Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

লুকানো চিঠির রহস্য


ত্রিপুরার বাংলা গোয়েন্দা গল্প


All Bengali Stories    30    31    32    33    34    35    (36)     37      

-হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর - ১৩, আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম )

লুকানো চিঠির রহস্য
( ত্রিপুরার বাংলা গোয়েন্দা গল্প )
রাজবংশী সিরিজের চতুর্থ গোয়েন্দা গল্প
- হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর-১৩, আগরতলা
২৮-১১-২০১৮ ইং

সমগ্র পর্বগুলি: সমগ্র পর্বগুলি

◕ লুকানো চিঠির রহস্য
পর্ব ৮

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------

দেওয়ালে ঝুলানো একটি ব্যাগ থেকে একটি চাবি নিয়ে ঘরের কোনার একটি বড় অ্যালুমিনিয়ামের ট্যাঙ্কের কাছে গেলেন চন্দ্রবালা, তারপর তালা খুলে তার ভিতর থেকে কয়েকটি খাতা বের করে রাজবংশীর হাতে দিল, "এই নিন, বাহাদুরের লেখা কিছু কাগজ পত্র। পাণ্ডুলিপিটি ও এর মধ্যেই থাকবে। ও সব সময় তার পাণ্ডুলিপিটি এখানেই রাখত, তবে সেই পাণ্ডুলিপিটি আমি তেমন ভাবে কখনোই নেড়ে-চেড়ে দেখিনি।"

খাতাগুলি হাতে নিয়ে রাজবংশী বলল, "এই মাত্র যে ট্যাঙ্ক থেকে আপনি আমাকে খাতাগুলি বের করলেন সেই ট্যাঙ্কের ছোট্ট তালাটিতে দেখছি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আপনি কী ওটা লক্ষ্য করেছেন?"

"হ্যাঁ, আজই লক্ষ্য করেছি। তবে এই আঘাতের চিহ্ন কিন্তু আগে ছিল না।"

হুঁ- হ্যাঁ কিছু না বলল না রাজবংশী, শুধু খাতাগুলি উল্টে-পাল্টে দেখতে লাগল। খাতাগুলি উল্টে-পাল্টে দেখতে-দেখতে একটি খাতা খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে লাগল সে। তারপর নিজের মনেই হেসে উঠল আর ফিরে তাকাল সদানন্দের দিকে। রাজবংশীর এই চাহনি সদানন্দের খুব চেনা। চাহনি দেখেই সদানন্দের বুক ধুক-ধুক করে উঠল। খাতাটি আর হাতছাড়া করল না রাজবংশী।

চন্দ্রবালা কিছু বলতে যাচ্ছিলেন তাকে থামিয়ে দিয়ে রাজবংশী বলে উঠল, "মনে হচ্ছে আপনার স্বামী নিয়মিত ডায়রি লিখতেন। এই খাতাগুলির বিভিন্ন পাতায় সেই ডাইরির কথা উল্লেখ আছে। সেই ডাইরিগুলি কোথায়? দেখতে পারব?"

চন্দ্রবালা হেসে বললেন, "আপনি ঠিকই ধরেছেন। ও নিয়মিত ডাইরি লিখত। সব ডাইরি ঐ টেবিলেই থাকে। একটু দাঁড়ান, দেখছি।" পাশের টেবিলে ডাইরি খুঁজতে লাগলেন তিনি। "সর্বনাশ! সর্বনাশ!" চীৎকার করে উঠে ঘুরে দাঁড়ালেন চন্দ্রবালা।

চন্দ্রবালার চীৎকার শুনে খুব ঘাবড়ে গেল সদানন্দ। কিন্তু রাজবংশীর মধ্যে কোনও হেল-দোল লক্ষ্য করা গেল না। সে হাসি মুখে বলল, "কী, ডাইরিগুলি পেলেন না তো? খোয়া গেছে?

"হ্যাঁ, মিস্টার রাজবংশী! একটি ডাইরিও নেই!"

"সোনা-দানা, টাকা-পয়সা চোরে নিয়ে গেছে সেই কথা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ডাইরি চোরে নিয়ে গেছে, এই কথা কী মেনে নেওয়া যায় চন্দ্রবালা দেবী?"

"কিন্তু -"

আবার চন্দ্রবালার কথা কেটে রাজবংশী বলল, "পুলিশকে এই ঘটনাটি নিশ্চয়ই বলা হয়নি, জানানো হয়নি!"

"না! মানে, আমিই তো এই মাত্র জানলাম।"

"ঠিক আছে। তবে এবার পুলিশ আসলে কিন্তু এই কথাটি অবশ্যই জানিয়ে দেবেন। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাথে পুলিশকে এও বলবেন যে, বাহাদুরের লেখা একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপিও খোয়া গেছে।"

"পাণ্ডুলিপি খোয়া গেছে মানে? আপনি কী বলতে চাইছেন মিস্টার রাজবংশী?"

"হ্যাঁ, আমি ঠিকই বলছি চন্দ্রবালা দেবী, জেনেই হোক আর না জেনেই হোক, আততায়ীরা সেই ডায়রির সাথে সেই পাণ্ডুলিপিও নিয়ে গেছে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে; সেই চিঠি, আপনার সন্দেহের অপর নারী, ডাইরি, পাণ্ডুলিপি আর খুন সব কিছু এক সূত্রে গাথা। তার মানে আরও দাঁড়াচ্ছে, ঘটনাটি এত সোজা নয়, ঘটনাটির পিছনে অনেক ঘটনা লুকিয়ে আছে; হয়তো বেশ চমকপ্রদ, অভাবনীয় এক বিশাল ইতিহাস। আমার মনে হয়, আপনার অজান্তেই আপনার স্বামী বেশ বড় কিছু করছিলেন কিংবা করেছিলেন, যা আপনি পাশে থেকেও টের পান নি, আর সেটাই আততায়ীরা টের পেয়ে কাজ সেরে নিয়েছে।"

"ও মাই গড! এ আমি কী শুনছি!"

"আচ্ছা, আপনার বাড়িতে তো প্রচুর লোক দেখছি। সবাই কী বাইরের লোক?"

"না - মানে, হ্যাঁ! বাইরের লোক বলতে কেউ নেই, সবাই পরিবারের লোক তবে ত্রিপুরার বাইরের। ত্রিপুরাতে তো আমাদের কোনও আত্মীয়-স্বজন নেই; একজনও না। তাই বাহাদুরের খবর শুনে সবাই বাইরে থেকে এসেছেন। কেউ কোলকাতা থেকে, কেউ নেপাল থেকে, কেউ মধ্যপ্রদেশ তো কেউ দিল্লী থেকে। আমার আর ওর, উভয় পক্ষেরই লোক এখানে আছে। আপনি উনাদের সাথেও কথা বলতে পারেন।"

চন্দ্রবালার কথা শেষ হতে না হতেই ঘরের বাইরে মৃদু গুঞ্জন শুনা গেল। একজন দৌড়ে এসে চাপা স্বরে চেঁচাতে লাগল, "DSP সাব এসেছে, DSP সাব এসেছে," কথা শেষ হবার আগেই ঘরের পর্দা ঠেলে DSP সাব ঘরে ঢুকল। তার পিছন-পিছন বাড়ির অন্যরাও ঘরে ঢুকল। ঘরে ঢুকেই মিঠুন বলল, " গুরুদেব! গুরুদেব! তুমি কেমন আছো?"

আকাশ থেকে পড়ল রাজবংশী, "আরে মিঠুন, তুই!"

"তোমার D-13 বাইকটি বাইরে দেখলাম; উপস্থিতি বুঝতে আর বাকী রইল না, তাই সোজা এই ঘরে।"

"খুব ভাল করেছিস। তোকে এখানে দেখব, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। কবে আগরতলাতে ট্রান্সফার হয়ে এলি?"

"এই তো কয়েকদিন হল মাত্র।"

"যাক, তোকে পেয়ে আমার অনেক সুবিধা হয়ে গেল।"

"কিন্তু তুমি এখানে, ভাবতেই পারছি না! তুমি বিশ্বাস করবে কি-না জানি না, আমি কিন্তু সকাল থেকে শুধু তোমার কথাই ভাবছিলাম। আগরতলায় এই যে একের পর এক সিরিজ খুন হচ্ছে, তার তো কূলকিনারা কিছুই পাচ্ছি না। বদনাম রাখার তো আর জায়গা পাচ্ছি না। তাই ভেবেছিলাম, কী রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে এর মাঝে, তা জানতে তোমার ওখানে একটু ডু মারব। যাক, কেসটাতে তুমি জড়িয়ে পড়ায় কাজটা সহজ হয়ে গেল।"

"আচ্ছা ঠিক আছে, অন্য কথার আগে আমার একটি কথার জবাব দে, বাহাদুরের পোষ্ট-মর্টাম রিপোর্ট কী বলছে? কোন সময়ে খুন হয়েছিলেন বাহাদুর?" রাজবংশীর মনের চঞ্চলতা সদানন্দের চোখ এড়াল না।

মিঠুন বলল, "দুপুর ১২-৩০ টা থেকে ১-৩০ টার মধ্যে। প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করা হয়, তারপর ছুড়ি দিয়ে পর-পর অনেক আঘাত করা হয়। শরীরে ধস্তা-ধস্তির কোনও চিহ্ন নাই। শরীরে কোন নেশা জাতীয় পদার্থও ছিল না; তবে দুর্ঘটনাটির আগে তিনি কয়েক কাপ চা খেয়েছিল। আশা করি এই তথ্যগুলি তোমার কাজে লাগবে। তোমার নজরে কী কিছু পড়ল?"

সদানন্দ ঠিক লক্ষ্য করল, মিঠুনের কথা শুনে যেন রাজবংশীর তপ্ত চঞ্চল মনে শীতল বর্ষা নেমে এল। আড়ালে ছোট্ট একটি হাফ ছেড়ে হেসে উঠল রাজবংশী। তারপর বলল, " বাহাদুরের কল লিস্টটা পাওয়া যাবে?"

"হ্যাঁ, আজ দুপুরের মধ্যেই এই কল লিস্টটা আমার হাতে চলে আসবে।" মিঠুনের কথা শেষ হতে না হতেই রাজবংশী ফিস-ফিস করে মিঠুনের কানে কী যেন বলল, আর সাথে সাথেই মিঠুন একবার মাথা তুলে চন্দ্রবালা দেবীকে দেখে টপাটপ নিজের মোবাইল ফোন টিপতে লাগল আর একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিল। সদানন্দ খুব অবাক হল, সে ভাবতে লাগল, "এ আবার কী ঘটে গেল?" রাজবংশী আড়ালে এক চোখ টিপ মারতেই সদানন্দ শান্ত হয়ে গেল, "যাক, পড়ে জানা যাবে।"

রাজবংশী ঘরের কোনার বড় অ্যালুমিনিয়ামের ট্যাঙ্কের তালাটির দিকে ইশারা করে বলল, "ঐ দেখ, ঐ ট্যাঙ্কের তালাটি ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু ভাঙতে পারেনি। তাই এই ট্যাঙ্কের ভিতরে রাখা খাতাগুলি বেঁচে যায়। এই ঘটনাটি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হল, এই বাড়িতে এই ছোট্ট তালাটির চেয়েও বড়-বড় তালা আছে; গেইটে এবং বারান্দার গ্রিলে। এই ছোট তালাটিতে আঘাতের চিহ্ন আছে অথচ বাইরে এত বড়-বড় তালাগুলিতে কোনও আঘাতেই চিহ্ন নেই! কেন? খুনিরা আঘাত করেও এই ছোট্ট সামান্য তালাটি ভাংতে পারল না? কী কারণে? এই গেল আমার প্রথম সন্দেহ।
এবার আমার দ্বিতীয় সন্দেহটির কথা বলি। আমরা জানি, চন্দ্রবালা দেবীর স্বামী নিয়মিত ডাইরি লিখতেন। কিন্তু খুনিরা সোনা-দানা, টাকা-পয়সার সাথে উনার সব ডাইরিগুলিও নিয়ে গেছে। ভুলেও একটি বাদ দেয়নি, কেন? কোন কারণে? কী উদ্দেশ্যে? এই ডাইরিগুলি গুম করার পিছনে কী অভিসন্ধি থাকতে পারে? কেন তারা এই ডাইরিগুলির পিছনে পড়ল? ডাইরিগুলি তো আর সোনা-দানা নয়, তবে! এ থেকে একটি জিনিস পরিষ্কার, ডাইরিগুলি ছিল বেশ মূল্যবান। ওগুলির মধ্যে এমন কিছু লেখা ছিল, যা খুনিদের বিপদে ফেলতে পারত; যেমন কি, তাদের নাম, ধাম। আবার এমনও হতে পারে, ঐ ডায়রিতে যা লেখা ছিল তার দাম অনেক। কেন কি, বাহাদুরের লেখা একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপিও ওরা নিয়ে গেছে। সেই পাণ্ডুলিপিতে কী ছিল, আমরা জানি না। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সেই পাণ্ডুলিপি সাধারণ পাণ্ডুলিপি ছিল না। এই সকল ঘটনাগুলি খুনিদের সম্পর্কে আমাদের একটি ধারণা দিয়ে দেয়। তা হল, খুনি নিশ্চয়ই খুব উচ্চশিক্ষিত, মার্জিত রুচির রাজকীয় সখের লোক এবং তারা ছিল বাহাদুরের খুব পরিচিত। ওরা জানত ঐ ডাইরিগুলিতে কী আছে, ঐ পাণ্ডুলিপিতে কী আছে? অন্যভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, খুনি অপরিচিত কেউ ছিল না, খুনি ছিল বাহাদুরের খুব পরিচিত, ঘনিষ্ঠ কেহ। ঐ দিন সে অতি সহজেই বাহাদুরের সাথে ঘরে প্রবেশ করে যায়, তাই গেইট আর বারান্দার গ্রিলের মোটা লোহার তালা ভাঙ্গার দরকার হয়নি। কিন্তু বাহাদুরের মৃত্যুর পর সারা ঘর লুট করার সময় এই বড় অ্যালুমিনিয়ামের ট্যাঙ্কটিও তার ভাঙ্গার দরকার হয়ে পড়ে, কিন্তু কোনও না-কোনও কারণে সে তা পারেনি; সময়ের অভাবও হতে পারে। আমার মনে হচ্ছে বাহাদুরকে খুনের আসল লক্ষ্য ছিল সেই ডাইরিগুলি, সোনা-দানা, টাকা-পয়সা এগুলি ছিল গৌণ বিষয়, অথবা পুলিশের অনুসন্ধানকে ভুল পথে চালানোর প্রয়াস। আমার অনুমান যদি সত্যি হয় তবে, বাহাদুরের খুনি ছিল তার অতি পরিচিত। কারণ কেউ নিজের একান্ত পার্সোনাল ডায়রি শুধু খুব আপনজনকেই দেখাতে পারে। খুনির এই গুনগুলি ধরলে আমাদের তদন্তের বৃত্তটা অতি ছোট্ট হয়ে যায়। সেই বৃত্তের মধ্যে কে-কে পড়ে? অবশ্যই তার পরিবারের লোকজন এবং তার বন্ধু বান্ধবরা। এবার প্রথমেই আসি পরিবারের লোকজনের কথায়। চন্দ্রবালা দেবীর কথামত, বর্তমানে যারা এই বাড়িতে আছেন সবাই বাহাদুরের মৃত্যুর খবর পেয়েই এই বাড়িতে এসেছেন। এরা সবাই ত্রিপুরার বাইরের লোক। সুতরাং আপাতত তাদের কথা ছেড়ে দিলাম, তবে তাদেরকেও পরে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। বাড়িতে বর্তমানে উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে অতিথিদের কথা যদি ছেড়ে দিই তবে এই বাড়িতে আর বাকি রইল কে? হ্যাঁ, আমি ঠিক কথাই বলছি। একজনই শুধু বাকী রইল; খোদ বাহাদুরের স্ত্রী, চন্দ্রবালা দেবী। তিনি উচ্চশিক্ষিত, মার্জিত রুচির রাজকীয় সখের লোক এবং বাহাদুরের পরম ঘনিষ্ঠ। খুনি সম্পর্কে আমার অনুমানের সাথে উনার ব্যক্তিত্ব একেবারে মিলে যাচ্ছে। তবে তিনিই কী আসল রহস্য? চন্দ্রবালা দেবীই কী খুনি?"

Next Part

সমগ্র পর্বগুলি: সমগ্র পর্বগুলি

রাজবংশী সিরিজের অন্য গোয়েন্দা গল্প:
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
গোয়েন্দা গল্পের সম্পূর্ণ তালিকা

All Bengali Stories    30    31    32    33    34    35    (36)     37   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717