Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

বোধিবৃক্ষ - পর্ব ৩

বাংলা গল্প

All Bengali Stories    124    125    126    127    128    129    (130)     131    132    133   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



বোধিবৃক্ষ - পর্ব ৩
বাংলা গল্প
লেখক - দীপ্তেশ মাজী, চেতলা রোড, কলকাতা
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প


অন্য পর্বগুলিঃ পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪   

## বোধিবৃক্ষ - পর্ব ৩
নিচের তলার রুমটার একই রকম সাইজ। এখানে কেবল দেব দেবীর মূর্তি। ওপরের রুমের সাথে এর কোনও সাদৃশ্য নেই। এই সমস্ত মূর্তির কোনও তুলনা হয় না। এখানে আছে নটরাজের মূর্তি, হংসেশ্বরী, শিব-কালীর যৌথ মূর্তি, কৃষ্ণকালির ভগ্নাবশেষ ইত্যাদি। মি.কস্তুরি বললেন, "দেখলেন শ্রীজাতবাবু, কত মূল্যবান এসব জিনিস! এখনো আপনি জিজ্ঞেস করবেন কেন আমি রাতে ঘুমাই না!" আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঘরে ঢুকলেন মেহেরুন্নিসা আল ওয়াকিস আর গ্রেগারী টেরেন্টেভ। মি.কস্তুরি আমাদের সাথে এঁদের পরিচয় করিয়ে দিলেন।

ভোর তখন সাড়ে চারটে হবে। ঘুমটা ভাঙল শ্রীজাত-র ফিসফিসানিতে। দেখলাম, ফোনে কার সাথে কথা বলছে। তারপর টেবিলের ল্যাম্প জ্বলিয়ে বলল, "একটা দারুণ খবর আছে সুজিত।"

আমি যে জিজ্ঞেস করব, কি হয়েছে, তার আগেই বাবু চাদর টেনে ঘুমিয়ে পড়ল! আমি বললাম, "এই বেলেল্লেপনা কি তোমার ঠিক হচ্ছে!"

সকালেই আকাদেমিতে উপস্থিত হলাম। মি.কস্তুরি বললেন, "দেখলেন, আমি বলেছিলাম চুরি হবেই!"

শ্রীজাত নিচের ঘরটা দেখতে ঢুকল। সিকান্দার বলল, "বাবু, হাম গরিব হুঁ সাব, সাব কো পাতা থা।"

মি.কস্তুরি বললেন, "ইডিয়ট, এক ঝাপাড় দে গা।"

শ্রীজাত ওদের থামতে বলল। সমস্ত মূর্তি আগের মতই আছে। এমনকি গ্রেগারী টেরেন্টেভের দেওয়া নেকলেস পর্যন্ত। আমি একটু অবাক হয়ে বললাম, "চুরি কি হয়েছে তাহলে?"

শ্রীজাত আমায় আঙুল দিয়ে দেখাল। আমরা দেখলাম। একেবারে পেছনের সারিতে বুদ্ধমূর্তির জায়গাটা। মনে হচ্ছে, লাফিং বুদ্ধা। শ্রীজাত বলল, "সত্যি কাল খেয়াল করিনি। ভারতীয় প্রাচীন রত্নের এত মূল্য আজও আছে!"

মনে হচ্ছে, বুদ্ধের মাথার কাছটা কেউ আংশিক কেটে নিয়েছে। গোটা আষ্টেক মূল্যবান পাথর, সূক্ষ্মতম কাজ, কাছে না গেলে বোঝাই যাবে না। শ্রীজাত-র কথায় আপাতত প্রদর্শনী বন্ধ করলেন মি.কস্তুরি। বেরোনোর সময় শ্রীজাত একবার নেকলেসটার দিকে তাকাল। তারপর বলল, "জায়গাটা একটু ঘুরে দেখব।"

সকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় পায়ের ছাপ পাওয়া মুশকিল। চুরিটা সম্ভবত রাতেই হয়েছে। মি.কস্তুরিই প্রথম জিনিসটা দেখেন। তারপরেই ফোন আসে। আমরা আসলাম সেই বিশাল শেয়াল মূর্তির কাছে। শক্ত মেরুদণ্ডী প্রাণীটি বীভৎস মুখে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝখান দিয়ে সরু রাস্তা, দু'ধারে ঝোপঝাড়, সুন্দর করে কাটা। আমি গাছে-গাছে কোকিল, শালিক, দোয়েল দেখে বললাম, "শ্রীজাত, বেশ মনোরম পরিবেশ তাই না!"

দেখলাম, ও বিশেষ পাত্তা দিল না। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলছে। সবে সামনের দিকে পা ফেলতে গেছি, "দাঁড়াও সুজিত, আর এগিয়ো না," নিচে ঝুঁকে বলল, "এটা কি?"

আমিও দেখলাম। বললাম, "মার্কিন ডলারের সাইন $-এর মাঝ বরাবর কাটা।"

শ্রীজাত আর একটা দৃশ্য দেখাল। মনে হল বেড়া টপকে কেউ যাওয়ার চেষ্টা করেছে। একেবারে ডানদিকে কাঁচের জানলার নিচটায় ঝোপঝাড় শুয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে, সদ্য কেউ এখানে এসছিল। সিকান্দারকে দেখে শ্রীজাত যা বলল, আমি বেশ অবাক হলাম, "আচ্ছা, এখানে কি কোনও ভদ্রমহিলা বা মেয়েমানুষ এসছিল?"

সিকান্দার মুখের ওপর হাত চালিয়ে বলল, "না তো..."

ঘরে এসে আমি একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে ব্যতিব্যস্ত করে দিলাম। শ্রীজাত খালি বলল, "ঐ সাতজনের ডিটেলস না পেলে আপাতত কিছুই নয়।"

#
বাইরে ফুরফুর করে হাওয়া দিচ্ছে। মনে হল কাছেই হিমশৈল বহনকারী আটলান্টিক মহাসাগর উপস্থিত হয়েছে। ওখান থেকে আসার পর থেকেই দেখছি শ্রীজাত এই ডলারকে নিয়ে পড়েছে। এপাশ-ওপাশ ঘুরিয়ে, সুতো দিয়ে ঝুলিয়ে ওজন মাপার চেষ্টা করছে। একবার নিজের মনেই বলল, "তোমায় কে কোথায় আশ্রয় নিয়েছে!"

দুপুরের দিকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের "পুতুল নাচের ইতিকথা" সবে নিয়েছি, শ্রীজাত বলল, "সুজিত এটা কি!"

দেখলাম, ম্যাগনিফাইং গ্লাসটা এক হাতে আর এক হাতে সেই ডলারটা নিয়েছে। গ্লাসে চোখ রেখেই দেখলাম, 's' এর মাথার দিকে একটা ক্ষুদ্র ছিদ্র। সেটা এতটাই ছোট যে খালি চোখে দেখা যাবে না।

পরের দিন বিকেলে শ্রীজাত আমাদের পড়াশুনার টেবিলে একটা পরিবর্তন আনল। সেখানে সাদা বোর্ড দিয়ে গোটা আষ্টেক ছবি সেঁটে, হাতে মার্কার নিয়ে বসল। বলল, "তুমি ঐ সাত জন সম্পর্কে যে বিবরণ দিয়েছিলে, সেই বিবরণ বলতে গেলে এদের সম্পর্কে খোলা পর্দা। প্রথমেই মি.লাটু। পুরকায়স্থের থেকে জানলাম লোকটার জেল রেকর্ড আছে। তাছাড়া বাদবাকি যা তুমি বলেছিলে, সব ঠিক আছে।
দ্বিতীয় হচ্ছে মোনা ভার্গভ। মালয়েশিয়ায় থাকে। তবে, ইনি আবার বিয়ে করেছেন। তিনি একজন প্রফেসর।
তৃতীয় ব্যক্তি, আফ্রিকার। চলে যাবে অসুবিধে নেই। বাকিদের সন্দেহের তালিকায় রাখলেও ক্লু পাচ্ছি না।"

আমি বললাম, "অষ্টম ব্যক্তিটি কে? কস্তুরি, নাকি গ্রেগারী?"

একটা সিগারেট ধরিয়ে শ্রীজাত বলল, "ছবি বদলাতে পারে সুজিত। একজন বিদেশি আর একজন স্বদেশীয়। চুরি সবাই করতে পারে। কিন্তু খটকা লাগছে, মি.কস্তুরি বেছে-বেছে এই সাতজনের নাম নথিভুক্ত করলেন কেন?"

#
গড়িয়াহাটের কাছে একটা সাদা আর ব্রাইট ইয়োলো ফ্ল্যাট। ভেতরটাও যেন রাজ-রানিদের প্রাসাদ। ঝুল বারান্দায় খাওয়ার আয়োজন করেছেন মেহেরুন্নিসা। আমাদের বললেন, "'আপনি' ছেড়ে আপনারা 'মেহের' নামটাই বলতে পারেন।"

শ্রীজাত অমনি বলে বসল, "কিছু মনে করবেন না, আপনি কি আপনার মা-কে খুব ভালোবাসতেন?"

মেহের কেমন যেন "থ" হয়ে গেল। তারপর মাথা নিচু করে বলল, "আপনি ঠিকই ধরেছেন। মা ঐ নামটাই পছন্দ করতেন।"

আমি আর মি. কস্তুরি পরস্পরের দিকে তাকিয়ে রইলাম। মি.কস্তুরিরই আমদের মেহেরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন।

মেহেরের মা ছিলেন বাঙালি। বাবা ইজিপ্টে কর্মরত। সব মিলিয়ে মেয়েটা তিন-চারটে ভাষা জানে। আমরা দুজনেই এই নিমন্ত্রণটা ইচ্ছে করেই নিয়েছিলাম। শ্রীজাত বলল, "এই সুযোগে ওনার সাথে আমাদের পরিচয় তো হয়ে যাবে।... "

আমরা তিনজনে খেলাম মাটন বিরিয়ানি, কিন্তু মেহের সাদা নিরামিষ পোলাও। মা মারা যাওয়ার পর থেকেই ওনার এই অবস্থা। মডেলিং ছেড়ে দিয়েছেন। একটা নতুন তথ্য দিলেন। উনি এখন আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে জড়িত আছেন। কথায়-কথায় উনি এটাও বললেন, "আমার ঠিক এসব জমজমাট ভালো লাগে না।"

বাড়ি ফিরে শ্রীজাত যেটা করল তা দেখে আমার বেশ ভালোই লাগল। বোর্ড থেকে মেহেরের ছবিটা সরিয়ে দিল। বলল, এবার তো নিশ্চয়ই কস্তুরিকে তুমি গ্রহণ করতেই পারো সুজিত।

আমি বললাম, "যা ইচ্ছে করো।"

#
গোটা দশেক ছাত্র-ছাত্রীকে আমি পড়াই। এর মধ্যে একটি মেয়ে হল সুনীতা। মেয়েটা বিহারি। ওর বাবা বলে গেছেন, ওর উপর বিশেষভাবে নজর দিতে। বেলা তখন আড়াইটে। হঠাৎ দেখি, দরজায় শ্রীজাত দাঁড়িয়ে। আসলে পুরকায়স্থ ফোনে কি একটা ফুটেজের কথা বলছিলেন। সেটার জন্যই ও এসেছিল। ঘরে ঢুকে ও সুনীতিকে জিজ্ঞাস করল, "আচ্ছা, এইরকম কানের দুল কোথায় পাওয়া যায়?"

দেখলাম সুনীতির কানের দুলটা ভারতীয় মুদ্রার স্টাইলে। সুনীতির হাতে ও ডলার সাইনের জিনিসটা দিল। সুনীতি নেড়েচেড়ে দেখে বলল, "আমার কাকা সুইজারল্যান্ড থেকে এই দুলটা এনেছে। তবে ওটা তো কানের নয় শ্রীজাত দা..." শ্রীজাত আর আমি পরস্পরের দিকে তাকালাম।

সুনীতি বলল, "ওটা। নাকের। দেখছো না হোলটা ছোটো একেবারে।"

আজ মঙ্গলবার। আমাদের সিঙ্গারা খাওয়ার তারিখ। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখলাম একটা আস্ত ঠোঙা নিয়ে শ্রীজাত হাজির হয়েছে। নগেনকে ফরমায়েশ দেওয়ার পর আমাকে বলল, "সুজিত একটু বিলম্ব হলেও মিস বোধ হয় হয়নি।"

আমি বললাম, "মিস হলে দেখতে, এ তল্লাটে আর থাকা হত না তোমার।"

চা সিঙ্গারা ডুবে থাকতে-থাকতে ভুলেই গেছিলাম, মনে পড়তেই জিজ্ঞেস করলাম, "আচ্ছা, ফুটেজ কি বলছে?"

"সিসিটিভিতে দেখলাম আকাদেমির সামনে সিকান্দার বেশ কিছুদিন ধরে একজন বৃদ্ধার সাথে প্রেমালাপ সারছেন।"

বললাম, "হেঁয়ালি করিস না। পরিষ্কার করে কাশ তো!"

ও বলল, "ফুটেজে ওটা সিকান্দার বুঝেছি। বৃদ্ধার হাঁটার ধরন দেখেছি। সকাল-সন্ধ্যে, সময়ের ঠিক নেই। কিন্তু আসতেন নিয়মিত। আচ্ছা সুজিত, এই মি.কস্তুরিকে তোমার কেমন মনে হল?"

আমি বললাম, "বড়লোকি হালচাল, তবে সন্দেহের তীর বেশ বড়।"

"হুম, তবে এরা কেন নিজেদের লোকাচ্ছে!? কস্তুরিও কেন এমন আচরণ করে বিব্রত করছে?"

ছবিগুলোর সামনে গিয়ে ও টেরেন্টেভের ছবিটা সরিয়ে দিল এবং এরপর চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। এই দু চারদিন এমনিতেই আমাদের ঘুম হচ্ছে না। শ্রীজাত রাত জেগে ল্যাপটপ নিয়ে দারুণ খানা তল্লাশি চালাচ্ছে। আমিও গল্পের বইয়ে ডুবে আছি। সেদিন সাড়ে ছ"টার সময় পুরকায়স্থ ফোনে বললেন, "এই শ্রীজাত, নিবৃত্তি কুমারী অসুস্থ। তুমি একটু নার্সিং হোমে আসবে? যে সাতজনের নাম বলেছিলে তারাও আসছে।"

আমরা তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে দেখলাম, মেলার হাট। আমরা থার্ড ফ্লোরে পৌঁছালাম। সেখানে মেহের, মোনা কিরাণ ভার্গব, আর প্রেরণা ভট্টাচাৰ্য্য ছিলেন। আমাদের দেখে ওরা বেশ অবাক হলেন। পুরকায়স্থ আড়ালে এনে বললেন, "এদের কাছে নাকি পরশু রাতে একইরকম থ্রেট কল গেছে। আর আজই নিবৃত্তির শরীর বিগড়েছে। আমার তো মনে হচ্ছে এইই।"

মি.কস্তুরি কাছেই ছিলেন। উনিও সায় দিলেন কথাটায়। শ্রীজাত ওনার দিকে না তাকিয়েই বলল, "আচ্ছা দেখছি।"

শ্রীজাত কিছু না বলে হালকা একটা অনুসন্ধান চালিয়ে নিল। আমিও সরে পড়লাম। পাশের একটা বেঞ্চি দখল করলাম। শ্রীজাত একে-একে সবার কাছেই গেল। এদের মধ্যে মোনা কিরাণ একটু উত্তেজিত হয়ে বললেন, "হোয়াট ননসেন্স আর দিস! আপনার কি মনে হয় চুরিটা আমি করেছি?"

মেহেরকে দু"একটা প্রশ্ন করল শ্রীজাত। ও মাথা নাড়িয়ে বলল, কিছুই জানে না এবিষয়ে। প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর হলে যে কতরকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা আজ জানলাম। শ্রীজাত প্রায় বিনতির স্বরেই সবাইকে প্রশ্ন করছে।। তবে আমি জানি, এদের মধ্যে যদি কেউ হত তাহলে শ্রীজাত দাঁড়িয়ে পড়ত। অন্তত আমার দিকে একবার চেয়ে দেখত। কথার জালে ফাঁসানো হয়তো তখুনি শুরু হয়ে যেত। ঠিক তখনই ঘটল সেই অবাক কাণ্ড। মি.কস্তুরিকে কি একটা বলায় উনি প্রায় তেড়ে এলেন শ্রীজাতের দিকে। আমি বেঞ্চ ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। শ্রীজাত একবার আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপল। নার্সিং হোম থেকে বেড়িয়ে ও বলল, "একটা ট্যাক্সি ডাকো সুজিত। আজ বোধ হয় কিছুই বলতে পারব না। ইট পাথর সিমেন্ট জমে গেছে মনের কিনারায়।"

ট্যাক্সিতে করে যাওয়ার সময় কোনও কথা হল না। বাড়ি গিয়েও আমরা যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে রইলাম। ঝুল বারান্দায় সিগারেট টানতে লাগল শ্রীজাত। একবার এদিকে এসে বলল, "কয়েকটা ফোন করো তো সুজিত। বলবে, ইনভেস্টিগেশনের জন্য যাব। ইন্সপেক্টর পুরকায়স্থের মদত লাগবে।"
Next Part


All Bengali Stories    124    125    126    127    128    129    (130)     131    132    133   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717