়ে তো ডিপ্রেসন কমানোর ওষুধ আছে। হাম লোগ জানবোই বা কি করে বিনীতা ম্যাডামের কি ওষুধ লাগে? সারা দেশে পাতা লাগাকে দেখিয়ে ইস তরহা কে ঘটনা অওর কিসিকে সাথ ঘটেছে কিনা? অদ্ভুত কেস আছে এটা।"

"সিল করা বোতলে তবে বিষ এল কিভাবে? এটা কি করে সম্ভব? এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন কি?"


দেখিয়ে, ইয়ে হাম ক্যায়সে বাতায়েঙ্গে। ইক মিটিং আছে এখন। হামাকে উঠতে হবে স্যার। নেক্সট টাইম কিছু জানার থাকলে হামার ম্যানেজারকে ফোন করে নিবেন। ও যতটা পারবে আপকো হেল্প করে দেবে, " কথাগুলো বলে রণজয় প্যাটেল নমস্কার জানিয়ে মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলেন। অরিজিতের এখানে এসে রহস্য সমাধানের বদলে আরো জটিলতা বেড়ে গেল। থানায় ফিরে অফিসার প্রণয় রায়কে প্যাটেলের সব কথা জানাতে অরিজিতের ওপর উল্টো চাপ দিলেন অফিসার রায়, "যেভাবে হোক দু-সপ্তাহের মধ্যে এই পুরো রহস্য সমাধান করে আসল খুনিকে ধরতে হবে।।"

#
"কিগো, সারাটা দিন কেটে গেল একটাওতো ফোন করলে না এনি প্রবলেম?"

"আর কি বলব। পুরোটাই প্রবলেম। ওষুধ ম্যানুফ্যাকচারার রণজয় প্যাটেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন সুরাহা হল না। উনি যেটা বললেন সেটাও ঠিক। উনি কেনই বা বিষ দেবেন? আর বিষ মেশানো ওষুধটাই দোকান থেকে বিনীতাদেবীই কিনবেন, এটাও তো বোকার যুক্তি। কোন দোকান থেকে কি ওষুধ বিনীতাদেবী খান সেটা তো কারো পক্ষে জানা সম্ভব না। পার্টিকুলার বিনীতা খাস্তগিরের সাথে ওর তো কোন শত্রতা আছে বলেও তথ্য পেলাম না। কাল একবার বিনীতাদেবীর বাড়ি যাব। যদি ওখান থেকে কিছু ক্ল মেলে।"

"আমাকে সঙ্গে নেবে?"

"সে যেতেই পার, যদি তোমার কিছু নজরে পড়ে। মেয়েদের এমনি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সর্বদা সজাগ থাকে। তার ওপর তুমি হলে গোয়েন্দা। কাল আমি ঠিক দশটা নাগাদ বাড়ির সামনে আসবো। তৈরী থেকো।"

#
গাড়ির একবার হর্ণেই রাজন্যা বাড়ির নীচে নেমে এল।

"নীল জিন্স, হলুদ টপে আজ বেশ মন কেমন করা সুন্দর দেখাচ্ছে তোমাকে। এসব সাজ-গোজ করা দেখলে কি আর খুনি ধরতে যেতে ইচ্ছে করে?"

"ধ্যাৎ, খালি ইয়ারকি। চলো তাড়াতাড়ি। আমি খুব এক্সাইটেড।"

গাড়িতে স্টার্ট দিতে-দিতে অরিজিত বলল, "তা আমার সুইটহার্ট এত এক্সাইটেড কেন শুনি?"

"বাঃ, হব না এক্সাইটেড? এটা কতটা জটিল কেস বলো তো! সিল করা ওষুধের বোতলে বিষ কে, কেন, কি করেই বা সিল করা বোতলে বিষ ঢোকালো? এইগুলো বের করতে হলে কতটা ব্রেন খাটাতে হবে বলো তো? উফঃ ভাবলেই নিজেকে কেমন যেন শার্লক হোমস মনে হচ্ছে, "কথাটা শেষ করেই রাজন্যা, অরিজিত দুজনে হেসে উঠল। হাসির মাঝে মুহূর্তে অরিজিতের মুখে চিন্তার ছাপ ঝলকে উঠল কেসটা কি করে ও সলভ করবে? অরিজিতের মুখ দেখে রাজন্যাও সেটা বেশ বুঝতে পারছে। অরিজিতের কাঁধে হাত রেখে রাজন্যা বলল, "আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করব অরিজিত, তুমি চিন্তা করো না।"
Next Part


All Bengali Stories    100    101    102    103    104    105    106    107    (108)     109    110   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717