লেখক, online bangla story, bangla story competition, স্বরচিত ছোট গল্প

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে ) Result
--------------------------

List of all Bengali Stories

◕ লেখক

লেখক - আলী রাইহান স্বপ্ন, বাবা- মোঃ আলী আশরাফ, রংপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতা ( ৬০০ শব্দের) নভেম্বর-২০২৩ এর একটি নির্বাচিত গল্প

##
লেখক

লেখক - আলী রাইহান স্বপ্ন, বাবা- মোঃ আলী আশরাফ, রংপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ

#
সুফিয়া তখন‌ও আঁতুড়ঘরে অসহ্য যন্ত্রণাতে কাতরাচ্ছে। প্রসব বেদনা যে কত কষ্টের এক নারী ছাড়া আর কেউ‌ই তা বুঝতে পারবে না। আগের পরিস্থিতির চেয়ে পার্থক্য শুধু এখন একটাই যে, আঁতুড় ঘরে দা‌ঈ এর সাথে একজন ডাক্তার আছেন। এই বাহে মুলুকে ডাক্তার আনতে যে তার কত কাঠখড় পোহাতে হয়েছে, তা শুধু শামসুল চৌধুরী নিজে‌ই জানেন।

"না না হচ্ছে না‌। এটা হচ্ছে না। গল্পটা কেন মাথায় আসছে না, কেন আসছে না..." বলতে বলতে কাগজটা ছিঁড়ে ডাসটবিনে ছুড়লেন শ‌ওকত। ঘড়িতে রাত ২টা। অনেকক্ষণ ধরে লেখার চেষ্টা করছেন তিনি, কিন্তু মাথাতে কিছু আসছে না। আবার কলম ধরলেন তিনি।

দাদার এ কেসটা অনেক পুরনো। দাদা যখন কেমব্রিজে পড়তেন সেই সময়কার। তখন‌ও পুরদস্তুর গোয়েন্দাগিরি শুরু করেন নি। লন্ডনে তখন হঠাৎ করে আজব খুন ঘটা শুরু করছে। প্রতি মাসের ২৫ তারিখ ঠিক ১১:৫৯ মিনিটে একজন করে খুন হচ্ছে। কেউ উকিল, কেউ শিক্ষক, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ বা পথের ভিখারি। খুন হ‌ওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কারো কোনো মিল নেই। সাদৃশ্য কেবলমাত্র খুনের ধরণ আর সময়ে। ১১ মাসে ১১টা খুন! ডিসেম্বর মাসের শেষের দিক আসন্ন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে তখন ঘুম হারাম হয়ে আছে গোয়েন্দা বরিস এর। এইবারের খুনটা আটকাতে না পারলে বা খুনিকে ধরতে না পারলে পুলিশের মুখে চুনকালি লেগে যাবে। গোয়েন্দা বরিস কিংবা এ খুনের রহস্য কোনটাতেই দাদার জড়িয়ে পড়ার কথা না। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে তাই ঘটে। ১২ ডিসেম্বর...

"তারপর? তারপর কি লিখবো? মাথা আমার খালি কেন? কিছুই মাথায় আসে না কেন? কেন?" লিখতে থাকা কাগজটা আবার‌ও দলা পাকিয়ে ফেললেন ডাসটবিনে। আবার লেখা শুরু করলেন।

সরকারি কলেজের প্রাচীরের সাথে মিশে চলে গেছে রাস্তাটা। গাছপালার জন্য ছায়ায় ঘেরা পুরো রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল মেয়েটি। মনে মনে অবাক হয়ে ভাবছে কিছু কথা। সেই কবে এসেছিল এই শহরে। দেখতে দেখতে যে একটা বছর কেমন করে কেটে গেল বুঝতেই পারলো না। এটা যদিও বিভাগীয় শহর, তাও এটাকে মফস্বল বলেই মনে হয়। প্রথম প্রথম এখানকার কিছুই ভালো লাগতো না। খাবারে ঝাল কম, জল ভালো না, মাংস আধা সেদ্ধ আরও কত কি! কিন্তু ঠিক মানিয়ে নিয়েছে।

"ধুর ছাই!! এটা চলবে না..." নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে শ‌ওকতের‌। এ কাগজটা‌ও গেল ডাসটবিনে। অনেকক্ষণ পায়চারি করে আবারো লেখতে বসলেন শ‌ওকত।

জিমের সাথে আমার প্রথম দেখাটা এখনো মনে আছে আমার। পৃথিবীর নিয়মগুলো বড় অদ্ভুত। যাকে কখনোই নিজের মতো করে পাবো না তার সাথেই কেন দেখা হয়। তাকে না পেলেও তার স্মৃতিগুলো কেন সারাজীবন কাঁদায়। জিমের সাথে প্রথম দেখা হয়েছিলো হাসপাতালে। আমার কেবিনের ঠিক বিপরীত কেবিনেই সে ছিল। একদিন হঠাৎ করে...

রাত কেটে দিন হচ্ছে। পাখিরা প্রস্তুত নীড় ছেড়ে খাবারের সন্ধানে বেড়োতে, কর্মজীবী মানুষরা নিজেদের গন্তব্যে যেতে। টেবিলের উপর শুধু পরে রয়েছে লেখকের নিথর মৃত দেহটা। যেন গভীর ঘুমে সে।
( সমাপ্ত )

লেখক

Online bangla Story