All Bengali Stories
116
117
118
119
120
121
122
123
(124)
125
126
-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে )
Result
--------------------------
◕
শশাঙ্কের শিলমোহর - পর্ব ৭
বাংলা গল্প
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প
Writer: - Dr. Ipsita Bhattacharjee, Sahid Nagar, Dhakuria, Kolkata
অন্য পর্বগুলিঃ
পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
পর্ব ৫
পর্ব ৬
পর্ব ৭
পর্ব ৮
পর্ব ৯
পর্ব ১০
পর্ব ১১
পর্ব ১২
##
শশাঙ্কের শিলমোহর - পর্ব ৭
"তাহলে প্রফেসর সাহেবের মৃত্যুর পিছনে এই শৈব গোষ্ঠীটির হাত রয়েছে?" চামচ দিয়ে সন্তর্পণে পাউরুটি আর ডিম ভাজা মুখে পুড়ছিল নুর।
"অতুলবাবু তো তাই জানালেন," টেবিলে রাখা কফিতে চুমুক দিয়ে বলল জয়ী।
শীতের সকালের রোদ এসে পড়ছে সার্কিট হাউসের বারান্দায়। কেয়ারটেকারটি একজন মালী জুটিয়ে বেশ পরিপাটি করে সামনের লনটা পরিষ্কার করাচ্ছিল। আজ বিকেলে নাকি কোনও বড় অফিসার আসছেন এইখানে। জয়ী অনেকক্ষণ মালীর ঘাস কাটা দেখছিল। বেশ ভাল লাগছিল। কালকের অভিজ্ঞতা মাথায় আসছিল না। আজ খুব ভোরবেলাই রাঠোর সাহেব এসেছিলেন। পুরো ব্যাপারটি শুনে তিনি অত্যন্ত বিচলিত বোধ করছেন, এমনটা জানালেন। জয়ী যদি এক প্রস্থ থানায় এসে একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে জান তবে তিনি খুবই কৃতার্থ হবেন এটাও জানালেন। জয়ী আপত্তি করেনি। যদিও অতুলবাবু আর তার স্ত্রী অফিসারের উপর বেশ উষ্ম প্রকাশ করেছিলেন।
"আপনি কাল বেরোচ্ছেন? মানে, এইখানে থেকে তো আর লাভ নেই। কাল হাসপাতালে গেছিলাম। রজতবাবু ভালই আছেন কিন্তু কারুর সাথে দেখা করছেন না। সিদ্ধার্থ ছোড়া বলছিল যে, এ নাকি অফিসারের আদেশ। রজতবাবুর বাড়ির লোকও নাকি এই ব্যবস্থায় সম্মত হয়েছেন। তারা অবিলম্বে প্রাথমিক জেরা শেষ হলে রজতকে নিয়ে চলে যাবেন। এ সাংঘাতিক শহরে নাকি আর নয়," বলল নুর।
"হুম...আমার এক বোন আজ বিকেলে আসবে। ডি এস পি আমাকে এই শহর ছাড়তে বারণ করেছেন। আমার বোন উকিল; তাকে বলেছি। সে তো বলল চেষ্টা করবে, ব্যাপারটা সর্ট করার। দেখা যাক, সব ঠিক থাকলে, কাল বেরোব," বলল জয়ী।
"ম্যাডাম, আপনি সাবধানে থাকবেন। যেভাবে এই কেসটার মধ্যে আপনি ও অতুলস্যার জড়িয়ে পড়ছেন, আমার তো ভয়ই লাগছে," খাবার শেষে প্লেটটা নীচে রেখে বলল নুর।
কিছু বলল না জয়ী। এই কদিনের মধ্যে ভয়, ঔৎসুক্য, অবাক হওয়া বিভিন্ন রকম আবেগের মধ্যে দিয়ে গেছে সে৷ এখন যেন খুব শান্ত লাগছে, খুব খালি লাগছে। সকালবেলা কিছু প্রেস মিডিয়ার লোক হাজির হয়েছিল। রজতবাবুর কেসটা কি চাউর হয়েছে? কি জানি। তবে কিছু কানাকানি হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ-এ অফিসের কিছু মানুষের টেক্সট দেখে মনে হল। এইচ .আর. যখন জেনেছে তখন এই ব্যাপারটা অবশ্য অপ্রত্যাশিত নয়। খুব ক্লান্ত লাগল জয়ীর। সে ঘরে এসে পর্দা টেনে ঘুমিয়ে পড়ল। যখন ঘুম ভাঙল, তখন ফোনটা বেজে চলেছে। ধরফরিয়ে উঠল সে। অন্ধকার হয়ে গেছে। কতক্ষণ ঘুমিয়েছে কে জানে! টেবিলের ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে দেখল ডি ডি স্যার ফোন করছেন। এই ফোনটা একেবারেই ধরতে ইচ্ছে করল না জয়ীর। এই মূহুর্তে বকাবকি শুনতে একদম ইচ্ছে করছে না। ফোনটা কেটে গিয়ে আবার বাজল। শেষে যা হবে দেখা যাবে, মনে করে সবুজ বোতাম টিপল জয়ী, "হ্যালো.."
" কি ব্যাপার, ঠিক আছ তো? তুমি কি সার্কিট হাউসে এখন? থাকলে আমি আসছি। তোমার বোনের সাথেই এসেছি।" খুবই চিন্তিত গলায় বললেন শেরগিল। জয়ী এক দু কথায় জানিয়ে দিল যে সে আছে এইখানেই।
ফোনটা কেটে যেতেই দেখল সন্ধ্যে প্রায় ৬.৩০টা বেজে গিয়েছে। মিমের একটা মিসড কল রয়েছে। আর তার সাথে একটা মেসেজ,"তুই কি রেস্ট নিচ্ছিস? শোন, আমি ডাইরেক্ট থানা যাচ্ছি, মনে হচ্ছে তোকে কালই কলকাতা নিয়ে যেতে পারব। আর শোন, জেঠুমণি বেশ চাপে আছেন। তোর বসকে রিকোয়েস্ট করেছেন যে, তিনি যেন গিয়ে ব্যাপারটা দেখেন। উনি বোধহয় ডাইরেক্ট সার্কিট হাউসে যাচ্ছেন তোর সাথে দেখা করতে। আমি থানা থেকে বেড়িয়ে তোকে কল করছি।"
উঠে বসল জয়ী, ডি ডিকে এইভাবে বাবা বলবেন, এ ভাবা যায় না। অবশ্য বাবাও ঘটনার ক্রমবিন্যাসে বেশ চিন্তায় পরেছেন। যা হোক, জয়ী হাত মুখ ধুয়ে বাইরে গেল। বেশ সুন্দর সাজিয়েছে বাগানটা। আগাছা সাফ, ঘাসগুলো বেশ সুন্দর করে কাটা, ফুলের টবের উপর সুন্দর করে টি লাইট জ্বালানো হয়েছে। পুরো বাগানটাতেই আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। জায়গায়-জায়গায় চেয়ার পেতে সুন্দর করে রাখা হয়েছে। তারই একটিতে বসে আছেন ডি ডি শেরগিল এবং কেয়ারটেকারটি বেশ পরিপাটি করে তাকে চা খাওয়াচ্ছেন। জয়ীকে দেখেই হাত নাড়িয়ে বললেন, "আরে এস, একটু চা খাওয়াতে বললাম; আর কি কাণ্ড করল দেখ।"
কেয়ারটেকারটি হে হে করে বলল, "আজ তো এমনিই বি ডি ও সাহেব আসছেন। তাছাড়া এলেনও তো স্যার কত দিন পরে," বলে এক ট্রে ভর্তি পেস্ট্রি, চিপস, সিঙ্গারা ইত্যাদি স্ন্যাক্স রাখল টেবিলের উপর। শেরির এইরকম স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেখে জয়ীরা অভ্যস্ত, অন্য সময় বেশ মজা লাগলেও আজ লাগল না। যৎসামান্য নোনতা ও চা তুলে নিয়ে শেরি খানিকক্ষণ চুপ করে থাকলেন। জয়ীও নিশ্চুপ ছিল।
"মালদায় শেষ এসেছি বছর আশটেক আগে। কি ঠাণ্ডা তখন! এইবার সেই তুলনায় কিছুই নেই..." চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন শেরগিল। আরও খানিকক্ষণের নিস্তব্ধতার পর শেরি গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, "এখন বল তো, কি ব্যাপার? এ তো আমি দেখছি যে তুমি সাংঘাতিক জালে জরিয়ে পড়ছ। কি হচ্ছে কি, আমায় খুলে বলবে... পরপর দুটো ঘটনার জেরে তোমার বাড়ির লোক নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন।"
জয়ী এইরকম কিছুর জন্য তৈরীই ছিল। অফিসারকে বলা সব কথাই ডি ডিকে বলল জয়ী। শেরি অবিশ্বাস করলেন বলে তো মনে হল না। বরং বেশ চিন্তিত দেখাল তাকে। মাথা নীচু করে বললেন, "তোমরা, মানে তোমাদের জেনারেশনের মূল সমস্যা হচ্ছে তোমরা কখনও পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন মনে কর না। এই যে তুমি আর রজত বলে ছেলেটি নিজেরাই ঠিক করে নিলে, একবার কি সিনিয়র কারুর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল না, স্পেশালি যখন ডঃ মুখোপাধ্যায়ের কেসটা এখনও আন্ডার ইনভেস্টিগেশন। তাছাড়া, দুর্গার বেআইনি জায়গায় যাতায়াত সম্পর্কে তো তোমায় জানিয়েছি। এইসব লোকগুলো কি সাংঘাতিক আর ডেঞ্জারাস, তার ধারণা তোমার আছে!"
শুরু হয়ে গেছে; যেইটা ভাবছিল জয়ী। বেশ খানিকক্ষণ বকুনি শুনে সে বেশ আমতা-আমতা করেই বলল, "আসলে, অতুলবাবু বলছিলেন যে এই বিষয়টার সাথে নাকি সেই বেআইনি নিলামের কোনও যোগাযোগ নেই।"
কথাটা শুনে খুব অবাক হলেন শেরি,বললেন, "সেকি! অতুলদা তো আমাকে অন্যরকম..." ভ্ৰ কুঁচকালেন তিনি। তারপরেই সামলে নিয়ে বললেন, "আর অতুলদাও বলিহারি! এই বয়সে এইসব ঠিক নয়। আর অতুলদা কোনদিনই তো এইসবের মধ্যে থাকেন নি। সেখানে প্রত্যেকটা ঘটনায় নিজেকে এইভাবে জড়িয়ে ফেলার কোনও মানে হয় না। তোমার বোনের কাছে শুনলাম তোমার কালকের এনকাউন্টারের কথা। কোনও মানে হয়! অতুলদাকে আজকে ডেকেছি, রাতে এইখানেই ডিনার করতে বলেছি। উনি এলে বুঝিয়ে বলব।"
জয়ী এই কথা শুনে কি যেন চিন্তা করতে গিয়েও করতে পারল না। মোবাইল ফোনটা বাজছে। ফোনটা ধরতেই ওপারে মিমের আওয়াজ শোনা গেল, "বস, কাজ হয়ে গেছে। অফিসারের সাথে কথা হয়ে গেছে। আমরা কালই ফিরতে পারব, শুধু তোকে মাঝে-মাঝে এসে দেখা করে যেতে হবে।"
"থ্যাঙ্ক ইউ, মনা, বাঁচালি তুই।"
"না বস, ঐসব বললে চলবে না, সার্কিট হাউসে আসছি, গুছিয়ে খাওয়াতে হবে।"
"নিশ্চয়ই, যা বলবি তাই, বিরিয়ানি, কাবাব, নুরকে বলে আনাবো," হেসে বলল জয়ী।
হেসে উত্তর দিল মিম, "আচ্ছা, আচ্ছা, সেসব হবে-ক্ষণ। বাই-দি বাই, তোকে দুটি ডকিউমেন্ট মেইল করেছি। ঐ দুটোতে তোর সই লাগবে। একটু দেখ কাউকে দিয়ে যদি প্রিন্ট-আউট করাতে পারিস। কাল জমা দিয়ে যেতে হবে থানায়।"
ফোন রাখার পর জয়ী নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে অনেকবার রিফ্রেশ করল। নাহ, মেইল কোনও তো ঢোকেনি। অথচ নেটওয়ার্ক ভালই। হাউসের ওয়াই-ফাই ও ঠিক আছে।
"আসে নি রে..." লিখে হোয়াটসঅ্যাপ করল জয়ী।
তৎক্ষণাৎ মিমের উত্তর এল, "আমার কিন্তু দেখাচ্ছে 'সেন্ট'। এক কাজ কর, একটু স্প্যাম বাক্সটা চেক কর দেখি। অনেকসময় এজেন্সির মেল ঐখানে ঢুকে যায়।"
"বেশ..." স্প্যাম-বক্স খুলল জয়ী। ঠিকই, মিমের লিগাল এজেন্সির একটা মেইল ঢুকেছে। কিন্তু জয়ী সেইটা খুলল না, তার কারণ আর কিছুই নয়, তার আগের একটি মেইল। সেই মেইলটা কালই করা হয়েছে। এবং করেছেন ডঃ দুর্গাচরণ মুখোপাধ্যায়!!
#
বিশ্ব বারান্দায় দাড়িয়ে দূরের চা বাগানটা দেখছিল। এই ভোরবেলাতেই দিব্যি দিনের আলো পড়ছে চা পাতাগুলোর উপর। খানিকক্ষণের মধ্যেই ওরা এসে পড়বে,কাঁধে ঝুড়ি নিয়ে, চা পাতা তুলবে সারাদিন। তারপর দুপুরের ঘণ্টা বাজলে, ক্যান্টিনের ঘরটায় বসে ভাত খাবে। এই জায়গাটা বড় ভালো লাগে বিশ্বর, গোয়ালতোরের কথা মনে পড়ে যায়। আর সেই সঙ্গেই মনে পড়ে যায় পুরনো সব কথা। তার মাও নাকি এইরকম কোথাও কাজ করত। কিন্তু সেসব স্মৃতি এখন আবছা, বাবাকে আরও মনে পড়ে না। শুধু পিতা-মাতা এখন কেবলই স্বয়ম্ভূ; এবং তাকে যে বা যারা অবজ্ঞা করবে তাদের সে শেষ করবে। হঠাৎই সেই অধ্যাপকের কথা মনে করে মাথায় রক্ত চড়ে গেল। কীটটা শেষ অব্ধি বশ্যতা স্বীকার করেনি- ওর পরিণতি ওর ভবিতব্য। তার আর কোনও আক্ষেপ নেই, এখন শুধু নিজের জিনিসটা ফেরত পেলেই সে খুশি। সেইদিনের ঘটনার পর নীললোহিত লোকটা তার থেকে সময় চেয়ে নিয়েছিল খানিকটা। এই চায়ের কারখানায় ওনার চেনাজানা ম্যানেজারকে বলে, রাঁধুনির একটা কাজ জুটিয়ে দেন। কিন্তু এইখানে বিশ্ব চিরতরে থাকবে না। ঐ নীললোহিত বলেছিল, সে নিজেই যোগাযোগ করবে, কিন্তু কই এতদিন হয়ে গেল! যদি সেই পণ্ডিত ভেবে থাকে যে, বিশ্বর সাথে প্রতারণা করবে, তবে ভুল ভাবছে। এই সমস্ত ভাবনার মধ্যে বিশ্ব লক্ষ্য করল যে রান্নাঘরে যাওয়ার সময় হয়েছে। ঠিক তখনই তার ছোট মোবাইলটা বেজে উঠল। স্ক্রিন এ দেখল লেখা ফুটে উঠছে, নীললোহিত কলিং।
#
ম্যাডাম,
এই ঠিকানা দেখে অবাক হবেন না প্লিজ। আমিই স্যারের মেইল থেকে আপনাকে লিখছি। আসলে লিখব কি না, এই নিয়ে ধন্ধে ভুগেছি অনেক। কিন্তু মনস্থির করেছি, এবং বলতে পারেন নির্ণয়ের জায়গায়ও এসেছি। স্যারের মৃত্যুর পেছনে যে কোনও ঐতিহাসিক কারণ থাকতে পারে তা আপনিই সর্বসমক্ষে আনেন। আজ আপনাকে একটি ঘটনা জানাই, মেইলে জানাচ্ছি কারণ আমার মনে হয় এই বিষয়ে গোপনীয়তা একমাত্র এইভাবেই রক্ষা হতে পারে। আর যদি আপনি আমার থেকে সরাসরি না শুনে এই মেইলই কেবল পড়ছেন, তবে ধরে নিচ্ছি আমার ভালমন্দ কিছু হয়েছে। যাহোক মূল কথায় আসি। আপনাকে আগেই জানিয়েছিলাম যে স্যারের যাবতীয় Intellectual সম্পত্তি আমি পাই। সেই ফাইল-পত্র, খাতা, বই ঘাটতে-ঘাটতে আমি একটি চিঠি পাই আমার উদ্দেশ্যেই লেখা। আমার নামে "প্রাইভেট অ্যান্ড কনফিডেন্সিয়াল" লেখা। পুলিশই সেইটা ওনার উকিলকে দেন এবং উকিল মারফত আমার হাতে আসে। এই চিঠিটা আমি আপনাকে পাঠাচ্ছি। আমি আপনাকে অনুরোধ করব, দয়া করে এই চিঠিটা পড়ার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখবেন।
- ইতি
রজত বোস
চিঠির মূল বক্তব্য এইখানেই শেষ। তারপর একটি জিপড ফাইল। "জয়ীতা, দেখ অতুলদা এসেছেন," শেরি স্যারের ডাকে চেতনা ভাঙল। মেইল-বক্স বন্ধ করে এগিয়ে গেল জয়ী।
Next Part
All Bengali Stories
116
117
118
119
120
121
122
123
(124)
125
126
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717