Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

অসময়ের ইতিবৃত্ত ( পর্ব ৩ )

বাংলা গল্প

All Bengali Stories    110    111    112    113    114    115    (116)     117    118   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



অসময়ের ইতিবৃত্ত ( পর্ব ৩ )
বাংলা গল্প
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প
লেখক- শান্তনু চ্যাটার্জী, বাবা- বিমলেন্দু চ্যাটার্জী, ন্যাশনাল পার্ক, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগণা


25 th July, 2021

আগের পর্বঃ পর্ব ১    পর্ব ২   

## অসময়ের ইতিবৃত্ত ( পর্ব ৩ )
আজ হাঁটতে-হাঁটতে চলে গেছিলাম গঙ্গার ঘাটটায়। লকডাউনের পর থেকে এখানে আমি আসিনি। আগে যখনই আসতাম, সুচিকে না নিয়ে কখনো আসিনি। আর আজ, ওর সাথে আমার বিস্তর দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। অথচ এর যে কোনও প্রকৃষ্ট কারণ রয়েছে তাও নয়। নিজেকে খুব অযোগ্য বলে মনে হয় আমার। কী করতে পারলাম আমি? নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারলাম না। নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াবার মতো আর্থিক জোর তৈরি করতে পারলাম না। কিভাবে বিশ্বাস করবে সুচি আমাকে?

গঙ্গার ঘাটে আসবার পথে খেয়াল করলাম রাজকেবিনের দরজাটা বন্ধ। সুচির সাথে এখানে এসে দু'বার বিরিয়ানি খেয়েছি। সেটা অবশ্য নিজের রোজগার করা টাকায়। তখন টিউশানি করতাম। এখন তো সবই বন্ধ। মনে পড়ে গেল, গতকাল রাতের কথা। বাবা আর আমি দুজনেই একসাথে খেতে বসেছি। খাবার বলতে ভাত, ডাল, শাক আর ডাটা চচ্চড়ি। রেশনের চালের ভাত, আর সে ভাত ফুরিয়ে গেলে রেশনের গম থেকে আটার রুটি। বাবা আর আমার খাওয়া হয়ে গেলে মা খেতে বসে। মায়ের পাতে দেখলাম ডাটা চচ্চড়ি নেই। "তুমি চচ্চড়ি খাবে না?"

আমার প্রশ্নে মা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে উত্তর দেয়, "না। তুই রোজগার কর, তারপর খাবো।"

বাবা কথাটা শুনতে পেয়ে বলে, "রাজু, তোর স্বপ্নটা কিন্তু বাস্তবে করে দেখাতে হবে..."

আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল বাবা, মা তাকে ধমকে থামিয়ে বলে, "তাহলে, ওর স্বপ্ন নিয়েই পড়ে থাকো, আর আমরা পেটে গামছা বেঁধে থাকি।"

মায়ের এই কথা শুনে বাবা বলে ওঠে, "না না, কাজের চেষ্টা করলেই ওর পড়ার ক্ষতি হবে। তুমি বুঝতে পারছে না।"

মা বাবার কথা শুনে মুখে কিছু প্রতিবাদ করে না। থালায় পড়ে থাকা সামান্য ক’টা ভাতের মধ্যে জল ঢেলে দেয়। তারপর উঠে যায়। এই সমস্যা বাড়িতে রোজই লেগে আছে। আমি যে কাজের চেষ্টা করছি না, তা নয়। বাবা-মা জানে না, কিন্তু আমি টিউশানি খুঁজছি। অন্য যেকোনো কাজ হলেও আমার চলবে। কিন্তু মিলছে কই? এই লকডাউনের সময় প্রত্যেকেরই একই খোঁজ; কাজ, কাজ আর কাজ। বাবা মায়ের ওপর দিয়ে কি ঝড়টা যাচ্ছে, তা বুঝছি। কিন্তু আমিও যে নিরুপায়। চেতনার ঝড় বাইরের ঝড়ের সাথে মিলে গেলে জন্ম নেয় যে বিধ্বংসী সাইক্লোন, তাকে প্রতিহত করতে হবে আমাদের।

#
২১শে মে, ২০২০
আজ আর গঙ্গার ধারে যাওয়া সম্ভব হয়নি। গিয়েছিলাম আমাদের দোকানে। জায়গাটার নাম জোড়া-বটতলা। ওখানে একটা বটগাছ ছিল। লোকে বলে, ওটা একশো বছরের পুরনো। বটতলায় গিয়ে দেখলাম, সেই প্রাচীন বট গাছটা শুয়ে পড়েছে। তার গুঁড়ি কিছুটা মাটি তুলে নিয়েছে। গাছটির একটা মোটা ডাল গিয়ে পড়েছে আমাদের দোকানটার ওপর। দোকানের ছাদের একটা কোণ তাতে ভেঙে পড়েছে। পাশের একটা বাড়ির টালির চালেও পড়েছে একটা ডাল। টালি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। একটা লাইট-পোস্টও ভেঙে পড়েছে এই সুপ্রাচীন মহীরুহের পতনের সাথে-সাথে। সারাটা রাস্তায় হাঁটু জল। দোকানের ভেতরটা পর্যন্ত জলে থৈ-থৈ করছে। আজ এই দৃশ্য খুব একটা আশ্চর্যের কিছু নয়। প্রায় গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই কমবেশি একই ছবি। গতকাল যে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেখলাম, এমনটা সারাজীবনে দেখিনি। সে কি শব্দ, আর তার কি উচ্ছৃঙ্খল রূপ! এর জন্য কত মানুষের যে মৃত্যু হল, কত যে ক্ষয়ক্ষতি হল, তার ইয়ত্তা নেই। মনে হয়, প্রকৃতি আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে, আমরা বেঁচে থাকতে জানি কিনা?

বিদ্যাসাগর মাঠের ধারে ছিল অন্তত দশ বারোখানা গাছ। আজ তার দু-একটা মাত্র অবশিষ্ট আছে। এ শহরের বিভিন্ন রাস্তা আজ অবরুদ্ধ। বিদ্যুৎ কর্মীরা এই দু'দিন ধরে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। কাঠ চেরাইয়ের শব্দে আসছে মাঝে-মাঝেই। বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জলও নেই। পৌরসভা থেকে পাড়ায়-পাড়ায় জলের গাড়ি পাঠিয়েছে। আমাদের পাড়াতেও এসেছে একটা। সেখান থেকে আমি দুটো বালতি জল নিয়ে এসেছি। এগুলো গৃহস্থালির কাজে লাগবে। পঁয়ত্রিশ টাকা দিয়ে জলের একটা বড়ো ড্রাম আনা হয়েছে। বিসলেরির কুড়ি লিটারের বোতল। আশা করি খাওয়ার জল এ দিয়েই মিটবে।

আজ সকাল থেকে দোকানে অনেক কাজ ছিল। দোকানঘরে জল ঢুকে থৈ-থৈ করছিল। বেশ কিছু বই তাতে নষ্ট হয়েছে। সব জল ছেঁচে পরিষ্কার করেছি। যে ক'টা বই ভালো আছে সেগুলোকে আলাদা করে রেখে বাকীগুলোকে বাড়িতে আনলাম। বাবা সকাল থেকেই শুয়ে রয়েছে। শরীরটা যে খারাপ তাও নয়। তবু খুব গম্ভীর। কারুর সাথে কোনও কথা বলছে না। আমি দু-একটা দরকারি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেও বাবা তাতে যতটা সম্ভব কম কথায় উত্তর দিয়েছে। তাই এসব কাজ আমাকে একাই করতে হল।

ঘটনাটা ঘটল সন্ধেবেলায়। আমি ঘরে পড়াশুনো করছিলাম, বাবা হঠাৎ কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমার ঘরে এলো। বুঝতেই পারছিলাম বাবা কিছু বলতেই এখানে এসেছে। তবে বাবাকে সেদিন দেখে কেমন যেন বিমর্ষ লাগছিল। খুব হতাশা আর ক্লান্তি তার সারাটা মুখে। প্রথমে দোকানের কী-কী বই নষ্ট হয়েছে ইত্যাদি দু-একটা ছোটখাটো প্রশ্ন করে বাবা আসল কথা পাড়ল। বলতে শুরু করলো, "দেখ, এতদিন তো কে কিছু বলিনি। কিন্তু এবার বলছি। আমার ইচ্ছা, এবার থেকে তুই একটা কাজের চেষ্টা কর। আসলে পরিস্থিতি তো ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দোকানের যেটুকু আয় ছিল, সেটাও গেল। পড়াশুনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিস নে। কিন্তু তার পাশে একটা..." কথাটা বলতে-বলতে বাবা থেমে গেল। আমার মনে হল, বাবার গলাটা হঠাৎ বুজে এলো। তারপর বলল, "দেখ ভেবে.." ছোট্ট কথাটা বলেই বাবা চলে গেল।

বাবা যখন আমাকে বলছে, কোনও কাজের খোঁজ করতে, তখন সেটা আমি করবোই। এটা আমার শুধু রুটিরুজির প্রশ্ন নয়, এর সাথে আমার সম্মানও জড়িয়ে রয়েছে। আজ বাবার মুখে ঐ কথা শোনার পর থেকে এটুকু বুঝতে পারছি, ডব্লুবিসিএস দেওয়ার যে স্বপ্ন আমি দেখছিলাম, সেটা আজকের এই ঝড়ের দিনটাতে এসেই শেষ হয়ে গেছে। সে যাক, আমার মত একটা সাধারণ ছেলের স্বপ্নের কি-ই বা মূল্য আছে? তা হারিয়ে গেলেও কারুর কিছুমাত্র যায় আসবে না।

#
৩ রা জুন, ২০২০
তিনদিন আগে রাত্তির-বেলায় বাবার হার্টের কলকব্জা হঠাৎই আবার নড়ে গেলো। তবে এবার একটু বেশি রকমেরই নড়েছিল। আমরা তখন ঘুমোচ্ছি। কেউ কোনও সাড়াশব্দও পেলাম না। বাবাকে সকালে চা খাবার সময়ে ডাকলাম। বাবা সাড়া দিলো না। বিছানার ওপর উপুড় হয়ে, পাশবালিশটাকে কোলের কাছে টেনে শুয়ে আছে। মনে হচ্ছে যেন খুব গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কিন্তু এমন গভীর ঘুম তো বাবা ঘুমোয় না। তাহলে?

পালস ধরলাম। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না। অবশেষে ডাক্তারবাবুকে ডাকতে বাধ্য হলাম। উনি বাবাকে পরীক্ষা করলেন। ভিজিট নিলেন আর একটা ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে চলে গেলেন।

বাবাকে বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেছিল আমার। আরো আগে বুঝলে আজকের এই দিনটা হয়তো এড়ানো যেত। এখানেই আমার মনে সংশয় দানা বেঁধেছে। বাবার এই মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোথাও আমার 'সফল হয়ে না উঠতে পারা'ও দায়ী নয় তো? এই প্রশ্নটার উত্তরই খুঁজে চলেছি নিরন্তর।

বাবার মারা যাওয়ার পর বাড়িতে অনেক আত্মীয়স্বজন এসেছে। সেখানে বড্ড শব্দ, তাই পরিচিতজনের থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি। সেই গঙ্গার ঘাট, সুচির সাথে যেখানে আমি আগে আসতাম। নদীর জল যেখানে ঘাটের সাথে মিশছে, তার থেকে ঠিক দুটো ধাপ ওপরে বসে রয়েছি। নদীতে এখন ভাঁটা। গতদিনের ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কিছু কচুরিপানা ভেসে এসেছে ঘাটের কাছে। নদীর স্রোত ধীরে-ধীরে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন পর দেখবো ঘাটটা থেকে সমস্ত কচুরিপানা সরে গেছে। সবটাই ঠিক হয়ে যাবে আগের মতো । সবই এভাবে ঠিক হয়ে যায়, তবু কেন একটা 'কিন্তু' কাঁটা হয়ে বিঁধে থাকে?

বাবা মারা যাবার খবর পেয়ে সুচি এর মধ্যে একদিন ফোন করেছিল। এটা-ওটা-সেটা বলতে-বলতে একসময় ও বলেই ফেলে, "বাবার চাকরিটা তো আর একবছর আছে। তাই বাবা চাইছে, সামনের বছরের মধ্যেই আমার বিয়েটা দিতে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে হয়তো অনুষ্ঠানটা এখনই হবে না। বাবা চায়, রেজিস্ট্রিটা অন্তত হয়ে যাক।" এই বলে সুচি থামে।

কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আমি বলি, "বাঃ ভালো তো । ভালো করে সংসার কর। আর বিয়েতে আমাকে নেমন্তন্ন করবি তো?"

ও হেসে বলে, "কেন করবো না রে? নিশ্চয়ই করবো।"

আমি বলি, "সবকিছুই খুব দ্রুত পাল্টে যায় রে। তাই একটা ভয় হয়।" কিছুক্ষণ থেমে আবার বলি, "সুচি, তুই আমার সাথে এরপর আর যোগাযোগ রাখবি তো?"

"কেন রাখবো না রে পাগল?"

"জানি, রাখবি না। এতগুলো দিন গেল একবারও ফোন করেছিস?"

"সে না হয় সময় পাইনি.."

"সেটাই। এরপরেও পাবি না। আমার কথা মিলিয়ে নিস।"

খানিকক্ষণ দুজনেই চুপ। তারপর আমি বলেই ফেললাম, "তুই আমাকে বুঝলি না সুচি। বুঝতে পারলে... না থাক।"

সুচেতনা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, "তুইও কি পেরেছিস?"

# ( শেষ পর্ব )
পড়ন্ত বিকেলে রাজীব এসে দাঁড়াল সেই জোড়া বটতলার সামনে। বটগাছটা নেই, তার জায়গায় একটা শূন্যস্থান বড্ড চোখে লাগছে। যে বাড়ির চালাটা ভেঙে পড়েছিল, সেটা আবার ঠিক হয়ে গেছে। ওদের দোকানটাও মেরামত করা হয়েছে। পড়ে যাওয়া ল্যাম্পপোস্ট, বড়ো-বড়ো গাছের গুঁড়ি সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাস্তা থেকে জল নেমে গেছে। বিদ্যুতের সংযোগ এসেছে। পরিবেশটা আবার আগের মতো হয়েছে। শুধু নেই একশো বছরের পুরনো বটগাছটা। রোদে ক্লান্ত পথিককে যেটা ছায়া দিত। তার গুঁড়ির একাংশ শুধু এখন বর্তমান রয়েছে তার মৃত্যু-চিহ্নস্বরূপ। দোকানের সামনে রাজীব এসে মুখের মাস্কটা নামিয়ে একটা সিগারেট ধরাল। পথে নানা লোকের আনাগোনা, তাদের টুকরো সংলাপ আর সন্ধের এই প্রাক্কালের একটা মায়াময় মাদকতা রাজীবকে যেন একটা অন্য জগতে নিয়ে যেতে লাগল। বাড়িগুলোর ফাঁক দিয়ে অস্তমিত সূর্যের রক্তিমাভ আভার দিকে তাকিয়ে থাকতে-থাকতে রাজীবের একটা ঘোর এল। সে দেখতে লাগল তার চারিদিকটা যেন অন্ধকার হয়ে আসছে। ধীরে-ধীরে অন্ধকারটা যেন তাকে ঘিরে ধরতে লাগল। তারপর সেই নিচ্ছিদ্র অন্ধকারের বুক চিরে একটা আলোর জ্যোতি প্রকাশ পেল - তার বাবা! বাবা দাঁড়িয়ে আছে সেই জায়গায় যেখানে আগে সেই বটগাছটা ছিল। দেহটা ঈষৎ দীর্ঘ, মুখখানা প্রশান্ত, গাম্ভীর্যে ভরাট। তবু যেন অনেকগুলো প্রশ্নচিহ্ন রাজীব দেখতে পেল তার ঐ দীপ্তিমান চোখদুটোতে। কী প্রশ্ন করতে চাইছে সে রাজীবের দিকে তাকিয়ে? রাজীব বলতে চাইল, "বাবা তুমি আমাকে কাজের খোঁজ করতে বলেছ, আমি তা করেছি।" কিন্তু তার গলা থেকে আওয়াজ বেরোল না। পরক্ষণেই সিগারেটের ছ্যাঁকায় সম্বিত ফিরে আসে রাজীবের। লোকজনের আনাগোনা আগের মতোই। সন্ধের অন্ধকারটা এখন ভালোই নেমেছে, তাই রাস্তার আলোগুলো জ্বালানো হয়েছে। নিজের মনের ভুলে লজ্জা পেয়ে রাজীব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তারপর তার নজর পড়ে ঘড়ির দিকে। ছ'টা বাজতে চলল, আর সময় নেই। এখনই তাকে পড়াতে যেতে হবে। এখন ক্লাস এইটের দুটো মেয়েকে পড়াবে, তারপরেও টিউশানি আছে। ডব্লুবিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিতে চায় বলে দুটো ছেলে আজই যোগাযোগ করেছে তার সাথে। তাদেরকেও পড়াতে হবে। সাইকেলে ওঠবার আগে একবার চোখ পড়ে গেল দোকানঘরটার সামনের দিকে। পিচবোর্ডের একটা কাগজ সেখানে ঝুলছে। তাতে লেখা - এই দোকানঘর ভাড়া দেওয়া হবে।
( সমাপ্ত )


Next Bangla Story

All Bengali Stories    110    111    112    113    114    115    (116)     117    118   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717