Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

স্বরচিত ছোট গল্প লেখার প্রতিযোগিতা - ২০২৩

bengali short story writing competition


## স্বরচিত ছোট গল্প প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ), নভেম্বর- ২০২৩ ফলাফল

## স্বরচিত ছোট গল্প প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ), নভেম্বর- ২০২২ ফলাফল

## স্বরচিত ছোট গল্প প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ), নভেম্বর- ২০২১ ফলাফল



 

স্বরচিত ছোট গল্প প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ), নভেম্বর- ২০২৩; ফলাফল
নভেম্বর-২০২৩ এ অনুষ্ঠিত ছোট গল্পের প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ) ভারত সহ প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকেও আমরা অনেক-অনেক গল্প পেয়েছি। এতে আমরা সত্যিই খুব অভিভূত। লেখক / লেখিকাদের এত সুন্দর-সুন্দর গল্প পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে পেরে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত। যারা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছেন সবাইকে অনেক-অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। প্রসঙ্গত জানাই আমরা আগামী বছর থেকে ( ২০২৪) এই প্রতিযোগিতায় প্রকাশিত প্রতিটি গল্প নিয়ে একটি গল্প-সংকলন ( Hardcopy ) বই হিসেবে প্রকাশ করবো। সবাই পাশে থাকবেন এই আশা রাখি।
নীচে বিজয়ী গল্পটির নাম ও সম্পূর্ণ গল্পটি দেওয়া হল। সাথে আরও কিছু নির্বাচিত গল্প প্রকাশ করা হল।

এবারের বিজয়ী গল্পটি হল-
ঢিল

লেখক - অগ্রদীপ দত্ত, বাবা- বিপ্লব কুমার দত্ত, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ


#
পাড়ার মোড়ে এসে দাঁড়ালেন সৌম্য রঞ্জন বাবু। পুরো পাড়া জুড়ে আলোর বহর। ছাদ কার্নিশ ব্যালকনি এমনকি বাগানের গাছগুলো অবধি টুনি লাইটের আলোয় এমন সেজে উঠেছে যে, চোখ ধাঁধিয়ে যায়। একটু আগেই বাজি ফাটানো হয়েছে এই গলিতে। বারুদের গন্ধটা মায়ের শরীরের গন্ধের মতোই আদুরে। কীভাবে যেন হাওয়ায় মিশে থাকে অনেকক্ষণ! সৌম্যরঞ্জনবাবু বুক ভরে শ্বাস টানলেন। আহহ! শব্দটা অস্ফুটেই বেরিয়ে এল মুখ থেকে। চারিদিকের রোশনাই আর বারুদের গন্ধে চোখে জল চলে এল তার। পাঞ্জাবীর ময়লা হাতায় চোখের কোণ মুছে ধীর পায়ে এগোতে লাগলেন সামনের দিকে। সব বাড়ির পাঁচিলে, সদরের সামনে টিমটিম করে জ্বলছে প্রদীপের আলো। আজ ভূত-চতুর্দশী। পূর্ব-পুরুষেরা আজ মর্ত্যে নেমে আসেন। ছোটবেলায় বাবার সাথে বাড়ির সমস্ত কোণে প্রদীপ দিতে গিয়ে দুষ্টামির কথা মনে পড়ে গেল সৌম্যবাবুর। নিভে যাওয়া প্রদীপগুলো অন্যের বাড়ির টিন তাক করে ছুঁড়ে মারতেন বন্ধুরা মিলে। পাড়া-শুদ্ধু লোক ভয় পেত ভূতের। তখন কী আর জানা ছিল দিনটার গুরুত্ব!

রাত সাড়ে ন'টা। অথচ পুরো গলি ফাঁকা দেখে একটুও অবাক হলেন না সৌম্যরঞ্জন। পাড়ার অপর প্রান্তের মোড়ে এখন নিশ্চয় সবাই ব্যস্ত পুজো মণ্ডপ সাজাতে। লাট্টু, বিমল, শক্তিরা এতক্ষণে ঠাকুর আনতে চলে গেছে রেললাইনের পারে। সারাবছর ব্যাটারা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে টো টো করে ঘুরে বেড়ালেও পুজোর কয়েকটা দিন ভীষণ রকম সিরিয়াস। মালঞ্চ সংঘের বরাদ্দ কাজের অধিকাংশই নির্ধারিত সময়ের আগে করে ফেলে বরাবর।

মালঞ্চ... নিজের মেয়ের নামেই পাড়ার ক্লাবের নাম দিয়েছিলেন সৌম্যরঞ্জন। পুজোর কয়েকটা দিন কী হৈ-হুল্লোড়েই না কাটে! পাড়ার একমাত্র কালীপূজা বলে কথা। মিষ্টি, শিমূল, ঝিনুক, পাপড়িরা প্রতিবারই গ্রুপ নাচ করে। শ্যামলের মেয়ে তুলতুল স্টেজে উঠে অর্ধেক আবৃত্তি করে এবারও আটকে যাবে, দোলনের ছেলে বাপ্পা দিনরাত মাইক টেস্টিং, মাইক টেস্টিং চেঁচিয়ে মাথা নষ্ট করবে সবার, আর শ্যামা-সংগীত বাজানো নিয়ে চিন্ময় বসাক- স্নেহাশিস তালুকদারের সেই ট্র‍্যাডিশনাল ধুন্ধুমার। এই বিরক্তিকর জিনিসগুলোই এখন বড্ড আপন মনে হয় সৌম্যরঞ্জনের। মঞ্চ বানানো, মূর্তি আনা থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা, কেউ বলার আগে সমস্তটাই করে ফেলতেন তিনি। সে-ও এক দিন ছিল বটে!

কিছুদূর এগিয়ে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়লেন সৌম্যবাবু। বাড়িটা একইরকম আছে। আধো অন্ধকার। ব্যালকনির পাশ দিয়ে একখানা টুনির চেন কোনোমতে ঝুলে আছে নীচে। মা-মেয়ে এরচেয়ে বেশি আর কী-ই বা সাজাতে পারবে। মেয়ে ও স্ত্রী এর মুখগুলো দেখার খুব ইচ্ছে হল সৌম্যরঞ্জনবাবুর। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে গেট খুলে ধীর পায়ে এসে দাঁড়ালেন ভেতরে। সামনের পাঁচিলে চোদ্দ-বাতি দেওয়া, পূর্ব-পুরুষদের উদ্দেশ্যে; চার বছর আগে মারা যাওয়া মালঞ্চের বাবার উদ্দেশ্যে। সৌম্যরঞ্জন নিজেকে সামলাতে পারলেন না। রাগের বশে একের-পর এক প্রদীপ নিভিয়ে দিয়ে একখানা তুলে নিলেন হাতের মুঠোয়। তিনি তো বেঁচেই আছেন। নিজের না হোক অন্যের শরীরের খোলসে। একে কি বেঁচে থাকা বলে না? তাহলে কেন এই প্রদীপ? পাড়ার পুজোর মায়া ত্যাগ না করতে পারা সৌম্যরঞ্জন প্রত্যেক বছরই ফিরে আসেন। ভূত-চতুর্দশীর রাতে, মাত্র কিছুক্ষণের জন্য। প্রতিবারই আলাদা আলাদা মানুষের শরীরে। এবার যেমন এক মৃত ঢাকির দেহে পাঠানো হল তাকে, আগামীকালের পুজোর কথা-বার্তা বলতে।

নিজের মেয়ে বৌকে চোখের সামনে দেখলেই সবকিছু উলোট-পালোট করে ফেলেন সৌম্য। আগের-বার মালঞ্চকে যখন দেখলেন তার উপহার দেওয়া পুরনো একখানা সালোয়ার কামিজ পরে ফুলের মালা গাঁথতে, খুব- খুব ইচ্ছে করছিল বুকের মধ্যে জড়িয়ে নিজের পরিচয়ের সবটুকু উগড়ে দিতে। কিন্তু না। এসব কিছুই করতে পারেন না। নিয়ম নেই। এই জগতের মতোই ভূতদের জগতেও কিছু নিয়মকানুন আছে। সেগুলো অমান্য করলেই আর মানুষ-শরীর ধারণ করতে পারবেন না সৌম্যরঞ্জন। তাই মাথায় চেপে বসা 'দেখা করার অদম্য ইচ্ছেটাকে' কোনোমতে দমিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসলেন তিনি। পুজো মণ্ডপে বোধ হয় মা-মেয়ে ইতিমধ্যে চলে গেছে; কাছ থেকে না হোক, দূর থেকেই ভালো। সৌম্যরঞ্জনবাবু অসীম উত্তেজনায় ক্লাবের দিকে এগিয়ে গেলেন। শুধু যাওয়ার আগে মুঠোয় চেপে ধরা প্রদীপটা ব্যালকনি তাক করে ছুঁড়ে মারলেন সজোরে।

জানলার কাচে দুম করে একটা শব্দ হতেই ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালেন সংগীতা। পাশে মালঞ্চ টর্চ হাতে দাঁড়িয়ে। সামনের পাঁচিলের প্রতিটা বাতিই নেভানো। প্রথমে ভাবতেন হাওয়া, কিন্তু তারপরে আশপাশের বাড়িগুলোর জ্বলন্ত প্রদীপগুলো দেখে মনের ভেতর সন্দেহের খচখচানি উঁকি দিত সব সময়। অনেকটাই পরিষ্কার হল যেই-বার থেকে প্রদীপের ঢিল আসা শুরু হল বারান্দায়। টর্চের আলোয় প্রতিবারের মতো পাওয়া আধ-পোড়া প্রদীপের টুকরোগুলো মেঝে থেকে পরম যত্নে কুড়িয়ে কাপড়ের ব্যাগে ভরে নিলেন সংগীতা। তিনি জানেন, প্রতি বছর ভূত-চতুর্দশীর রাতে পাড়ায় একটা বাড়িতেই ঢিল এসে, লাগে কাচের জানালায়। ধাক্কা লেগে চূর্ণবিচূর্ণ হয় মাটির প্রদীপ। কারণ ঢিল ছোঁড়ার গল্পটা তার ভীষণ ভীষণ চেনা...
( সমাপ্ত )

## এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আরও কিছু নির্বাচিত গল্প এখানে প্রকাশ করা হল

■ সুখ স্মৃতি
লেখিকা - অনুশ্রী মাইতি, বাবা - হরিপদ মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ
Full Story

■ লেখক
লেখক - আলী রাইহান স্বপ্ন, বাবা- মোঃ আলী আশরাফ, রংপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
Full Story

■ ফেরা
লেখিকা - কাশফিয়া নাহিয়ান, বাবা - মোঃ ফেরদৌস, মা - নার্গিস আহমেদ, ধানমন্ডি, ঢাকা, বাংলাদেশ
Full Story

■ প্রেমের জয়
লেখিকা: ডঃ ভার্গবী চট্টোপাধ্যায় ভট্টাচার্য্য, বাবা: প্রয়াত সুনীল কুমার চট্টোপাধ্যায়, বালিগঞ্জ, কলকাতা
Full Story


এবারের প্রতিযোগিতার নিয়মাবলীগুলি যা ছিল তা নিচে দেওয়া হল-

স্বরচিত ছোট গল্প প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ), নভেম্বর- ২০২৩
প্রতি বছর নভেম্বর মাসে RiyaButu.com এর পক্ষ থেকে 'স্বরচিত ছোট গল্প লেখার প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে )' অনুষ্ঠিত হয়। এবারও এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেকোনো লেখক / লেখিকা তাদের স্বরচিত ছোট গল্প Online এ এই প্রতিযোগিতায় পাঠাতে পারেন।
নিয়মাবলী নীচে দেওয়া হল:

১. এই প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত; যেকেউ আমাদের কাছে Online ছোট গল্প পাঠাতে পারেন। কোনও entry fee নেই।

২. ভাষা: বাংলা, ( বিষয়: যেকোনো)

৩. প্রতিযোগিতা ১-লা নভেম্বর থেকে ৩০-ই নভেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ( 1st November, 2023 to 30 th November, 2023 ) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশিত হবে ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩
লেখক / লেখিকারা এই Pageএ ফলাফল দেখতে পারবেন।

৪. এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীকে পুরস্কার স্বরূপ দেওয়া হবে নগদ ২০০০/ - ( দুই হাজার টাকা)। এই টাকা শুধুই Net-Banking এর মাধ্যমেই বিজয়ীর কাছে গল্পটি প্রকাশিত হবার পরে ৩০ দিনের মধ্যে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত: এই প্রতিযোগিতায় শুধু একটিই পুরস্কার থাকবে।

৫. গল্পটি অবশ্যই স্বরচিত হতে হবে। গল্পটি টাইপ করে শুধুমাত্র PDF অথবা MS Word-এ email-এর মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠাতে হবে। কোনও রূপ Hardcopy কিংবা Whatsapp-এ নয়।
আমাদের email ID:
riyabutu.com@gmail.com
riyabutu5@gmail.com

৬. গল্পের সাথে লেখকের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর অবশ্যই পাঠাতে হবে। অন্যের লেখা নিজের নামে পাঠানোর দায় একমাত্র E-mail প্রেরকের উপর থাকবে। RiyaButu.com এ ব্যাপারে কোনও ভাবেই দায়ী থাকবে না। প্রতিটি গল্প পাঠাবার সময় গল্পের নীচে লেখক / লেখিকাকে অবশ্যই লিখে দিতে হবে যে,
"এই গল্পটি আমার স্বরচিত। গল্পটি এর আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি।"

৭. গল্প ৬০০ ( ছয় শত) শব্দের মধ্যে হতে হবে। এক ব্যক্তি ২টি গল্পের বেশী পাঠাতে পারবেন না।

৮. বিজয়ী গল্পটি লেখক / লেখিকার নাম ধাম সহ ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩, RiyaButu.com-এ প্রকাশিত হবে। তাছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আরও ১০টি নির্বাচিত গল্প লেখকের নাম ধাম সহ RiyaButu.com-এ প্রকাশিত হবে।

৯. গল্প প্রকাশিত হবার পর RiyaButu.com থেকে গল্প Delete করার, কিংবা বাদ দেওয়ার অধিকার শুধু RiyaButu.com এর থাকবে।

১০. এই প্রতিযোগিতার যেকোনো বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মেনে নিতে হবে।

এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে যেকোনো প্রশ্ন থাকলে বিনা দ্বিধায় আমাদের ফোন করুন।
Call: +91 8974870845
Only Whatsapp: +91 6009890717
E-mail ID:
riyabutu.com@gmail.com
riyabutu5@gmail.com

আমাদের ঠিকানা:
ধলেশ্বর - ১৩
আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম ), ভারত
৭৯৯০০৭

## এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য:
আমাদের উদ্দেশ্য বিশ্বময় লেখক ও পাঠকদের একটি সাহিত্যের মঞ্চ প্রদান করা। দূর-দূরান্তে অনেক ভাল লেখক / লেখিকা আছেন, যারা খুব ভাল গল্প লিখছেন, কিন্তু কোথাও প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তেমনি দূর-দূরান্তে অনেক মনোযোগী পাঠক আছেন যারা নতুন লেখা পড়তে খুব ভালবাসেন কিন্তু পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। RiyaButu.com তাদের সকলের পাশে দাঁড়িয়ে, সকলকে এক মঞ্চে নিয়ে আসতে চাইছে। ঘরে বসেই বিশ্বময় মূল্যবান পাঠক / পাঠিকাদের কাছে বিশ্বময় লেখক / লেখিকাদের গল্প পৌঁছে যাক, এটাই আমাদের লক্ষ্য। পাশে আছি, পাশে পাব এই আশা রাখি।

 

স্বরচিত ছোট গল্প প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ), নভেম্বর- ২০২২; ফলাফল
নভেম্বর-২০২২ এ অনুষ্ঠিত ছোট গল্পের প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ) ভারত সহ বিভিন্ন দেশ থেকে এত সুন্দর-সুন্দর বাস্তবধর্মী গল্প এসেছে যে আমরা সত্যি অভিভূত। প্রতিটি গল্পের মধ্যে ছিল একটি চিন্তাশীল সামাজিক বার্তা। লেখক / লেখিকাদের এত সুন্দর-সুন্দর গল্প পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে পেরে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত। যারা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছেন সবাইকে অনেক-অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
নীচে বিজয়ী গল্পটির নাম ও সম্পূর্ণ গল্পটি দেওয়া হল। সাথে আরও কিছু নির্বাচিত গল্পের তালিকা এবং তাদের প্রকাশের তারিখ নীচে দেওয়া হল।

এবারের বিজয়ী গল্পটি হল-
আলোর বিন্দু
লেখিকা - সুলেখা রায়, পিতা - ৺লক্ষ্মীকান্ত চৌধুরী, দমদম, কলিকাতা


#
তনিমার কোল আলো করে যেদিন ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম হলো, সেদিন বোস বাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। বোস পরিবারে বহুদিন পর নতুন সদস্যের জন্মে উলুধ্বনি আর শাঁখ বাজল। বোসবাবুর সদ্যজাত নাতির ভূমিষ্ঠ হওয়ার শুভ সংবাদে ঘরে-ঘরে মিষ্টি বিতরণ করা হলো।

বোস বংশের প্রদীপ সেই একমাত্র বংশধরের আজ শুভ-অন্নপ্রাশন। বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজন... হৈচৈ... বিশাল আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথি সমাগমে গমগম করছে বোসবাড়ি। এত আনন্দের মাঝেও তনিমার মুখে হাসি নেই। আজ সকাল থেকে ক্ষণে-ক্ষণেই অদৃশ্য এক শিশু কণ্ঠে "মা—মা—মা" ডাক শুনে অন্যমনস্ক হয়ে উঠছে বারবার। হঠাৎ চোখ যায় তনিমার শোবার ঘরের দেওয়ালে। অপূর্ব সুন্দর একটি প্রজাপতি বসে রয়েছে ল্যামিনেট করা ছবির ওপর। ছবিটি তনিমা এবং তার স্বামী তমালের বিয়ের সময়ের। এত সুন্দর প্রজাপতি আগে কখনো দেখেনি তনিমা; অবাক বিস্ময়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে সে।

—"ওকি বৌমা! আজ এই আনন্দের দিনে তোমার এমন মুখ গোমড়া কেন? কোন্ দিকে মন থাকে তোমার আজকাল বলো দেখি!! আর একটু হলেই তো ছেলে খাট থেকে পড়ে যেত...!!" শাশুড়ির কড়া শাসানিতে ঘোর কাটল তনিমার। শাশুড়ি-মা ছুটে এসে নাতিকে কোলে নিয়ে তনিমাকে খানিক বকাবকি করে যান। একটা অব্যক্ত যন্ত্রণা দিনরাত কুড়ে-কুড়ে খায় তনিমাকে, সে খবর কেউ রাখে না। বুকের ভেতরে পাথর হয়ে জমে থাকা দুঃসহ ব্যথাটা সে কারো সাথে ভাগ করে নিতে পারে না। আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে সেই দিনগুলোর কথা ভেবে নীরবেই অশ্রুধারা নামে তনিমার দুই চোখে। তার গর্ভে তখন তিল-তিল করে বেড়ে উঠছে তার ভাবি সন্তান। কিন্তু তনিমার স্বামী ছেলে-সন্তান চায়। শাশুড়ি-মাও পরিষ্কার বলে দিয়েছেন—"বৌমা, আমার কোলে নাতি চাই। বড় ও মেজ বৌমা এ পরিবারে বংশধর দিতে পারেনি। তুমি বাপু আমায় নিরাশ করো না যেন।"

আল্ট্রাসোনোগ্রাফি রিপোর্টে জানা গেল তানিয়ার গর্ভে বেড়ে উঠছে কন্যা-ভ্রূণ। পরিবারের চাপে শত অনুরোধেও গর্ভের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারল না তনিমা। সবে তখন শরীর জুড়ে একটা ছোট্ট প্রাণের স্পন্দন অনুভব করতে শুরু করেছিল সে। জীবনে প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ অনুভূত হয়েছিল তার মনপ্রাণ জুড়ে। কিন্তু শেষপর্যন্ত গর্ভপাত করতে বাধ্য হলো সে। অদৃষ্টের পরিহাসে সেদিনের অসহায়তা তনিমার অন্তরাত্মাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল! সেই দুঃসহ স্মৃতিগুলো আজ আবার ফিরে এলো বাঁধ-ভাঙা চোখের জলে !

#
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা সবাই ফিরে গেছে। ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে সারাদিনের ক্লান্তিতে চোখে ঘুম নেমে আসে তনিমার।
—"মা... ও মা... আমি এসেছি...আমায় কোলে নেবে না মা!!"

—"তুই এসেছিস মা!! আমি যে আজ সারাদিন তোর কথাই ভেবেছি!"

—"আমিও যে সারাদিন তোমার ঘরেই ছিলাম মা... ভাইয়ের সাথে কত খেলা করেছি। তোমাকে কতবার ডাকলাম; সাড়া দাও নি কেন মা? ঠাম্মাকেও ডেকেছি কতবার! ঠাম্মাও সারা দিল না! সবাই ভাইকে কত আদর করছে... আমাকে তোমরা কেউ ভালোবাসো না। তোমরা সবাই খুব দুষ্টু!"

মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে তনিমা —"তোর মাকে ক্ষমা করে দে মা! তোর মা যে সত্যি ভারী দুষ্টু রে... তোকে আগলে রাখতেও পারেনি!"

আদো-আদো তোতলা বুলিতে একরত্তি মেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেয়— "তুমি কাঁদছ কেন মা? আমার জন্য মন খারাপ করো না... আমি ওখানে ভালো আছি। আমার মতো আরও কত মেয়ে, ওরা সবাই মায়ের জন্য কাঁদে। আমারও তোমায় দেখতে ইচ্ছে করে মা! তাইতো চলে এলাম তোমার আদর খেতে।" ছোট্ট দুটো হাত অযত্নে মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দেয়। পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে ধরে। এমন সময় ছেলের কান্নায় ঘুম ভেঙে যায় তনিমার। দু-চোখে তখনও স্বপ্নের ঘোর। পাগলের মতো মেয়েকে খুঁজতে থাকে তনিমা। ঠিক তখনই অবাক বিস্ময়ে চেয়ে দেখে একটা উজ্জ্বল আলোর বিন্দু খোলা জানালা দিয়ে বেড়িয়ে মহাশূন্যে মিলিয়ে যায়! দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে তনিমা দেখল, ছবির ওপর বসে থাকা প্রজাপতিটা কখন যেন উড়ে গেছে।
( সমাপ্ত )

## এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আরও কিছু নির্বাচিত গল্প তাদের প্রকাশের তারিখ সহ নীচে দেওয়া হল —

■ জেঠিমা
লেখিকা - দেবিকা বসু, গাজিয়াবাদ, উত্তরপ্রদেশ
Full Story

■ কৈবর্তনামা
Writer: ফাহাদ হোসেন ফাহিম, বাবা: মোক্তার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ
Full Story

■ বৃদ্ধাশ্রম
লেখক - চন্দন চ্যাটার্জি, পশ্চিমবঙ্গ
Full Story

■ এক কাপ চা
লেখক - তমাল গাঙ্গুলী, পিতা - তুহিন গাঙ্গুলী, উত্তর ২৪পরগনা
Full Story

■ নতুন ভোর
লেখিকা: দেবিকা বসু, গাজিয়াবাদ, উত্তরপ্রদেশ
Full Story

■ অতীত গড়েছে ভবিষ্যৎ
Writer: রাজুকুমার মাহাতো
Full Story

■ অভেদ্য ( কল্প বিজ্ঞান গল্প)
Writer: দিগন্ত পাল
Full Story

এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে যেকোনো প্রশ্ন থাকলে বিনা দ্বিধায় আমাদের ফোন করুন।
Call: +91 8974870845
Whatsapp: +91 6009890717
E-mail ID:
riyabutu.com@gmail.com
riyabutu5@gmail.com

আমাদের ঠিকানা:
ধলেশ্বর - ১৩
আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম ), ভারত
৭৯৯০০৭

## এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য:
আমাদের উদ্দেশ্য বিশ্বময় লেখক ও পাঠকদের একটি সাহিত্যের মঞ্চ প্রদান করা। দূর-দূরান্তে অনেক ভাল লেখক / লেখিকা আছেন, যারা খুব ভাল গল্প লিখছেন, কিন্তু কোথাও প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তেমনি দূর-দূরান্তে অনেক মনোযোগী পাঠক আছেন যারা নতুন লেখা পড়তে খুব ভালবাসেন কিন্তু পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। RiyaButu.com তাদের সকলের পাশে দাঁড়িয়ে, সকলকে এক মঞ্চে নিয়ে আসতে চাইছে। ঘরে বসেই বিশ্বময় মূল্যবান পাঠক / পাঠিকাদের কাছে বিশ্বময় লেখক / লেখিকাদের গল্প পৌঁছে যাক, এটাই আমাদের লক্ষ্য। পাশে আছি, পাশে পাব এই আশা রাখি।

 

স্বরচিত ছোট গল্প প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে ), নভেম্বর - ২০২১ ফলাফল

ফলাফলঃ-
গত নভেম্বর মাসে ( ২০২১) অনুষ্ঠিত হয়েছে ছোট গল্পের প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের মধ্যে )। এই প্রতিযোগিতায় আমরা লেখক / লেখিকাদের বিপুল সাড়া পেয়েছি। সারা ভারত সহ দেশ-বিদেশের অনেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। সবাইকে অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। এবারের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী গল্পটির নাম ও গল্পটি নীচে দেওয়া হল। সাথে আরও কিছু নির্বাচিত গল্পের তালিকা,তাদের প্রকাশের তারিখ সহ নীচে দেওয়া হল।

এবারের বিজয়ী গল্পটি হল-
কামড়
লেখক - রাজকুমার মাহাতো, সম্পামির্জানগর, কলকাতা

Full Story

## এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আরও কিছু নির্বাচিত গল্প তাদের প্রকাশের তারিখ সহ নীচে দেওয়া হল

■ অবলম্বন
লেখিকা - অনুশ্রী মাইতি, বাবা- হরিপদ মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর
Full Story

■ একটি পাঁচশ টাকার নোট
লেখক - মুকুট রায়, বাবা- স্বর্গীয় কান্তিনাথ রায়, আসানসোল, পশ্চিমবঙ্গ
Full Story

■ চুলের গন্ধ
লেখিকা- অনিন্দিতা মন্ডল
Full Story

■ মস্টারমশাই
লেখক - শুভজিৎ ঘরামী
Full Story

■ সহযোগিতা
লেখিকা- সন্দীপা সরকার মুখার্জী
Full Story

■ একদিনের প্রেম
লেখক - অলোক অধিকারী
Full Story

■ হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে
লেখক- মোঃ আনারুল ইসলাম রানা
Full Story

■ হারানো স্মৃতি
লেখক - অনীশ দত্ত
Full Story

■ মন যখন জানতে চায়
লেখক- এনামুল হক
Full Story

■ বিশ্বাস
লেখক - প্রশান্তকুমার চট্টোপাধ্যায়
Full Story

■ পূণ্যি অর্জন
লেখিকা – সংঘমিত্রা রায়, করিমগঞ্জ, আসাম
Full Story

■ দুই নারীর জীবন
লেখক- রবিশঙ্কর তালধী
Full Story

■ একটা সাদা ঘোড়া
লেখিকা - বৈশালী মহান্তী
Full Story

■ কল্পবিজ্ঞান ভিত্তিক গল্প - কল্পলোক
লেখক - দিগন্ত পাল, দানেশ শেখ লেন, হাওড়া
Full Story

## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717