-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে )
Result
--------------------------
List of all Bengali Stories
◕
মতি
লেখক: কুন্তল কুমার দে, বাবা: কাঞ্চন কুমার দে, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ
##
বাড়ি সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ। সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন হঠাৎ সদর দরজা ঠক ঠক করে খোলার শব্দ হলো। একজন প্রাণী প্রবেশ করল। পা টিপে টিপে সে প্রবেশ করল। কাঁধে ঝোলা নিয়ে এবং পরনে ধুতি ও মাথায় লাল কাপড় পড়ে আস্তে আস্তে রান্নাঘরে প্রবেশ করলো; রান্নাঘরের দরজা খোলা থাকায় কোন অসুবিধা হল না ঢুকতে। সবাই ঘুমিয়ে অচেতন হলেও একজনের ঘুম ভেঙে গেল আওয়াজে, আস্তে আস্তে সেই সদস্য উঠে হাতে লাঠি ও টর্চ নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকলো পা টিপে টিপে। যার আগমন এই মাঝরাতে ঘটেছে বোঝাই যাচ্ছে তার উদ্দেশ্য ভালো নয়। যে আগন্তুক কাজ সেরে রান্নাঘরের থেকে নিঃশব্দে বেরোলো, হঠাৎ থমকে সে দাঁড়িয়ে গেল। এক ঝলক টর্চের আলো আর গুরু গম্ভীর আওয়াজ, "কে রে তুই? মাঝ রাতে এখানে এসেছিস কোন বদ মতলবে?"
আমি যখনকার সময়ের কথা বলছি তখন দেশে ইংরেজদের একেবারে শেষ অবস্থা আর দেশের মানুষও আস্তে আস্তে স্বাধীন দিনের সময় গুনছে একদিকে ভারত ছাড়ো আন্দোলন, অন্যদিকে অকস্মাৎ ভারতবর্ষে চতুর্দিকে নেতাজীর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী গড়ে উঠেছে; ঐ সময়ের কথা। তখন সব ঘরেই প্রায় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিল কিংবা পরোক্ষভাবে সংগ্রামকে সমর্থন করত। বলা বাহুল্য যে, বাংলা মানে অবিভক্ত বাংলা তখন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল তাতে সন্দেহ নেই। এই ঘটনাটি আমার মায়ের থেকে শোনা এবং যা শুনেছি সেটুকুই তুলে দিচ্ছি আমার জবানির মাধ্যমে।
অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ আলো তার ওপর আবার অমোঘ হুংকার; এর ফলে আগন্তুক চমকে উঠল। তারপর তার কাঁধ থেকে থলে পরে গেল, বাসন পরা শব্দ হল। যে টর্চ ধরেছিল সে আমার বড় মামা। সে টর্চ ধরে দেখতে পেল লোকটি ছুটে পালানোর চেষ্টা করছে। আমার মামা সঙ্গে সঙ্গে হাতের লাঠিটা ছুড়ে মারল তাকে লক্ষ্য করে আর "আ.." করে আওয়াজ শোনা যাওয়ায় বোঝা গেল নিশানা একেবারে অব্যর্থ। বাড়ির বাকি সদস্যদের ঘুম ভেঙ্গে গেছে এবং তারা প্রত্যেকে ঘর থেকে লন্ঠন নিয়ে সোজা উঠানে উপস্থিত হল। আলোয় দেখা গেল একজন ব্যক্তি মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছে আর মুখে "হায় আল্লাহ, হায় খোদা" বলে প্রলাপ করছে। তার পাশে থলে থেকে ঘটি,হাঁড়ি সব গড়াগড়ি খাচ্ছে। মামা তখন টর্চ হাতে মেজাজের সঙ্গে বলছে, "তোর আল্লাহ খোদা কি কখনো চুরি করতে বলেছে? যখন এই কাজ করো তখন তার কথা মনে থাকে না?"
মামার মা অর্থাৎ দিদিমা বললেন,"ব্যাপার কিরে তপু?"
মামা বলে উঠল, "আর বলো না মা, চারিদিকে এই উত্তেজনার অবস্থায় বাড়িতে দু'বার চুরি হয়েছে, তার উপর আবার এই চুরি!! সাংঘাতিক ব্যাপার।"
মামা হ্যাঁচকা টানে চোরকে দেওয়ালে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করল, "কে তুই, নাম বল সত্যি করে নইলে এই পাঁচ সেলের টর্চ মেরে চুরির ভূত একেবারে মাথা থেকে নামিয়ে দেবো।" লোকটি কুঁকড়ে গিয়ে বলল, "না না মারবেন না কর্তা, আর পারছি না, পিঠে যা একখানা খেয়েছি আর সইতে পারছি না। এবার টর্চ মারলে তো মরেই যাবো। আমি নাম বলতেছি কর্তা। আমার নাম মতি, মতি আলীউল্লাহ।" নাম শুনে সবাই চমকে উঠল। মামা তাকে ধরে থাকা অবস্থাতেই বলল, "আচ্ছা, তুই তবে সেই মতি চোর!!" মতি কাতর কণ্ঠে বলল," কি করব, চুরি করেই যে দিন চলে বাবু।"
দিদিমা বলে উঠল, "তুমি তো মতি ভালো কাজ করতে পারো, তো করো না কেন? চুরি কর কেন?" মতি বললো, "কি আর করি মা ঠাকুরুণ, অভাব ও অশিক্ষে এই দুই চুরি করার মূল কারণ। আমি করতে চাইনে, অভ্যাসের বসে তা হয়ে যায়।"
"সে যাই হোক", আমার দাদা মশাই মানে মামার বাবা বললেন, "এমনিতেই দু'বার চুরি হয়েছে... তার ওপর বলতে গেলে আর কিছুই নেই। বাসন-কোসন ও ছাড়ছো না শেষমেশ?" মতি এতক্ষণ হেলান দিয়ে বসেছিল সে মুখ নামিয়ে বলল," আজ্ঞে কর্তা কি করি বলেন, ভারি অভাব। আমি কাজ করি বটে, তাতে লাভ হয় না বিশেষ; তাই এই পথ ধরা। মাঝে মাঝে ভাবি ছেড়ে দেব, কিন্তু বাড়িতে ছেলে-মেয়ে বউয়ের মুখ শুকনো দেখে ছাড়তে পারি না।" মামার বাবা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, "সে যাই হোক, যা হওয়ার তা তো হয়ে গেছে; তোমাকে যে পুলিশে দিচ্ছি না এই তোমার কপাল ভালো। এরপর থেকে সৎ কাজ করবে আর তোমার ওই কাজের পাশাপাশি অন্য কাজ করবে। এই বাড়ি মারিও না যেন আর।" মতি মুক্তির আনন্দে লাফিয়ে উঠল বলল, "আর কোনদিন এই ভূঁইয়া বাড়ি মারাবো না।" বলে দে দৌড়। মনে হল যেন ঝড় চলে গেল।
এরপর দেশভাগের প্রায় হব হব অবস্থা। তখন মানুষ কোন দেশে যাবে কিংবা কোথায় তাকে যেতে হবে সেই পরিকল্পনা চলছে। প্রায় দু'বছরে অতিক্রান্ত ভুইয়া বাড়িতেও অনেক বদল এসেছে। সেই জমিদারি বলতে গেলে আর নেই। বড় কর্তা মানে বড় মামার বাবা দেহ রেখেছেন, বড়ো মামা ও মেজো মামা কর্মসূত্রে অবিভক্ত ভারতে আজকের কলকাতায় পা রেখেছে কাজের আশায়। সেজো মামা, ছোট মামা, দিদিমা ও মা ওই বাড়িতে রয়ে গেল। আমার মায়ের তখন খুব কম। কিন্তু সে সব বিষয়ে পারদর্শী ছিল; ঘরের কাজ থেকে শুরু করে খেলাধুলা পড়াশোনা অব্ধি। মা তখন ফ্রক পরা ছোট খুকিটি; সুযোগ পেলে সারা গ্রামের চক্কর কাটে। যেহেতু জমিদার বাড়ির মেয়ে তাকে এক ধরনের সমীহ করেই চলত সবাই। একদিন এরকমই চক্কর কাটতে কাটতে দূরে একটা জটলা দেখতে পেল মা, যেন মারামারি হচ্ছে। কাছাকাছি যেতেই দেখা গেল এক রোগা চেহারার লোক বাজে ভাবে মার খাচ্ছে। মা ছুটে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দিদিমাকে খবর দিল। দিদিমা বলল," কে মার খাচ্ছে রে সুতা?" আমার মায়ের ডাকনাম ছিল সুতা। মা বলল, "বুঝলাম না। সবাই তো বলল 'মতি কে মার... মতি কে মার'।" দিদিমা অবাক হয়ে বলল, "ও আবার ফিরে এসেছে?" মা সাধারণত কিছুই বুঝল না।
দিদিমা ইচ্ছায় গ্রামের লোকদের সহায়তায় জটলা হটিয়ে কোনমতে মতিকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। মতি তখন প্রায় আধমরা অবস্থায়। তার চোখে মুখে জল দিয়ে উঠোনে জ্ঞান ফেরানো হলো। মতির গা পুরো খালি, মারের দাগ সেখানে স্পষ্ট। দিদিমা বললেন, "তুমি কি সেই মতি হে বাছা?" মতি ঘাড় নাড়ল। দিদিমা তখন তাকে রান্নাঘর থেকে ভাত, ডাল, আলু সিদ্ধ খেতে দিলেন। সে পেট ভরে সমস্ত জিনিস খেয়ে নিল। দিদিমা বললেন, "আমার বাড়িতে কাজ করবে? অনেকদিন কোনও লোক নেই পিছনে আগাছা পরিষ্কার করার। তাই তুমি যদি করো..." মতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে প্রণাম করে বলল, "আপনি আমার জন্য এই ভেবেছেন আমি তাতেই বর্তে যাব। আপনাদের বাড়ির ঘটনার পর থেকে আমি চুরি ছেড়ে দিলেও, লোক আজও আমায় চোর বলে। খারাপ লাগে, কেন ঐ কাজ করেছিলাম।" দিদিমা সান্ত্বনার স্বরে বললেন, "আর মন খারাপ করো না। নতুন করে সব শুরু করো, আর পুরনো সব ভুলে যাও।"
এরপর মতি আমাদের বাড়িতে কাজ করতে লাগল ও একদিনের জন্য আমাদের বাড়িতে চুরি হয়নি কিছু। আমি বাচ্চা মানুষ ছিলাম, মাঝে মাঝে এই ঘটনা ওই চুরির কথা ভুল করে বললে মা হালকা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিতেন। তারপর দেশভাগ হল, স্বভাবত মতিও কাজ ছেড়ে দিল। আমরা এপার বাংলায় চলে এলাম। তারপর আর মতির সাথে দেখা হয়নি।" এই বলে মা থামল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "এরপর কি মতির সাথে সত্যিই দেখা হয়নি?" মা একটু চিন্তা করে বলল, "বছর খানেক আগে তোর মামা বাংলাদেশে গিয়েছিল এক কাজে, সেখানে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ মতি যে গ্রামে থাকত সেখানে গিয়েছিল। গিয়ে দেখে এক বুড়ো মতো লোক দাওয়ায় বসে আছে। এই যে মতি ! মাথার চুল সব সাদা হয়ে গেছে, বার্ধক্যের কারণে পিঠ নুয়েছে, মুখের বাঁ দিকে বেঁকেছে। কিন্তু দাদাকে দেখে একটা হাসি হেসে বলেছিল, 'কেমন আছেন কর্তা?' দাদা তখন চাকরি করে, তাই দাদা অর্থ সাহায্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু, মতি বলেছিল, 'আপনাদের থেকে টাকা নেওয়া পাপ হবে। আর পাপের বোঝা বাড়াতে চাই না।' সে যে শেষ দিকে সৎ লোক হয়েছিল এই তার প্রমাণ। তারপর আর কিছু জানি না।" মায়ের গল্প শেষের সাথে আমার গল্প শেষ হল।
( সমাপ্ত )
এরপর দেশভাগের প্রায় হব হব অবস্থা। তখন মানুষ কোন দেশে যাবে কিংবা কোথায় তাকে যেতে হবে সেই পরিকল্পনা চলছে। প্রায় দু'বছরে অতিক্রান্ত বাড়িতেও অনেক বদল এসেছে। সেই জমিদারি বলতে গেলে আর নেই। বড় কর্তা মানে বড় মামার বাবা দেহ রেখেছেন, বড়ো মামা ও মেজো মামা কর্মসূত্রে অবিভক্ত ভারতে আজকের কলকাতায় পা রেখেছে কাজের আশায়। সেজো মামা, ছোট মামা, দিদিমা ও মা ওই বাড়িতে রয়ে গেল। আমার মায়ের তখন খুব কম। কিন্তু সে সব বিষয়ে পারদর্শী ছিল; ঘরের কাজ থেকে শুরু করে খেলাধুলা পড়াশোনা অব্ধি। মা তখন ফ্রক পরা ছোট খুকিটি; সুযোগ পেলে সারা গ্রামের চক্কর কাটে। যেহেতু জমিদার বাড়ির মেয়ে তাকে এক ধরনের সমীহ করেই চলত সবাই। একদিন এরকমই চক্কর কাটতে কাটতে দূরে একটা জটলা দেখতে পেল মা, যেন মারামারি হচ্ছে। কাছাকাছি যেতেই দেখা গেল এক রোগা চেহারার লোক বাজে ভাবে মার খাচ্ছে। মা ছুটে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দিদিমাকে খবর দিল। দিদিমা বলল," কে মার খাচ্ছে রে সুতা?" আমার মায়ের ডাকনাম ছিল সুতা। মা বলল, "বুঝলাম না। সবাই তো বলল 'মতি কে মার... মতি কে মার'।" দিদিমা অবাক হয়ে বলল, "ও আবার ফিরে এসেছে?" মা সাধারণত কিছুই বুঝল না।
দিদিমা ইচ্ছায় গ্রামের লোকদের সহায়তায় জটলা হটিয়ে কোনমতে মতিকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। মতি তখন প্রায় আধমরা অবস্থায়। তার চোখে মুখে জল দিয়ে উঠোনে জ্ঞান ফেরানো হলো। মতির গা পুরো খালি, মারের দাগ সেখানে স্পষ্ট। দিদিমা বললেন, "তুমি কি সেই মতি হে বাছা?" মতি ঘাড় নাড়ল। দিদিমা তখন তাকে রান্নাঘর থেকে ভাত, ডাল, আলু সিদ্ধ খেতে দিলেন। সে পেট ভরে সমস্ত জিনিস খেয়ে নিল। দিদিমা বললেন, "আমার বাড়িতে কাজ করবে? অনেকদিন কোনও লোক নেই পিছনে আগাছা পরিষ্কার করার। তাই তুমি যদি করো..." মতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে প্রণাম করে বলল, "আপনি আমার জন্য এই ভেবেছেন আমি তাতেই বর্তে যাব। আপনাদের বাড়ির ঘটনার পর থেকে আমি চুরি ছেড়ে দিলেও, লোক আজও আমায় চোর বলে। খারাপ লাগে, কেন ঐ কাজ করেছিলাম।" দিদিমা সান্ত্বনার স্বরে বললেন, "আর মন খারাপ করো না। নতুন করে সব শুরু করো, আর পুরনো সব ভুলে যাও।"
এরপর মতি আমাদের বাড়িতে কাজ করতে লাগল ও একদিনের জন্য আমাদের বাড়িতে চুরি হয়নি কিছু। আমি বাচ্চা মানুষ ছিলাম, মাঝে মাঝে এই ঘটনা ওই চুরির কথা ভুল করে বললে মা হালকা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিতেন। তারপর দেশভাগ হল, স্বভাবত মতিও কাজ ছেড়ে দিল। আমরা এপার বাংলায় চলে এলাম। তারপর আর মতির সাথে দেখা হয়নি।" এই বলে মা থামল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "এরপর কি মতির সাথে সত্যিই দেখা হয়নি?" মা একটু চিন্তা করে বলল, "বছর খানেক আগে তোর মামা বাংলাদেশে গিয়েছিল এক কাজে, সেখানে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ মতি যে গ্রামে থাকত সেখানে গিয়েছিল। গিয়ে দেখে এক বুড়ো মতো লোক দাওয়ায় বসে আছে। এই যে মতি ! মাথার চুল সব সাদা হয়ে গেছে, বার্ধক্যের কারণে পিঠ নুয়েছে, মুখের বাঁ দিকে বেঁকেছে। কিন্তু দাদাকে দেখে একটা হাসি হেসে বলেছিল, 'কেমন আছেন কর্তা?' দাদা তখন চাকরি করে, তাই দাদা অর্থ সাহায্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু, মতি বলেছিল, 'আপনাদের থেকে টাকা নেওয়া পাপ হবে। আর পাপের বোঝা বাড়াতে চাই না।' সে যে শেষ দিকে সৎ লোক হয়েছিল এই তার প্রমাণ। তারপর আর কিছু জানি না।" মায়ের গল্প শেষের সাথে আমার গল্প শেষ হল।
( সমাপ্ত )
Next bangla story
List of all Bengali Stories
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717