Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

আমার সন্তান যেন...

Online bangla Story

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



List of all Bengali Stories

আমার সন্তান যেন...

লেখিকা - জয়ন্তী চক্রবর্তী, পিতা - ঈশ্বর উমাপদ ঘোষাল, ঘটক পুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

##
আমার সন্তান যেন...

লেখিকা - জয়ন্তী চক্রবর্তী, পিতা - ঈশ্বর উমাপদ ঘোষাল, ঘটক পুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

সদর দরজায় ঠকঠক আওয়াজ শুনে অনামিকা দেবী হাতের ম্যাগাজিনটা রেখে পায়ে-পায়ে এগিয়ে এসে দরজার কি-হোলে চোখ রাখলেন। "ও মা! এত সকালে এ আবার কে?" কখনো দেখেছেন বলে তো মনে পড়ে না। লোকটা হাঁটু পর্যন্ত একটা ময়লা ধুতি পরা। সারা গায়ে বোধহয় চিমটি কাটলে ময়লা উঠবে। এলো-মেলো উসকো-খুসকো চুল। খুব রোগা, কালো, দুঃখী চেহারার একটা মাঝবয়সী লোক। তবে ভিখারী নয়। অনামিকা দেবী ইতস্তত করে দরজাটা অল্প খুলে ভেতর থেকে মুখটুকু বের করে বললেন, " কি চাই?"

লোকটা হাতজোড় করে খুব বিনয়ের সঙ্গে বলল, " মা ঠাকরোন, কোনো কাজ-টাজ যদি দ্যান তো বড় উবগার হয়।"

"কাজ? কি কাজ করবে তুমি?"

"এই ধরুন-গে, আমনার বাগান-টাগান পোস্কার করতে পারব। আমনার বাগানটা দেখতিচি জঙ্গল হয়ে আছে। ঘাস তুলে, ডালপালা কেটে, আগাছা উপড়ে পরিপাটি করে দোব।"

অনামিকা দেবী দেখলেন; সত্যি! বাগানটায় অনেক দিন হাত দেয়া হয়নি। ভীষণ নোংরা হয়ে আছে। তিনি লোকটাকে জিজ্ঞেস করলেন, " কত নেবে?"

"বেশি নুবুনি মা-ঠান। আমনি খুশি করে ঝা দেবেন; আর দুটি খেতে দেবেন।"

অনামিকা দেবী বললেন, "কি খেতে দেব তোমায় বলতো? এই সাত সকালে মুড়ি ছাড়া তো ঘরে কিছুই নেই খেতে দেবার মত।"

লোকটা খুশিমাখা মুখে বলল, "তাই দেবেন মা-ঠান। বাতাসা হবে খান কতক?"

অনামিকা দেবী ভেবে দেখলেন ঠাকুর ঘরে কৌটোয় বাতাসা আছে কিছু। বললেন, "এখনি খাবে?"

লোকটা একগাল হেসে বলল, "হ্যাঁ মা-ঠান। খেয়ে নিয়েই একেবারে লাগব।"

অনামিকা দেবী দরজা বন্ধ করে রান্নাঘরে গেলেন। একটা মাঝারি সাইজের গামলা ভর্তি করে মুড়ি আর খান পাঁচেক বাতাসা নিয়ে বেরিয়ে এসে লোকটার সামনে ধরে দিয়ে বললেন, "খাও। আমি জল আনছি।"

লোকটা বলল, "দ্যান মা, জল দ্যান। জলে ভিইজে খেয়ে লোবো চটপট। চিইবে খেতে গেলি আনেক টাইম নেগে যাবে।"

অনামিকা দেবী আবার বরান্দা পেরিয়ে ঘরে এসে সাবধানে দোর বন্ধ করলেন। তারপর এক বোতল জল নিয়ে লোকটার সামনে রেখে দিয়ে বললেন, "নাও খেয়ে নাও। আর কিছু লাগবে?"

লোকটা মাথা নেড়ে 'না' জানিয়ে তাড়াতাড়ি খাওয়ায় মন দিল। বারান্দার বেতের চেয়ারটায় বসে-বসে অনামিকা দেবী দেখতে লাগলেন লোকটার খাওয়া। প্রায় আধ বোতল জল মুড়ির গামলাটায় ঢেলে দিয়ে তার মধ্যে বাতাসা গুলো ফেলে দিল লোকটা। তারপর মুঠো-মুঠো করে তুলতে লাগলো মুখে। মাত্র মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সব শেষ করে বোতলের বাকি জলটুকু ও নিঃশেষে পান করে নিল লোকটা। তারপর একটা পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলল, "এবার একখান বিড়ি ধরাই মা-ঠান? যদি অনুমতি দ্যান..."

অনামিকা হেসে বললেন, "অনুমতি না দিলে কি আর খাবে না? নাও, বিড়ি খেয়ে তাড়াতাড়ি কাজে লেগে পড়ো দিকি। বেলা বেড়ে গেলে রোদ উঠে যাবে, তখন তোমারি কষ্ট হবে।"

লোকটা কোমরের গিঁঠ থেকে বিড়ি-দেশলাই বের করল। দুই তালুর আড়ালে বিড়ি ধরাতে ধরাতে বলল, " আর মা-ঠান, গরীব মানুষের আবার কষ্ট!"

অনামিকা আর কথা বাড়ালেন না। লোকটা চুপচাপ বিড়ি শেষ করে বাগানে নেমে গেল। বেশ ক্ষিপ্রতার সঙ্গেই আগাছা আর ঘাস তুলে ফেলে এক জায়গায় জড়ো করতে লাগল। গোলাপের বেডগুলো জঙ্গল মুক্ত হতেই দেখা গেল বেশ কতকগুলো লাল, সাদা, হলুদ গোলাপ ফুটে আছে এখানে ওখানে। মনটা ভালো হয়ে উঠল অনামিকার। স্বামী মারা যাবার পর দেশের বাড়ি তেমন একটা আসা হয় না। এক সময় কত শখ করে গড়ে তোলা বাগানখানা এখন আগাছায় ভরে গিয়ে জঙ্গলই হয়ে থাকে। কলকাতায় ছেলের ফ্ল্যাটে বসে যখন খুব মন কেমন করে অনামিকার চলে আসেন গ্রামের বাড়ি। লোক ডেকে বাগান পরিস্কার করান। দু-চারদিন খুব যত্ন আত্তি করেন গাছপালার। বয়স হয়েছে তাঁর। বেশিদিন একা-একা এই পাণ্ডব বর্জিত দেশে থাকতেও ভয় করে। অগত্যা আবার ফিরে যেতে হয় সেই কলকাতার বাক্স-বন্দী ঠিকানায়।

লোকটা ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই গোটা বাগানটা একেবারে ঝকঝকে তকতকে করে ফেলল। শুখনো ডালপালা, ঘাস, আগাছা সব নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়ে এল দূরে একটা খানায়। তারপর অনামিকার কাছ থেকে একখানি নিড়ুনি চেয়ে নিয়ে গোলাপ-গাছগুলোর চারিধারের মাটি বেশ ভাল করে আলগা করে দিতে লাগল যাতে আলো-বাতাস ভালো ভাবে পৌছুতে পারে শিকড়ে। দেখতে-দেখতে অনামিক দেবী বললেন, "বাঃ! তুমি তো বাগানের কাজ বেশ ভালোই জানো দেখছি।"

লোকটি বলল, " জানব না মা-ঠান? আমি তো জেলে বাগানের কাজই করতুম।"

"এ্যাঁ! তুমি জেলে ছিলে নাকি?" আতঙ্কে আঁতকে উঠলেন অনামিকা দেবী!

লোকটা অম্লান বদনে বলল, "হ্যাঁ মা-ঠান।"

"তা, কি করেছিলে তুমি? চুরি না ডাকাতি?"

ভয়ে-ভয়ে লোকটাকে জিজ্ঞেস করলেন অনামিকা দেবী। লোকটা বলল, "আজ্ঞে ডাকাতি করতেই গিয়েছিলুম। আবস্থা গতিকে খুন করে ফেললুম বাড়ির কত্তাকে। কত্তে চাইনি, বিশ্বাস করুন... ‌ হয়ে গেল। আমাদের ও তো ভয় থাকে ধরা পড়ার!"

কী সর্বনাশ! এতক্ষণ একটা জেল ফেরত খুনী আসামির সঙ্গে গল্প করছেন তিনি! ভয়ে অনামিকা দেবীর হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এল। বাড়িতে তিনি সম্পূর্ণ একা। যে বৌটা জল দেয় সে ভোরবেলা একঘড়া জল দিয়ে চলে গেছে, মাঠে মুগ-কড়াই তুলতে। আশে-পাশে লোকজন আসা যাওয়া করছে বটে, কিন্তু এই খুনেটা যদি এক্ষুনি উঠে এসে মুখ, হাত, পা বেঁধে খুন করে রেখে চলে যায়, কে আর দেখতে আসছে! কী কুক্ষণেই না কাজে লাগিয়েছিলেন লোকটাকে!!

চুপ করছ থাকলে ভয় বাড়ে। তাই অনামিকা দেবী একটা ঢোঁক গিলে, একটু দম নিয়ে বললেন, " তা চুরি-ডাকাতি করতে গেলে কেন? খেটে খেতে পারতে তো পাঁচজনের মতো!"

লোকটা একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, "অদেষ্ট মা-ঠান। সব আমার অদেষ্ট। ছিলুম জেলে। মহাজনের লৌকায় মাছ ধরতে যেতুম। বরষার মরশুমে তিনদিন, চারদিন কেটে যেত লদীতে। টাকা-পয়সাও রোজগার হতো মন্দ নয়। একটু-একটু করে টাকা জমাচ্ছিলুম বিঘে খানেক ধানি জমি কিনব বলে। হঠাৎ কোথা দে কি হয়ে গেল। বৌটার ধরল বুকের অসুখে। তার চিকিচ্ছে করাতে-করাতে একটু-একটু করে সব গেল। ছেলেটার মুখে পয্যন্ত দু-বেলা দু-মুঠো ভাত জোটাতে পারি না। কোনো উপায় না দেকে, শেষে চুরি ধরলুম। এ সব কাজ একা-একা হয়নে। তিন স্যাঙাত মিলে দল গড়লুম। সাহস বাড়তে-বাড়তে চুরি থেকে ধরলুম ডাকাতি। সেবার এক স্যাঙাৎ খবর আনল এক বুড়ির বাড়ি অনেক গয়না আছে। সব বনেদি সোনার গয়না। তক্কে-তক্কে ছিলুম। একদিন সুযোগ মিলে গেল। বুড়ির ছেলে বাড়ি নেই। কাজের লোকটাও ছুটিতে। সেইদিনই রাতে হানা দিলুম। তা... পেয়েছিলুম ভালোই, বুইলেন মা-ঠান। একছড়া হার, দু-গাছ মোটা-মোটা বালা, মান্তাসা, পেটি... কপাল মন্দ! ধরা পড়ে গেলুম। নৈলে তো আমি আজ রাজা!"

কথা বলতে-বলতে সবকটা গাছের পরিচর্যা করা হয়ে গেল। ‌লোকটা কাজ শেষ করে ধীরে-সুস্থে বাগানের কলে হাত-পা ধুয়ে বারান্দায় উঠে এসে বসল। কোমরের ছেঁড়া রঙচটা গামছাখানা খুলে নিয়ে বাতাস খেতে লাগল ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে। অনামিকা দেখলেন এবার তো উঠে আলমারি খুলে টাকা বের করতে হয়। তখন যদি লোকটা চুপি সাড়ে পিছু-পিছু ঢুকে আসে আর গলা টিপে খুন করে দেয়! আলমারিতে অবশ্য টাকা-পয়সা সোনা-দানা তেমন কিছুই নেই। তবু লোকটা তো আর তা বুঝবে না। ভাববে এত বড় আলমারি, নির্ঘাত অনেক টাকা-কড়ি আছে। কী মুশকিলেই পড়া গেল এখন। অনামিকা ভাবলেন, কথায়-কথায় লোকটাকে আরো কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখবেন। তার মধ্যে কেউ-না কেউ চলে আসবে ঠিক। অনামিকা বললেন, "তুমি থাকো কোথায়?"

লোকটা বলল, "ঐ ওদিকে, লদীর ওপারে, করিমগঞ্জে। এখন ওখানে থাকি না মা-ঠান। আগে আমার ওখেনে ঘর ছ্যাল লদীর ধারে। এখন সেখেনে বৌ আচে। ছেলে আচে।"

অনামিকা বললেন, "সেকী! তাহলে তুমি থাকো কোথায়?"

"...কোথায় আর থাকব মা-ঠান। পথে, ঘাটে, গাছতলায় পড়ে থাকি। ঝ্যাকন ঝা জোটে খাই। না জুটলে উপোস..."

অনামিকা জিজ্ঞেস করলেন, "সেকী! কোনো কাজ কর না?"

লোকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, "বারো বচ্ছর জেলখাটা কয়েদিকে কে কাজ দেবে মা-ঠান?"

অনামিকা বললেন, "তা বাড়ি গেলেই তো পারো। মন কেমন করে না বৌ-ছেলের জন্যে?"

"...করে মা-ঠান। কিন্তুক উদিকে যাবার আর রুপায় নি। বৌ-রে বলেদিচি, সকলেরে ঝেন বলে দেয়, আমি জেলে থাকতে থাকতেই মরে গিচি। নইলে আমার বৌ, ছেলে নজ্জায় কারো কাচে মুখ দেকাতে পারতুনি।"

অনামিকার মনটা বড় খারাপ হয়ে গেল! আহা! যাদের জন্যে বারো বছর জেল খাটলো লোকটা তাদের মুখও দেখতে পায় না বেচারা। তিনি বললেন, "তা তুমি ধরা পড়লে কি করে?"

লোকটা বলল, " ঐ শালা সুম্মুন্দির পো। ঐ তো সব মাটি করে দিলে। নৈলে কারো বাপের সাধ্যি ছিল ধরে?"

লোকটা এবার অনামিকা দেবীর মুখোমুখি বসে বেশ গুছিয়ে গল্প বলা শুরু করল, "একদিন সাঁজের বেলা, বুইলেন মা-ঠান, খুব বিষ্টি হচ্ছেল। লোকটা কাক ভেজা ভিজতে-ভিজতে আমার দাওয়ায় উটে এল। ‌ বলল, 'ওস্তাদ, ভিজে বড্ড জাড় নেগেচে। একটা বিড়ি খাওয়াতে পার?' দিলুম বিড়ি। তারপর বসে-বসে গপ্প করতে লাগলো বিষ্টি থামা অবদি। সে আগড়োম-বাগড়োম কত গপ্প! বেশ ভাব হয়ে গেল। এরপর থেকে পেরায় দিন আসতে লাগলো। কোনোদিন চা-পাতি নে, কোনো দিন দুধ-নে,কোনো দিন চিনি নে পঞ্চাশ গেরাম। একদিন সন্ধে বেলা বগলে একটা ছোটো মত বোতল নে এল। ইশারায় চোখ টিপে বলল বিলিতি মাল আছে। দু জনে মিলে বসে গেলাম। সঙ্গে ছেল সকালে ধরা মাছের ঝাল ঝাল তরকারি। দুজনায় মন-পেরাণ খুলে সুখ দুঃখের কতা কৈতে নাগলুম। তকন কি আর জানি, কি-কইতে কি-কয়ে দিচ্চি? পরদিন সকাল হতেই বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশে..."

"এ্যাঁ!! সেকি? লোকটা তাহলে পুলিশের লোক ছিল?" একেবারে আকাশ থেকে পড়লেন অনামিকা দেবী।

লোকটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, "হ্যাঁ মা-ঠান। সি আই ডি. একদম বুইতে পারিনি। ঐ রম ফুকফুক করে বিড়ি টানা, ঐ রম কাটি দে খুটখুট করে জাল বোনা, দেকলে কে সন্দেহ করবে মা-ঠান যে, উনি পুলুশের বড় কত্তা!"

"তারপর?" চোখ বড়-বড় করে জিজ্ঞেস করলেন অনামিকা দেবী,"তারপর কি হলো?"

"মারের চোটে সব বলে দিলুম। লদীর চরে পাকুড় গাচের নিচে ঝেকেনে মাল পুঁতে থুয়ে ছিলুম সেকেনে নে গেলুম পুলিশকে। মাটি খুঁড়ে সব পেল, কেবল হারখানা বাদে।"

"কেন? হারখানা বাদে কেন?"

"সে হার আমি রাতারাতি সইরে ফেলেছিলুম। অনেক মারল। তেবু বললুম নি। বললুম, 'কে নেচে আমি জানি না।' শেষে মারের চোটে মর-মর অবস্তা, তখন আমারে চালান করে দেল।"

অনামিকা দেবী বললেন, "কেন? অত কষ্ট পেলে তবু হারটা কোথায় বলে দিলে না কেন?"

অনামিকা দেবীর কথা শুনে লোকটা কিছুক্ষণ শূণ্যে তাকিয়ে রইলো। তারপর বলল, "ঐ হার বিক্কিরির টাকাতেই এই বারোটা বচর ওদের চলতেচে গো মা-ঠান। বৌ নোকের বাড়িতে মুড়ি ভাজে। ঘুঁটে বেচে। হাঁস মুরগী পালে। ছেলেটা ইস্কুলে পড়তেচে। পড়াতে তার খুব মাথা। জানেন মা-ঠান, ছেলেটার আমার হেবি বুদ্দি। এ বচর ফাস্ট হয়েচে কেলাসে। বৌ ঝ্যাকন মাজে-মদ্যে জেলে দেকা করতে আসতু, বলিচি, আমার ছেলটারে তুই সিআইডি করিস বৌ। শালার সিআইডি-রে আমি দেইকে দোবই-দোব... আমি ও কম যাই না... আমিও শালা এক সিআইডির বাপ।"
( সমাপ্ত)


Next Bangla Story

List of all Bengali Stories


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717