Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

নিকটবর্তী

বাংলা গল্প

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



All Bengali Stories    128    129    130    131    132    133    134    (135)     136    137    138   

নিকটবর্তী
বাংলা গল্প
লেখিকা - কাশফিয়া নাহিয়ান, মনেশ্বর রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা, বাংলাদেশ


## নিকটবর্তী
লেখিকা - কাশফিয়া নাহিয়ান, মনেশ্বর রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা, বাংলাদেশ

reporter

না না না...এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এরকম কেন হল? কেনই বা হবে! এর একটা সমাধান বের করতেই হবে।

কি বলছিস...পিয়ালী! আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না!

না বোঝার কি আছে অভীক? তুই আর আমি একসাথে তিন বছর আগে এই অফিসে জয়েন করলাম অথচ তোর প্রমোশন হল আমার হল না। কেন...আমি কি পরিশ্রম করি নি...জার্নালিজম আমার প্যাশন তুই তো জানিস...

আরে...শুধু আমার তো আর প্রমোশন হয়নি। আরও তিন-চার জনের হয়েছে...সেটা দেখিস নি?

ছি ছি! তুই এটা ভাবিস না আমি তোর প্রমোশনে খুশী হয়নি। অনেক খুশী হয়েছি। কিন্তু না পাওয়ার দুঃখটা মনে রয়েই যায়...

তুই চিন্তা করিস না...সব ঠিক হয়ে যাবে। ক্যারিয়ারে এমন উত্থান পতন লেগেই থাকে।

একটা আইডিয়া দে না প্লিজ...যাতে তাড়াতাড়ি প্রমোশন হয়।

আমি কি আইডিয়া দিবো? আমার কাছে কি আইডিয়ার ভাণ্ডার আছে?

তাও বল্ না প্লিজ...

একটা কাজ কর এমন এক সেলিব্রেটির ইন্টারভিউ নে, যাকে মানুষ অতটা জানে না, কিন্তু জানতে চায়...অনেকক্ষণ চিন্তা করে বলল অভীক।

কি যে আবোল-তাবোল বলিস না তুই! সেলিব্রেটি মানে তো পাবলিক ফিগার...তারা সবসময় মিডিয়া দ্বারা বেষ্টিত থাকে। তাদের ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য সবাই পিছে-পিছে ঘুরে। আমার মত জুনিয়র জার্নালিষ্টকে কে ইন্টারভিউ দিবে?

বারে! তোর তানভীর কথা মনে নেই...সেলিব্রেটির ইন্টারভিউ নিয়ে রীতিমত স্টার হয়ে গেলো। সেও তো জুনিয়র জার্নালিষ্ট ছিল। এখন তো তার মাটিতে পা পড়ে না...এত অহংকার!

হ্যাঁ তাই তো! এটা তো ভাবিনি...

তো ভাব! কাজে লেগে পড়! বলা যায় না তুইও স্টার হয়ে যেতে পারিস...

থ্যাংকস...দোস্ত!

থ্যাংকস দিলে হবে না...তুই সফল হ, তারপর পার্টি করবো...গ্র্যান্ড পার্টি!

ওকে অভীক...হাসতে-হাসতে বলল পিয়ালী।

নেট-সাইট, পত্র-পত্রিকা, জার্নাল পিরিওডিকালস ঘাঁটতে লাগলো পিয়ালী; এমন একজন যার ব্যাপারে মানুষ তেমন কিছু জানে না। মিডিয়ায় অতটা তাকে পাওয়া যায় না। অনেক খুঁজতে-খুঁজতে একজনকে পেয়ে যায় পিয়ালী। উদয় রহমান। বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। তার ব্যক্তিগত জীবন, শখ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা এসব ইনফরমেশন কোথাও নেই। সাতটি বুটিক হাউস, তিনটি টেক্সটাইল মিল, চারটি ইন্ড্রাস্টির মালিক এই উদয় রহমান। এই একজনকেই তো দরকার তার। খুব খুশী হয়ে গেলো পিয়ালী। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে মনটা খারাপ হয়ে গেলো তার। এত নামকরা মানুষের ইন্টারভিউ সে কিভাবে নেবে? হয়তো তার কাছাকাছিও যেতে পারবে না। কিন্তু কি করা! চেষ্টা তো করতেই হবে।

অনেক খোঁজ খবর নিয়ে কাঠ-খড় পুড়িয়ে তার সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে ইনফরমেশন কালেক্ট করল পিয়ালী। বনানীতে "উদয় ফ্যাশন হাউজে" আজকাল অফিস করছেন এই উদয় রহমান। অ্যাপায়ণ্টমেন্ট ছাড়া কারও সাথে দেখা করেন না।

পিয়ালী সকাল সকালই ছুটল উদয় রহমান এর অফিসে। কিন্তু ঢুকতে পারলো না। দারোয়ানের বাধার সম্মুখীন হল সে। একদিন নয়, দুদিন নয়, টানা আট দিন উদয় রহমানের অফিসের সামনে ঘুরঘুর করলো পিয়ালী; কোনো লাভ হল না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করলো, কিন্তু কিছুই হল না। এমনকি অফিসে আসা-যাওয়ার সময়েও উদয় রহমানের সাথে দেখা করতে পারলো না সে। অনেকটা নিরাশ হয়ে নবম দিনে যখন উদয় রহমানের অফিসের সামনে পিয়ালী আসলো তখন দেখল দারোয়ান গেটে নেই। সেও সুযোগ পেয়ে অফিসে ঢুকে গেলো। কিন্তু এত বড় অফিসে উদয় রহমানের কেবিন কোনটা বুঝতে পারলো না। এক কেবিনের সামনে নেম প্লেটে উদয় রহমানের নাম দেখে ঢুকে পড়লো সে। এক মাঝবয়সী লোক চেয়ারে বসে কি যেন লিখছে! গায়ের রং শ্যামলা, চুল ব্ল্যাক ব্রাশ করে আঁচড়ানো, হাতে দামী ঘড়ি, চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমা...

স্যার...আমি...

সঙ্গে-সঙ্গে দুই দারোয়ান হন্তদন্ত হয়ে কেবিনে ঢুকল...

স্যার উনি অ্যাপায়ণ্টমেন্ট না নিয়ে ঢুকে পড়েছেন...

উদয় রহমান ইশারায় তাদের চলে যেতে বললেন।

স্যার...

উদয়। আমার নাম উদয়। আপনি আমার এমপ্লয়ি নন যে স্যার বলবেন...

মিঃ উদয় আমি পিয়ালী...

তো...পিয়ালী হোসেন...অন্য আলো পত্রিকার জুনিয়র জার্নালিষ্ট। যে আট দিন ধরে আমার অফিসের সামনে ঘুরঘুর করছে। তাই না মিস পিয়ালী?

আপনি তো দেখছি সবই জানেন!

তা তো জানতেই হয়...এসব কথা ছাড়ুন...আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিন। আমি আপনাকে কেন আমার ইন্টারভিউ কাভার করতে দেবো? আরও অনেক জার্নালিষ্ট আছে...তারা কেন নয়?

আপনি যেরকম আমি সেভাবেই আপনাকে সবার সামনে তুলে ধরবো। কোনো মাল মসলা এড করবো না। এই যেমন এর সাথে লিংক আপ আবার এর সাথে ব্রেক আপ!

কি!! লিংক আপ আর ব্রেক আপ! তাও আবার আমার? অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো উদয় রহমান।বাহ্! খুব ভালো বলেন তো আপনি...ওকে! তো আপনি আমার এক্সকলুসিভ ইন্টারভিউ নিতে পারেন। কিন্তু...

কিন্তু কি? আগ্রহ সহকারে জানতে চাইলো পিয়ালী।

আমার তো সময়ই নেই। আমার কাছে টাইম ইজ মানি। কি করে ইন্টারভিউ নেবেন?

আমি কাল প্রাইভেট চার্টার্ডে করে চিটগাং যাবো। সেখানে আমার কিছু বিজনেস মিটিং আছে। দুই দিন থাকবো। আপনি চাইলে আসতে পারেন। ইন্টারভিউ নেয়া হয়ে যাবে। আমি আর আমার চার বডিগার্ড যাবো। আপনার মনে সন্দেহ থাকলে আসবেন না। আজ সারারাত ভাবুন। কাল ঠিক সকাল আটটায় রওয়ানা দেবো।

বাসায় এসে পুরো বিষয়টা ভাবল পিয়ালী। একটা অজানা অচেনা লোকের সাথে অপরিচিত জায়গায় যাওয়া কি ঠিক হবে? অনেক চিন্তা করে ঠিক করলো সে যাবে। জীবনে কিছু পেতে হলে রিস্ক তো নিতেই হবে। অনেক কষ্টে সে তার মা আফসানা হোসেনকে রাজী করালো।

তো আপনি যাচ্ছেন চিটাগাং এ! অনেকটা অবাক হয়ে বলল উদয় রহমান।

না আসার কি আছে! একটা কিছু করার জন্য যখন মনস্থির করেছি তখন সেটা করেই ছাড়বো।

দ্যাটস ভেরী গুড...মিস পিয়ালী...

#
চিটাগাং পৌঁছে কিছুদূর গাড়ী করে যেতেই উদয় ম্যানশনের সামনে আসলো তারা। ম্যানশনের দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলো পিয়ালী। এত বড় বাড়ি? একদম রাজা- মহারাজার আমলের বাড়ি! কি সুন্দর বাগান দুই পাশে! সামনে জলের ফোয়ারা! চোখ জুড়িয়ে গেলো তার। ম্যানশনের ভিতরটা এর চেয়েও জাঁকজমকপূর্ণ। ঢুকতেই একটা স্যান্ডালায়ার দামী-দামী আসবাব, সুন্দর-সুন্দর পেইন্টিং-এ দেয়ালগুলো সাজানো।

কি দেখছেন অমন করে!

আপনার ম্যানশনটা দারুণ...

থ্যাংকস...এখানে যখন এসেই গেছেন তখন কিছু নিয়ম আপনাকে মানতে হবে মিস পিয়ালী...

কি নিয়ম?

যা ঘোরাফেরা করার দিনের বেলায় করবেন। পাশেই সমুদ্র তা দেখতে পারেন। রাতে রুম থেকে বের হবেন না। কোনো অবস্থাতেই না...

কিন্তু কেন...

আমি প্রশ্ন করা পছন্দ করি না। রেগে বলল উদয় রহমান।

ওকে...ঠিক আছে...

আজ আমার কিছু কাজ আছে, কাল দেখা হবে। চলে গেলেন উদয় রহমান। কিন্তু কেন তাকে রাতে বের হতে মানা করা হল তা বুঝতে পারলো না পিয়ালী। রাতে মার সাথে কথা বলে খেয়ে-দেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো পিয়ালী। তার ঘুমই আসছে না। হঠাৎ কিছু শব্দ শুনল সে। গর্জনের মত আওয়াজ। কিন্তু সে দিকে কান না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো সে। পরদিন সকালে বাগানটা ঘুরে-ঘুরে দেখতে লাগলো পিয়ালী। কত রকমের ফুল! সে দেখল উদয় রহমান গাছে পানি দিচ্ছে...

আপনি গাছে পানি দিচ্ছেন? আশ্চর্য!

এতে অবাক হওয়ার কি আছে? পুরোটা বাগান আমার করা। ওই দেখুন নীল গোলাপ...

ওমা! কি সুন্দর! এই প্রথম আমি নীল গোলাপ দেখলাম...

আমি আর আমার ওয়াইফ মিলে লাগিয়েছিলাম এই গোলাপ গাছটি...

আপনার ওয়াইফ! কোথায় সে?

ওই দেখুন ওখানে আরও গোলাপ আছে...

গোলাপগুলো দেখে ভীষণ খুশী হল পিয়ালী। এক একটি ফুল তাকে ছুঁয়ে দিচ্ছে...প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিচ্ছে সে। উদয় রহমান তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে...

কি দেখছেন এভাবে?

দেখছি এই পৃথিবীর কলুষতা এখনো আপনাকে স্পর্শ করতে পারেনি। সহজ সরল একটি মেয়ে...

আপনি আমার কথা ছেড়ে নিজের ব্যাপারে কিছু বলুন...

আমার সম্পর্কে জানার কিছুই নেই। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ভার্সিটি থেকে পাস করে চাকরী খুঁজেছি... পাইনি। আমার আকাঁআঁকি করতে খুব ভালো লাগতো। শাড়ী ডিজাইন, লেহেঙ্গার ডিজাইনে আমার হাত ছিল অনেক পটু। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এলভিস আমাকে বুদ্ধি দেয় ফেসবুকে একটি ফ্যাশন পেজ খোলার। সেখান থেকেই শুরু। শাড়ী লেহেঙ্গাতে ডিজাইন করতাম, তারপর সেই ডিজাইনের পিক তুলে ফেসবুকে পোষ্ট দিতাম। একটি শাড়ীর অর্ডার, তারপর একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি, তারপর একটি বুটিক হাউস, একটি ফ্যাশন হাউস ;ব্যস! এই আমার পথ চলা...

ওকে...বুঝলাম। আচ্ছা আপনার প্রিয় রং কি?

কালো...

কালো!! কালো আবার কারও ফেবারেট রং হয় নাকি?

আমার ভালো লাগে। কালো রং অন্ধকারের রং। আর অন্ধকারের নিস্তব্ধতা আমাকে কাছে টানে। আমি এই নিস্তব্ধতা অনুভব করতে চাই। কিন্তু আমি তো রাতে বন্দী...

বন্দী!!!

ওহ্ হো! অনেক দেরী হয়ে গেছে। আমার আজ কিছু মিটিং আছে...বাই।

এত ব্যস্ত মানুষ! এই আসে এই যায়...অবাক হয়ে যায় পিয়ালী।

রাতে আবার সেই আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় পিয়ালীর। গর্জনের আওয়াজ! মনে হচ্ছে কেউ কাউকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে...

হঠাৎ করে অনেক শীত লাগলো পিয়ালীর। মনে হচ্ছে বাইরে বরফ পড়ছে। না...এভাবে থাকা যাবে না। একটা কম্বল লেপ লাগবে...নইলে এখানেই জমে যাবে সে। রুমের দরজা খুলে কাঁপতে-কাঁপতে বাইরে বের হয়ে এলো পিয়ালী।

আপনি এখানে কি করছেন?

এক বডিগার্ডের কথায় চমকে উঠলো সে...

রুমে অনেক শীত...লেপ কম্বল কিছু পাওয়া যাবে?

জানেন না রাতে এখানে বের হওয়া মানা...

কি হচ্ছে এখানে? দূর থেকে বলল উদয় রহমান।

বার-বার বলেছি এখানে রাতে বের হওয়া মানা...

পিয়ালী খেয়াল করলো উদয় রহমানের চেহারা দেখা যাচ্ছে না। শুধু একটা কালো ছায়া যেন কথা বলছে...

সরি... সরি...ভয়ে নিজের রুমে চলে গেলো পিয়ালী।

সকালে উদয় রহমানকে কোথাও দেখতে পেলো না পিয়ালী। পরে জানতে পারলো তিনি সকাল-সকাল কোথায় যেন বের হয়েছেন। সমুদ্র ঘুরে এসে পিয়ালী ম্যানশনে ঢুকে দেখতে পেলো উদয় রহমান ড্রয়িং রুমে বসে আছেন।

আপনি এসেছেন? আপনার সম্পর্কে তো কিছুই জানা হল না...কি লিখবো আমি বলুন তো!

আপনার কাল রাতে বের হওয়া একদম উচিত হয়নি...গুরুগম্ভীর গলায় বলল উদয় রহমান।

আমি দুঃখিত...

আজ আমি আপনাকে সব বলবো। আমার ওয়াইফ লাবণী তার বাগান করার খুব শখ ছিল। সে যেমন ছিল রূপবতী তেমনি ফ্যাশনেবল। হাসি এমন যে সবকিছু ভুলিয়ে দেয়। স্টাইল এমন যে হ্নদয়কে আলোড়িত করে! এত সুন্দর একটি মেয়ে আমার প্রেমে পড়লো...আমরা পালিয়ে বিয়ে করলাম। সব ভালোই চলছিলো। কিন্তু... আমি বিজনেস নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতাম। কখনও এই ফ্যাশন হাউসের কাজ, কখনও ঐ বুটিক হাউসের কাজ...লাবণীকে একদম সময় দিতে পারতাম না। এই সুযোগটা কাজে লাগায় আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এলভিস। কখন যে তারা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আমি টেরও পাইনি! একদিন তাদেরকে একসঙ্গে দেখে আর সহ্য করতে পারিনি...হাতের কাছের ফুলদানীটা ছুঁড়ে মারি তাকে...মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তার দেহ। সেখানেই স্পট ডেড...

আপনি আপনার ওয়াইফকে মেরে ফেললেন?

না না! আমি মারতে চাইনি। ওটা অ্যাক্সিডেন্টলি হয়ে গেছে। এরকম দৃশ্য কে সহ্য করতে পারে!

আর! আপনার বন্ধু...

তার প্রিয়তমার নিথর দেহ দেখে সে আমার গলা চেপে ধরে...আমি ছাড়াবার অনেক চেষ্টা করি কিন্তু পারিনি। তারপর আমিও মরে যাই...পরে অবশ্য সে দুঃখে অনুশোচনায় আত্মহত্যা করে।

কি বলছেন আপনি?

হ্যাঁ আমি মৃত। এই ইট পাথরের শহরে জীবন্ত মানুষের ভীড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।

এ অসম্ভব! এটা হতে পারে না।

এটাই সত্যি! কিছু-কিছু সত্যি রূপকথাকেও হার মানায়...

অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে। এখনই সন্ধ্যা নামবে। পিয়ালী দেখল উদয় রহমানের কপালে ক্ষত চিহ্ন...তার চোখের রং একদম সাদা...এরকম চোখ কোনো জীবিত মানুষের হতে পারে না। তার সব বডি গার্ডদের অবস্থা একই রকম। পিয়ালীর আর বুঝতে বাকি রইলো না; এই মৃত্যুপুরীতে সেই একা জীবিত।

আপনি অনেক ভালো। কিন্তু আমি আমার নিয়মে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। আই এম সো সরি...

ঘটনার আকস্মিকতায় পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায় পিয়ালী। শুধু চোখ বেয়ে এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো তার।

#
তো উদয় রহমান আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনি পিয়ালী হোসেনের নিখোঁজের ব্যাপারে কিছুই জানেন না?

না আমি কিছুই জানি না...

কিন্তু তাকে তো লাস্ট আপনার সাথেই দেখা গিয়েছিলো...

তার আমার একটি ইন্টারভিউ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি...

আপনার কি মনে হয় পিয়ালী হোসেনের সাথে আসলে কি হয়েছে?

এটা আমি বলতে পারবো না...

আজকের মত প্রেস কনফারেন্স এখানেই শেষ। আপনারা আসতে পারেন...

তো এই ছিল উদয় রহমানের বক্তব্য! আমরা জানি পিয়ালী হোসেন তিন দিন ধরে নিখোঁজ। কি হয়েছিলো তার সাথে? কোথায় আছেন তিনি? তিনি কি জীবিত নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু উত্তর একটিরও নেই। আমরা কি হতে পারবো পিয়ালী হোসেনের রহস্যের নিকটবর্তী...ক্যামেরা ম্যান এহসান মল্লিকের সাথে আমি নাঈম যুবায়ের, নিউজ জাগরণ, বাংলাদেশ।
( সমাপ্ত )


Next Bangla Story

All Bengali Stories    128    129    130    131    132    133    134    (135)     136    137    138   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717