Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

ত্রিপুরার ইতিহাস
( পর্ব ৭)

Tripura History

◎ All Articles On Tripura     ◎ All Other Articles



This article is regarding the History of Tripura.
Last updated on: .
উজির, নাজির, মোক্তার, সুবা কাদের বলা হত?
ত্রিপুরার ইতিহাস
( পর্ব ৭)


উজির:
-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------

প্রাচীন কালে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে উজির বলা হত। তিনি ছিলেন রাজ্যের সর্ব-কর্মাধ্যক্ষ। মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্যের সময় ছাড়া সুপ্রাচীন কাল থেকেই এই পদটি বাঙ্গালীদের একচেটিয়া ছিল।

ইতিহাস বলে যে, আদি রত্নমাণিক্য ( ১৪৬৪ খ্রীঃ), উনার আমলে কিছু বিদগ্ধ বাঙ্গালীকে গৌড় দেশ থেকে এনেছিলেন। তাদের উত্তরপুরুষরাই ধারাবাহিক ভাবে ত্রিপুরার উজির, নাজির, দেওয়ান প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি অলঙ্কৃত করে গেছেন। এমনি একজন বংশধর ছিলেন বড় খাণ্ডব ঘোষ। উনার পুত্র-পৌত্রাদি ক্রমে ৫ পুরুষ ত্রিপুরার রাজসভার উচ্চ পদগুলি অলঙ্কৃত করে গেছেন। ত্রিপুরার মহারাজারা উনাদের 'ওয়াদাদর' পদে ভূষিত করেছেন। বড় খাণ্ডব ঘোষের ৬ ষ্ঠ পুরুষে ছিলেন প্রজাপতি উজির। প্রজাপতি উজিরের পরেও সুদীর্ঘকাল এই বংশের লোকেরা ত্রিপুরার রাজসভার উজির, নাজির, দেওয়ান ও সেনাপতির পদ অলঙ্কৃত করে গেছেন।

মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্যের আমলে উজির ছিলেন জয়দেব উজির। এই জয়দেব উজিরের পরবর্তী ৩ বংশধরও ক্রমান্বয়ে ত্রিপুরার উজির পদ অলঙ্কৃত করে গেছেন।

মহারাজ রত্নমাণিক্যের আমলে যে পদটির নামকরণ করা হয়েছিল উজির, মহারাজ কৃষ্ণকিশোর মাণিক্যের আমলে সেই উজির পদটি লোপ পেয়ে হয়ে যায় 'মোক্তার'। আধুনিক মহারাজাগন এই পদটির নতুন নাম রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।

সর্ব-কর্মাধ্যক্ষ → উজির → মোক্তার → প্রধানমন্ত্রী

ত্রিপুরার কয়েকজন প্রসিদ্ধ উজির হলেন:
মধুসূদন বিশ্বাস, তিনি ছত্রমাণিক্যের শাসন কালে উজির ছিলেন।
রামধন দত্ত, তিনি মহারাজ জয়মাণিক্যের সময় উজির ছিলেন।
তাছাড়াও ছিলেন, উদয়াদিত্য নারায়ণ, সত্যজিৎ নারায়ণ, উত্তর সিংহ, কৃষ্ণজয় উজির প্রমুখ।

ত্রিপুরার কয়েকজন বিশিষ্ট প্রধানমন্ত্রীর হল:
দীনবন্ধু, ঠাকুর ধনঞ্জয়, বাবু দীনানাথ সেন, বাবু মোহিনীমোহন, উমাকান্ত দাস প্রমুখ।


নাজির:
বর্তমানে যাদের আমরা পুলিশ বলি, প্রাচীন ত্রিপুরাতে তাদের 'বিনন্দীয়া' বলা হত। অন্যভাবে বলতে গেলে, প্রাচীন ত্রিপুরাতে 'বিনন্দীয়া' নামে একপ্রকার রাজসৈন্য বা পেয়াদা ছিল যারা অনেকটা বর্তমান পুলিশের মত কাজ করত। এই 'বিনন্দীয়া' প্রধানকেই নাজির বলা হত।

ত্রিপুরার কয়েকজন বিশিষ্ট নাজির হলেন:
অভিমুন্য নাজির, জয়মঙ্গল নাজির, রাজমঙ্গল নাজির, জগবন্ধু নাজির, দীনবন্ধু নাজির, কুমুদবন্ধু নাজির প্রমুখ।


দেওয়ান:
প্রাচীনকালে ত্রিপুরার যেসব রাজকর্মচারী রাজস্ব আদায় করতেন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতেন তাদের 'সেরেস্তাদার' নামক উপাধি দেওয়া হত। এই সেরেস্তাদারদের প্রধানকেই দেওয়ান বলা হত। উনি বিশেষত সমগ্র রাজ্যের রাজস্ব এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ রাখতেন। ত্রিপুরার রাজাদের জমিদারির শাসনকার্য সাধারণত এই দেওয়ানদের উপরেই ন্যস্ত ছিল। যদিও বাঙ্গালীরাই সুদূর সুপ্রাচীন কাল থেকে এই পদটি অলংকৃত করে আসছেন তবু মাঝে-মাঝে দু'একজন ভিন্ন রকমের দেওয়ানও দেখা গেছে। যেমন:
মহারাজ কাশীচন্দ্র মাণিক্য কয়েকজন ফরাসীকে দেওয়ান পদে নিযুক্ত করেছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের নাম হল:
এফ. কোরজন, জে.পি.ওয়াইজ প্রমুখ। এই জে.পি.ওয়াইজ আবার ছিল ঢাকার একজন নামকরা কুখ্যাত নীলকুঠির অধিকারী।

ত্রিপুরার একজন প্রসিদ্ধ দেওয়ান ছিলেন রামদুলাল নন্দী। তিনি শ্যাম বিষয়ক পদাবলী রচনা করে ত্রিপুরার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন।

প্রখ্যাত ঐতিহাসিক কৈলাসচন্দ্র সিংহের মত ১৮৯৬ সালের আশে-পাশে ত্রিপুরা রাজার বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ১০ লক্ষ্য টাকা।


সুবা:
প্রাচীন কালে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান সেনাপতিকে সুবা বলা হত। রাজপরিবারের এবং রাজসম্পর্কিত ব্যক্তিদেরকেই এই পদে নিযুক্ত করা হত। আধুনিক কালে ত্রিপুরার কয়েকজন সেনাপতির নাম হল,
যোগীরাম সুবা, আছুমনি সুবা, ধনঞ্জয় সুবা, কালীকৃষ্ণ সুবা, জগমোহন সুবা, মহেশচন্দ্র সুবা প্রমুখ।

## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717
Next Part
ত্রিপুরার ইতিহাস সম্পর্কে জানুন প্রতি সোমবার ও শুক্রবার। আগের পর্বগুলিঃ
পর্ব ১     পর্ব ২     পর্ব ৩     পর্ব ৪     পর্ব ৫     পর্ব ৬