This article is regarding the History of Tripura.
Last updated on: 21st December 2018.
◕ রাজ আমলে ত্রিপুরার হাতি শিকার পদ্ধতি
■ ত্রিপুরার ইতিহাস
( পর্ব ১২)
-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে )
Result
--------------------------
রাজ আমলে মোট তিনটি পদ্ধতিতে হাতি শিকার করা হত। যথা- খেদা, পরতালা এবং ফাঁসি।
খেদা:
সাধারণ বাংলায় খেদা কথার অর্থ হল খেদানো বা তাড়ানো। খেদিয়ে-খেদিয়ে হাতি ধরার পদ্ধতিকে বলা হত খেদা। এই পদ্ধতিতে এক সাথে প্রচুর পরিমাণ হাতি ধরা যেত, কখনো-কখনো শতাধিক হাতি। হাতিদের খেদিয়ে ধরার জন্য
ত্রিপুরায় সাতটি বিশাল ক্ষেত্র তৈরি করে রাখা হয়েছিল। এই ক্ষেত্রগুলিকে বলা হত দোয়াল। ত্রিপুরার ৭টি দোয়াল হল-
১. ধলাই দোয়াল
২. মনু দোয়াল
৩. দেও গাং দোয়াল
৪. কল্যাণপুর দোয়াল
৫. অমরসাগর দোয়াল
৬. ছাইমা দোয়াল
৭. কমল খাঁ দোয়াল
প্রধানত শীতকালেই খেদা পদ্ধতিতে হাতি শিকার করা হত। শীতকালের শুরুতে হাতি খোঁজার জন্য দুর্গম পাহাড়ে লোক পাঠানো হত। এদের বলা হত 'পাঁজালী'। এই 'পাঁজালী'রা বনে-বনে ঘুরে হাতি খুঁজত। যখন ওরা কোনও
হাতি কিংবা কোনও হাতি দলের সন্ধান পেত তখন খুব দ্রুত সেই খবর খেদা দলের সর্দারকে জানিয়ে দিত। সর্দার তখন প্রচুর লোকজন নিয়ে সেই হাতি দলটিকে ঘিরে ফেলত। এই ঘিরে ফেলার কাজটিকে বলা হত
'পাতাবের'।
পাতাবেরের কাজ সম্পূর্ণ হলে পার্শ্ববর্তী কোনও উপযুক্ত স্থানে সেই সমস্ত হাতিদের জন্য এক বিশাল খোঁয়াড় প্রস্তুত করা হত। এই খোঁয়াড় কত বিশাল আর কত মজবুত হত, তা সহজেই অনুমেয়। সেই খোঁয়াড় প্রস্তুত হয়ে গেলে
হাতিদের ভয়-ভীত করে সেই খোঁয়াড় অভিমুখে চালান করার জন্য হাতিদের চারিদিকে প্রবল শোর-গোল, পটকা ফোটানো কিংবা আগুন জ্বালানো হত। হাতিরা তখন ভয়-ভীত হয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের অজান্তেই সেই
খোঁয়াড় অভিমুখে ছুটে পালাত আর খোঁয়াড়ে বন্দী হয়ে যেত। হাতিরা বন্দী হয়ে গেলে কড়া পাহারায় তিন-চারদিন তাদের অভুক্ত, অনাহারে রাখা হত। দেখতে-দেখতে হাতিরা খুব দুর্বল হয়ে পড়ত।
তখন তাদের পিছনের পা খুব সহজেই গরু ছাগলের মত বড়-বড় গাছের সাথে বেঁধে ফেলা হত। জংলী হাতি চিরদিনের জন্য বাঁধা পড়ে যেত।
পরতালাঃ
কোনও পুরুষ হাতি যখন মদমত্ত অবস্থায় দল ছুট হয়ে কোনও কুনকী অর্থাৎ কোনও মাদা হাতির খোঁজ করতে থাকত, তখন অনুশীলন প্রাপ্ত ও বলবতী চার-পাঁচটি মাদা হাতিকে অতি চালাকির দ্বারা সেই মদমত্ত হাতিটির সামনে
ছেড়ে দেওয়া হত। মদমত্ত হাতিটি যখন তার পছন্দমত মাদা হাতিটির সাথে সঙ্গমে ব্যস্ত থাকত তখন মাহুত সাহেব অতি সহজেই সেই মদমত্ত হাতিটির পিছনের দুটি পা, শক্ত কোনও গাছের সাথে বেঁধে দিত।
ফাঁসি:
পরতালা দ্বারা যেমন পুরুষ হাতিকে ধরা হত, তেমনি 'ফাঁসি' পদ্ধতিতে সাধারণত মাদা হাতিকে ধরা হত। তবে এই পদ্ধতিতে হাতি ধরতে গিয়ে প্রায়ই নিজের পোষা হাতিটি মারা পড়ত।
এই প্রক্রিয়ায় শক্ত মোটা একটি দড়ির এক প্রান্তে পোষা হাতিটিকে বেঁধে রাখা হত, আর অপর প্রান্তটি একটি ফাঁসের মত করে বন্য হাতির গলায় কোনও ভাবে পড়িয়ে দেওয়া হত। জংলী হাতি তখন পাগল প্রায় হয়ে নিজের প্রাণ বাঁচানোর
চেষ্টা করত। এই সময়ই দুই হাতিতে প্রচণ্ড টানা হেঁচড়া চলত, প্রচণ্ড শক্তি প্রদর্শন চলত। জংলী হাতিটি কাবু হলে তার পিছনের দুই পা শক্ত গাছে সাথে বেঁধে ফেলা হত।
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717
Next Part
ত্রিপুরার ইতিহাস সম্পর্কে জানুন প্রতি শুক্রবার।
ত্রিপুরা সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য:
পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
পর্ব ৫
পর্ব ৬
পর্ব ৭
পর্ব ৮
পর্ব ৯
পর্ব ১০
পর্ব ১১