Home   |   About   |   Terms   |   Contact    
RiyaButu
A platform for writers

সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য


বাংলা গোয়েন্দা গল্প


All Bengali Stories    22    23    24    25    26    27    28    29    30    (31)       

-হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর - ১৩, আগরতলা, ত্রিপুরা ( পশ্চিম )




সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য
( বাংলা গোয়েন্দা গল্প )
- হরপ্রসাদ সরকার, ধলেশ্বর, আগরতলা
২৩-১১-২০১৭ ইং



আগের পর্বগুলি: ১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব   


◕ সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য
৪র্থ পর্ব

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------

সর্দার বাড়ির ইতিহাসে সবচেয়ে শিক্ষিত ও নীতিবান লোক হলেন এই নেপাল কর্তা। বয়স প্রায় পঁয়তাল্লিশ। আগরতলার এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক। প্রায়ই আগরতলা আর উদয়পুরের আসা যাওয়া করেন। নেপাল কর্তা সদাই মহাপুরুষদের বানী, নিয়ম নীতি আর সদাচারে মেনে চলতে চান এবং অন্যকেও ঐ পথেই চালাতে চান। এমন ডাকাত বাড়িতে এমন নীতিবান পুরুষ কিভাবে এসে পড়ল, কে জানে! যদিও বাড়ির অনেকেই উনার অনেক কথার কোন পাত্তাই দেয় না, তবু নেপাল কর্তা নেপাল কর্তাই।

নেপাল কর্তার ছোট ভাই হলেন মনুরাম, মানে মনু কর্তা। বাড়ির সকল জমি-জামা তিনিই দেখাশুনা করে। তিনি এখনো সর্দার বাড়ির মারামারির পরম্পরা ধরে রেখেছেন। গায়ের জোরে সব কাজ করে ফেলতে চান। যেখানে কথায় কাজ হয় না সেখানে হাত পা চালিয়ে দেন খুব দ্রুত। যেমন তার উঁচা লম্বা গা গতর, তেমনি তার মারপিটের স্বভাব। গ্রামের লোকেরা উনার পিছনে উনার একটি নাম দিয়েছে, ঔরঙ্গজেব। ঔরঙ্গজেবের মতই তার খুনি ও খুব ধন লোভী স্বভাব। নিজের ধন সম্পত্তি বাঁচাতে তিনি যা খুশি তাইই করতে পারেন, এমন কী খুন পর্যন্ত। গ্রামবাসীদের দেওয়া নিজের এই উপনামের কথা মনু কর্তা খুব ভাল করেই জানেন। তবে তার কোন মন্দ লাগে না, ভালই লাগে। সত্যি কথা বলতে, গ্রামের ভাল-খারাপ সব ধরনের লোকই উনার থেকে দুরে থাকতে চায়। খুব দরকার না হলে কেউ উনার পথ মাড়ায় না। তবে গঙ্গাছড়া গ্রামে মনু কর্তার একজন অন্ধভক্ত আছে, এক মহা চেলা আছে। নাম গুপ্তিপদ। সে সারাদিন মনু কর্তার পিছু পিছু গুড়গুড় করে ঘুরে বেরায়। সহজ সরল, সাদা সিধা, ভোলা ভালা গুপ্তিপদ দিন রাত 'মনু কর্তা, মনু কর্তা' বলে জান দেয়। গুপ্তিপদের পড়াশুনা যেমন নেই, তেমনি মাথায় বুদ্ধি-শুদ্ধিও কম, আক্কেল-পতারও না এর বরাবর। তবু মনু ওকে খুব ভালবাসেন, সব সময় নিজের কাছেই রাখেন। মনু কর্তা ওকে যা বলবে, সে তাই করবে। ভাল খারাপ বিচার করার ক্ষমতা কিছুই তার নেই। ওর কাছে মনু কর্তা আদেশ মানে ভগবানের আদেশ। বিদ্যাহীন-বুদ্ধিহীন হয়েও সঙ্গী দোষে, অন্যের ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে গুপ্তিপদ আজ গ্রামের এক ক্ষমতাবান পুরুষ। কার এমন সাহস যে ওকে কিছু বলবে! কেউ এমন দুঃসাহস করলে, মনু সর্দার কী তাকে আস্ত রাখবেন! কেউটে সাপের মাথায় চড়ে এক পিঁপড়াও আজ মূল্যবান মাণিক্য হয়ে গেছে। যেমন যার সঙ্গত তেমনি তার ফল। মনুর প্রিয় হয়ে গুপ্তিপদ পদে-গুরু হয়ে গেল। মনুর আলোকে আলোকিত হয়ে গুপ্তিপদ আজ আকাশের চাঁদ।

তিন ভাইয়ের মধ্যে বাকী রইলেন বিনোদ বিহারী, তিনি নেপাল কর্তার বড় ভাই। বয়স হবে প্রায় ছেচল্লিশ সাতচল্লিশ। ব্যবসায়ী লোক। ইট বাট্টা আছে। তাতে প্রায় চারশো লোক কাজ করে। ইট আনা নেওয়ার জন্য দশ বারটি লরিও আছে উনার। বর্তমান সর্দার বাড়ির সব চেয়ে পয়সাদার, ওজনদার লোক।

প্রায় ত্রিশ বছর আগের সেই চুরির ঘটনার পর থেকে এত দিন পর্যন্ত সর্দার বাড়িতে আর কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি, সব ভালই ছিল। কিন্তু দিন দুয়েক আগে হঠাৎ একটি ভেজাল হয়ে যায়। নেপাল কর্তার স্কুলে যাবার জন্য ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন। এমন সময় উনার সামনেই দুর্গা মণ্ডপের পিছনের আম গাছটি থেকে একটি শুকনো মোটা ঢাল বিনা কারণে হঠাৎ ভেঙ্গে পরল নীচে আর তার চাপায় কয়েকটি মুরগির ছানা মারা গেল, মুরগীটিও মারা গেল। গাছটি এমনিই অনেক পুরানো হয়ে গিয়েছিল, নিজের হাত-পা গুলিকে আর ধরে রাখতে পারেনি, তাই এই দুর্ঘটনা। ঘটনাটি সবার চোখে খারাপ লাগলেও নেপাল কর্তা তাকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেননি। এতে বুড়ো গাছের এই ঢাল ভাঙ্গা নিয়ে বাড়িতে প্রচণ্ড হৈ-চৈ শুরু হয়ে গেল। সর্দার বাড়ি দুই দলে পরিণত হল। নেপাল কর্তা একা এক দিকে আর সমগ্র সর্দার বাড়ি অন্য দিকে। নেপাল কর্তার যুক্তি হল, "এই গাছ বুড়ো হয়ে গেছে। এই বুড়ো গাছ আমি আর রাখবো না। কখন কার মাথায় ভেঙ্গে পরে, গাছ রাখতে মানুষটাই না মারা যায়! তাছাড়া বাড়িতে গরু বাছুর, কুকুর বেড়াল, হাঁস মুরগী ছাগল সবই তো আছে। এই বৃদ্ধ গাছটি যদি বাড়ি থেকে দূরে কোথাও থাকত, তবে কোন কথা ছিল না, চিন্তা ছিল না। কিন্তু গাছটি একেবারে উঠানের উপরে। এই গাছের তলা দিয়ে কত লোক রোজ চলাফেরা করে। একটা দুর্ঘটনা যদি ঘটে যায়, তখন? যার যাবে সেই শুধু বুঝবে, কী গেছে? তাই দুর্ঘটনা ঘটার আগেই গাছটিকে কেটে ফেলতে হবে।"

জবাবে বাড়ি অন্য সবাই রে রে করে উঠল। তাদের কথা হল, "তুই কী পাগল হয়েছিস নাকি নেপাল! এটি একটি দেবতা গাছ। এতে মা দুর্গার বাস। আর তুই কি না এই দেব গাছটিকে কেটে ফেলার কথা বলছিস। মহাপাপ হবে যে। কত লোক এই গাছটিকে পূজা করে, ভেবে দেখ। গাছটিও দুর্গা মণ্ডপটিকে ছায়া আর মায়ায় ভরিয়ে রাখে। এমন পবিত্র আর দেব গাছটিকে কেটে ফেলার কথা তুই বললি কী করে? পাপে বংশ নির্বংশ হয়ে যাবে যে!"

কিন্তু কে শোনে কার কথা! এক সন্ধ্যায় নেপাল কর্তা ঠিক করেই ফেললেন যে, কাল বুড়ো আম গাছটিকে আর রাখবেনই না। গ্রামের দিনমজুর দুই ভাই, নিবারণ আর উদাহরণকে খবর দেওয়া হল, কাল সকালে যেন ওরা গাছটি একেবারে গোঁড়া শুদ্ধ কেটে ফেলে। নেপাল কর্তা আর কারোর কথা শুনলেন না, গাছ কাটা হবে তো হবেই। পাগলা নেপালের সাথে বাড়ির আর কেউ ঝগড়া করতে গেল না। নেপাল গাছ কাটবে তো কাটুক। মা দুর্গা যেন ওকে ওর পাপের সাজা দেন।

পরের দিন যথা সময়ে নিবারণ আর উদাহরণ দুই ভাই গাছ কাটতে এল। ওরা দা-কুড়াল নিয়ে গাছের কাছে যেতেই এক অবাক কাণ্ড ঘটল। এত বড় গঙ্গাছড়া গ্রামে কোথা থেকে ছয় সাতজন সাধুবাবার এসে টপকে পড়ল। একেবারে সর্দার বাড়িতে দুর্গা মণ্ডপের সামনে। সবার পড়নে লাল কাপড়। মণ্ডপের সামনে এসেই ওরা হুঙ্কার ছুড়তে লাগল। ওদের এক কথা, এটি দেবতা গাছ। এই গাছ কাটা চলবে না। এই গাছ কাটলে যে পাপ হবে তাতে গঙ্গাছড়া গ্রামে প্রলয় হয়ে যাবে। সবটাই মা'র আদেশ। যে এই গাছ কাটবে, সে কয়েকদিনের মধ্যেই অন্ধ হয়ে যাবে। তার স্ত্রী পুত্র কাল সাপের কামড়ে মারা পড়বে। সব মা'র আদেশ।

সাধুদের হুঙ্কার শুনে গ্রামের প্রচুর লোক এসে জড়ো হল সর্দার বাড়িতে। নিবারণ আর উদাহরণ অনেক আগেই মা দুর্গার ভয়ে গাছ কাটা ছেড়ে, নিজের দা-কুড়াল, গামছা দিয়ে পুটলি বেঁধে পিছনের পথে পালিয়ে গেছে। ওদের পালিয়ে যেতে দেখে স্বয়ং নেপাল কর্তা ঘর থেকে দৌড়ে এক কুড়াল হাতে নিয়ে বেরিয়ে এলেন। চীৎকার করে বললেন "দেখি, কে আমাকে এই গাছ কাটতে আটকায়! যে সামনে আসবে তাকেই কুপিয়ে আজ এক করে দেব।" নেপাল কর্তার এই অবস্থা দেখে কয়েকজন সাধু আগেই দুই তিন পা পিছিয়ে গেল। খুন খারাপির ভয়ে গ্রামের অনেকেই টপা-টপ সে স্থান থেকে কেটে পড়ল। নেপাল কর্তা কুড়াল হাতে গাছে দিকে এগিয়ে যেতেই বুড়ো কর্তা শক্তিধর ধীরে ডাকলেন, "নেপাল, বাবা একটু শোন।"

নেপাল কর্তা আর যা হোক বাবার অবাধ্য কখনোই ছিলেন না। বাবার কথা তার কানে যেতেই সে পিছন ফিরে তাকাল। তার চোখে রক্ত টগবগ করে ফুটছে। বুড়ো বাপ আবার ডাকলেন, "বাবা, একটু শোন, এ দিকে আয়।" বাবার ডাকে সাড়া দিয়ে নেপাল কর্তা বুড়ো বাবার কাছে ফিরে এলেন। বললেন, "কী বলবে বল?"

- "তুই যদি গাছটি কাটতেই চাস, কাটিস। তবে আজকের দিনটা বাদ দে বাবা। বিবাদটি আর বাড়তে দিস না। পড়ে একটা দিন না হয় তোর মত করে গাছটি কেটে ফেলিস!"

নেপাল কর্তা বাবার কথার উপর আর টু শব্দটিও করলেন না। শুধু এক রক্ত বর্ণ হিংস্র চোখে সাধুদের দিকে ফিরে তাকালেন। সাধুরা তর তর করে, মা দুর্গার জয় ধ্বনি করতে করতে সর্দার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। ওদিনের মত সব শান্ত হয়ে গেল, কিন্তু আসল ঘটনাটি ঘটল পর দিন খুব ভোর বেলায়।

ভুলুর মা খুব ভোর বেলায় সর্দার বাড়িতে কাজ করতে আসছিল। সর্দার বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে আছে, সারা গ্রাম ও ঘুমিয়ে আছে। মাটির পথ ধরে আসতে আসতে দুর্গা মণ্ডপের পিছনে আসতেই কিছু একটা দেখে ভুলুর মা থামকে গেল। তারপর জিনিসটি কী, তা ভাল করে দেখতে আরও কয়েক পা এগিয়ে যেতেই ভুলুর মা'র শ্বাস বন্ধ হয়ে এল, গলা রুদ্ধ হয়ে এল। ভয়ঙ্কর আতঙ্কে সে রামা-চীৎকার জুড়ে দিল। সেই রামা চীৎকারের চাপে তার গলার সুরও বিকৃত হয়ে যেতে থাকল। ভোরের শান্ত শীতল পরিবেশে, মুরগী ডাকের পাশাপাশি ঐ চীৎকার, এক ডাইনী বুড়ির চীৎকারের মতই ভয়ানক শুনা যেতে লাগল। ঐ রামা চীৎকারে ধরমর করে সবাই লাফিয়ে উঠল। প্রথমে চট করে বুঝতে না পারলেও, ক্ষণিকের মধ্যেই বাড়ির লোক, গ্রামের লোক লাঠি-সাটা নিয়ে দৌড়ে গেল দুর্গা মণ্ডপের পিছনে। "কী হল? কী হল?" ভুলুর মা'র সেই ভয়ানক চীৎকার আর কাঁপ-কাঁপানি থামছে না। সে হাত দিয়ে বুড়ো আম গাছটির তলা দেখিয়ে দিল। সবাই অবাক হয়ে দেখল বুড়ো আম গাছটির একটি মস্ত ঢাল ভেঙ্গে পড়ে আছে মাটিতে। আর তার নীচে দলা পাকিয়ে পড়ে আছে নিবারণ। একটু দূরে পরে আছে তার কুড়ালটি। এত বড় ঢালটি ওর মাথায় ভেঙ্গে পরে ওর মাথাটিকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে। হাড় গুর ভেঙে এদিক ওদিক বের হয়ে আছে। চারিদিকে কাঁচা রক্ত আর রক্ত। তার নিথর দেহটি একটি প্লাস্টিকের পুটলির মত পড়ে আছে। বেশ কয়েকজন তা দেখেই মাগো মাগো করতে করতে পালিয়ে গেল, কেউ কেউ মাথা ঘুড়িয়ে বসে পড়ল ওখানেই, বেশ কয়েকজন বক্ বক্ করে বমি করতে লাগল। দেরী না করে সাথে সাথেই পুলিশকে খবর দেওয়া হল। পুলিশ এল, যা করার করল। সবার সাক্ষী বয়ান নিল। পরে নিবারণের দেহটিকে গাড়িতে করে মর্গে পাঠিয়ে দিল।

পুলিস চলে যেতেই বাড়ি শুদ্ধ লোক ভেঙ্গুলের মত ঝাঁপিয়ে পড়ল নেপাল কর্তার উপর। সবাই দোষ দিতে লাগল নেপাল কর্তাকে। ওরা বলতে লাগল, "এত বলার পরেও তুই ওকে ডেকে এনেছিস গাছ কাটতে, তাও রাতের বেলায়! কী ভেবেছিলি? রাতারাতি গাছ কেটে সবাইকে চমকে দিবি! সবাই তোকে এত বাধা দিল, সাধুরা পর্যন্ত বুঝিয়ে গেল, তাতেও তোর টনক লড়ল না। এখন দেখলি তো, কী কাণ্ডটি ঘটালি! কী সর্বনাশটি হল! তখন থেকে সবাই পই পই করে বলেছে, গাছটি দেবতা গাছ, এটিকে নিয়ে টানা হেঁচড়া করিস না, ছেলে খেলা করিস না। কিন্তু না, তুই নিজেকেই নিজে বড় বিজ্ঞ ভাবিস। অন্যদের কথা শুনলে তোর আত্মগরিমা নিচু হয়ে যাবে। এখন দেখ, তোর জিদের কারণে একটা নিরিহ লোককে কেমন ভাবে প্রাণ দিতে হল।"

নেপাল কর্তার কোন কথাই কেউ শুনল না। সব দোষ এসে চাপল নেপাল কর্তার ঘাড়ে। পুলিশ অবশ্য নেপাল কর্তাকে বেঁধে নিয়ে যায়নি। ঘটনাটিকে একটি দুর্ঘটনা ধরে নিয়ে পুলিশ কেসটিকে ওখানেই শেষ করে দেয়। কিন্তু নেপাল কর্তার মাথায় লেগে গেল এক ঘোর কলঙ্কের কালি। ওনার মত এক নীতিবান পুরুষ সেই কলঙ্ক কীভাবে সহ্য করবেন? ফলে উনি খুঁজে খুঁজে একদিন ধলেশ্বর ১৩ নম্বরে এসে হাজির। রাজবংশীর বাড়িতে। আর এই নেপাল কর্তার হাত ধরে দিন কয়েকের মধ্যে সর্দার বাড়িতে পা রাখল রাজবংশী আর উনার সহকারী সদানন্দ।

পরবর্তী পর্ব

আগের পর্ব গুলিঃ ১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব   

অন্য গোয়েন্দা গল্পঃ মাণিক্য   

All Bengali Stories    22    23    24    25    26    27    28    29    30    (31)    


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717