-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে )
Result
--------------------------
শহরের স্কুল। একদিন পঞ্চম শ্রেণীর কিছু ছেলে মাঠের এক কোনে মারামারি খেলতে লাগল। তাদেরই দুই বন্ধু বিজয় আর রমেশ পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মারামারি দেখে আনন্দ উপভোগ করছিল। এমন সময় স্কুলের এক শিক্ষক, প্রণব বর্ধনের নজরে তা পড়ল। তিনি দৌড়ে সেখানে গেলেন, ছেলেদের মারামারি খেলা থেকে বিরত করলেন আর সবাইকে মাঠের মাঝেই কঠিন শাস্তি দিলেন। বিজয় আর রমেশ যদিও মারামারি করেনি, পাশ থেকে মারামারি উপভোগ করছিল তবু তিনি তাদেরকে শাস্তি দিলেন।
পরের দিনের ঘটনা। বিজয়ে বাবা বিমলেন্দ্র হম্বিতম্বি করে স্কুলে এলেন। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার। তিনি তারস্বরে হৈ-চৈ সুরু করে দিলেন আর প্রণব বর্ধনের কাছে জবাব চাইতে লাগলেন “কেন তিনি বিজয়কে শাস্তি দিলেন? বিজয় তো কোন মারামারি করেনি! তবু তিনি কেন বিজয়কে শাস্তি দিলেন?” তার হৈ-চৈ শুনে আরো অনেক ছাত্র শিক্ষক জমা হয়ে গেল। বিমলেন্দ্রের হৈ-চৈ আর থামে না। এমন সময় রমেশের বাবা রসিক ও স্কুলে এসে উপস্থিত। পেশায় তিনি রিক্সা চালক। অক্ষর জ্ঞান কিছুই নেই। তিনি ভিড় ঠেলে সবার সামনে এগিয়ে এসে প্রণব বর্ধনের পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। খুব বিনীত ভাবে বলতে লাগলেন “স্যার, আপনি গতকালকে আমার ছেলে রমেশকে জীবনের একটা খুব বড় শিক্ষা দিয়েছেন। আমি খুব খুশি। সে যদি এই শিক্ষার কথাটা মনে রাখে তবে জীবনে অনেক বিপদ থেকে মুক্তি পাবে।”
একটা অক্ষর জ্ঞান হীন, দরিদ্র মানুষের মুখে এমন কথা শুনে সবাই অবাক। বিজয়ের বাবা বিমলেন্দ্র ও অবাক। তিনি দুই পা এগিয়ে, দাঁত চিবিয়ে বললেন “সেই তখন থেকে পাগলের মত বক-বক করে যাচ্ছে কেন? আপনার আর আমার ছেলেকে বিনা কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে! কোন শিক্ষা দেওয়া হয়নি! এই কথাটা কি মাথায় ঢুকছে না?”
রমেশের বাবা রসিক, বিমলেন্দ্রের চোখে চোখ রেখে বললেন “না! আমি আপনার সাথে সহমত নই। মনে করুন আপনার খালি বাড়িতে এক চোর চুরি করতে ঢুকল। আমি একজন ভাল মানুষ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ তা দেখতে পেয়ে আপনার বাড়ির ফটকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকে চুরি করতে দেখতে লাগলাম। এমন সময় পুলিশ এলো। সেই পুলিশ আমাকে কি আদর করবে না কি সেই চোরের সাথে বেঁধে নিয়ে যাবে?”
তার এই কথা শুনে হঠাৎ ধপ করে চারিদিক শান্ত হয়ে গেল। রসিকের এই কথা বহু ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকের হৃদয়-মগজ ভেদ করে চলে গেল। রসিক আবার বলতে লাগল “খারাপ লোক এবং খারাপ কাজ থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল। আর আমি মনে করি এই কথাটা আমার ছেলে যত দিন মনে রাখবে ততদিন সে উন্নতিই করে যাবে। প্রণব স্যারের গতকালের শাস্তি আমার ছেলের জন্য এক বিশাল আশীর্বাদ। এই জন্য আমি স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।”
গর্বে, আনন্দে সব শিক্ষক আর ছাত্রী হাততালি দিয়ে বাঃ বাঃ করতে লাগল। শুধু ডাক্তারবাবু নিজের শিক্ষার গর্ব করতে না পেরে মূর্খের মত লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখলেন।
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717
All Pages
13
14
15
16
(17)
18
19
...