Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

হলুদ বাগানে ভ্রমরের ভারত নাট্যম - পর্ব ২

বাংলা গল্প

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



All Bengali Stories    154    155    156    157    (158)     159   

হলুদ বাগানে ভ্রমরের ভারত নাট্যম - পর্ব ২
লেখিকা - মাধুরী লোধ, বিলোনিয়া , দক্ষিণ ত্রিপুরা


## হলুদ বাগানে ভ্রমরের ভারত নাট্যম - পর্ব ২

লেখিকা - মাধুরী লোধ, বিলোনিয়া , দক্ষিণ ত্রিপুরা

#
হলুদ বাগানে মৌমাছি বা প্রজাপতি উড়তে কোনদিন দেখেনি বসন্ত রায়। আসতো কালো ভ্রমর। ভ্যোঁ-ভ্যোঁ- করে ঘুরতো বাগানময়। পাশে সোনাল গার সাজনা গাছে আসতো হলুদ পাখি। হলুদ পাখি 'ইষ্টি-কুটুম' ডাকলেই সৈবতী চেঁচিয়ে বলতো, "আরও জোরে ডাক কুটুম পাখি, অতিথিরা আসুক। আজ পাতুরি করেছি বোয়াল মাছের। যে খাবে সে বলবে — রান্নার হাত নয়, অন্নপূর্ণার হাত; যত দেবে ততই খাবো।"

বসন্ত দাদু বলতেন, "পাগলী, অতিথি না এসে যদি ডাকাত আশে, তখন কি হবে?"

ক্ষেপে কপট রাগ দেখিয়ে সৈবতী বলতো, "ডাকাত এলে কচু পাবে, হলুদের মুড়া পাবে। সোনা-দানা তো নেই, লতাপাতা নিয়ে কি করবে শুনি?"

বসন্ত রায় বলতো, "ডাকাত যদি আমার বৌকে ডাকাতি করতে চায়, কি হবে শুনি?"

সৈবতী চেঁচিয়ে বলতো, "গরম ফেন মারবো মুখে। ঝাড়ু মারবো, পিছা মারবো কপালে," এই বলে খিল-খিল করে হাসতে-হাসতে ছুটে যেত হলুদ বাগানে, তেঁতুল গাছের নীচে বা আমড়া গাছের আড়ালে।

বসন্ত রায়ও রোমান্টিক। গামছা বিছিয়ে সটান শুয়ে যেতেন। বলতেন, "পিঠ চুলকে দাও।"

সৈবতী কপট রাগ দেখিয়ে বলতো, "বুড়ো কালে ভীমরতি, দিন দুপুরে নষ্টামি —"

বসন্ত রায় উঠে বসতেন। বলতেন, "ঠিক আছে, তাহলে এক-ছিলিম তামাক খাবো, কলকে সাজিয়ে দাও।"

সৈবতী কলকে সাজাতে বাড়ি চলে যেতো। এর মধ্যেই ছেলেমেয়েরা ইস্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এলে ছেলেমেয়েদের হাতে কলকে ধরিয়ে দিয়ে সৈবতী লেগে যেতো মাটির দেয়াল লেপার কাজে, নয়তো কাঁথা সেলাইয়ের কাজে। বসন্ত দাদু হা- পিত্যোশ করতেন আর দেখতেন এক জোড়া কালো ভ্রমর উড়ছে সারা হলুদ বাগানে। তাল-লয়-ছন্দে ভ্রমরের ছুটাছুটি দেখে মুগ্ধ হয়ে ঘুমিয়ে যেতেন গাছের ছায়ায়।

একজোড়া কালো ভ্রমর নাচতো সারা বাগানে। বিচিত্র শব্দ ছড়িয়ে যেত চারপাশে। বসন্ত রায় আগাছা বাছতেন, সারিতে মাটি তুলে দিত সৈবতী। তিন ছেলেমেয়ে বাগানে থাকলে কোলাহলে ভরে যেত চারদিক। ভ্রমর ধরে দেবার বায়না করতো ছেলেমেয়েরা। মেয়ে বলতো 'কালো পোকা'। সৈবতী বলতো, "পোকা বলিস না, ওরা পরী। বেড়াতে এসেছে ছদ্মবেশে।" ছেলে বলতো, "ধরে দাও, বোতলে রাখবো।" সৈবতী বলতো, "ওরা তো ক্ষতি করছে না, বেশি ক্ষেপালে কামড়ে দেবে।" মেয়ে বলতো, "ওরা ছুটা-ছুটি করছে কেন?" সৈবতী বলতো, "ছুটছে না, নাচছে।" ছেলে বলতো, "এই নাচের নাম কী?" সৈবতী মুখ ফসকে বলে, "ভারত নাট্যম।"

ভারত নাট্যম কেমন নাচ, এ প্রশ্নের উত্তর সৈবতীর জানা নেই, তবুও ছেলেমেয়ের প্রশ্নের উত্তরে আংশিক শুনা কথা দিয়ে ওদের সন্তুষ্ট রাখে সৈবতী। ভারত নাট্যম, কথাকলি, কত্থক, মনিপুরী, কুচিপুরী, রবীন্দ্র নৃত্য নাচে মানুষ; কিন্তু কোন নাচের কি ভঙ্গি জানে না সে। ছেলেমেয়েদের হাজার প্রশ্নের ধার-ভার নিতে গিয়ে মাঝে-মাঝে ক্লান্ত হয়ে যায় সৈবতী, তবুও তাকে কাজে ছুটতে হয়, আয় বাড়াবার জন্য করতে হয় অক্লান্ত পরিশ্রম। স্বামীর পাশে থেকে ক্ষেত-কৃষি, ব্যবসার মাধ্যমে সচ্ছলতার জন্য অধ্যবসায়, বীজ লাগানো, কুয়ো থেকে জল তোলা, সন্তান পরিচর্যা, সুখী গৃহ কোনে এ দম্পতির জীবন বাঁধা ছক ভ্রমরের জোড় বেঁধে নৃত্যের মত।

মধুকরের ঝাঁক আশে আম-মুকুলে, সরিষা ফুলে, প্রজাপতি উড়ে কলাবতী, নয়তো গ্যাঁদা, গোলাপ, গন্ধরাজের চারপাশে। সৈবতীকে একদিন প্রশ্ন করেছিল বসন্ত রায়, "আদা, হলুদ ফুলে প্রজাপতি আসে না কেন?"

সৈবতী চমক খেয়ে বলেছিল, "হলুদের গন্ধে বোধ হয় ওদের মাথা ধরে।"

বসন্ত রায় বলেছিল, "হলুদে মানুষের রোগ, ব্যাধি সারে, মাথা তো ধরে না!!"

সৈবতী বলেছিল, "গাছ-গাছড়ার গুণ-নির্গুণ নিয়ে মাথা ঘামিয়ো না। হলুদ বেঁচে আমাদের আয় হয়। ভাবো কিভাবে আয় বাড়বে।"

স্ত্রীর কথায় উৎসাহিত বসন্ত রায় বলে, "পূব টিলায়ও হলুদ লাগাবো। বাজারে হলুদের চাহিদা আছে। জায়গা খালি থাকলে বন-জঙ্গল হয়। আদা, হলুদ, বার্লি সব লাগাবো।"

ভাবা মাত্রই শুরু হয় কাজ। কাঁটা, কুচি, দুরকি বন সাফ। রিফিউজি, ছাগলে-লতা, লজ্জাবতীর শিকড়-বাকড় উঠে যায়। দা, খন্তা, নিড়ানি, কোদাল, শাবল দিয়ে স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ। শুকনো গোবর, পাতা পোড়া ছাই, শুকনো খড় আর বালতি-বালতি জল। ছিটিয়ে দেওয়া হয় ডাঁটার বীচি, ঢেঁড়স। বৃষ্টির জল পড়তেই দেখা যায় চারার আলপনা। দু'পাতায় ভর দিয়ে দাঁড়ানো হলুদ কাণ্ডগুলো জন্ম দেয় অনেকগুলো কাণ্ডের। পরিপূর্ণ টিলা হয়ে যায় হলুদ বাগান। বসন্ত রায়ের আয়ের উৎস, এ বাগান নৃত্য করে কালো ভ্রমর, সৈবতীর কথায় হলুদ বাগানে ভ্রমরের ভারত নাট্যম।

বসন্ত রায় ঠাকুর্মা, দাদু, দিদিমা বা বাবা-মা'র শ্মশান যাত্রার সঙ্গী ছিলেন। বহু আত্মীয়-স্বজনের শেষ যাত্রায় পারলৌকিক কাজে সাহায্য করেছেন। পর-পর মৃত্যু শোক হৃদয়ে নিয়েও বেঁচে আছেন, কাজ করছেন। দিন যাপন করছেন ছেলে, বৌমা, মেয়ে, জামাই, নাতি, নাতনি এবং আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে। কিন্তু সৈবতীর মৃত্যুশোক তার কাছে আচমকা ঝড় তুফানে বটবৃক্ষের ডালপালা ভেঙ্গে তাকে আধমরা রাখবার মতো। সৈবতী ছিল রাতদিনের কথা বলার সঙ্গী, কাজে সাহায্য-কারিণী আর বুদ্ধির ঝুলি। নানা ভুল কাজ ধরিয়ে দিত। মাঝে-মাঝে সমস্যার সমাধান করতো যেন মন্ত্রী বা আমলার চেয়ারে সে বসে আছে।

কাজ না থাকলেও বসন্ত রায় ঘুর-ঘুর করতেন হলুদ বাগানে। পাতায় হাত বুলান, গন্ধ শোঁকেন আর তাড়িয়ে-তাড়িয়ে দেখেন একজোড়া ভ্রমরের দৌড়ঝাঁপ। সৈবতী বলতো 'পোকা নয়, পরী।' কোন পরী? লাল, না নীল, না অশরীরী আত্মা ঘুরছে বাগানময়, বলতে চাইছে কিছু আকার ইঙ্গিতে। বসন্ত রায়েরও প্রশ্ন, "মৃত্যুর পর মানুষ কোথায় যায়?"

সৈবতী বলতো, "পরলোকে যায়।"

পরলোক কোথায় দেখেনি কেউ; সৈবতীও না। সে বলতো, "শরীর নষ্ট হলেও আত্মা থেকে যায় কাছের মানুষদের সাথে। পরিবারে লোকদের আপদ-বিপদে। বসন্ত রায়ের মনে হয় সৈবতীর কথাই ঠিক, নইলে বৃদ্ধ বয়সে এত শোক পাবার পর বদ্ধ উন্মাদ, অর্ধমৃত না হয়ে নিজে কি করে কাজ করছেন? নিশ্চয়ই পূর্বপুরুষেরা আড়ালে থেকে পথ দেখাচ্ছেন, বেঁচে থাকতে হলে কাজে থাকতে হবে। বসন্ত রায় ভাবেন, সৈবতী কি তার বাবা মা, দাদু, ঠাম্মা, শ্বশুর শাশুড়ি বা পূর্বপুরুষদের সাথে আছে? কেমন আছে তাঁরা অমৃতলোকে? নিশ্চয়ই ভাল আছে! আবার ভাবে, পরপারে নয়, এ পাড়েই আছে সবাই, আমাদের চারপাশের চেনা অলি-গলিতে। আছে বই-খাতা, কলম-কালিতে, আছে নাঙ্গল-জুয়াল, চাষ-বাস, মাঠ-প্রান্তর, পথ ঘাট, বাড়ির আনাচে-কানাচে, আছে নাচ, গান, নাটক, ছবিকরের রং তুলিতে, নয়তো ক্যামেরার ছোট্ট বোতলে। হাসছেন, কাঁদছেন, সুখ-দুঃখে, বিপদ-আপদে, সম্পদে। ছেড়ে গেছেন দেহের কোটর, বদলে গেছে চেনা পৃথিবী রেখে গেছেন কাজের তাড়া, তারপরও রেখে গেছেন মায়া, আদর্শ সৎ কর্ম আর সৎ পথে চলার নির্দেশ।

বয়ে যাচ্ছে সময়ের স্রোত, ভুলিয়ে দিচ্ছে হারাবার শোক, স্মৃতির আলপথে ফুটছে ফুল সবার জন্য পূর্বজদের তরফে। বসন্ত রায় স্বাগত বলেন, "ভাল থেকো কল্পলোকে একসাথে। সেখানেও থাকুক সৃষ্টির বাগান, সে বাগানের পরিচর্যা হোক আরও অমৃতপথযাত্রীর জন্য, শ্রদ্ধায় বিনম্রতায় মালা - তোড়া অমর থাকুক আমাদের হৃদয় বাগানে।"

#
দাদুকে ঠেলা দেয় অন্তরা, "মা ডাকছে, খেতে চলো..."

বসন্ত দাদু বলেন, "হলুদ ফুল দিয়ে তোড়া বানিয়ে তোর ঠাম্মার মঠে দিয়ে আয়।"

অন্তরা বলে, "আমি গোলাপ ফুল দেব, তুমি হলুদ ফুল দাও; এখন চলো খাবো..."

বসন্ত দাদু বলেন, "দু'দিন পরে তো চলে যাবি, তখন আমার কি হবে শুনি?"

অন্তরা: মা, বাবা, পিসীরা তোমায় দেখবে। শোন দাদু, বেশি খোকামি করো না। খাবে, বেড়াবে, বিশ্রাম নেবে; বাগান, জমি, আয় উন্নতি নিয়ে তুমি আর মাথা ঘামিয়ো না। বুঝেছো?

বসন্ত রায় হেসে বলেন, "ঠিক তোর ঠাম্মাও এমন বলতো। তুই ঠাম্মার ধাত পেয়েছিস। আজ কি রান্না করলো তোর মা?"

অন্তরা: হলুদ ডিগ দিয়ে গুড়া মাছ। দাদু, এক প্যাকেট কাঁচা হলুদ আমায় দিও, ম্যাক-আপ-এ লাগাবো।

বসন্ত রায় মুচকি হাসেন, "এ যে সৈবতীর কার্বন কপি।"

রবার বাগান গিলে খেয়েছে হলুদ বাগানের চারপাশ। বসন্ত রায়ের একান্ত অনুরোধে ছেলে শ্যামলাল এক ফালি জায়গা ছেড়ে রেখেছে বাবার শখের জন্য। বৌমা অপর্ণা মাঝে-মাঝে খোঁটা দিয়ে বলে, "হলুদ বেচে ডাক্তারের ফিস বা ঔষধের দাম হয় না। বাজার ছেয়ে গেছে প্যাকেট হলুদে, বাজারে কাঁচা হলুদের তেমন চাহিদা নেই। সে তুলনায় রবার হচ্ছে তরল সোনা। প্রতিদিন হয় আয়।"

বসন্ত রায় বৌমার কথায় জেরা না করে বলেছিলেন, "রবার বাগানে পরিবেশ দূষিত হয়। বৃষ্টি আটকে যায়, গ্যাসে মানুষের কঠিন রোগ হয়, মশার বাড়িঘর আর রাজত্ব জাঁকিয়ে বসে।"

বৌমা অপর্ণা শ্বশুরের মুখে মুখ করেনি, তবে সন্তুষ্টও হয় নি। বসন্ত রায় বলেছিলেন, "শ্বাস নেবার জন্য মুক্ত বায়ু প্রয়োজন বৌমা। হলুদের বাগানে গেলে বুঝবে।"

হলুদ বাগানে কাঁচা-লঙ্কা, ঢেঁড়স, মিষ্টি-কোমর বা মিষ্টি আলুর লতা লাগিয়েছেন বসন্ত রায়। বিক্রি না হোক খাওয়া চলছে। অপর্ণা বলেছিল, "টাকা থাকলে শাক-সবজির অভাব থাকে না। যুগের সাথে ধরনও পাল্টাতে হয়।"

ছেলে শ্যামলাল বাবা, স্ত্রী দু'জনের মাঝখানে বাবার পক্ষ নিয়ে বলে, "হলুদ পাতার মাছ পাতুরি করে বাবাকে দিও। অনেক বছর খাই নি।" অপর্ণা আর কোনোদিন খোঁটা দেয় নি বসন্ত রায়কে।

এ বাড়ির মেয়ে গীতা, সবিতা বেড়াতে এলেই সরগরম হয় বাড়ি। হলুদ ফুলের পিটুলি বড়া, পাতুরি নয়তো হলুদের ডিগ তরকারীতে ফেলে সুগন্ধি রান্না। কাঁচা হলুদ আর নিমপাতা বেটে ওরা ছেলেমেয়েদের গায়ে মাখে, মাঝে-মাঝে গুড় দিয়ে খায়, নয়তো হলুদের গুড়া গরম ভাত দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ায়। অন্তরা বড় হয়, বায়না ধরে হলুদ ফুলে পুতুলের বিয়ের ঘর সাজাতে। অপর্ণা হলুদ চন্দন বেটে মুখে প্যাক লাগায়। নিত্য কাজে লাগে বলে হলুদ বাগান উপড়ে ফেলে রবার গাছ লাগাবার পরিকল্পনা চাপা পরে যায়।

অন্তরা ছুটিতে বাড়িতে আশে। আজো সে দোলনায় বসে দোল খায় হাল্কা হিমের ছোঁয়া বাতাসে। ঝাঁক বেধে টিয়া ছুটছে ভিন দেশে, ডাকছে কুটুম পাখি। সত্তর ছুঁই-ছুঁই বসন্ত রায় কোদাল চালিয়ে তুলছেন হলুদের কাণ্ড, বেছে রাখছেন বস্তায়; একটু পরে হাঁক-ডাক করেন অন্তরাকে জল, চা, তামাক নয়তো কাজে সাহায্যের জন্য। অন্তরা বলে, "আমি পারবো না, তোমার জন্য আর একটা ঠাকুর্মা নিয়ে এসো।"

বসন্ত রায় ঠা-ঠা করে হাসেন, যেন গাছের দোল। দুলছে সোনালের ঝুল, দুলছে বাবুই বাসা, সজনের ডাল। অন্তরা থতমত খায়। কৌতূহলী হয় মানে জানতে। বসন্ত রায় বলেন, "যার জিনিষ তিনিই সামলে রাখবেন। যার কাজ তিনিই করবেন, তোকে কিছুই করতে হবে না।"

চমক খায় অন্তরা, "তোমার সাথে কে কাজ করছে দাদু?"

বসন্ত দাদু হেসে বলেন, "তোর ঠাকুর্মা..."

"ঠাকুর্মা!! কই!! কোথায় ঠাকুর্মা?"

"ঐ দেখ, ঐ তো এসে কাজে লেগে গেছেন..."

অন্তরা কিছুই দেখে না। খালি দেখে একজোড়া ভ্রমর নাচছে হলুদ বাগানে প্রতিদিনের মতো। একটা কুটুম-পাখি ডাকছে প্রতিদিনের অভ্যাসে, একপাল ছাগল চড়ছে অন্যদিনের মতো, ছানা নিয়ে মুরগী নখ আঁচড়ে খুঁজছে খাবার, একটা বিড়াল গা এলিয়ে দিয়েছে কাঁঠাল ছায়ায়। অন্তরা মাথা মুণ্ড পায় না, সে জিজ্ঞাসু চোখে দাদুর দিকে তাকায়। বসন্ত রায় বলেন, "ঐ দেখ হলুদ বাগানে ভ্রমরের ভারত নাট্যম। একজন তোর ঠাকুর্মা, অন্যজন ..."

অন্তরা দেখে নিমেষেই দাদু সেরে ফেলেছে হলুদ তোলার কাজ।
( সমাপ্ত )


Next Bangla Story

All Bengali Stories    154    155    156    157    (158)     159   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717