Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য


বাংলা গোয়েন্দা গল্প


All Bengali Stories    22    23    24    25    26    27    28    29    30    (31)       

-হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর - ১৩, আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম )




সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য
( বাংলা গোয়েন্দা গল্প )
- হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর, আগরতলা
২৭-১১-২০১৭ ইং



আগের পর্বগুলি: ১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব   


◕ সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য
৫ম পর্ব

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------

দু দিন পর এক সন্ধ্যাবেলা গ্রামবাসীরা দেখল নেপাল কর্তার পিছু পিছু খুব সুন্দর উঁচা লম্বা সু-স্বাস্থ্যবান দুজন ঝকঝকে যুবক খেতের আল ধরে ধীরে ধীরে গ্রামে প্রবেশ করছে। এমন অনেকেই তো সর্দার বাড়িতে আসা যাওয়া করে, কিন্তু এদের একটু ভিন্ন মনে হল। কেউ জানল না, সেই সন্ধ্যায় রাজবংশীর পিছু পিছু অনেক অজানা রহস্যের জাল গঙ্গাছড়া গ্রামে প্রবেশ করে গেল। নেপাল কর্তা, বুড়ো কর্তাকে কয়েকদিন আগেই বলে রেখেছিলেন, "শহর থেকে দুজন লোক আসবেন। কয়েকদিন থাকবেন।"

বুড়ো কর্তা একটু বিরক্তের সুরে বলেছিলেন, "আবার কী গিট পাকাতে চলেছিস তুই?"

- "গিট পাকাচ্ছি না বাবা! গিট ছাড়াচ্ছি। তোমরা সবাই মিলে আমার মাথায় যে অপমান আর কলঙ্ক লেপে দিয়েছ, তা নিয়ে আমার পক্ষে বাঁচা অসম্ভব। তাই সত্যটা বের করতেই আমি ঐ দুজনকে ডেকে আনছি।"

-"ওরা কী করবে?"

-"ওরা হল গোয়েন্দা। সত্য খুঁজে বের করাই ওদের কাজ। ওরা সত্যটাকে যুক্তি দিয়ে, বিচার বুদ্ধি দিয়ে, প্রমাণ সহ সর্ব সমক্ষে বের করে আনবে।"

- "তার মানে ওরাও তোর মতই বুদ্ধিমান লোক! আর আমরা সবাই -ইয়ে, মানে গাধা।"

নেপাল কর্তা শান্ত স্বরে হেসে বললেন, "না বাবা, তুমি ভুল বুঝ না! সবাই তো সব কাজ ভাল করতে পারে না। কারোর কারোর মধ্যে বিশেষ কিছু গুন থাকে ভগবান প্রদত্ত, ওরা ঐ কাজটা খুব ভাল জানে, বুঝে। আসলে সব জিনিসই আমাদের সামনে থাকে, তবু আমারা দেখেও দেখতে পাই না। আমরা যা দেখতে পাই না, গোয়েন্দারা অতি সহজেই তা দেখতে পায়। প্রায়ই এমন হয় যে, ঘটনার সকল ইতিহাস আর রহস্য ঘটনার আসে পাশেই লুকিয়ে থাকে। কিন্তু আমার দেখেও তা দেখতে পাই না, আমাদের চোখে তা ধরাই পড়ে না। অপরদিকে গোয়েন্দাদের চোখে তা একটি খোলা বইয়ের পাতার মত পড়ে থাকে, যা থেকে তারা প্রয়োজনীয় সব কিছু গর গর করে পড়ে ফেলতে পারে।"

- "আমাকে আর জ্ঞান দিস না রে নেপাল! বয়স তো আমারও আর কম নয় যে, বাটপারি ধাঁদলি বুঝব না! যাকে ধরে আনছিস তারা যে কী, তা বুঝতে আমার আর বাকী নেই। ওরা যে শুধু কথার গুরু আর কথার গুলবাজ তা আমি ভালই বুঝতে পেরেছি। তা কত দিনে ওরা সত্য খুঁজে বের করবে?"

-"সে কথা তো ওরা আমাকে কিছু বলেনি, বাবা। তবে অনুমান করেছে যে দিন সাতেকের মধ্যে রহস্য সমাধান হয়ে যাবে।"

- "কত টাকা নেবে?"

নেপাল কর্তা একটু তানা বানা করে বললেন, "সর্বমোট -"

বুড়ো কর্তা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন, "এত টাকা! তোকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতানোটাই যে আসল কথা, সে বুঝতে আর আমার বাকী নেই। মনে হচ্ছে, তুমি এই সবটা টাকাই আবার জলে ফেলছ। তোমার টাকা তুমি কাকে দেবে না দেবে, সে তোমার ব্যাপার। তবে আমার কাছ থেকে এই ফালতু কাজের জন্য এক পয়সাও পাবে না, আগেই জানিয়ে রাখলুম। যাক, কথা যখন দিয়েই ফেলেছিস তখন ওরা এলে একবার আমার সাথে করিয়ে দিবি।"

পরদিনই আগরতলার ধলেশ্বর ১৩ নম্বর থেকে উদয়পুর গঙ্গাছড়ার সর্দার বাড়িতে এল গোয়েন্দা রাজবংশী আর তার সহকারী সদানন্দ। সর্দার বাড়িতে আসার আগে ওরা গঙ্গাছড়া বাজারে কিছুক্ষণ থেমেছিল। বাজার থেকে সর্দার বাড়িতে যাবার কোন পাকা বা কাঁচা রাস্তা কিছুই নেই। হ্যাঁ, ভাল রাস্তা, মানে পাকা রাস্তা যেটি আছে সেটি অনেক ঘুরতি। গঙ্গাছড়া বাজার থেকে কালাবন হয়ে ঘুরে তবে সর্দার বাড়িতে যেতে হবে। সে প্রায় পাঁচ ছয় কিলোমিটারের খরচা। তা থেকে ভাল, খেতের আল ধরে হাটতে থাক, পাঁচ মিনিটেই সর্দার বাড়িতে পৌঁছে যাবে। খেতের আলের মত এত সোজা রাস্তা থাকতে, কে যাবে ভাল রাস্তার মত এত বাঁকা রাস্তায় ঘুরে যেতে?

খেতের আল হলেও বেশ সুন্দর সেই ফাঁড়ি পথ। সন্ধ্যার নিস্তেজ চাদরে পা ফেলে হেটে যেতে খুব ভাল লাগছিল। চারিদিকে শুধু ক্ষেত আর ক্ষেত। ক্ষেত পেরিয়ে সামনেই একটি ছোট্ট টিলা। সেই টিলার উপরেই বেশ কিছু বাড়ি ঘর। এই বাড়ি ঘর গুলির ঠিক মাঝখানে রাজ মুকুটের মত দাঁড়িয়ে আছে সর্দার বাড়ি। পাশ দিয়ে হেটে গেলে, বলে দিতে হয় না, এটি সর্দার বাড়ি। সর্দার বাড়ির আভিজাত্যের আলো বাড়ির সীমানা ছড়িয়ে উপচে পড়েছে চারিদিকে। সবার মত রাজবংশীও প্রথমবার দেখেই চিনে ফেলল সর্দার বাড়িকে। ওরা যখন বাড়িতে পা রাখল তখন ঘরে ঘরে সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। সারা বাড়িতে অনেকগুলি লাইট। বিশাল উঠানের ঠিক মাঝে গোল করে চেয়ারে বসে গ্রামের বেশ কিছু বৃদ্ধ, বুড়ো কর্তার সাথে গল্প করছিলেন। অতিথিদের সাথে নিয়ে নেপাল কর্তা বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন, "বাবা, এই হলেন অনুব্রত রাজবংশী। আর ইনি উনার সহকারী সদানন্দ বসাক, ডাক নাম সাধু।"

এক ফালি হেসে হাত জোর করে উপস্থিত সবাইকে নমস্কার করল রাজবংশী আর সদানন্দ। উপস্থিত বৃদ্ধরা প্রতি নমস্কার জানালেন, কিন্তু বুড়ো কর্তার মধ্যে কোন হেল-দোল লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি নাক উঁচু করে বিরক্ত ও অবহেলা সহকারে ঘাউ ঘাউ করে বললেন, "আচ্ছা বল তো, একটা শুকনো গাছের ঢাল মাথায় ভেঙ্গে পড়ে একটি লোক মারা গেল। এই সত্যটির মধ্যে তোমরা আর কী সত্যের খোঁজ করবে? আমার ছেলে নেপাল চন্দ্র, যার মাথায় নীতি ভুত সদাই পাগলের মত চেপে থাকে, সে এই সত্যটির মধ্যে একটি অনীতি খুঁজে পেল, অসত্য খুঁজে পেল। আর তোমারও কেমন, সুযোগ বুঝে বে-শরমের মত এত গুলি টাকা হাতিয়ে নিতে নেপালের ঘাড়ে ভুতের মত চেপে বসলে, এত দূর পর্যন্ত চলেও এলে সর্দার বাড়িতে। তোমারা কী মানুষ না জানোয়ার? আমার কথায় তোমরা খারাপ ভাবলে ভাববে, আমার কিছু যায় আসে না, এতে আমার কিছু করার ও নেই। আমার কথা ওই রকমই হয়। ঠিক আছে, এত দূর এলেই যখন, তখন আজ রাতটা খাও দাও ঘুমাও। কাল সকালে যেন তোমাদের আর এই বাড়িতে না দেখি। বুঝলে হে চুঁচুঁর দল, কী আর বলব? আগের দিনগুলি আজ আর আমার নেই, বড্ড দেরী করে এলে তোমরা। তাই শুধু মুখে মুখেই কথা গুলি শেষ করলাম, সে না হলে পাঠশালা আর গুরুমশাই সব ঐ ছড়ার জলে ডুবিয়ে দিতাম!"

বুড়ো কর্তার কথায় রাজবংশী আর সদানন্দ লজ্জা না পেলেও, নেপাল কর্তা খুব লজ্জা পেয়ে গেলেন। তিনি মাথা নিচু করে বললেন, "এ সব কী বলছ বাবা?"

বুড়ো কর্তা ধমকে বললেন, "তুই থাম! কোথা থেকে কী দুই বানর আর ভোঁদড় ধরে এনেছিস কলির বনে রাবণ মারতে? এই গর্বোদ নাকি আবার ইতিহাস উদ্ধার করেন, ইতিহাস উদ্ধারকারী হেঁ! আমরা যা দেখতে পাই না, ইনারা নাকি তা দেখতে পান! কথা দিয়ে কথা ধরেন। কথার মাঝ থেকে কথা তুনে নেন, ঘটনার মাঝ থেকে ঘটনা তুলে নেন। অবাক কাণ্ড! আচ্ছা, তোমরা আমাকে আগে একটি কথা বল দেখি বাপু, আমার মাঝে তোমারা কী সত্য দেখতে পাও? আগে সে কথা বল, পরে না হয় ঐ মরা ঢালের সত্য খুঁজবে!"

আর দেরী নয়, ঝোপ বুঝে কোপ মারল রাজবংশী। চোরের দশ দিন আর পুলিশের একদিন। সে মাথাটা নিচু করে বলল, "মাফ করবেন বুড়ো কর্তা, আমি কিছু বললে সেটি কিন্তু আপনার পছন্দ হবে না, হয়তো আপনার আত্মসম্মানে লাগবে, আবার হয়তো আপনাকে অসম্মানও করা হতে পারে।"

ধমকের সুরে মুখ বেঁকিয়ে বুড়ো কর্তা বললেন,"পছন্দ হবে না! আত্মসম্মানে লাগবে!! রাখ তোর পছন্দ অপছন্দ। আসল কথাটি বল, অজুহাত চাই। এটা সেটা অজুহাত ধরে প্রশ্ন এড়িয়ে যাবার অজুহাত চাই। লোক ঠেকানোর ব্যবসা তো খুব খুলে বসেছ। জান না রাম আর গাইতে চলে এলে রামায়ণ! যা প্রশ্ন করেছি তার উত্তর দাও।"

রাজবংশী একটু স্থির থেকে বলল, "ঠিক আছে কর্তাবাবু। আপনি যখন শুনতেই চাইলেন তখন আশা করি সত্যটা এই গ্রামের দশজনের সামনে শোনার সাহসও আপনার আছে। তাই আপনার পিড়াপিড়িতে বলতে বাধ্য হলাম। কথাটি হল, আপনার বাম হাতটি যে ভাবে আছে বা থাকে, সেটি দেখতে তো স্বাভাবিকই মনে হয়, তবে কিন্তু হাতটি মোটেই স্বাভাবিক নয়। মনে হচ্ছে অনেক পুরনো দুর্ঘটনা। ছোটবেলায় গাছে চড়তে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন কী? পরের কথাটি হল, এমন হাতে কোন কাজ করা খুব দুষ্কর। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই আপনি আপনার সব কাজ ডান হাতেই সারেন, এমনকি -? কী ঠিক বললাম তো? যদি কিছু ভুল বলে থাকি, আশা করি আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে এখুনি বাড়ি থেকে বের করে দেবেন!"

কেউ যেন যজ্ঞের উন্মত্ত দাউ দাউ আগুনে হঠাৎ করে মুষলধারে জল ঢেলে দিল। এক পলকেই সব বক বকনি, দাউ-দাউনি নিবে গেল। এমনটা কেউ ভাবতে পারেনি। এ কী হল? ধুপ করে একটা জমজমাট আসর স্তব্ধ হয়ে গেল। সন্ধ্যার আধারকে বগলে দাবিয়ে সেই নিস্তব্ধতা বহু দূর পর্যন্ত উড়ে গেল। দুরের কাচ্চা বাচ্চাদের ঝাপসা হৈ চৈ এর আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না। উপস্থিত কারো মুখে কোন রা নেই। এ যেন ডাকাতি করতে গিয়ে নিজেই ডাকাতদের হাতে পড়ে যাওয়া। প্রায় সত্তর বছর হয়ে গেল, যে কথাটি আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারল না, এমনকি নিজের বৌ পর্যন্ত না, সেই কথাটি কিনা এই ছোকরা এক পলকেই বুঝে ফেলল! এ তার কেমন নক্ষত্রবিদ্যা। এক ঝলকেই সমগ্র ইতিহাসটি দেখে ফেলল, দেখে ফেলল সময়ের ফাঁকে ফাঁকে কী লুকানো আছে? এ তো সাংঘাতিক ব্যাপার! গৃহগোধিকার থাবায় যে এমন জ্বালা সে তো আগে জানা ছিল না। বুড়ো কর্তা লজ্জায় মুখ কোথায় রাখবেন তা খুঁজে পাচ্ছেন না। এ কোন ধনুকের গুন টেনে ধরলেন তিনি! দম্ভ দেখিয়ে কোথায় হাত দিয়ে বসলেন? না পারছেন হাতে রাখতে না পারছেন হাত সরাতে। ইঁদুর ভেবে ভুল করে সিংহর সাথেই বুঝি পাঞ্জা দিয়ে বসলেন, কেউটে সাপকে দড়ি ভেবে কী ভুলটিই না করে বসলেন! না বাবা, এখন মুখ বন্ধ রাখাই শ্রেয়, এক কথাতেই যে ব্যক্তি এমন সত্য বলে দিল, আরও বলতে শুরু করলে না জানি আরও কত ইতিহাস বলে দেয়, কে জানে! তার চেয়ে চুপ থাকো, তাতেই লাভ। ঘুমন্ত কাল সাপকে ঘেঁটে জাগিয়ে নিজের সর্বনাশ করে আর লাভ নেই। এই কথা ভেবে বুড়ো কর্তার মত অন্য বৃদ্ধরাও ভয় পেয়ে গেল। ওরাও তাড়াতাড়ি আসর ভেঙ্গে বাসরে পালাতে ছটফট করতে লাগল, খুব উথলা হয়ে উঠল। এই ছটফটানি রাজবংশী চোখ এড়িয়ে গেল না। সে এক বৃদ্ধকে বলল, "ও মশায়, আপনাকে কী কিছু বলবো? কিছু শুনবেন?"

বৃদ্ধ মুখ বেঁকিয়ে উঠে, চুপচাপ বুড়ো কর্তাকে নমস্কার জানিয়েই সোজা হাটা দিল। বুড়ো কর্তা ডাকলেন, "শোনো হারান, দাঁড়াও, কোথায় যাচ্ছ?" হারান ঘুরে দাঁড়িয়ে টুপ করে আবার এক প্রণাম ঠুকে দ্রুত পা চালাল। রা-মাত তো করলেনই না, একবার ফিরেও তাকাল না। দেখে মনে হল, ডানা থাকলে পাখির মতন পালিয়ে যেতেন। বাকিরাও মাথা নিচু করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নক্ষত্র গতিতে হাটা দিল। তাদের আর থামানো গেল না। সন্ধ্যার আসরের তারকারা টুপ টুপ ডুবে গেল। কী জানি, হাটে আবার কোন হাড়ি ভেঙ্গে দেয়? ক্ষণিকের মধ্যেই জমজমাট হাটটি ভেঙ্গে গেল। উদভ্রান্তের মত বুড়ো কর্তা একা বসে রইলেন নিজের সন্ধ্যার হাটে। কাকে কী বলবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। নিজের ইতিহাসই যেন উনাকে খুব চেপে ধরেছে, মুখ রাখতে আর জায়গা দিচ্ছে না। সবাই তো হাট ছেড়ে চলে গেছে, নিজের হাট ছেড়ে তিনি যাবেন কোথায়? তাই চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে দুই কাশি দিয়ে বললেন, "আপনার যান, ওঘরে গিয়ে বসুন। নেপাল, ওনাদের ঘরে নিয়ে যাও। ওদের কাজে যেন কোন ব্যাঘাত না হয়। উনারা যতদিন ইচ্ছা সর্দার বাড়িতে থাকতে পারেন। আমার বিশ্বাস এতে সর্দার বাড়ির লাভ বৈ লোকসান হবে না।" এই বলে বুড়ো কর্তা ধীরে ধীরে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ালেন। উনি চলে যেতেই রাজবংশী হাত জোর করে নেপাল কর্তাকে বলল, "আমাকে মাপ করবেন নেপালবাবু। আমার আর অন্য রাস্তা ছিল না।"

নেপাল কর্তা রাজবংশীর হাত ধরে বললেন, "আরে না না। আপনি মনে বিন্দু মাত্র অনুতাপ রাখবেন না। বাবা আপনাকে যে ভাবে একের পর এক অপমান করে যাচ্ছিল, সবই তো আপনি ধৈর্য্য ধরে সহ্য করেছিলেন। যখন আপনি বলতে শুরু করলেন,তখন সবাই চুপ। আপনি তো আর ভুল কিছু বলেন নি। সত্যটিই বলেছেন। তবে একটি জিনিস খুব ভাল হল, বাবা যখন আপনাকে মেনে নিয়েছেন তখন এই বাড়িতে কেউ নেই, বাড়িতে কেন, এই গ্রামে কেউ নেই যে আপনার কাজে বাঁধা দেবে। সে দিক দিয়ে আমি খুব নিশ্চিন্ত হয়ে গেলাম। বলতে পারেন আপনি আমাকে একেবারে টেনশন ফ্রি করে দিলেন। আসুন এ দিকে আসুন, আপনাদের থাকার ঘরটি দেখিয়ে দি। চলুন। কাল থেকেই তো অনুসন্ধান শুরু, অপারেশন সর্দার বাড়ি।"

পরবর্তী পর্ব

আগের পর্ব গুলিঃ ১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব   

অন্য গোয়েন্দা গল্পঃ মাণিক্য   

All Bengali Stories    22    23    24    25    26    27    28    29    30    (31)    


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717