Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

শশাঙ্কের শিলমোহর

বাংলা গল্প

All Bengali Stories    116    117    118    119    120    121    122    123    (124)     125    126   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে ) Result
--------------------------



শশাঙ্কের শিলমোহর ( পর্ব ১ )
বাংলা গল্প
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প
Writer: - Dr. Ipsita Bhattacharjee, Sahid Nagar, Dhakuria, Kolkata


অন্য পর্বগুলিঃ পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯    পর্ব ১০    পর্ব ১১    পর্ব ১২   

## শশাঙ্কের শিলমোহর - পর্ব ১
# সম্ভবত ৬২৫
সৈন্যরা যখন ঊদ্রাত নগরে প্রবেশ করল তখন বেলা দ্বিপ্রহর হয়েছে। শুকনো ধু ধু প্রান্তরের মধ্যে এক টুকরো সবুজ তুলির ছোঁয়ার মত এই নগর। অশ্বের খুড়ের শব্দ পেয়ে গ্রামের প্রধান বেরিয়ে এলেন, সঙ্গে আরও দুজন প্রবীণ। গৌড়ের এই শেষাংশে ইদানীং সৈন্যের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। গ্রামের প্রধানকে দেখতে পেয়ে অশ্বারোহীরা থামলেন। কোন ভণিতা না করে সরাসরি প্রশ্ন করলেন,"কর্ণসুবর্ণ থেকে রাজ্যের কুলপুরোহিত এবং মহা-সামন্ত ইন্দ্রগুপ্ত মহাশয় পলায়ন করেছেন। তাদের কি তোমরা দেখেছ বা আশ্রয় দিয়েছ?"

"আজ্ঞে না হুজুর, আমরা তো এই ব্যাপারে কিছুই জানি না!" বিনীতভাবে প্রবীণ প্রধান জানালেন।

"আমরা খুঁজে দেখব," বলে সম্মতির অপেক্ষা না করেই এক-একটি গৃহের দিকে এগিয়ে গেলেন তারা। মুহূর্তের মধ্যে গ্রামের প্রত্যেকটি গৃহে পিলপিল করে ঢুকতে শুরু করল সৈন্যরা। লোকজনকে বের করে দিয়ে, চুলচেরা তল্লাশি চালায় বেশ খানিকক্ষণ। প্রায় ৩০ টি গৃহে তল্লাশি চালানোর পর, সৈন্য-প্রধান বললেন,"এখন চলে গেলেও আবার ফিরে আসতে পারি। তোমাদের গ্রামে ইতিমধ্যে যদি এই দুই ব্যক্তি আসে, তবে তোমরা অবিলম্বে তাদের কানসোনায় আমাদের হাতে তুলে দেবে। এমনটাই রাজার আদেশ," এই কথা বলে তারা যে রাস্তায় দিয়ে এসেছিল সে রাস্তায় ধুলো উড়িয়ে রওনা দিল। তাদের প্রস্থান পর্বের পর গ্রামের প্রধান আর এক প্রবীণের উদ্দেশে বললেন, "মাধুকর, আচার্য মশাইকে জানাতে হবে, তাদের এই স্থানে থাকা আর নিরাপদ নয়। তাদের গুপ্তপথে যাত্রার ব্যবস্থা করা হোক। মহাপদ্মিনিকে খবর দিন।"

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার মহোৎসব। জ্যোৎস্নার আলো প্রতিফলিত হচ্ছে গঙ্গার স্বচ্ছ জলে। আজকের দিনে এই নিষিদ্ধ পল্লীতে কেউ বড় একটা আসে না। প্রায় শেষ প্রহরে বটবৃক্ষের পিছন থেকে একটি কালো ছায়ামূর্তির আবির্ভাব হল। চারিদিক তদারক করে তিনি স্থির পায়ে এগিয়ে গেলেন বারবনিতা মহাপদ্মিনির দরজার দিকে। ঠিক তিন বার দরজায় টোকা মারার পর দরজা খুললেন মহাপদ্মিনি । মখমলের আবরণে ঢাকা এই সুন্দরী আজ দেহে কোন অলঙ্কার নেই। "প্রণাম আচার্য, কক্ষ তৈরি আছে। সকলে উপস্থিত," বললেন মহাপদ্মিনি। মহাপদ্মিনির মায়া উদ্যানটি পেরিয়ে একটি ছোট কক্ষে প্রবেশ করলেন আচার্য। আজ ন'জন উপস্থিত হয়েছে। প্রত্যেকের মুখ কাল কাপড়ে ঢাকা। বসার জন্য ন'টি মোড়া এবং চার দিকে চারটি পিদিম। আচার্যের প্রবেশের সঙ্গে-সঙ্গে ন'জন উঠে দাড়িয়ে তাকে অভিবাদন করলেন। আচার্য হাত তুলে সবাইকে নিজ স্থান দখল করার ইঙ্গিত দিলেন।

"ব্রম্মদত্ত আমরা কি প্রস্তুত?" আচার্য জিজ্ঞাসা করেন।

"অবশ্যই আচার্য। তবে আপনি সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করতে বলেছিলেন। আমার ধারনা রাজা ভাস্করবর্মা আমাদের ক'জনের পিছনে চর লাগিয়েছেন। আমরা অবশ্য তাদের নিরস্ত রেখেছি আপাতত। কিন্তু..."

উদ্বেগ মিশ্রিত স্বরে আচার্য বললেন,"আমাদের যা করার খুব শীঘ্র করতে হবে। "

# ২০১৮
গৌড়বঙ্গ এক্সপ্রেস যখন মালদা স্টেশনে ঢুকল তখন প্রায় সকাল ৭ টা। অক্টোবর মাসের শীতটা বেশ বোঝা যাচ্ছে, একটা জারকিন গায়ে দিল জয়ী। মালদায় বহুদিন বাদে এল সে। স্টেশনে সামান্য লোক কিছু এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে, দু-একটা কুলির হাঁক ও শোনা যাচ্ছে। সবে কয়েকটা চা, বিস্কুটের দোকান খুলেছে। জয়ী নিজের চোখ ডলে, কাঁধের ব্যাকপ্যাকটা সামনের একটি দোকানের বেঞ্চে রেখে চায়ের অর্ডার দিল। নিজের জিন্সের পকেট থেকে সেলফোনটা বার করে লোকাল করেসপন্ডেন্ট নুরকে ফোন করল জয়ী। অনেকক্ষণ ফোন বাজার পর, ওপারে নুর-এর গলা শোনা গেল, "হ্যালো,কে, দিদি?"

"হ্যাঁ, নুর! বলছি যে, আমি হোটেলে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে ৯টা নাগাদ ইন্টারভিউটা করব। তুমি ৮.৩০ এ চলে এস," চা-এ চুমুক দিয়ে বলল জয়ী।

"দিদি, ইয়ে,আপনি খবরটা শোনেননি না?" একটু শঙ্কিত স্বরে জিজ্ঞেস করল সে।

"কি খবর?"

"দুর্গামোহনবাবু আজ সকালে খুন হয়েছেন। ওই ৫.৩০ নাগাদ বাড়ির কাজের লোক আবিষ্কার করে। বাড়ি সিল্ড, বিস্তর পুলিশ আর প্রেস। কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। আপনি হোটেলে যান, আমি আসছি," নুর জানাল।

"সে কি! আমি তো কিছুই....আচ্ছা ...তুমি বরং হোটেলেই এস," বলে ফোনটা কাটল জয়ী। কি সাংঘাতিক! শকিং! চায়ের দাম মিটিয়ে বাইরে বেরিয়ে একটি রিক্সা নিল জয়ী। নির্ধারিত হোটেলের নাম বলতেই রিক্সা রওনা দিল। মাথা কাজ করছে না,খুন! এইরকম একজন মানুষকে কেই-বা খুন করবে! কালই ওনার সেক্রেটারি রজতবাবুর সাথে কথা হল। আজকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট হল। একটি নিউজ চ্যানেলের অ্যাপ খুলতেই, খবরটা দেখা গেল। খুব বেশী কিছু জানা গেল না। রাস্তা বেশ ফাঁকাই। টুকটাক কিছু রিকশা আর সাইকেল দেখা যাচ্ছে। মানুষ ধীরে সুস্থে হাঁটাচলা করছে। ভোরের রেস এখনও কাটেনি শহরে। একটা কুয়াশার আস্তরণে ঢেকে রয়েছে গোটা শহরটা। কে বলবে যে এইখান থেকেই খানিক দূরত্বে হত্যার মত একটা ঘটনা ঘটে গেছে!

হোটেল পৌছাতে লাগল ১০ মিনিট। ফ্রেশ হতে আরও ১৫ মিনিট। চেক ইন করার সময়ই আর-এক কাপ চায়ের অর্ডার দিয়ে টেলিভিশন সেটটা অন করল সে। বেশ কয়েকটি জায়গায় দুর্গাবাবুর মৃত্যুর খবরটা বেরিয়েছে, তবে বিশদে একটি লোকাল চ্যানেল যা বলল, তার সারমর্ম এই যে - ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে প্রবীণ এই ঐতিহাসিকের। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আবিষ্কারক কাজের ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে জেরা করা হয়েছে। ঐতিহাসিকের নিকট স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। ঠিক তখনই জয়ীর ফোন বেজে উঠল। নুরের ফোন,"এসে গেছি ম্যাডাম, আপনি কি রেডি?"

"নীচের লবি তে বস। আমি আসছি। থানায় যাওয়া প্রয়োজন," এক নিশ্বাসে বলল জয়ী।

#
"দেখুন তো ম্যাডাম... কিছু বুঝতে পারেন কিনা..." ওসি কৈলাশ মজুমদার একটা প্ল্যাস্টিক ফ্ল্যাপ হাতে নিয়ে দেখালেন জয়ীকে।

ইংরাজ বাজার থানায় ওসির কক্ষে ডাক পড়েছিল জয়ী আর নুরের। দুর্গাবাবুর খুনের তদন্ত এই থানার অধীনে হচ্ছে জেনে জয়ী নুরকে জানায় "কেসটা সম্বন্ধে কিছু খবর যোগার কর নুর, আমাদের সংস্থার সাথে এত দিন ধরে যুক্ত ছিলেন,আমার আজ আসাও তো ওনারই জন্য। কি হল বিশদে না জেনে আমি কিছুতেই যাব না।"

নুর বলেছিল, "এখন তো বিষয়টা থানার আন্ডারে ম্যাডাম, আমার কিছু চেনা-শোনা আছে অবশ্য ...হুমম...ইংরাজ বাজার থানা...বেশ... দেখছি..."

থানার এস আই-এর সাথে বিশেষ পরিচয় ছিল নুরের। সেই সূত্রেই ওসির সাথে একটা সাক্ষাৎ এর ব্যবস্থা হয়ে গেল। থানায় গিয়ে অবশ্য প্রায় আধ ঘণ্টার অপেক্ষার পড়েই ডাক পড়ল ওসির চেম্বারে। বড়বাবুর ঘরটা বেশ বড় এবং খোলামেলা। ফাইলের স্তূপের পিছনে বড়বাবুর মোটা গোঁফটা বেশ ফুটে উঠছে। ভদ্রলোক একটি ফাইল দেখছিলেন,মাথা না তুলেই হাতের ইশারায় বসতে বললেন জয়ীদের। কোনও রকম আলাপচারিতার সুযোগ না দিয়েই জয়ীর হাতে প্লাস্টিক ফ্ল্যাপটি ধরালেন তিনি। ফ্ল্যাপের ভিতরে একটি ৫ ইঞ্চি x ৫ ইঞ্চির টেবিল ক্যালেন্ডার, খুব সাধারণ মানের। 'শিবা ক্যাটারার্স' নামে কোন ব্যবসায়ী সংস্থার নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া। সংস্থার নাম ও ঠিকানার উপর মালদার কোনও এক উল্লেখযোগ্য স্থানের ছবি। পেন দিয়ে এই মাসের ৫ তারিখ মার্ক করা, এবং এক জায়গায় কয়েকটি দাগের নিশান করা। detective-story বেশ কাঁপা হাতে লেখা, মনে হল জয়ীর, "এটা কি দুর্গাবাবুর হাতের লেখা? দুর্গাবাবুর কি স্নায়ুর সমস্যা ছিল?"

উত্তরটা বড়বাবুই দিলেন, "নিশানগুলো মৃত্যুর কিছু মুহূর্ত আগে করা। সম্ভবত কিছু বলতে চেয়েছিলেন প্রফেসার সাহেব, হাতের কাছে ক্যালেন্ডার পেয়ে শেষ মুহূর্তে কিছু বোঝাতে চাইছিলেন।" এরপর জয়ীর দিকে ভ্রুকুটি করে বললেন,"ডাস দিস মিন এনিথিং টু ইউ? আপনি তো ওনার সাক্ষাৎকার নিতে আসছিলেন? তাই না?"

জয়ী এইরকম প্রশ্নের জন্য তৈরিই ছিল,"আজ্ঞে হ্যাঁ, আমাদের যে বার্ষিক সংখ্যাটি বেরোয়, তার জন্যে একটি প্রতিবেদন লেখার জন্য আমাদের ডি ডি শেরগিল স্যার ওনাকে অনুরোধ করেন। সে বিষয় ই..."

"হুম," বলে নীচে রাখা একটি কাগজ বের করে নিজের গোঁফে তা দিয়ে বলতে থাকেন, "আপনি আই এস সি এইচ আর এ রিসার্চ এসোসিয়েট হিসেবে কাজ করেন। ইতিহাস নিয়ে এম ফিল করে, গত ৩ বছর ধরে কাজ করছেন, ঠিক তো?"

"হ্যাঁ" জয়ী উত্তর দেয়। তবে পাশের দিকে না তাকিয়েই তার মনে হয়, পাশে বসা নুরের অবস্থা শোচনীয়। এই রমক খুনের জেরায় জড়িয়ে পরবে, এ সে ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। "দেখুন ম্যাডাম, আপনি ইতিহাস বিশেষজ্ঞ , আর প্রফেসার সাহেবের সারা জীবনই ছিল ইতিহাস নির্ভর, তাই আমার মনে হয় এই নিশানগুলি সম্পর্কে আপনি কিছু আলোকপাত করতে পারবেন। একটি ৭০ উৰ্দ্ধ ইতিহাস-পাগল লোককে কেউ কেন এই নৃশংস হত্যা করতে পারে, এ আমার বোঝার বাইরে। বিশেষ করে বাড়ি থেকে যখন কিছুই খোয়া যায়নি।"

এক মুহূর্ত ভাবল জয়ী, সে তো সেভাবে লোকটিকে চেনেই না। তাছাড়া জীবনের শেষ মুহূর্তে সাংকেতিক ভাবে কেউ কেনই বা কিছু লিখবেন। সে বলল,"দেখুন স্যার, আমার স্যারের সাথে পরিচয় মূলত তার কাজের মাধ্যমে, সরাসরি বেসরকারি ২-১টা অনুষ্ঠানে কথাবার্তা হয়েছিল, ব্যাস। এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে ডি ডি শেরগিল সাহেব ওনাকে সরাসরি অ্যাপ্রোচ করেন। আমি এই নিরিখে ওনার সেক্রেটারির সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করি। কাজের যাবতীয় কথাবার্তা ওনার মাধ্যমেই হত। শুধু একদিন উনি আমার সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন, ঠাট্টা করে বলেছিলেন,'তোমার লেখা একটা পেপার নিয়ে বেশ কিছু অবসারভেশন আছে, তুমি এলে বলব।'"

বড়বাবু একটা বড় 'হুম' করে চেয়ারে গা এলিয়ে বললেন, "রজতবাবুর সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি। বেশ শকড মনে হল। খানিকক্ষণের মধ্যে আসবেন বললেন। বাই-দা বাই আপনার রিসার্চ এর বিষয়ের সাথে কি প্রফেসর সাহেবের গবেষণার কোন মিল ছিল কি?"

জয়ী হাল্কা হেসে বলল," স্যারের ইতিহাসের কোন অধ্যায়ে উৎসাহ ছিল না, তা বলা কঠিন। তবে ওনার বেশীরভাগ কাজ প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে, আমার মডার্ন।"

"বেশ, এই মূহুর্তে আর কিছু বলার নেই, তবে দরকার পড়লে কিন্তু ডাকব," বললেন বড়বাবু। উঠে পড়ল জয়ীরা। হঠাৎ কি মনে করে জয়ী বলল,"যদি কিছু মনে না করেন আমি আবার এভিডেন্সটা দেখতে পারি একবার, হয়তো আপনাকে কিছু সাহায্য করলেও করতে পারি।"
Next Part


All Bengali Stories    116    117    118    119    120    121    122    123    (124)     125    126   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717