Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

লুকানো চিঠির রহস্য


ত্রিপুরার বাংলা গোয়েন্দা গল্প


All Bengali Stories    30    31    32    33    34    35    (36)     37   

-হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর - ১৩, আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম )

লুকানো চিঠির রহস্য
( ত্রিপুরার বাংলা গোয়েন্দা গল্প )
রাজবংশী সিরিজের চতুর্থ গোয়েন্দা গল্প
- হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর-১৩, আগরতলা
১২-১২-২০১৮ ইং

সমগ্র পর্বগুলি: সমগ্র পর্বগুলি

◕ লুকানো চিঠির রহস্য
পর্ব ১০

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------

চন্দ্রবালার বাড়ি থেকে বের হয়ে মিঠুনের গাড়িতে বসে রাজবংশী বলল, "বাহাদুরের অফিসে চল, অফিসের ঠিকানা নিশ্চয়ই তোর কাছে আছে?"

মিঠুন: "নিশ্চয়ই আছে, চলো।"

গাড়িতে বসতেই মিঠুনের ফোনটি বেজে উঠল। রাজবংশী মিঠুনের দিকে চেয়ে বলল, "মিঠুন! মিঠুন! তোর মোবাইল ফুল বাজছে।"

'ফুল' কথাটি শুনে ঝটকা খেয়ে হা-হা করে হেসে উঠল সবাই; সত্যি বাহাদুর খুব রসিক লোক ছিল। গাড়ি চলতে শুরু করল বাহাদুরের অফিসের দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা অভয়নগর থেকে সোজা মিলনচক্রে পৌঁছল। একটি কোম্পানির সামনে গাড়িটি থামল। সামনেই বড়-বড় অক্ষরে লেখা ''মুনমে মাইক্রো ফাইনাইন্স।'

পুলিশের গাড়ি দেখে দারোয়ান দৌড়ে এসে লোহার গেইট খুলে দিল। গাড়ি ডুকে গেল ভিতরে; অফিসের পার্কিং স্পটে। মিঠুন বেশ গম্ভীর গলায় দারোয়ানকে বলল, "কোম্পানির মালিককে ডাকো?"

দারোয়ানটি বেশ কাঁচুমাচু ভাবে বলল, "হ্যাঁ সাব, ডাকছি। আসুন, এদিকে আসুন।"

পুলিশের DSP এসেছেন, এই খবর পেয়ে কোম্পানির মালিক ব্যতিব্যস্ত হয়ে ছুটে এলেন। মালিকটি বেশ সুন্দর, হেণ্ডসাম; কোট-টাই পড়া, বেশ ফিট-ফাট, সুন্দর টিপ-টপ। তিনি এসেই হাত জোড় করে বেশ তোষামোদ করে বলতে লাগলেন, "নমস্কার স্যার, আমার নাম অনিমেষ ভাদ্র, না-মানে অনিমেষ ভদ্র। আমি এই কোম্পানির মালিক। ঠেলুন স্যার, না-মানে বলুন স্যার, আপনাদের কী সুধাই করতে পারি, না-মানে কী সুবিধা করতে পারি?"

মালিকের কথা শুনে উনার রূপ যেন কড়াৎ করে ভেঙ্গে ঝর-ঝর করে পড়ে গেল। বেশ বোঝা গেল, পুলিশ দেখে খুব ঘাবড়ে ত্রস্ত হরিণের মত উনি দিশাহারা। এত সুন্দর, এত ফিট-ফাট, এমন লোকটির যে এমন ফসকানো কথা হবে, তা অতিথিরা কেউ আন্দাজ করতে পারেনি। মনে-মনে মিঠুন বলে উঠল, "আরে এ যে দেখছি আরও বড় গোলন্দাজ!" নিজের হাসি চেপে রেখে অতি সম্ভ্রম এবং গাম্ভীর্য নিয়ে মিঠুন বলল, "আপনাদের একজন স্টাফ সম্পর্কে কিছু খোঁজ-খবর নেওয়ার ছিল।"

"হাসুন স্যার-হাসুন, না-মানে আসুন-স্যার আসুন, ভিতরে আসুন। চলুন, আমার ঠুমেতে, না-মানে আমার রুমেতে চলুন, ওখানে বসেই কথা বলি। রামু রে, বাবা আমার রুমে চা, নাস্তা পাঠিয়ে দাও তো, জলদি! জলদি!"

মিঠুন এক কনস্টেবলকে বলল, "কাজলবাবু, আপনারা বাইরেই একটু অপেক্ষা করুন। আমি ভিতর থেকে আসছি।"

কনস্টেবলটি অতি বিনয়ের সাথে বলল, "ঠিক আছে স্যার, আমারা এখানেই আছি।"

অনিমেষ ভদ্রের বিশাল কেবিন। একটি গোল টেবিলের এই পাশের চেয়ারগুলিতে খুব আরাম করে বসল রাজবংশী, মিঠুন আর সদানন্দ। আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই রামু এসে চা-নাস্তা দিয়ে গেল। ভদ্রবাবু বলতে শুরু করলেন, "বলুন স্যার কী জানতে চান?"

আসল প্রসঙ্গে না গিয়ে রাজবংশী উল্টা এক প্রশ্ন করল, "আপনাকে খুব চিন্তিত লাগছে, অনিমেষবাবু! মনে হচ্ছে খুব ঘাবড়ে গেছেন, খুব দুঃচিন্তায় আছেন! কী ব্যাপার, খুলে ঠেলুন তো, না-মানে, খুলে বলুন তো?"

রাজবংশীর মুখে নিজের কথারই প্রতিধ্বনি শুনে একটু ছেবড়-খেয়ে উঠলেন ভদ্রবাবু, বাকিদের অবস্থাও তেমত রকম। মাথা নেড়ে ভদ্রবাবু বললেন, " আরে না-না। আমার কোনও দুঃচিন্তা, ফুস-চিন্তা নেই। দুঃশ্চিন্তা থাকবে কা? ফুঁত করে পুলিশ চলে এলো তো, তাই একটু ঘাবড়ে গেছি আরকি। হামলাতে-হামলাতে, না-মানে সামলাতে-সামলাতে একটু সময় লাগছে, এই-ই যা। তবে দুশ্চিন্তার-ফুসচিন্তার অন্য কোনও ব্যাপার-স্যাপার নেই; শুধু স্টাফদের বেতন এখনো হয়নি আরকি। তাই স্টাফেরা খুব ক্ষেপে আছে, বলতে গেলে প্রায় মারমুখী। কখন যে পিঠে কিল মারে, তার ঠিক নেই। তাই -। এইতো, একটু আগেই আমাকে খুব করে তেলে-বাজনা করে গেল। ধাক্কা মেরে ফেলে বর্তা না বানিয়ে ফেলে, তাই ভাবছি!"

"অ্যাঁ! এ কী বলছেন আপনি? আশ্চর্য! এত বড় ঘটনা, আর আপনি বলছেন কোন দুশ্চিন্তা নেই?" বেশ তীক্ষ্ণ স্বরে কথাগুলি বলল মিঠুন।

"কী আর বলব বলুন স্যার, নিজেরই কোম্পানি, নিজেরই স্টাফ; এদের কথা যদি অপরের কাছে বলি তবে নিজেরই দুর্নাম, কোম্পানির দুর্নাম ছড়বে। তাই-"

"আচ্ছা, কেন এমনটা হল? কেন এখনো বেতন হয়নি? আজ তো মাসের ১৩ তারিখ।"

মাথা নাড়লেন ভদ্রবাবু, "হ্যাঁ স্যার, আপনি ঠিক কথা কছেন, আজ মাসের ১৩ তারিখ। আমাদের এখানে প্রতি-মাসের দশ তারিখেই বেতন হয়ে যায়। দশ তারিখ যদি ছুটির দিন থাকে তবে নয় তারিখেই বেতন হয়। আমার কোম্পানিতে আজ পর্যন্ত কোনও দিন বেতন দশ তারিখ পাড় করেনি। এ বারই প্রথম এমন অঘটনটা ঘটল। আর এই কারণেই স্টাফরা আমার উপর প্রচণ্ড ক্ষেপে আছে। ক্রমাগত গালা-গাল দিয়ে যাচ্ছে।" একটু থেমে ভদ্রবাবু বললেন, "ওদেরকেও আমি দোষ দিচ্ছি না; ওদের যুক্তিও ন্যায্য যুক্তি। কারণ, অর্ধেক মাস পেরিয়ে গেল, এখনো ওরা বেতন-ভাতা পেল না। এ অবস্থায় ওদের সংসারই-বা চলবে কী করে? ওরা ভাবছে আমিই ওদের বেতন আটকে রেখেছি। অথচ আসল কথা হল, আমার হাতে কিছুই নেই।"

রাজবংশী স্বাভাবিক স্বরে বলল, "ও আচ্ছা, বুঝতে পারছি। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে অথবা অন্য কোনও বিল আটকে আছে। তা, সেই সমস্যার কথা আপনার কর্মচারীদের বুঝিয়ে বললেই তো হয়; সমস্যা মিটে যায়।"

ভদ্রবাবু মাথা হেট করে বাঁকা হাসি হাসলেন। মাথা নেড়ে বললেন, "না-না, আপনি বুঝতে পারছেন না মশাই, এখানে থেকেই তো সমস্যার শুরু হয়েছে। আমার স্টাফরা জানে, আমিই এই কোম্পানির মালিক।"

অতিথিরা চমকে উঠল, "মানে! আপনার স্টাফরা জানে আপনিই এই কোম্পানির মালিক! না, ঠিক বুঝলাম না!"

ভদ্রবাবু একটু হাসলেন, তারপর ধীর-স্থির ভাবে বললেন, "হ্যাঁ, আমি এই কোম্পানির মালিক নই, সামান্য এক ভদ্রবাবু মাত্র। অন্যদের মত আমিও এই কোম্পানির এক কর্মচারী। কিন্তু সবাই জানে আমি এই কোম্পানির মালিক। আসলে, কোম্পানির মালিক হল অন্য আরেক জন। তিনি এখানে থাকেন না, তিনি থাকেন বম্বেতে। আমি কোনও দিন ওনাকে দেখিনি। বুঝতেই পারছেন, কোম্পানির ভদ্রবাবু হয়েও, আমিই যখন কোম্পানির মালিককে কোনোদিন দেখলাম না, আমার কর্মচারীরা দেখবে কীভাবে? জানি আমার কথা আপনাদের বিশ্বাস হবে না, কিন্তু এটাই ঠিক, এটাই সত্য। আমার এই ভাল চাকরী, আরামের চাকরি, মোটা মাইনের একটাই শর্ত; আমাকেই এই কোম্পানি চালাতে হবে, আর আসল মালিকের কথা সকলের কাছে গোপন রাখতে হবে। যেদিন কথা ফাঁস, সেদিনই আমার চাকরি ঠুস। এত দিন তো মালিকের মতই সকল সুযোগ সুবিধা, মান-সম্মান পেয়ে আসছি, ভোগ করছি। এখন দেখছি সব লণ্ড-ভণ্ড হয়ে যাচ্ছে, সব কিছুর খেসারত দিতে হচ্ছে। তাই প্রাণ বাঁচাতেই আজ সত্যটা আপনাদের কাছে খুলে বললাম। তবে এটা জোর গলায় ছাতি ঠুকে বলতে পারি যে, আমার কোম্পানি কোনও বে-আইনি কাজ করে না। আপনারা উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও করতে পারেন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।"

ভদ্রবাবুর কথা শুনে সবাই আকাশ থেকে পড়ল। এ কী কাণ্ড! লোকটি এ কী কথা বলছে? নিজে বাঁচতে সত্য বলছে, নাকি পিঠ বাঁচাতে নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাচ্ছে? অবাস্তব গল্প সাজিয়ে আসল ঘটনাটি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে না তো? রাজবংশী একটু কড়া সুরে বলল, "আপনি কোম্পানির মালিক নন, অথচ মালিকের আদেশে মালিক সেজে বসে আছেন, এ কী কাণ্ড? এটা কী মেনে নেওয়া যায়? আপনার কোম্পানির মালিকের নাম কী?"

কুরি-মুরি দিয়ে চাপা কণ্ঠে ফিস-ফিস করে ভদ্রবাবু বললেন, "পুলিশকে বলতে আমার কোনও অসুবিধা নেই স্যার। সরকারী কাগজে-কলমে মালিকের নাম তো ঠিকই আছে, সেখানে সব কিছু সত্যি-সত্যি দেওয়া আছে। পুলিশ আমাদের কাগজ-পত্র দেখলেই মালিকের নাম পেয়ে যাবে। কিন্তু স্যার, এই গোপন কথাটি বেড়িয়ে গেলে আমার চাকরিটি যাবে। তাই আমার প্রতি একটু দয়া রাখবেন স্যার।"

"ও নিয়ে আপনি কিছু ভাববেন না। পুলিশের কাছে প্রচুর মেকানিজম আছে এই সব জিনিসের আসল তথ্য বের করার। আপনি আপনার মালিকের নাম বলুন।"

চাপা স্বরে ভদ্রবাবু বললেন, "মিস রাখী।"

বেশ অবাক স্বরে মিঠুন বলল, "এত বড় কোম্পানির মালিক একজন মেয়ে?"

"হ্যাঁ স্যার। এই কোম্পানির মালিক একজন মেয়ে। বলতে পারেন মালকিন।"

" উনি তো মুম্বাই থাকেন। তাই ওনার সাথে আপনার দেখা হয়নি, সে কথা মানলাম, কিন্তু কথাও হয়নি কখনো?"

মুখ বেঁকিয়ে ভদ্রবাবু বললেন, "না স্যার, কখনো দেখাও হয়নি, কথাও হয়নি। চাকরির শর্ত অনুসারে উনার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা মানা।"

"মানে! কী বলতে চান আপনি? উনার এত বড় কোম্পানি, অথচ কেউ উনাকে দেখেনি? কেউ উনার সাথে কথা বলেনি? তাহলে উনি কী ভূত? এই কোম্পানিটি কী ভূতে চালাচ্ছে? কী ভাবছেন,আমাদের ব্রহ্মতালু বুঝি আপনার মতই ফাঁকা?" ধমকের সুরে বলল মিঠুন।

মিঠুনের ধমক খেয়ে ভয়ে লাল হয়ে গেলেন ভদ্রবাবু। বেশ কাঁপতে-কাঁপতে বললেন, "আপনি থাপরাবেন না স্যার, না-মানে রাগ করবেন না স্যার। আমি সব খুলে কইছি, লুকায়ে রাখলাম তো কুসতা। আসলে, কোনও কিছুর দরকার হলে তুরন্ত আমি রাখী ম্যাডামকে ই-মেইল ফুটাইতাম, না-মানে পাঠাতাম। ই-মেইলে ম্যাডাম খুব একটিভ। আমার যে কোনও ই-মেইল গেলে, সাথে-সাথেই উনি জবাব পাঠিয়ে দিতেন। তাই কখনো তেমন সমস্যা হয়নি। তবে কোম্পানির কেউ তাকে কখনো দেখেনি, কিংবা উনার সাথে কখনো কথা বলেনি; এ কথাটি কিন্তু ভুল। আমাদের কেরানীবাবু, বাহাদুর প্রসাদ, যিনি নেপালের লোক ছিলেন এবং মাত্র কয়েকদিন আগে খুন হয়েছেন; তিনি আমাদের ম্যাডামকে খুব চিনতেন। তার সাথে ম্যাডামের খুবই ভাল এবং সুন্দর ভাব, বলতে পারেন খুব গভীর ভাব ছিল। রোজই কথা হত দুজনের, ঘণ্টার পর ঘণ্টা। খুলে কী আর বলব, বুঝতেই পারছেন, তার উপর বাহাদুর তো দেখতে রাজপুত্রের মত, তার স্বভাবও ছিল খুব রোমান্টিক। তাই -। বলতে পারেন ফ্রিকোয়েন্সিটা ম্যাচ করে গেছিল। যাক, ওটা হল ওদের পার্সোনাল ব্যাপার। আমি ওদের পার্সোনাল ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি বাহাদুর কিন্তু খারাপ লোক ছিল না, খুব ভাল লোক ছিল। সামান্য কেরানীর চাকরি করলেও কোম্পানি সম্পর্কে খুব নলেজ ছিল ওর। যে কোনও অসুবিধাতেই আমাকে খুব সাহায্য করত । কোনও সমস্যা হলে খুব সুন্দর, সঠিক এবং যুক্তিপূর্ণ পরামর্শ দিত আমাকে। প্রায়ই বাহাদুর যা রায় দিত, রাখী ম্যাডাম তাই-ই মেনে নিতেন। খুব কম সময়ই রাখী ম্যাডাম বাহাদুরের কথার বিপরীতে রায় দিয়েছেন।"

"তার মানে আমরা বলতে পারি, সমগ্র কোম্পানিতে আপনারা দু'জনই শুধু জানতেন, আসল মালিক কে? আপনাদের কাছেই শুধু কোম্পানির আসল রহস্য গোপন ছিল?"

"হ্যাঁ স্যার। আপনি ঠিক বলেছেন। সমগ্র কোম্পানিতে আমরা দু'জনই শুধু জানতাম আসল মালিক কে? আহা! আজ যদি বাহাদুর থাকত, তবে আমার কত যে উপকার হতো, আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। আহা! এ কী পরিণতি হল বাহাদুরের?"

সদানন্দকে এবার বেশ চিন্তিত দেখাতে লাগল। সে ভাবতে লাগল, "তবে কি চন্দ্রবালা দেবীর অনুমানটি সত্যি? তিনি অনুমান করছিলেন বাহাদুরের কোনও অবৈধ প্রেমিকা আছে। তবে কি এই রাখী ম্যাডামই হলেন বাহাদুরের সেই অবৈধ প্রেমিকা? বাহাদুরের কি অবৈধ প্রেম ছিল রাখী ম্যাডামের সাথে? চন্দ্রবালা দেবী কি তা জানতেন? তবে কি এই খুন এক ত্রিকোণ প্রেমের রহস্য? এই রাখী ম্যাডামটি কে?"

Next Part

সমগ্র পর্বগুলি: সমগ্র পর্বগুলি

রাজবংশী সিরিজের অন্য গোয়েন্দা গল্প:
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
গোয়েন্দা গল্পের সম্পূর্ণ তালিকা

All Bengali Stories    30    31    32    33    34    35    (36)     37   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717