Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

শশাঙ্কের শিলমোহর - পর্ব ২

বাংলা গল্প

All Bengali Stories    116    117    118    119    120    121    122    123    (124)     125    126   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



শশাঙ্কের শিলমোহর ( পর্ব ২ )
বাংলা গল্প
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প
Writer: - Dr. Ipsita Bhattacharjee, Sahid Nagar, Dhakuria, Kolkata


অন্য পর্বগুলিঃ পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯    পর্ব ১০    পর্ব ১১    পর্ব ১২   

## শশাঙ্কের শিলমোহর - পর্ব ২
বিশ্ব চাদরটা ভাল করে জড়িয়ে নিল। তার রোগা অথচ শক্ত গঠনে মধ্যে তার মুখটা খানিক ছোট ও পাংশু, তবে চোখ দুটি খুবই উজ্জ্বল। বাইরের চা-ওয়ালার হাঁক ও ষ্টেশনের চ্যাঁচামিচির জেরে ঘুম ভাঙল। বাইরে একবার মুখ বাড়িয়ে দেখল সে, কলকাতা ঢুকতে ঢের দেরি। সেই কোন ভোরে উঠে বেড়িয়েছে সে। কাজটা অবশ্য খুব কঠিন ছিল না। বুড়োর ধরণ ধারণ সে এক সপ্তাহেই বুঝে গেছিল নজর রাখতে-রাখতে। তবে মানুষ খুন সে প্রথমবার না করলেও, দুর্গাবাবু আর ৫টা এঁদো লোকের মত নয়। শেষ মুহূর্ত অব্ধি মুখ খোলেননি। শেষে কাজটা বিশ্বকেই করতে হয়। বুড়ো জিনিসটাকে কয়েকদিন আগেই ব্যাঙ্ক লকার থেকে এনেছে। বিশ্ব নিজের কোলের উপরে রাখা থলিটায় একবার হাত ঢুকিয়ে দেখে নিল। যথাস্থানে আছে। অবশ্য এ জিনিসের চুরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এ জিনিসের গুরুত্ব সাধারণ মানুষ বুঝবে না। যেমন বোঝেনি ওই বুড়ো অধ্যাপক। সেই লুপ্ত হয়ে যাওয়া সময় আবার ভেসে উঠবে। শরীরে রোমাঞ্চ অনুভব করল বিশ্ব।

একবার ট্রেনের যাত্রীদের দিকে লক্ষ করল। সেকেন্ড ক্লাস কম্পার্টমেন্টের বয়স্ক, বাচ্চা, মেয়ে-বুড়োরা কি জানে, তাদের সাথে তাদের সম্রাট, রাজাধিরাজ যাত্রা করছে? নিজেই নিজের মনে হেসে ফেলল বিশ্ব।

#
"৫ এর সাথে প্রফেসার সাহেবের মৃত্যুর কি সম্পর্ক থাকতে পারে নুর?" বিরিয়ানির প্লেটে চামচ নাড়তে-চাড়তে জয়ী বলল। অপ্রস্তুত নুর মোটেই তৈরি ছিল না এরকম একটা প্রশ্নের জন্য, "ম্যাডাম, সুলেইমানের স্পেশাল বিরিয়ানিও আপনার মাথা থেকে খুনের ব্যাপারটা বের করতে পারল না। আমরা কি করে জানব বলুন তো? ওইরকম বিরাট মাপের মানুষ, দেশ-বিদেশ থেকে আয়। প্রায় দিনই কত লোকজন ভিড় করত... হয়তো ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে, সম্পত্তি জনিত বিষয় থাকতে পারে, আরও কত কি..."

জয়ী আশ্বস্ত হল না, "নুর অন্য কোনও দিন না, আমার সাক্ষাৎকারের কয়েক ঘণ্টা আগে মৃত্যু, খুন! কিছুতেই মন থেকে খচখচটা যাচ্ছে না।"

"দেখুন ম্যাডাম, ব্যাপারটা নেহাতই কাকতালীয়। আমার রজতবাবুর সাথে মাঝে-মাঝেই দেখা হত। প্রফেসার সাহেবের কাছে মাসে গড়ে ৩-৪ দিন তো লোক আসতই, উনি নিজেই বলেছেন। আরে, সেইদিনই তো বললেন রজতবাবু, আপনার ওই সাক্ষাৎকারের পর ডিসট্রিক্ট মিউজিয়ামে ওনার একটা প্রেস মিট ছিল।"

"প্রেস মিট?? কেন?" জয়ীর বেশ কৌতূহল হল।

"হ্যাঁ, ওই রজতবাবুই আমাকে ফোন করে বলেছিলেন যে, ১২টা থেকে ডিসট্রিক্ট মিউজিয়ামে ওনার কিছু মিট জাতীয় আছে, ফলে আপনি যেন বিষয়টা ওই ১০.৩০ থেকে ১১ টার মধ্যে সেরে নেন আর কি। আমি ভেবেছিলাম আপনাকে বলব, কিন্তু তারপর তো..."

"মিউজিয়ামটা কোথায়? আমরা কি সেইখানে যেতে পারি?" নুরের কথা শেষ হওয়ার আগেই প্রশ্ন করে জয়ী।

সুলেইমান থেকে বেড়িয়ে নুর একটা রিক্সা ডাকতে গেল। ঠিক তখনই জয়ীর ফোনটা বেজে উঠল। এ তো ডি ডি সাহেব। সবুজ বোতামটা টিপতেই ফোনের ওপার থেকে কণ্ঠ ভেসে এল, "বাবা, তুমি গাঁজার ভক্ত জানতাম, তবে কলার-টিউনে শিব বন্দনাটা বাড়াবাড়ি নয়?"

"না মানে, আমি তো.." কিছু বলতে গিয়েও মুখ বন্ধ হয়ে গেল জয়ীর। ওপার থেকে অবশ্য শেরি বলে গেলেন, "যাক গে...শুনলাম ও সি'র সাথে দেখা হয়েছে তোমাদের। হোরবল ব্যাপার, শকিং। সকালবেলা উঠেই খবরটা পেলাম এক জনের কাছ থেকে। যাই হোক, আমার ও সি'র সাথে কথা হয়েছে। তুমি আজ রাতের ট্রেনে ফিরে এস। আমি টিকিটের ব্যবস্থা করে দেব। বিশ্রী ব্যাপার, এ সবের মধ্যে থাকার..." বাকি কথা কানে ঢুকল না জয়ীর, কোনরকমে ফোন রেখে নুরের ডাকা রিক্সায় উঠে পড়ল, "শিগগীর একটা নোটবুক বের কর তো নুর, চটপট..." জয়ী হাত বাড়াল। মুহূর্তের ভ্যবাচ্যকায় পকেট হাতরে একটা নোটবুক বাড় করল নুর। জয়ী সেটা হাতে নিয়ে, "এই দেখ, এই নিশানটাই করেছিলেন না ভদ্রলোক, দেখ? detective-story এই নিশানটা কিসের বলতে পার?" এক দমে বলে গেল জয়ী।

নুর বলতে পারল না।

@@ "শৈবদের, অর্থাৎ যারা শিবের উপাসক তাদের। ইস, তখন কেন মনে হল না। 'শিবা ক্যাটারার্স' সংস্থার নাম। উনি তাই মিন করতে চেয়েছিলেন। ৫ আর শিব বা শৈব, আমি প্রায় আশি শতাংশ নিশ্চিত..."

নুর কিছুই বলল না। সে বলতে যাচ্ছিল যে, মৃতপ্রায় মানুষ কি লিখতে কি লিখেছেন, কিন্তু তার সাহস হল না। জয়ী ম্যাডামের গলার স্বরে এক প্রকার দৃঢ়তা ছিল যা অবহেলা করা যায় না। ফলে অগত্যা নিজের মোবাইলের দিকে মন দিল সে।

#
মালদা ডিসট্রিক্ট মিউজিয়ামে 'ক্লোসড' বোর্ড ঝুলানো দেখে মন খারাপ হয়ে গেল জয়ীর। আজ সত্যি দিনটা খারাপ। হতাশ হয়ে সামনের একটা কাঠের বেঞ্চিতে বসে পড়ল সে। কিন্তু নুর কই? উত্তরটা এল মিউজিয়াম প্রাঙ্গণের পিছন থেকে। "ম্যাডাম, কিউরেটার সাহেব আছেন। আপনি এইদিকে আসুন। উনি ভেতরে আসতে বলছেন।" নুর কম্পাউন্ডের পিছন থেকে মুখ বাড়িয়ে বলল।

গাছপালায় ঘেরা কম্পাউন্ডটা এই শীতের রোদে ঝলমল করছে। পাথর বিছানো সরু পথ দিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে মিউজিয়াম কম্পাউন্ডের পিছনে এল জয়ী। "এই দিকে ম্যাডাম..." পিছনে একটি ছোট্ট বাগানে ঘেরা ঘরের দিকে ইশারা করল নুর, "এইটা হল গিয়ে কিউরেটর সাহেবের নিজস্ব অফিস। "

ঘরটা অত্যন্ত সুসজ্জিত। নানারকম বনসাই, পাঁটের বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফট দিয়ে পুরো ঘরটা সাজানো। কিউরেটর সাহেবের চেয়ারটিও সম্ভবত পাঁটের৷ তার সামনে একটি মেহগনি কাঠের টেবিল। ঠিক পেছনেই একটি বিরাট বুককেস- এক নজরে জয়ী দেখে বুঝল; সাহিত্য, ইতিহাস, রাজনীতি, কারেন্ট বিষয়, কি নেই... অতিথিদের জন্য দুটি গদি দিয়ে বেতের মোড়া সাজানো, সেই দুটিই অধিকার করে বসল জয়ীরা। মিনিট-খানেক বাদে ঘরটির পিছনের একটি দরজা দিয়ে বেরিয়ে এলেন প্রায় ষাটোর্ধ এক প্রৌঢ়। পরনে একটি ঘিয়ে রঙের ফতুয়া ও সাদা পায়জামা। চোখ-মুখে বিষন্নতার ভাব স্পষ্ট। মাঝারি উচ্চতা, চোখে একটি কালো ফ্রেমের চশমা, একটু ভারি চেহারা।

"আপনারা বসুন, " জয়ীদের উঠতে দেখে ইশারা করে বললেন ভদ্রলোক।

"আজ্ঞে স্যার, ইনি হচ্ছেন ম্যাডাম জয়ীতা বোস, " জয়ীকে দেখিয়ে নুর বলল। নমস্কার করে জয়ী নিজের নাম ও পরিচয় দিল। নিজের আই ডি কার্ডটি বের করে দেখাল সে।

"আমার নাম অতুল দাশগুপ্ত, এই মিউজিয়ামের কিউরেটর। আপনি দেখা করতে চেয়েছিলেন, " কার্ড ফেরত দিয়ে কোন অভিব্যক্তি ছাড়াই উত্তর দেন অতুলবাবু।

"হ্যাঁ, আমার আজ সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল দুর্গাচরণবাবুর, কিন্তু..." খুব সংক্ষেপে আজ সারাদিনের ঘটনা তাকে জানায় জয়ী। নুর লক্ষ করে অভিব্যক্তি হীন এই প্রৌঢ় ক্রমশ উত্তেজিত হতে থাকেন। "আমি দুর্গাবাবুকে সেইভাবে চিনতাম না, কিন্তু যদি এই নিশানগুলোর কোনও ঐতিহাসিক তাৎপর্য থাকে তবে আমি সবরকম সাহায্য করতে চাই, " জয়ী জানায়।

"আমি দুর্গাকে চিনতাম ঠিকই, কিন্তু আমাদের কথা হত ইতিহাস, সাহিত্য এই সব নিয়ে। সত্যি বলতে কি, এতদিনের বন্ধু হলেও ব্যক্তিগত বিষয়ের ব্যাপারে কিছু জানি না। আজ সকাল থেকেই এই খবরটা পেয়ে আমি বিশেষ ভাবে ডিস্টার্বড... এখন আপনি বলছেন...কি জানি আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না, " খানিক চিন্তিত স্বরে বললেন অতুলবাবু।

"দুর্গাবাবুর আজ কোন প্রেস মিট ছিল কি? এইখানে?" জয়ী জিজ্ঞাসা করল।

উত্তরে মাথা নাড়ালেন অতুলবাবু। খানিক চুপ করে বললেন, "ব্যাপারটা এতদিন গোপনই রাখতে বলেছিল সে। কিন্তু সত্যি যদি রহস্যময় মৃত্যু হয়েই থাকে তবে এ কথা পুলিশকে জানাতেই হবে। বিশেষ করে যদি সেই জিনিসটার জন্যই হয়ে থাকে।"

"কোন জিনিস?" উৎসুক হয়ে জানতে চায় জয়ী।

"আপনি নিশ্চয়ই মহারাজ শশাঙ্কের নাম শুনেছেন, তার সময়কার একটি; এক-কথায় প্রায় দুর্মূল্য জিনিস হাতে এসেছিল তার। একটি শিলমোহর; শশাঙ্কের শিলমোহর। আনুষ্ঠানিকভাবে সেইটি আজ তুলে দেওয়ার কথা ছিল প্রেসের সামনে। কিন্তু তারপর তো..." একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে মাথা নিচু করলেন অতুলবাবু।

এক মূহুর্ত সব চুপ। নুরই বাধ ভাঙল, "এই আমাদের এই দিকে, গৌড়ের রাজা ছিলেন না?"

"হ্যাঁ উনিই। আচ্ছা অতুলবাবু, এই শিলমোহর কি রোহতাসগড়ের শিলমোহরটির মত?" জিজ্ঞাসা করে জয়ী।

মাথা নাড়িয়ে অতুলবাবু জানান, "সেইরকমই, কিন্তু আরকাইভড নয়। ইতিহাস ছাড়াও দুর্গার আর একটি নেশা ছিল, আমি অবশ্য খারাপ নেশা বলতাম। সে ছিল একজন আর্টিফ্যাক্ট কালেকটর, মূলত প্রত্নতাত্ত্বিক দ্রব্যের। এর জন্য সে টাকা পয়সা নষ্ট করেছে বিস্তর, এমনকি আইনের ঝুঁকিও নিয়েছে বহুবার।"

নুর জিজ্ঞেস করল, "কিরকম?"

"সে বিভিন্ন আইনি-বেআইনি নিলামে যোগ দিত। বুঝতেই পারছেন, এই ধরণের জিনিসের নিজস্ব একটা মার্কেট আছে, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটি আমার-আপনার পৌঁছের বাইরে। সেইখানে কিছু গণ্ডগোল হলে হতেও পারে।" অতুলবাবু বললেন।

বেশ খানিকক্ষণ সবাই চুপ। তারপর জয়ী বিনয়ের সুরে বলল, "আপনি আজ বিশেষ ডিস্টার্বড আছেন, আপনাকে আর বিরক্ত করব না। আমি শুধু শেষ একটা প্রশ্ন করে চাই,শিব বা শিবের উপাসক ছিলেন কি দুর্গাবাবু?"

হাল্কা হেসে উত্তর দিলেন অতুলবাবু, " শিবের সাথে দুর্গার সম্পর্ক ছিল কিনা?" প্রশ্নটা শুনে জয়ীর মনে হল সত্যি আজব কাকতালীয় ব্যাপার তো। "দুর্গা ছিল আগা-গোরা নাস্তিক। তবে ধর্ম নিয়ে অনেক পড়াশোনা ছিল। বিস্তর বই ও পেপারও লিখেছিল। এর বেশী কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, " বলে একবারে চুপ মেরে গেলেন ভদ্রলোক।

উঠে পড়ল জয়ীরা, "আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।"

"শেরগিল আমার খুবই স্নেহের মানুষ, তাই তোমায় ফেরাই নি; নয়তো আজ সত্যিই কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই।" মাথা নিচু করে বসে রইলেন অতুলবাবু। বেরোতে-বেরোতে হঠাৎ করে জয়ী মনে হল, আরে শশাঙ্কও তো শৈব ছিলেন। তাহলে কি সত্যিই কোন যোগাযোগ রয়েছে। বাইরে বেরনোর মুখে জয়ী খেয়াল করল যে, জনসাধারণের পড়ার জন্য একটি বই / পত্রিকার র‍্যাকের মত করা আছে। সেইখানে 'ইন লাভিং মেমরি' বলে একটি সেকশান করা হয়েছে। দুর্গাবাবুর একটি ছবি, তার নীচে তার লেখা কয়েকটি টাইটেল। এর মধ্যে একটি বিশেষভাবে নজর কাড়ল জয়ীর,'শৈবিজম থ্রু দি এজেস' বাই ডাঃ দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়।
Next Part


All Bengali Stories    116    117    118    119    120    121    122    123    (124)     125    126   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717