Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

হাট

Online bangla Story

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



List of all Bengali Stories

হাট

লেখিকা - জয়ন্তী চক্রবর্তী, পিতা - ঈশ্বর উমাপদ ঘোষাল, ঘটক পুর, দক্ষিণ চববিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

##
দশরথ ঢালি আজ স্নান করতে পুকুরে নেমেচে অনেক্ষণ হয়ে গেল। তবু ওঠার নাম নেই। পাশেই গায়ে গন্ধ সাবান ঘসে-ঘসে স্নান করছে বড় নাতনি খুকি। দশরথ একটু ইতস্তত করে বলল, "বেশ বাস বেইরেচে সাবানের। ও খুকি, একটু দে-না আমার পিঠে মাইকে।"

খুকি ঝংকার দিয়ে উঠলো, "পারবুনি। আমার তাই দেরি হয়ে গেচে। মা বকবে..."

জল ছপছপ পায়ে ঘাটের সিঁড়ি দিয়ে উঠে বছর পনেরোর খুকি বাড়ির ভেতর ঢুকে গেল। দশরথ ঢালি খানিকক্ষণ তাকিয়ে থেকে-থেকে হেসে ফেলল। ফোকলা দাঁতে লেগে থাকা হাসিটুকু নিয়েই স্নান সেরে ছেঁড়া গামছায় গা-মাথা মুছতে-মুছতে বাড়ি ফিরে চলল দশরথ।

আজ বুধবার। হাটবার। শিবু আসবে। দেখা হবে। আগের হাটে বারবার বলে দিয়েছিল শিবু, "গায়ে বড্ড ঘেমো গন্ধ হয়েছে বাপু তোমার। একটু চান-টান কোরো ভালো করে। সবান টাবান মাখতে পারুনি?"

"সাবান!! কোতায় পাব?" ফোগলা দাঁতে হাসতে-হাসতে বলেছিল দশরথ তার চারযুগ আগে বিয়ে করা পরিবার শিবানীকে। শিবু মুখ বেঁকিয়ে বলেছিল, "ভালো করে চান করবা। গামচা দে গা ঘসে-ঘসে। ঘামাচি হয়েচে কত! চুলকোয় নে?"

"চুলকোবেনি আবার? কি করব ক... কাউরে তো পাই না যে দুটো ঘামাচি মেরে দেবে।"

উত্তর দেয়নি, শুধু দীর্ঘ ঘোমটার ফাঁকে ফোঁস করে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলেছিল শিবু।

আজ বছর পাঁচেক হতে চলল ভিন্ন হয়েছে দু'ভাই নেমাই আর নেতাই। বাবা, বড় ভাই নেমায়ের ভাগে। মা, ছোটো পুত্তুর নেতায়ের ঘাড়ে। 'মরে যাব, মরে যাব' করেও বুড়োবুড়ি দিব্যি বেঁচে আছে। বৌমা-রা গালে হাত দিয়ে ভাবে, "কী আকাট পেরমায়ু বাপু! এত বয়স হলো! মরার নামটি নেই?"

বেলা তিনটে বাজতে-না বাজতে বাড়ির ভ্যান গাড়িখানা ছেলে-পুলে, ধামা, ঝোড়া, খান তিন -চার প্লাস্টিকের থলে ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল হাটের পথে। মাইল তিনেক দূরে হাট বসে। সপ্তায় দু'দিন। বুধবার আর শনিবার। শনিবার যাওয়া হয়ে ওঠৈ না। ঐ বুধবারই ঢালি পরিবারের সারা সপ্তার বাজার করা হয়ে যায়। দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকে হাট করতে আসে দলে-দলে চাষা -ভূষোরা। কাঁধে ছেলে, মাথার ধামায় বাড়ির উঠোনে ফলানো এক কাঁদি কলা, কি বেগুন, কি পালং শাক, কি বড়-বড় দুটো কুমড়ো অথবা লাউ। হাটে পাইকেড়ের কাছে বেচে সেই টাকায় শস্তায় হাট সারে। বেশির ভাগ লোকই আসে পায়ে হেঁটে। যাদের অবস্থা একটু ভালো, তারা আসে বাড়ির ভ্যান রিক্সায় চেপে। পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে, গাড়ি ভর্তি বাজার করে হাসিমুখে পাঁপরভাজা, কি ঘুঘনি মুড়ি খেতে-খেতে বাড়ি ফেরে সবাই। হাট ফিরতি মানুষের কলরবে মুখর হয়ে ওঠে পাড়াগাঁর অন্ধকার-মাখা মেঠো পথ।

দশরথের বাড়ির গাড়িখানা হাটের কাছে বড় ঝাঁকড়া পাকুড় গাছটার তলায় গিয়ে দাঁড়াতেই দশরথের ক্ষীণ হয়ে আসা দুটো চোখ প্রাণপণে অনুসন্ধান চালাতে থাকে চারদিকে। কৈ... ছোটো খোকা নেতায়ের গাড়ি খানা তো দেকা যাচ্ছে নে কোথাও। এই তো গেল বছর বাপের কাছে বায়না করে-করে হাছার পাঁচেক ট্যাকা আদায় করে ভ্যানটা কিনলো নেতাই। গোয়ালের বকনা বাছুরটা বেচে টাকা কটা দিতে বড়ই কষ্ট হয়েছিল দশরথের। নেহাত শিবুটা হাটে এসে কান্নাকাটি করছিল খুব। নেতাইটার সবজির ব্যবসাটাও ভাল চলছে না তেমন। একটা ভ্যান গাড়ি থাকলে তবু বাড়ি-বাড়ি ফেরি করে দু'পয়সা রোজগার করতে পারবে ছেলেটা। দশরথ ভাবে, বেশি রোজগার করে যদি বুড়ি মায়ের জন্যে দু'চার পয়সা খরচ-পাতি করে নেতাই। মন না চাইলেও টাকাটা তাই দিয়েছিল দশরথ গুনে-গুনে। তাতে নেতায়ের রোজগার বাড়লেও শিবানির কপাল বিশেষ ফেরেনি। তবে ফি হাটে মাকে গাড়িতে বসিয়ে একবার করে দেখা করাতে আনে নেতাই। বড় খোকা নেমাইও আসে বাপকে ভ্যানে বসিয়ে নিয়ে। সারা সপ্তা এই দিনটার অপেক্ষায় থাকে দশরথ। হয়তো শিবুও। বেচারা! হঠাৎ চোখ পড়ে যায় দশরথের দূরের পিচ রাস্তার দিকে। ঐ তো... দূরে দেখা যাচ্ছে একগলা ঘোমটা টানা একটি বৌ মানুষ আর গোটা কতক কাচ্চা-বাচ্ছা নিয়ে একটি ভ্যান এগিয়ে আসছে। নেতাইটা যেন কেমন বুড়োটে মত হয়ে গেছে। আর আগের মত সাঁই-সাঁই করে ভ্যান চালাতে পারে না। ভ্যান যত এগিয়ে আসে ফোগলা মুখখানা তত হাসিতে ভরে ওঠে দশরথের। "এত দেরি হলো কেন রে নেতাই?"

"কোতায় দেরি? রোদ পড়বে তবে তো বের হব... তোমার ঝ্যামন কাজ-কম্ম নেই..." ভ্যানটাকে জায়গা মতো দাঁড় করিয়ে চাকার তলায় ইটের টুকরো দিয়ে থিতু করতে-করতে নেতাই বলে উঠলো তেতো গলায়, "দাদার তো আর দোরে-দোরে ফেরি করে বেড়াতে হয় নে। ঘরের দাবায় বসে ব্যাবসা। ঝার ঝ্যামন কপাল।"

দশরথের ফোগলা হাসি ম্লান হয়ে যায়। দেখা হলেই এ খোঁটা দু'চারবার দেবেই-দেবে নেতাই। দু'বিঘে জমি আর বসত বাড়ি খানা ছাড়া তো আর কিছু ছিল না তার। জমিটুকু ছোটো নিল। বাড়ি নিল বড় ব্যাটা নেমাই। দুটো গরু ছিল। একটা নেমাই নিল। আর একটা দামড়ি। এখনো পালে যায়নি। সেটাই বেচে নেতাইকে দিতে হলো ভ্যান কেনার জন্যে। তবুও দুই ছেলেই রাগ করে কথা শোনায় কথায় -কথায়। দশরথ নাচার। কোনো উত্তর খুঁজে না পেয়ে চুপ করে বসে থাকে আর জুলজুল করে দেখে ঘোমটার আড়ালে পেল্লায় নথ নাকে বসে থাকা শিবুকে। ঐ ফাঁদি নথখানায় বেশ মানায় মুখখানা শিবুর। দুই বৌ-ই তাকিয়ে আছে কে নেবে দশ আনার সোনার নথ খানা। সেই যে-বার বড় খোকা হয়, সে-বার চার বস্তা ধান বেচে গড়িয়ে দিয়েছিল দশরথ। সে আজ কতদিন হয়ে গেল...

ছেলে আর নাতি -নাতনি গুলো ভ্যান থেকে লাফিয়ে নেমে খলবল করতে-করতে চলে গেল হাটের দিকে। গমগম করছে হাটতলা। মাইকে বাতের তেলের বিজ্ঞাপন ভেসে আসছে। ভেসে আসছে পেঁয়াজি ভাজার গন্ধ। হাটুরে মানুষদের চেঁচামেচি, দরাদরি, কথা বার্তা, টুকরো হাসি-ঠাট্টা, চেনা-পরিচিতের দেখা হয়ে যাওয়ার উল্লাস; সব মিলিয়ে হাটতলা একে বারে জমজমাট। একটু দূরে পাকুড় তলার ছায়ায় পাশাপাশি দুটো ভ্যানের ওপর বসে বসে নিচু গলায় কথা বলে দুই বুড়োবুড়ি। দশরথ বলে, "আগের হাটে যে বাতের তেলটা কিনে দিয়েছিলুম, মালিশ করেছিলি শিবু?"

"ঐ নিজে-নিজে যা হয়। তোমার হাঁপের টানটা কম আছে একটু? অজ্জুন ছাল বেটে বড়ি গুনো করে দিলুম যে। খাওনি বুঝি?"

"খাই তো... ঝেদিন মনে পড়ে খাই। জিলিপি খাবি শিবু। বেশ বাস আসতেচে।"

শিবানীর চোখেও লোভ ফুটে ওঠে। মুখে কিছু বলে না। দশরথ একটা পথ চলতি ছেলেকে ডেকে বলে, "ও রাধু, রাধু, পঞ্চাশ জিলিপি এনে দিবি বাপ? আর চারটে আলুর চপ?"

রাধুর বয়স বেশি না। বছর বিশ-পঁচিশ হবে। সাইকেলে চেপে লটারির টিকিট বেচে হাটে। বুড়োর কথা শুনে হেসে বলল, "বুড়োবুড়ি খাবে বুঝি একা-একা? সকলার নুইকে?"

"সকলের ঝন্যে কেনার ট্যাকা আমার আছে বাপ? তবে তোরেও একখান চপ দোবানে। দে বাপ, ঝট করে এনে দে।"

রাধু উচ্চবাচ্চ না করে বুড়োর হাত থেকে দুটো দশ টাকার নোট নিয়ে প্যাডেলে চাপ দেয়। দোকান সবে খুলেছে। চপ আর জিলিপির দোকানে এরই মধ্যে লাইন পড়ে গেছে বেশ। রাধু সাইকেল ঠেলে হাটের মধ্যে ঢুকে পড়ে আর অচিরেই নিজের ব্যবসায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। "দেয়ালি স্পেশাল বাম্পার!! দশ লাখ প্রথম পুরস্কার!! একশো টা পুরস্কার আছে দাদা। ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। রাধু লটারি। একবার কিনে দেখুন দাদা। জীবন বদলে যাবে।" পাশেই মাটিতে চট পেতে বসে গ্রহ শান্তির আঙটি বিক্রি করছিল রতন মুনশি। মুখ ভেঙচে বলল, "তা হলেই হয়েছে। তুই কেন না মড়া সব-কটা টিকিট একসঙ্গে।"

ওদিকে অধীর অপেক্ষায় বসে-বসে দুই বুড়োবুড়ি গল্প করে নিচু গলায়। "আজ কি দে ভাত খেলে?" বুড়ি শুধোয়।

"আমড়ার টক করেছেল বড় বৌ। আর আলু ভাতে। খেসারির ডাল।"

"মাছ করে নে?" শিবানীর ব্যাকুল প্রশ্ন।

"করেছেল মনে হয়। গন্দ পেলুম মাছ ভাজার।"

"দিলুনি তোমায় মোটে?"

"নাঃ। আমার পেটে তো সয্য হয় নে। তুই কি দে ভাত খেলি শিবু?"

"গাঁদাল ঝোল। আমার পেটেও কিছু তলায় নে তো তাই। আজকাল চোকেও ভালো দেখতে পাই না। কাল সনজে বেলায় দেকতে পাইনি। জলের গেলাস খানা পা নেগে পড়ে গেল। তা বৌমা আর খুকি কি হেনস্তাটাই না করল..." চোখ মোছে শিবানি।

দশরথ বলে, "খুকির বের কতা হয়টয়? শুনতে পাস কিচু?"

শিবানির হলুদ হয়ে আসা চোখ দুটো এবার একটুখানি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বলে "শুনি, ঐ ভাসা-ভাসা। তোমারে হয়তো নে যাবে বের সমায় কটাদিন।"

উদগ্রীব হয়ে ওঠে দশরথ, "যাবে? নে যাবে বলেছে?"

"ঐ ভাসা-ভাসা শুনতে পাই। আমারে কেউ কিচু কয়নে। কৈ গো, কোন চুলোয় গেল তোমার রাধু? সেই যে গেল ট্যাকা কটি নে, আর তার দেকা নি?"

চপের গন্ধে দশরথেরও মন অস্থির হয়ে উঠেছে। পেটেও খিদের অনুভূতি। মুখে বৌকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, "দোকানে নাইন আছে বোধায়। বোস না এটটুস। তোর কাপড় খান বড্ড ছিঁড়ে গেছে শিবু। আর হাটে একখান কিনে নিস। টাকা দোবানো নুইকে।"

শিবানি বলে, "না না। থাক। বড় খোকা, ছোটো খোকা দু ঝনাই আগ করবে। কতা শোনাবে। তার-থে এ ভালো আছি। নেমায়ের মেয়েটা কেমন আচে গো? আগের হাটে জ্বর হয়েছেল শুনেছিলুম।"

দশরথ বলে, "ভালো আছে। দু'দিন হল ভাত পত্যি করেছে। নেতায়ের মেজ ছেলেটার গায়ে পাঁচড়া হয়েছিল। সেরেছে?"

বুড়ি নথ নাড়া দিয়ে বলে, " কি করে সারবে? ঝে ধুলো ঘাঁটে? আমি বললে কি কতা শোনে? ঐ টুকু ছেলে কিনা বলে, 'এই বুড়ি, তুই চুপ যা।'"

"বলে বুঝি?"

রাগতে গিয়েও হেসে ফেলে দু'জন; দুই বুড়োবুড়ি। বলে, "কতটুকু ছেলের কী পাকা-পাকা কথা।" ফোগলা মুখে হাসি আর ধরে না। দশরথ বলে,"আমাকেও বলে, 'বুড়ো, গুয়ের নুড়ো।'"

আবার হাসতে থাকে দু'জন। হাসতে-হাসতে চোখে জল এসে পড়ে কখন বুঝতেই পারে না। কথায়-কথায় বেলা পড়ে আসে। হাটুরে লোকজন বাড়ির পথ ধরে ক্লান্ত পায়ে। নেতাই আর নেমাই দু'জনেরই হাট সারা হয়ে গেছে। ছেলেপুলে, থলে, ধামা, ইত্যাদি সামলে ফিরে আসে তারা নিজের-নিজের গাড়ির কাছে। ছেলে-মেয়েগুলো কলকল করতে-করতে যে-যার মত উঠে বসে ভ্যানে। ফাঁকা হয়ে আসছে হাট। হঠাৎ সাইকেল নিয়ে তাড়াহুড়ো করে ওদের সামনে হাজির হয় রাধু। হাতে কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে পঞ্চাশ গ্রাম জিলিপি আর চারটে আলুর চপ।

"নাও... ধরো দাদু। একটু দেরি হয়ে গেল। ঝা ভীড়!"

নেমাই কালো ব্যাগটা দেখে বলল, "তবে নাকি তোমার কাছে পাই পয়সা নেই বললে বাবা? এখন নুইকে-নুইকে নিজেরা ভাজা-ভুজি খাচ্ছ যে! এদিকে তো বারো মাস পেটের ব্যামো..."

নেতাই বলল, "দেখ না দাদা, বলিহারি নোলা বাবা। বুড়ো বয়সে কোতায় নাতি-পুতিদের খাবার কিনে দেবে। তা না নিজেরা নুইকে-চুইরে ভালো-মন্দ খাচ্ছে।"

প্লাস্টিকের ঠোঙা ধরা হাতের মুঠো আলগা হয়ে এলো শিবানির। তাড়াতাড়ি করে বলল, "না না আমি খাবুনি, আমি খাবুনি। ওদের ঝন্যেই তো আনতে কইলুম। নে ধর তোরা।" ছেলে-মেয়েগুলো প্রায় ছিনিয়ে নিল ঠাকুমার হাত থেকে ঠোঙাখানা। দশরথ ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখতে লাগল একবার নাতি-নাতনি গুলোর মুখ, একবার শিবানির মুখ।

দুই ভাই ভ্যানের ওপর উঠে বসল। গড়গড় করে গড়িয়ে চলল চাকা। শিবানির মাথায় এখন বড় ঘোমটা। দশরথ এখনো তাকিয়ে আছে। অনেকটা দূরে চলেগেছে ওদের ভ্যান। দশরথ একটু কেশে গলাটা পরিস্কার করে নিয়ে বলল, "পরের হাটে আসিস শিবু। গুড়ের জিলিপি ভাজবে সুবল। আসিস কিন্তুক..."

ভালো করে শোনা যায় না। বাতাসে ভেসে যায় ক্ষীণ কণ্ঠের কথা গুলো। শিবানি ঘাড় নাড়ে। মনে-মনে বলে, "আচ্ছা, বাপু আচ্ছা..."
সমাপ্ত


Next Bangla Story

List of all Bengali Stories


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717