This article is regarding the History of Tripura.
Last updated on: 28th December 2018.
◕ ত্রিপুরার রাজপ্রাসাদের এক চক্রান্ত ও এক রাজার নির্মম হত্যা
■ ত্রিপুরার ইতিহাস
( পর্ব ১৩)
-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে )
Result
--------------------------
১৬৮৫ খ্রীষ্টাব্দে মহারাজ রামমাণিক্যের পুত্র রত্নদেব ত্রিপুরার সিংহাসনে বসেন। তিনি রত্নমাণিক্য নাম ধারণ করেন। উনাকে ইতিহাস দ্বিতীয় রত্নমাণিক্য নামে জানে।
কারণ উনার আগে ত্রিপুরাতে আরেক রত্নমাণিক্য ১৪৬৫ খ্রীষ্টাব্দে রাজত্ব করেছিলেন।
দ্বিতীয় রত্নমাণিক্যের আরও তিন ভাই ছিল। যথা -দুর্জয়মণি, ঘনশ্যাম আর চন্দ্রমণি।
দ্বিতীয় রত্নমাণিক্য সিংহাসন আরোহণ করেন অতি অল্প বয়সে। কিন্তু কোনও দুর্ভেদ্য কারণে অথবা কোনও বিশেষ চাপে উনি ঐ সময় তিন জন যুবরাজ নিযুক্ত করেছিলেন। যথা -
১ ম যুবরাজ - নিজ মাতুল, ভীম নারায়ণ
২ য় যুবরাজ - নিজ অনুজ, দুর্জয়মণি
৩ য় যুবরাজ - রাজ বংশজ, গৌরীচরণ
দ্বিতীয় রত্নমাণিক্য ২৯ বছর ত্রিপুরায় রাজত্ব করেছিলেন। উনি ১২৫টি বিয়ে করেছিলেন। উনার আমলেই বাংলার শাসক শায়েস্তা খাঁ ত্রিপুরা আক্রমণ করেছিলেন। এই শায়েস্তা খাঁ আর মহারাজ শিবাজীর যুদ্ধ ইতিহাস
বিখ্যাত হয়ে আছে।
ঐ সময়েই ত্রিপুরার রাজপ্রাসাদে চলছিল এক ঘোর ষড়যন্ত্র। দ্বিতীয় রত্নমাণিক্যের ভাই ঘনশ্যাম, রাজদরবারের এক মন্ত্রীর সহায়তায় সিংহাসন লাভের চক্রান্ত শুরু করেন। সর্বশেষে সেই চক্রান্ত সফল হয় এবং ঘনশ্যাম,
মহারাজ দ্বিতীয় রত্নমাণিক্যকে সিংহাসন চ্যুত করে নিজে সিংহাসনে বসেন। তিনি নাম ধারণ করেন মহেন্দ্রমাণিক্য। উনার সিংহাসন লাভের পরেও মহারাজ রত্নমাণিক্য সুস্থ, সবল দেহে জীবিত ছিলেন। কিন্তু সেই মন্ত্রীর চোখে তা
বিষের মত ঠেকছিল। তিনি নিয়মিত মহারাজ মহেন্দ্রমাণিক্যকে নিজ ভাতৃ-হত্যার জন্য কুমন্ত্রণা, কুপরামর্শ আর উস্কানি দিতে লাগলেন। শেষ মহারাজ মহেন্দ্রমাণিক্য সেই মন্ত্রীর প্ররোচনাতে সকলের সামনে
নিজ ভাই মহারাজ রত্নমাণিক্যকে নিজ হাতে নিজ তরবারি দ্বারা নৃশংস ভাবে খণ্ড-খণ্ড করে কেটে ফেলেন। কিন্তু এই নৃশংস হত্যার পরিণতি কী হয়েছিল?
মহারাজ আর কোনদিন ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারেননি। চোখ বুজলেই উনি স্বপ্নে সেই ঘটনাটি দেখতেন। তিনি দেখতেন, তিনি বড় ভাইকে খণ্ড-খণ্ড করে কেটে ফেলছেন।
কখনো দেখতেন, বড় ভাই উনাকে সেই রকম ভাবে কেটে ফেলতে উদ্ধত তরবারি হাতে দৌড়ে আসছেন। কখনো দেখতেন, সেনাপতি উনাকে কেটে ফেলতে উদ্ধত তরবারি হাতে দৌড়ে আসছেন।
প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণায় উনি আর কোনও দিন ঘুমাতে পারেন নি। অনিদ্রা-অনিদ্রায় আর চরম ভয়-ভীতিতে ক্রমে উনার স্বাস্থ্য ভাংতে থাকে। উনি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে থাকেন। কোনও ঔষধ পত্রে আর কোনও কাজ হয়েনি।
শেষে সিংহাসন লাভের মাত্র তিন বছরের মধ্যেই উনি চরম মানসিক যন্ত্রণায় মারা যান।
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717
আগামী পর্বে: ত্রিপুরার ইতিহাসের এক পরাক্রমী রাজা বিজয়মাণিক্য, যাকে সম্রাট বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
ত্রিপুরার ইতিহাস সম্পর্কে জানুন প্রতি শুক্রবার।
ত্রিপুরা সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য:
পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
পর্ব ৫
পর্ব ৬
পর্ব ৭
পর্ব ৮
পর্ব ৯
পর্ব ১০
পর্ব ১১
পর্ব ১২