All Bengali Stories
109
110
111
112
113
114
115
116
117
(118)
119
120
-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে )
Result
--------------------------
◕
বন্ধুত্ব
বাংলা গল্প
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প
লেখক - শুভজিৎ ঘরামী, বাবা- সঞ্জয় ঘরামী, মন্দির বাজার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ
1 st August, 2021
##
বন্ধুত্ব
শিবেন ও বরেন দুই বন্ধু। তাদের এই বন্ধুত্ব যেন জন্ম-জন্মান্তরের। আজকের দিনে এমন বন্ধুত্ব সত্যি দেখা পাওয়া যায় না। সেই যে কবে ছোটবেলায় তাদের বাড়ির লোক তাদের স্কুলে ভর্তি করে দিয়ে গিয়েছিল, সেখান থেকে তাদের
পরিচয়। আস্তে-আস্তে তারা একে অপরের চোখের মনি হয়ে ওঠে। যে আগে স্কুলে আসবে পাশের জায়গাটা অপরের জন্য রাখতে হবে, এটা আর বলতে হত না। প্রথম বেঞ্চি হোক বা মাঝে, কিংবা একেবারে শেষ বেঞ্চিতে.... দু'জনে
পাশাপাশি বসত। তারপর টিফিন ভাগ করে খাওয়া বা খেলাধুলা করা সবই চলত একসাথে।
শিবেনের বাবা বেঁচে নেই, তাই মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতে হয়। পড়াশুনাতেও খুব ভালো, পরীক্ষায় সবসময় প্রথম হয়। বরেন শিবেনের মতো ভালো না হলেও পড়াশুনাতে খুব একটা খারাপ বলা চলে না। বরেনের পূর্বপুরুষ ছিল
জমিদার। তাদের পুরানো আমলের বিশাল তিনতলা বাড়ি আছে, বাড়ির সামনে উঠান, আর উঠান পেরিয়ে একটা সান বাঁধানো বড়ো পুকুর। গ্রামের লোকেরা অনেকেই এসে ওই পুকুরে স্নান করে। কিন্তু পুকুরের মাঝখানে যেতে
এখনো ভয় পায় অনেকে। তাদের গ্রামে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, ওই পুকুরে নাকি জোঁকে বুড়ী থাকে। পুকুরের মাঝে গেলেই নীচে টেনে নেয়। তাই সাহস করে কেউ পুকুরের মাঝখানে যায় না।
এখন তারা ক্লাস টেনে পড়ে, সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। পড়াশুনার প্রস্তুতিও রীতিমতো তুঙ্গে উঠেছে। দিনরাত এককরে চলছে পড়াশুনা। শিবেন বাড়িতে কেরোসিনের আলোয় পড়ে, তাই তেল ফুরিয়ে গেলে ইচ্ছা সত্ত্বেও রাত জেগে
পড়াশোনা করতে পারে না। মাঝেমধ্যে বরেনের বাড়ি চলে আসে। দু'জনে রাত জেগে পড়ে। দেখতে-দেখতে পরীক্ষার দিন এসে গেল, ভালো করে দু'জনে পরীক্ষা দিল। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর টানা তিন মাস ছুটি থাকে। স্কুল জীবনের
এই প্রথম তাদের এতদিন ছুটি। নিশ্চিন্তে ক'দিন ঘুরতে পারবে, আর পড়াশুনার চাপও নেই। শুধু খাওয়া, ঘুম আর খেলাধুলা।
বেশ কিছুদিন পর একদিন বরেন এল শিবেনদের বাড়িতে। বরেন এসে বলল,"চল শিবু আমাদের বাড়ি, আজ আমার জন্মদিন। মা তোকে ডেকে পাঠিয়েছে। "
বরেনের মা শিবেনকে ছেলের মতো ভালোবাসে। প্রতিবছর পূজোতে শিবেনকে নতুন জামা-প্যান্টও দেয়। বরেনের মা সকালবেলা জন্মভাত করেছিল, তাই খেয়ে দু'জনে ছিপ নিয়ে চলল পুকুরে মাছ ধরতে। সান ঘাটের পাশে জবা ফুল
গাছের ছায়ায় বসে দু'জনে ছিপ ফেলতে আরম্ভ করল। বরেনদের পুকুরে ইয়া বড়ো-
বড়ো কাতলা মাছ রয়েছে। কোনটার ওজন দশ বা কোনটার ওজন বারো কিলো। সেবার বরেনদের বাড়ির একটা অনুষ্ঠানে কিছু জেলে মাছ ধরতে এসেছিলো। জাল ফেলতে-ফেলতে হঠাৎ একটা বড়ো কাতলা মাছ আটকে য়য় জালের
মধ্যে। জাল টেনে তোলা দুরূহ ব্যাপার হয়ে ওঠে। মাছটি জাল থেকে বের হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তারপর 'নারান' নামে একজন ঝাঁপিয়ে পরে জলে, চেপে ধরতে থাকে মাছটিকে। মাছের কানকোর ভিতরে বাম হাত ঢুকিয়ে দেয়। কাঁটা
লেগে ঝঁঝড়া হয়ে যায় হাত, রক্ত বেরোতে থাকে সঙ্গে ভীষণ যন্ত্রণা। কিন্তু 'নারান' ছাড়বার পাত্র নয়। এতক্ষণে আরও দুই তিনজন নেমে পরেছে। অবশেষে মাছটিকে উপরে তোলা হয়। নারানের হাতে চারটে সেলাই করতে হয়েছিল।
বেশ কিছুক্ষণ পর শিবেনের বরশীতে মাছের ঠোকর দিতে লাগল। শিবেন দিল এক হেঁচকা টান, গেঁথেও য়য় একটা বড়ো মাছ। জোরে চেপে ধরে ছিপ টানতে থাকে, কিন্তু কয়েক মুহূর্তের মধ্যে এক টানেই মাছটি বরশী সোজা করে পালিয়ে যায়।
বিকালবেলায় দু'জনে পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলতে গেল মাঠে। তারা মাঠে ক্রিকেট খেলছে। এমন সময় মাঠে থেকে কিছুটা দুরে বোম পড়ার আওয়াজ এল, সঙ্গে-সঙ্গে মানুষজনের চিৎকার, চেঁচামেচি আর কান্নার আওয়াজ। তারপর
আবার বোমার আওয়াজ। শিবেন ও বরেন ভয় পেয়ে য়য়। মাঠের আর সবাই যে যার মতো দৌড় দেয়। বাঁশ বাগানের ভিতর দিয়ে ৭-৮ জন দৌড়ে আসছে আর তাদের পিছনে আরও ৩০-৪০ জন লাঠি বোমা নিয়ে তাড়া করছে। দেখতে-
দেখতে আবারও বোম পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে-সঙ্গে সামনের মধ্যে থেকে একজন বোমার আঘাতে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। বাকীরা পালাতে থাকে। একজন তো বরেনের পাশ দিয়ে গা ঘেঁষে দিয়েছে দৌড়। আর তাকে লক্ষ্য করে একটা বোমা
এসে পড়ল একেবারে বরেনের পায়ের ধারে। বরেন তো জ্ঞানশূন্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার সারা শরীর কাঁপছে। পিছন থেকে শিবেনের চিৎকার সে ঠাহর করতে পারলো না। দৌড়ে এসে এক ধাক্কায় শিবেন দূরে ঠেলে
দেয় বরেনকে। কিছুটা দুরে
একটা ডোবার মধ্যে গিয়ে পড়ে বরেন। শিবেন ও পালাতে গিয়েছিল, কিন্তু রেহাই পায়নি। বোমা ফেটে গিয়ে শিবেনের পায়ে চোট লাগে। সে যাত্রা কোনোরকমে বন্ধুর সাহায্যে প্রাণে বাঁচে বরেন। পরে জানা য়য় তাদের গ্রামের
রাজনৈতিক কারণে এই গণ্ডগোল হয়েছিল। এই ঘটনায় মারা যায় দু'জন। গ্রামে রাজনৈতিক কারণে এরকম ঝামেলা প্রায়ই হয়ে থাকে।
যথাসময়ে পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে দিল।
শিবেন রীতিমতো আশানুরূপ ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করল। তার ইচ্ছা আরও পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়া। বরেনও পাশ করল, বরেন যাবে পড়াশোনা করতে কলকাতায়। শিবেন চলে আসবে বাড়িতে, সেখানেই ঠিক হবে আর পড়াশুনা
করবে কি না। দুই বন্ধু গলা জড়িয়ে কেঁদে ফেলল। তাদের আলাদা হয়ে যেতে হবে। আর কবে দেখা হবে কেউ জানেনা।
শিবেনের মামার অবস্থা ভালো নয়, তাই আর পড়াশুনার খরচ চালাতে পারবে না আগেই বলে দিয়েছিল। শিবেন চলে আসে তার গ্রামে, তার মায়ের কাছে। মায়ের কাছে সে ডাক্তারি পড়াশোনা করার কথা বলতেই তার মা চোখের জলে
ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে। ডাক্তারি পড়ানোর ক্ষমতা যে তার নেই একথা স্বীকার করে নেয়। শিবেন মাকে জড়িয়ে ধরতেই দেখে মায়ের গা গরম, শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। কদিন থেকে তার মায়ের শরীর খারাপ, কিন্তু তার এই শরীর
খারাপের কথা ছেলেকে জানতে দেয়নি, পাছে ছেলের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। শিবেন ডাক্তার ডেকে আনে, মাকে ওষুধ খাইয়ে মায়ের প্রতি যত্ন নেয়। তারপর আর শিবেন পড়াশোনা করেনি।
দীর্ঘ দশ বছর পর। শিবেন বিয়ে করেছে, তার একটা সাত বছরের মেয়েও আছে। বিয়ের দুই বছর পর শিবেনের মা মারা যায়। এখন শিবেন পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। বাইরের রাজ্যে কাজে চলে যায়, দুই-তিন মাস পরপর বাড়ি ফেরে।
এদিকে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে সারা দেশ জুড়ে লক ডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। বাড়ির বাইরে বের হওয়া বারণ। শিবেন বাড়ি ফিরে আসে লক ডাউনের আগে। কিন্তু বাড়ি ফিরে শিবেনের আর দিন কাটে না। যেটুকু আয়
করে নিয়ে এসেছিল সব শেষ। এখন ঘরে চাল নেই, শেষ দুই দিন রান্না হয়নি। মেয়েটির মুখের দিকে তাকাতেও পারে না শিবেন। শুকনো মুড়ি খাইয়ে কোনরকমে সামলে রেখেছে।
এদিন মেয়েটি তার বাবার কাছে ভাত খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করল। মেয়েটির কান্না দেখে শিবেনের বুক ফেটে যায়। কি করবে কিছু ভেবে পায় না। গামছা কাঁধে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল। মাঠের মাঝে এক পুকুর আছে আর সেখানে
কলমি শাক হয়ে আছে। শিবেন সেখান থেকে কিছু কলমি শাক তুলে নিয়ে ছোটো-ছোটো বান্ডিল করে পাশের গ্রামে চলে যায় বিক্রি করতে। কোনোরকমে সেই টাকা দিয়ে চাল কিনে বাড়ি ফেরে শিবেন।
কয়েকদিন পর শিবেনের স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়। তার স্ত্রীকে একটা ঘরে বন্ধ করে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পাড়ার ছেলেরা। একমুঠো ভাতের জন্য কার-না কার কাছে দৌড়েছিল শিবেন। কিন্তু তখন কেউই সাহায্য করেনি
তাকে। কেউ বলেনি," শিবেন, তোকে এক কিলো চাল দিচ্ছি, মেয়েটিকে ফুটিয়ে দিগে যা..." আর আজ এসেছে সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করতে, করোনা রুগীকে না আলাদা রাখলে সবাই মারা যাবে। রাগ হওয়া সত্ত্বেও কিছু বলতে
পারে না শিবেন। দিনের পর দিন তার স্ত্রীর শরীর খারাপ হতে থাকে। শিবেন হাটে যায় সবজি বিক্রি করতে। ছোট্ট মেয়টি থাকে একা বাড়িতে। মাঝে মধ্যে জানলার সামনে উঁকি দিয়ে মাকে ডাকে। মা দূর থেকে মেয়েটিকে দেখে আর
কাঁদে। মেয়ের কাছে আসে না, মেয়েটির যদি করোনা হয়। তারপর বেলার দিকে বাবা ফিরে আসে। এইভাবে চলছিল কিছু দিন।
আজ শিবেন হাটে সবজি বিক্রি করছে। তাকে আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে। তার স্ত্রীর গতকাল থেকে শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। তাই শিবেন তাড়াতাড়ি সবজি বিক্রি করে সব গুছিয়ে নিয়েছে বাড়ি ফিরবে বলে রাস্তা পার হচ্ছে এমন সময়
একটা ট্রাক চাপা দিয়ে চলে যায় শিবেনকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওদিকে শিবেনের স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট বেড়েই চলেছে। জানলা দিয়ে ডাকছে তার মেয়েকে। মেয়েটি জানলা দিয়ে তার মায়ের দিকে তাকায়। তারপর
এক দৌড়ে ছুটে চলে যায় পাশের বাড়ির লোকজনকে ডাকতে। কেউ তার ডাক শুনল না। সবার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। আবার কেউ তার আওয়াজ শুনে জানলা বন্ধ করে দিচ্ছে। মেয়েটি কাঁদছে আর বলছে," তোমরা এসো না, আমার
মা কেমন করছে, বাবাও বাড়িতে নেই এসো না তোমরা।" কিন্তু তার ডাক কারুর কানে পৌঁছল না। সে ছুটে চলে আসে বাড়িতে। তখনও তার মা শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণায় আছাড় খাচ্ছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে তার মা অচেতন হয়ে পড়লো।
মেয়েটি জানলা দিয়ে ডাক দেয়," মা, মাগো মা"। মা তখন পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। শেষ পর্যন্ত মারা যায় তার মা। মেয়েটি তখনও জানালা ধরে ডাকছে তার মাকে।
এদিকে বরেন বড়ো পুলিশ অফিসার হয়েছে, কিছুদিন হল শিবেনদের থানাতে পোস্টিং হয়েছে। পাড়ার ছেলেরা থানায় খবর দেয় করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছে। বরেন থানা থেকে দু'জন কনস্টেবল ও হাসপাতাল থেকে দু'জন সঙ্গে
নিয়ে আসে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বরেন ঘরে ঢুকেছে, দু'জন মৃতদেহ তুলছে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর তারা সেটা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল। বরেনও বাইরে বেরিয়ে আসবে, এমন সময় তার বুক ধড়ফড় করে উঠল।
তার চোখ চলে যায় ঘরের একধারে একটা টেবিলের উপর। টেবিলের উপর রাখা আছে একটা ফটো, চিনতেও অসুবিধা হয়নি। মুহূর্তের মধ্যে তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। ফটোটি যে তার আর শিবেনের ছোটবেলার ছবি, সেই
সরস্বতী পূজার সময় দু'জনে একসাথে ঘুরতে বেরিয়ে ছবি তুলেছিল। দু'জনের কাছে একটা করে ফটো রেখে দিয়েছিল তারা। চোখ ছলছল করে উঠল বরেনের। শিবেনের মেয়ে তখনও কাঁদছিল বারান্দার এক কোণে। বরেন মেয়েটিকে
কোলে তুলে নেয়। মেয়েটির মুখ থেকে পরিষ্কারভাবে জানতে পারে যে ছবিটা শিবেনের। সেই যে সকালে বেরিয়েছে তার বাবা এখনও বাড়ি ফেরেনি। বরেন মেয়েটিকে নিয়ে চলে আসে। তারপর থানাতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনার কথা জানতে
পারে বরেন। কাল বিলম্ব না করে বরেন মেয়েটিকে নিয়ে চলে যায় হাসপাতালে।
শিবেন তখনও অচেতন হয়ে পরে আছে, কোনও সাড়া শব্দ নেই। মেয়েটি আস্তে-আস্তে তার বাবার কাছে যায়। মুখের সামনে গিয়ে 'বাবা' বলে ডাকতে থাকে। চোখ মেলে তাকায় শিবেন, মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে সে। তারপর তার চোখ
যায় একটু দুরে দাঁড়িয়ে থাকা বরেনের দিকে। একটু আধা চেনা হলেও পরে বুঝতে পেরে কাঁদতে থাকে শিবেন। বরেন এগিয়ে যায় শিবেনের দিকে। হাত ধরে তার, কাঁদতে থাকে দু'জনেই। এতদিন পরে এইভাবে যে দুই বন্ধুর মধ্যে দেখা হবে
তা তারা কল্পনাও করেনি। শিবেন তার মেয়েটির দায়িত্ব বরেনকে নিতে বলে। বরেনও কথা দেয়, মেয়েটিকে সে নিজের মতো করে মানুষ করবে। তারপর আস্তে-আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে শিবেন। মেয়েটি কাঁদতে থাকে। বরেনও
কাঁদতে থাকে। তারপর বরেন মেয়েটিকে নিয়ে চলে আসে তার বাড়িতে। শিবেনের কাছে দেওয়া কথা রাখতেই হবে। বন্ধুত্বের অমর্যাদা হতে দেবে না বরেন। মেয়েটিকে সে নিজের মতো করে মানুষ করতে থাকে।
( সমাপ্ত )
Next Bangla Story
All Bengali Stories
109
110
111
112
113
114
115
116
117
(118)
119
120
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717