Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

ত্রিপুরার রেল

Railway in Tripura

◎ All Articles On Tripura     ◎ All Other Articles

This article is regarding the Railway in Tripura.
Last updated on: .
Language: Bengali.


-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



ত্রিপুরার রেল

- ১৯৬৪ সালে ধর্মনগরের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল সর্বপ্রথম ত্রিপুরায় প্রবেশ করে। আসামের কলকলিঘাট থেকে রেল লাইন সম্প্রসারণ করে ধর্মনগর পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। এই রেল লাইন ছিল মিটারগেজ লাইন। পরবর্তী পদক্ষেপে ধর্মনগর থেকে পেঁচারথল এবং পেঁচারথল থেকে কুমারঘাট পর্যন্ত রেল চলাচলের ব্যবস্থা হয়। কুমারঘাটে প্রথম রেল এসে পৌঁছায় ১৯৯০ সালে। ধর্মনগর থেকে কুমারঘাট পর্যন্ত রেল পথের দূরত্ব ৪৫ কিমি। ২০০৮ সালে আগরতলায় প্রথম রেল পৌঁছায়।



ত্রিপুরার রেলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন:

■ ২৩শে অক্টোবর ১৯৯৬ সালে আগরতলার আসাম রাইফেল ময়দানে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় এইচ. ডি. দেবেগৌড়া মহাশয় আগরতলা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

■ ১৭ই নভেম্বর ১৯৯৮ কুমারঘাট থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

■ ১৬ ই এপ্রিল ২০০৭ রেল সম্প্রসারণের কাজ প্রত্যক্ষ করতে সংসদের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়া ত্রিপুরায় আসেন।

■ ২৯শে জুন ২০০৮ আমবাসা হয়ে আগরতলায় প্রথম রেল ইঞ্জিন প্রবেশ করে সালে। ইঞ্জিন নং ছিল ৬৪৯০ ।

■ ৬ই আগস্ট ২০০৮ আমবাসা থেকে পরীক্ষা মুলক ভাবে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন আগরতলায় এসে পৌঁছে। এর নম্বর ছিল: ওয়াই টি এম ৬২৭১ ।

■ ৫ই অক্টোবর ২০০৮ অতি সফলতার সাথে প্রথম ভারতীয় রেল ধর্মনগর থেকে যাত্রী বোঝাই হয়ে আগরতলায় এসে পৌঁছায়। এই লাইন ছিল মিটারগেজ লাইন।

■ ১৫ই অক্টোবর ২০০৮ অতি সফলতার সাথে উদ্বোধন বিহীন যাত্রী বাহী ৬৩৬২ নম্বর রেলটি আগরতলা থেকে লামডিং যাত্রা করে। ঐ দিনেই আবার আগরতলা থেকে সাব্রুম পর্যন্ত রেল পথের কাজ শুরু হয়।

■ ২৯ শে নভেম্বর ২০০৮ ধর্মনগর থেকে ধর্মনগর টু আগরতলা যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন আগরতলায় এসে পৌঁছায়। ঐ দিনই রাজ্যের রেল লাইনকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে পরিণত করতে রাজ্য বিধান সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

■ ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ আগরতলা থেকে ধর্মনগরের মধ্যে সকালের নিয়মিত রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়।

■ ৩১শে জুলাই ২০১৬ সালে। ভারতের রেল মন্ত্রী সুরেশ প্রভু ঐ দিন আগরতলা থেকে দিল্লী লাইনটির উদ্বোধন করে। শুরু হয় ত্রিপুরা থেকে দূর পাল্লার রেল যাত্রা, শুরু হয় ত্রিপুরা থেকে এক্সপ্রেস রেলওয়ের যুগ।

■ ২৪শে জানুয়ারি ২০১৭, আগরতলা থেকে উদয়পুর পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হয়। ঐ দিন ভারতের রেল মন্ত্রী সুরেশ প্রভু দিল্লীতে বসেই হাই-টেক টেকনলজির মাধ্যমে এই রেলের উদ্বোধন করেন।



ত্রিপুরা রেলের কিছু অন্যান্য তথ্য:

■ স্বাধীন ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য গুলির মধ্যে আগরতলা হল প্রথম রাজধানী, যে রেলপথে সারা ভারতের সাথে যুক্ত হল। তবে স্বাধীনতার পূর্বেকার সময় ধরলে, উত্তরপূর্ব রাজ্য গুলির মধ্যে আগরতলা হল দ্বিতীয় রাজধানী, যে রেলপথে সারা ভারতের সাথে যুক্ত হল। স্বাধীনতার বহু পূর্বেই আসামের রাজধানী রেলপথে সারা ভারতের সাথে যুক্ত হয়েছিল।

■ ত্রিপুরার রেলওয়ে ভারতের লামডিং ডিভিশনের Northeast Frontier Railway zone এর Lumding–Sabroom section এ অবস্থিত এবং ভারতের Northeast Frontier Railway দ্বারা পরিচালিত হয়।
সীমান্ত রেলের সদর দপ্তর মালিগাঁও।

■ আগরতলা থেকে ত্রিপুরার উত্তর সীমানা পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৩ কিমি।

■ ত্রিপুরার রেলপথে মোট সুড়ঙ্গের সংখ্যা ১৬। প্রথম সুড়ঙ্গ কুমারঘাটে। ত্রিপুরার রেলপথের তিনটি মুখ্য সুড়ঙ্গ আছে লংতরাই ভেলী, বড়মুড়া এবং আঠারমুড়ায়। লংতরাই ভেলীর সুড়ঙ্গটি ১৯৬২ মিটার দীর্ঘ। এটি সমগ্র পূর্ব ভারতের রেলপথে সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ।

■ ত্রিপুরার রেলপথে দীর্ঘতম সেতুটি আছে মনু নদীর উপর। এটি প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ।

■ ত্রিপুরার রেলপথের বক্রতা: সমতলে ৪ ইঞ্চি, পাহাড়ে ৮ ইঞ্চি ।

■ আগরতলার রেলস্টেশনটি আগরতলার রাজবাড়ি তথা উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদের অনুকরণে তৈরি। আগরতলার রেলস্টেশনটি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বাধারঘাটে অবস্থিত। এই রেলস্টেশনটিতে ৩টি প্লাটফর্ম ও ১০টি ট্রেক আছে। আগরতলা রেলস্টেশনটির কোর্ড হল: AGTL. আগরতলা রেলস্টেশনের পূর্ববর্তী রেলস্টেশন হল যোগেন্দ্রনগর আর পরবর্তী রেলস্টেশনটি হল শেকেরকোট। প্রতিদিন ত্রিপুরার রেলে প্রায় ১০,০০০ যাত্রী চলাচল করে।

■ আগরতলা থেকে ধর্মনগর পর্যন্ত মোট রেলস্টেশন আছে ১৪টি। যথা: আগরতলা, যোগেন্দ্রনগর, জিরানীয়া, তেলিয়ামুড়া, মুঙ্গিয়াকামী, আমবাসা, জওহর নগর, এস.কে. পাড়া, মনু, নালকাটা, কুমারঘাট,পেঁচারথল, পাণিসাগর, ধর্মনগর।

■ ২৮-১০-২০১৭: শনিবার, আগরতলা যুক্ত হয়ে গেল রাজধানী এক্সপ্রেসের মানচিত্রে। এদিন বেলা ২.৩০ মিনিটে এটি আগরতলা থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্য উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে রাজধানী এক্সপ্রেস। বিষদ জানতে ক্লিক করুন ত্রিপুরার রাজধানী এক্সপ্রেস

■ ০৬-১১-২০১৭: সোমবার। আগরতলা থেকে নিয়মিত রাজধানী এক্সপ্রেসের পরিসেবা শুরু হয়। বিষদ জানতে ক্লিক করুন ত্রিপুরার রাজধানী এক্সপ্রেস



বাংলাদেশের সাথের ত্রিপুরার রেলপথের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ত্রিপুরা থেকে বর্তমানে রেলপথে কলকাতায় যেতে প্রায় ষোলশ কিমি পথ পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু আখাউড়ার ভিতর দিয়ে রেলপথ চালু হয়ে গেলে, সেই পথে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে কলকাতায় যেতে মাত্র প্রায় চারশ কিমি পথ পাড়ি দিতে হবে।

১) আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ
এই পথের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১৫ কিমি। এর ৫ কিমি ত্রিপুরার অংশ, বাকি ১০ কিমি বাংলাদেশের অংশ। এই রেল যোগাযোগ স্থাপন হলে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ পোর্ট ও চিটাগাং পোর্ট-র মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে সুবিধা হবে। তবে বিলোনীয়া ফেনী রেলপথ চালু হলে চিটাগাং পোর্ট থেকে পণ্য আমদানিতে বেশী সুবিধা হবে। এর জন্য আগরতলা স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৬৭ একর জমির প্রয়োজন হবে।
■ ২৮শে আগস্ট ২০১৭
আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ চালু করার উদ্দেশ্য নিয়ে ভারত বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয় ঢাকাতে। এই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব এন সুব্বা রাইডু। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন সেই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব কমলকৃষ্ণ ভট্টাচার্য। এই প্রতিনিধি দলে ভারতীয় রেল ও নির্মাণ সংস্থা ইরকনের সিনিয়র অফিসাররাও ছিলেন।
২৫শে অক্টোবর ২০১৭: বুধবার, আনুষ্ঠানিক ভাবে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের কাজ শুরু হয়। রেলের নিজস্ব নির্মাণ সংস্থা ইরকন ঐ দিন আগরতলার বাধারঘাটে এই কাজের শুভ সূচনা করে।

২) বিলোনীয়া-ফেনী রেলপথ
ত্রিপুরার বিলোনীয়া থেকে বাংলাদেশের পরশুরাম স্টেশন হয়ে ফেনী স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা চলছে। আগরতলা - সাব্রুম রেলপথের দূরত্ব প্রায় ১১৪ কিমি। এই পথ যাচ্ছে বিলোনীয়া হয়েই। বিলোনীয়া স্টেশন থেকে ফেনীর দূরত্ব প্রায় ২৫ কিমি। ফেনী স্টেশন থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অতি সহজেই পৌঁছানো যায়, ফলে এই রেলপথ চালু হলে ইহা ত্রিপুরা সহ সকল উত্তর পূর্ব ভারতে পণ্য আমদানিতে এটি একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এক সময় বাংলাদেশের ট্রেন বিলোনীয়া শহর পর্যন্ত আসত। সেই আমলের একটি মিটার গেজ লাইন এখনো ওখানে দেখতে পাওয়া যায়।

Read more: List of all articles on Tripura


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717