স্বামী বিবেকানন্দের কথা
পর্ব ৫
২৭-০৫-২০১৯ ইং
All articles
পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
পর্ব ৫
পর্ব ৬
-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে )
Result
--------------------------
◕
স্বামীজী যখন শৈশব অবস্থায় ছিলেন তখন সকলেই স্বামীজীর চেহারা দেখে খুব অবাক হতেন। কারণ উনি দেখতে ছিল হুবহু উনার পিতামহ দূর্গাচরণ দত্তের মত।
অনেকেই মনে করতেন স্বামীজীর পিতামহ, দূর্গাচরণ দত্ত বুঝি দেহত্যাগের পরে পুনরায় এ রূপে জন্মগ্রহণ করেছেন। এই কারণে অনেকেই চাইতেন ছেলের নাম হোক দূর্গাচরণ।
কিন্তু মা, ভুবনেশ্বরী দেবী ছেলের নাম রাখলেন বীরেশ্বর। সেই থেকে সবাই বীরেশ্বরকে বিলে, বিলে ডাকতে লাগলেন। বীরেশ্বর বা বিলে ডাক নাম হলেও ছেলের ভাল নাম রাখা হল নরেন্দ্রনাথ দত্ত।
কথা প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে, স্বামীজীর পিতামহ দূর্গাচরণ দত্ত ছিলেন খুব সৎ এবং আধ্যাত্মিক মানুষ। সব সময় ধর্ম-কর্ম নিয়ে থাকতেন আর সাধু সঙ্গ করতেন। যৌবন বয়সেই তিনি স্ত্রী, পুত্র এবং সংসার ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি আর কখনো সংসারে ফিরে আসেন নি।
শৈশব থেকেই বিলে অত্যন্ত চঞ্চল ছিলেন, কিন্তু খুব নিডর, সাহসী। জন্তু-জানোয়ার, ভূত-প্রেত, বকা-ঝকা কোনও কিছুকেই ভয় পেতেন না। এক রোখাও ছিলেন খুব। যা ভাবতেন, যা বলতেন, কিংবা যা ধরতেন তা করেই ছাড়তেন।
কোনও বাধাকেই মানতেন না। আর রাগ ছিল এমন যে, একবার রেগে গেলে ঘরে কোনও জিনিস আর আস্ত রাখতেন না। কোনও ভাবেই তখন উনাকে থামানো যেত না। ঐ সময় মা ভুবনেশ্বরী দেবীর কাছে একটাই উপায় থাকত;
তিনি "শিব, শিব" বলে হুড়-হুড় করে কয়েক ঘড়া জল বিলের মাথায় ঢেলে দিতেন। আর বলতেন, "এ রকম করলে শিব আর তোকে কৈলাসে যেতে দেবেন না।" ব্যাস চীৎকার, চেঁচামেচি ছেড়ে বিলে শিবের মত শান্ত হয়ে বসে পড়তেন।
মা অনেক সময় হেসে বলতেন, "শিবের কাছে অনেক প্রার্থনা করে একটি ছেলে চাইলাম, শিব নিজে না এসে একটা ভুতকে পাঠিয়ে দিলেন।"
পরবর্তী কালে স্বয়ং ভুবনেশ্বরী-দেবী স্বামীজীর পাশ্চাত্য শিষ্যদের কাছে গল্প করে বলতেন যে, "ঐ সময় বিলেকে দেখবার জন্য দুটি ঝি অষ্টপ্রহর তার সঙ্গে ঘুরত। রেগে গেলে ছেলের আর জ্ঞান থাকত না,
বাড়ীর আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিত।"
বহু বছর পরে আমরা স্বামীজীর সেই রাগের এক ঝলক দেখতে পাই, যখন বিশ্ববিজয় করে ইংল্যান্ড থেকে জাহাজে করে তিনি ভারতে ফিরছিলেন। সেই জাহাজে দু'জন পাদ্রী উনার সামনে হিন্দুধর্মের খুব নিন্দা করছিল, হিন্দুদের
খুব গালাগাল দিচ্ছিল। বহুক্ষণ সহ্য করে থাকার পর একসময় স্বামীজী এক পাদ্রীর কলার ধরে উপরে তুলে তাকে সমুদ্রে ফেলে দিতে চাইলেন। পাদ্রীটি অনেক ক্ষমা চাওয়ার পর স্বামীজী বললেন,"এবারের মত
ছেড়ে দিলাম! ফের আমার সামনে এমন কথা বলবে, ত তোমাকে সমুদ্রে ছুড়ে ফেলতে আমার এক মুহূর্ত দেরী হবে না।" মনে রাখতে হবে, সেই সময় ভারতে ইংরেজ শাসন ছিল এবং ঐ জাহাজটিতে ছিল ইংরেজদের আধিপত্য।
সেই পাদ্রীটি এর পর থেকে স্বামীজীর সামনে ভাল-মন্দ কোনও কথাই বলত না; একদম চুপ থাকত।
স্বামীজীর ভক্তিযোগ অবলম্বনে কয়েকটি কবিতা
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717
All articles
পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
পর্ব ৫
পর্ব ৬
গোয়েন্দা গল্প ও উপন্যাস:
নয়নবুধী
মাণিক্য
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য
লুকানো চিঠির রহস্য