Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

শশাঙ্কের শিলমোহর - পর্ব ১০

বাংলা গল্প

All Bengali Stories    116    117    118    119    120    121    122    123    (124)     125    126   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে ) Result
--------------------------



শশাঙ্কের শিলমোহর - পর্ব ১০
বাংলা গল্প
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প
Writer: - Dr. Ipsita Bhattacharjee, Sahid Nagar, Dhakuria, Kolkata


অন্য পর্বগুলিঃ পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯    পর্ব ১০    পর্ব ১১    পর্ব ১২   

## শশাঙ্কের শিলমোহর - পর্ব ১০
"এটাই তেজপুরের সেই মন্দির?" শুধালো নুর।

জয়ীরা এসে পৌঁছেছে তেজপুরের ভৈরব মন্দিরের কাছে।

"হ্যাঁ,দুর্গাবাবুর হিসেব ঠিক হলে, এইখান থেকে ৫০ ক্রোশ মত পথ যেতে হবে উত্তর-পূর্বে, অর্থাৎ..." ম্যাপ এগিয়ে বলল জয়ী, "এইখানে। ড্রাইভারকে বলেছি নিয়ে যেতে।"

ম্যাপটাকে ভালভাবে দেখল নুর, "কিন্তু এ তো একটা গ্রাম, চা বাগান এলাকা বলে মনে হচ্ছে। এইখানে আপনি কি খুঁজছেন? মানে, কি ভাবে?"

জয়ী বলল, "দেখ, শিলমোহরে যে শশাঙ্কদেবের পরিবার রিফিউজ চাইছে তাঁর ইঙ্গিত কিন্তু সূত্রে রয়েছে। কিন্তু কোথায় রিফিউজ? কার কাছে? এটা ভাবতে-ভাবতে আমার নজর দুর্গাবাবুর ট্রান্সক্রিপ্টের একটি বিশেষ স্থানে পড়ে। এই দেখ, চিহ্নটা চেনা-চেনা লাগছে?" বলে মোবাইলে একটা ছবি এগিয়ে দিল নুরের কাছে। মোবাইল জুম করে নুর বলল, "এ তো সেই নিশান যে নিশান দুর্গাবাবু মৃত্যুর আগে এঁকে গিয়েছিলেন। সেই দলটার নিশানও তো এটাই। যে দলটাকে উনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন।"

জয়ী বলল, "রাইট ইউ আর, আমরা এই দলের যিনি মাথা, তারই বাড়ি চলেছি। বিশ্বর পরিবারের অন্য এক সদস্যের সাথে দেখা করেছিলেন দুর্গাবাবু। আমার ধারণা সেইখান থেকেই সন্দেহটা ডানা বাঁধে। ওনার বাড়িতে অনেকগুলি ঐ শতাব্দীর জিনিস দেখেন তিনি। স্বভাবতই ঐ পরিবার সম্বন্ধে খোঁজ শুরু করেন তিনি। তখনই খোঁজ পান এই প্রাচীন গ্রামের। যুগের-পর যুগ ধরে বিশ্বদের বসবাস এই গ্রামে, এমনটাই জানতে পারেন। এই গ্রামে তাঁদের পারিবারিক বাড়িটার অবস্থান বহুদিনের। শিলমোহরের নির্দেশ অনুযায়ী, এই গ্রামের কথারই উল্লেখ রয়েছে। এই তথ্যটা আমি ঐতিহাসিক তহৃত বরদোলই-এর কাছে থেকে কনফার্ম করি। ঘটনাচক্রে দুর্গাবাবুও নাকি ওনার থেকে এই গ্রাম ও এই পরিবারের বিষয়ে খবর নন।"

নুর বলল, "উনি কিছু সন্দেহ করেন নি?"

জয়ী বলে, "আমি সেইভাবেই গিয়েছিলাম। বললাম যে, দুর্গাবাবুর অসমাপ্ত রিসার্চ নিয়ে কাজ করতে চাই। অসমের প্রাচীন শৈব পরিবারগুলি নিয়ে উনি কাজ করছিলেন। অনেক ভণিতা করে শেষে তেজপুরের প্রসঙ্গে আসি। মনে হয় না উনি সন্দেহ করেছিলেন।"

নুর বলল, "কি জানতে পারলেন?"

জয়ী বলল, "এরা বংশানুক্রমে খুবই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল একসময়। উচ্চ বংশের জমিদার ছিল এরা, এবং কয়েক পুরুষের অর্থ; কিন্তু ধীরে-ধীরে এদের ক্ষমতা লোপ পায়। এঁদের প্রাপ্ত জিনিসগুলি একে-একে বিক্রি করে জীবন চালাতে থাকে। এখন তলানিতে ঠেকেছে। তহৃত সাহেবের প্রাথমিক ধারণা, এদের পরিবার প্রাচীন রাজা বা সামন্ত ছিল। তাঁরা জাতে ক্ষত্রীয়, শৈব। দুর্গাবাবু এই ধারণার সাথে একমত ছিলেন; এবং আমি যদি ওনার বিশ্লেষণ সঠিক ধরতে পারি তবে এঁদের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন শশাঙ্কের পরিবার। এরাই ছিল কামরূপ দেশের তাঁদের বিশ্বস্ত সামন্ত যাদের কাছেই সম্ভবত আত্মগোপন করেন তারা।"

নুরের কপালে ভাঁজ পড়ল। জয়ী তাঁর দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, "এতেই অবাক হচ্ছ, তবে আর একটা কথা শোন। আমি দ্বিতীয় ব্যক্তি নই যে এই পরিবারের খোঁজ নেই। আমি তৃতীয়জন। দ্বিতীয়জন কে জান?"

"কে?"

"শ্রীমান অতুলচন্দ্র সেনগুপ্ত..."

গাড়ি এখন চলেছে চওড়া একটা জাতীয় সড়ক ধরে। চারপাশে সবুজ ক্রমে-ক্রমে ঘনিয়ে আসছে।
"এইখান থেকে ফরেস্ট রেঞ্জ শুরু," বলল ড্রাইভার।

নুর মুগ্ধ বালকের মত বাইরে চেয়ে রইল। জিজ্ঞাসা করে চলেছে কি কি রয়েছে এই জঙ্গলে, বাঘ আছে কিনা ইত্যাদি। জয়ীর অবশ্য সেই দিকে মন নেই।

গ্রামের নাম দোম। খুবই ছোট। আন্দাজ ৪০-৫০ ঘর। জাতীয় সড়ক থেকে একটা রাস্তা এঁকে-বেঁকে ঢুকে গেছে গ্রামের মধ্যে। খানিকটা গিয়েই চারিপাশের দৃশ্য নজর কাড়ল জয়ীদের, ছোট-ছোট চা বাগানে ঘেরা সুন্দর উপত্যকা। পড়ন্ত বেলার রোদ উপচে পড়ছে চা গাছগুলির উপর। আঁকা-বাঁকা রাস্তা দিয়ে জয়ীদের গাড়ি এসে থামল স্থানীয় পঞ্চায়েত দপ্তরের কাছে। গাড়ি থেকে নেমে জয়ী ড্রাইভারকে বলল, "বাকি রাস্তাটা আমাদের হেঁটেই যেতে হবে। আমি তোমাকে ফোন করে নেব, আর যদি প্রয়োজন হয়, তুমি স্থানীয় পুলিশকে খবর দিও। এইখান থেকে সবথেকে কাছের পুলিশ স্টেশন মণিরাম্বাড়ি, প্রায় ১০ কিমি।"

নুর অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, "আপনি কি কিছু?"

"জানি না, নুর। তবে কিছু যে হবে না, তাও জোর দিয়ে বলছি না। আর তোমাকেও বলছি, এটা আমার একার। তুমি আমার সাথে এতদূর এসেছ, তোমায় অনেক ধন্যবাদ। আমি বলব যে তুমি আর এগিয়ে না।"

নুর কিছু একটা প্রতিবাদ করার আগেই তার ফোন বেজে উঠল। সে কলটিকে উপেক্ষা করে বলল,' তা হয় না। আপনার উপর এমনিতেই অনেক ঝড় ঝাপ্টা গেছে। আমি যাবই, আর কি-ই বা হবে?"

কিছু ভেবে জয়ী বলল, "চল।"

নতুন মানুষ দেখে বেশ কিছু লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে; চেয়ে দেখছে নতুন আগন্তুকদের। একটা ম্যাপ বের করে জয়ী এগিয়ে চলেছে কোনদিকে না তাকিয়ে। মিনিট পাঁচেক হাঁটার পর একটি ছোট্ট প্রাথমিক স্কুলের সামনে হাজির হল ওরা। কিছু ছোট ছেলে-মেয়ে হাসিমুখে বাড়ির দিকে হেঁটে চলেছে। তাদেরই একজনকে স্থানীয় ভাষায় জয়ী কিছু জিজ্ঞাসা করল। তারা কোনও এক দিকে আঙুল দিয়ে নির্দেশ করে দেখাল। জয়ী, নুরকে ইশারা করে এগুতে বলল। এটা গ্রামের আরও ভিতরের অংশ। সরু রাস্তার একপাশ দিয়ে একটি দিঘী দেখা গেল এবার। গ্রামটি ছোট হলেও খুবই ছিমছাম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা। লোকজন মাঝে-মাঝেই সাইকেল চরে পথ দিয়ে যাচ্ছেন এবং চেয়ে তাকাচ্ছেন ওদের দিকে। জয়ী কোনও কথা না বলে এগিয়ে চলেছে। শুধু একবার নুরকে বলল, "কোনও ফোন করার থাকলে করে নাও, নেটওয়ার্ক কমে আসছে।"

নুর বলল, "না না, সে ঠিক আছে, আপনি চলুন।"

আরও একটা বাঁক নিল পথটা। এখন আর দীঘি দেখা যাচ্ছে না। বরং লোকজন, বসতি করে আছে অনেকটা। আরও খানিক এগিয়ে দেখা গেল বাড়িটা। একে বাড়ি না বলে হয়তো ভগ্নাবশেষ বললেও চলে। একটি পরিত্যক্ত রাজকীয় মহল, যা স্তূপে পরিণত হয়েছে। আগাছা, বটের ঝুড়ি বাসা করেছে সর্বত্র। জায়গায়-জায়গায় ভেঙ্গেও পড়েছে কিছু অংশ। জয়ী মন দিয়ে দেখল বাড়িটাকে, যেন অনেকদিন ধরে আকাঙ্ক্ষিত কোনও জিনিস খুঁজে পেয়েছে সে। নুর বলল, "এইখানে কি শিলমোহর আছে?"

জয়ী বলল, "জানি না। কিন্তু কি আছে, তা জানতেই হবে।" তারপর নুরের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, "বাড়িটি এই অঞ্চলে বর্শা বাড়ি হিসেবে পরিচিত। কেন, তা জানি না। আমার এবং দুর্গাবাবুর হিসেব ঠিক হলে এই সেই জায়গায়, কিন্তু তার আগে অপেক্ষা করতে হবে।"

নুর কিছু বলার আগেই একজন ফরসা, রোগা, প্যান্ট-সার্ট পরিহিত লোক এগিয়ে এল তাদের সামনে, "আপনারা কারা? এইখানে কি করছেন?" বেশ উত্তেজিত দেখাল ভদ্রলোককে।

জয়ী তার পার্স থেকে একটি কার্ড বের করে এগিয়ে দেয় এবং বলে, "আপনি নিশ্চয় মি... বোরঠাকুর। আমি প্রধান সাহেবকে চিঠি লিখেছিলাম। আপনাদের এই বর্শা বাড়ি সম্পর্কে একটা স্টোরি করব। ইনি আমার সহকারী.." বলে নুরকে দেখাল। নুর অহমীয়া না বলতে পারলেও বুঝতে পারে। সে বাধ্যের মত এগিয়ে এল।

বোরঠাকুর লোকটি খানিকক্ষণ কার্ডটি দেখে মোবাইল থেকে কাউকে ফোন করল। সম্ভবত কাউকে কল করল জয়ীর বক্তব্যের সততা যাচাই করতে। তারপর বেশ হেসে বললেন, "মাপ করবেন ম্যডাম, আপনারা এখানে না দাড়িয়ে অফিসে বা প্রধান সাহেবের বাড়ি চলুন - আমরা আপনাকে নিমন্ত্রণ করছি।"

জয়ী বলল, "আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার,তবে আমাদের এইখানে কিছু কাজ আছে। কিছু ছবি তুলতে হবে এই অংশটার। তবে অবশ্যই কাজ সেরে যাব আপনাদের ওখানে।"

ভদ্রলোক একটু যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "আচ্ছা, তবে বলেন কি জানতে চান?"

জয়ী জিজ্ঞাসা করলেন, "এই বাড়ি কতটা পুরানো? এর ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন দয়া করে?"

ভদ্রলোক খানিক ভেবে বললেন, "এই বাড়ি তো বাপ-ঠাকুরদার আমল থেকে দেখছি। তবে হাজার বছর পুরানো হলেও অবাক হব না। এইটে ছিল শর্মা জমিদারদের বাড়ি। উঁচু জাত, অঢেল প্রাচুর্য। কিন্তু হঠাৎই মড়কের পর সব শেষ হয়ে যায়। বাড়ি, ধানের গোলা সব সব শেষ। এক-দু ঘর শরিক ছিল, সব পরের দিকে চলে গিয়েছে? ব্যস, তারপর আর কেউ আসেনি।"

"এরা কি শৈব বা শিবের ভক্ত ছিলেন?"জয়ী নিজের নোটবই উল্টে জিজ্ঞেস করল, ভাবটা এমন যেন রিসার্চ নোটস দেখে নিচ্ছে।

বোরঠাকুর ভ্রু কুঁচকে বললেন, "আজ্ঞে আমি তো দেখি নি। তবে,দাঁড়ান, হ্যাঁ, একটা শিব মন্দির ছিল। আমাদের ছেলেবেলায় আমরা মাঝে-মাঝে লুকোচুরি খেলতাম। সে প্রচুর বড়। মনে হয় আগে নিয়মিত আরাধনা হত, তবে আমি তা দেখিনি।"

জয়ী হঠাৎ বলল, "আপনি মহারাজ শশাঙ্কদেবের নাম শুনেছেন? লোকমুখে শুনেছি উনি নাকি এই বাড়িতে এসেছিলেন?"

এতক্ষণে নুর বেশ অবাক হয়ে জয়ীর দিকে তাকাল, কিছুই বুঝতে পারছিল না সে। ফস করে এই মূল প্রসঙ্গ আনার কোনও মানে আছে কি? বিশেষ করে যখন তাদের প্রাণ বিপন্ন। বোরঠাকুর হে হে করে বললেন, "সে তো শুনেছি বটে,তবে অত কথা আমি জানি নে। আমাদের খুবই ছোট একটা গ্রাম, বড় একটা বাইরের লোকজন আসে না। ঐ কালেক্টার সাহেব, বিডিও ম্যাডাম আর কালে ভদ্রে আপনাদের মত সাংবাদিক। এই গ্রামের এই বাড়ির যে কিছু গুরুত্ব আছে তা তো জানতামই না।"

জয়ী বলল, "আমি অবশ্য একদমই যে শুনি নি তা বলব না। বিশ্বনাথ শর্মা'র সেই মার্ডারের কেসে পুলিশ বেশ কয়েকবার এই গ্রামে এসেছিল, তাই না?"

বোরঠাকুরের অমায়িক হাসিটা উধাও হয়ে গেল। খুব গম্ভীরভাবে সে বলল, "না ম্যাডাম, সে আমাদের গ্রামে কখনো বড় হয় নি। হ্যাঁ, ছোটবেলায় মাঝে-মাঝে আসত বটে, তবে তার জন্যে এই গ্রামকে কলুষিত হতে দেব না, সে একটা নরকের কীট, আবার নিজেকে এই বাড়ির ছেলে বলে দাবী করে। খারাপ কি লাগে জানেন? ঐ বাড়ির ঐতিহ্য নিয়ে যত না মানুষ প্রশ্ন করেছে, ঐ বিশ্বকে নিয়ে করেছে বেশী। শেষে আমাদের প্রধান বাধ্য হয়, সেই ব্যক্তিকে ডাকতে যিনি বিশ্বর ব্যাপারটাকে ফাঁস করেন। আমরা তাকে জানাই যে, এই গ্রাম ও এই পরিবারের কথা যেন তিনি না লেখেন; কারণ একটি মানুষের দোষের জন্য সবাই কেন সাফার করবে। ভদ্রলোক বিজ্ঞ ব্যক্তি, পুরো ব্যাপারটা জানার পর এই গ্রামের উল্লেখ তিনি মুছে দেন। খুবই বিনয়ী দুই ভদ্রলোক, কথা দেওয়ার পর সত্যিই পুলিশ রেকর্ড ছাড়া কথাও ওর পরিবার ও গ্রামের উল্লেখ নেই। ওনাদের কল্যাণেই গ্রামে সাংবাদিক আসাও বন্ধ হয়। কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম, আমরা কিন্তু স্বস্তিই বোধ..."

"ভাল করে দেখুন তো,এই দু'জনই কিনা?" জয়ী বোরঠাকুরের কথা কেটে নিজের সেলফোন বাড়িয়ে একটি ছবি দেখালেন। বোরঠাকুর একমূহুর্ত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে পর-মূহুর্তে সামলে নিয়ে ফোনের স্ক্রিন দেখে বললেন, "সেই ভদ্রলোকই বটে, কিন্তু পাশের ভদ্রলোককে ঠিক চিনলাম না।"
Next Part


All Bengali Stories    116    117    118    119    120    121    122    123    (124)     125    126   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717