Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

বৃত্তের কেন্দ্রে ( পর্ব ৩)

বাংলা প্রেমের গল্প

All Bengali Stories    104    105    106    107    108    109    110    111    (112)     113   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



বৃত্তের কেন্দ্রে ( পর্ব ৩)
বাংলা গল্প
স্বরচিত গল্প প্রতিযোগিতার ( নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার , ২০২১) একটি নির্বাচিত গল্প
লেখিকা - শ্রীপর্ণা দে, দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিট, কলকাতা


14 th July, 2021

## বৃত্তের কেন্দ্রে
পর্ব ৩

অন্য পর্বগুলিঃ পর্ব ১     পর্ব ২     পর্ব ৩     পর্ব ৪    

# পর্ব ৩
বাড়ি ফিরতে রামলোচনের একটু সন্ধ্যাই হলো। রমলা তুলসী তলায় প্রদীপ দিচ্ছেন। রামলোচনকে দেখে বললেন, "এত দেরি হলো! আমি চিন্তা করছিলাম। দত্ত বাড়িতে কি হলো!"

রামলোচন হাতের থলিটা রমলাকে দিয়ে বললেন, "ওসব পরে বলব ক্ষণ। এগুলো রেখে একটু জল দাও। বড় তেষ্টা পেয়েছে।"

রমলা থলিটা রেখে জল দিতেই তিনি এক নিঃশ্বাসে জল শেষ করলেন। রামলোচনের বড় ছেলে ছাড়া বাকি তিন ছেলে বাড়ি নেই। তাঁর তিন জোয়ান ছেলেরা বাড়িতে সময় দিতে পারে না। তাঁর তিন ছেলের খবর রমলা মা হয়েও জানেন না। তবে যে যেখানেই থাক রাতের খাবার সময় ঠিক বাড়ি ফিরবে। খাবার ব্যবস্থা তাদের নিজেদের করার মুরোদ থাকলে রামলোচনকে আর ভাবতে হতো না।

রামলোচন হাতমুখ ধুয়ে রমলাকে বললেন, "আমি একটু জপে বসছি। আমাকে বিরক্ত করবে না। তোমার ওই তিন অকালকুষ্মাণ্ড ছেলে বাড়ি ঢুকে যেন হইচই না করে।" তিনি নীরবে ঘরে মাদুর বিছিয়ে পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসলেন। হ্যারিকেনের জোরালো আলোয় তাঁর মুখে কুটিল হাসির রেখা স্বল্প-ক্ষণের জন্য দেখা দিয়ে মিলিয়ে গেল। সুদিন এবং সুযোগ, দুটোই এসে আজ তাঁর হাতে ধরা দিয়েছে। একবার যদি তিনি এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন তাঁর তিন ছেলে পায়ের উপর পা তুলে খাবে। অভাব তাঁর সংসারকে ছুঁতে পারবে না। মালাবতী আজ সেই সুযোগ করে দিয়েছে। সেই রামলোচনের দাবার মোক্ষম গুটি। মালাবতীকে কাজে লাগিয়ে তিনি অনেকদূর পৌঁছে যাবেন। এইসব ভাবতে-ভাবতে তাঁর শিকারী পাখির মতো চোখ দুটো জ্বলে উঠল। তিনি মনে-মনে প্রতাপবাবুর প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পত্তির হিসাব কষলেন। হিসাব কষতে-কষতে তিনি আপন মনে ‘হা- হা-হা" করে হেসে উঠলেন।

রমলা রামলোচনের হাসির আওয়াজ পেয়ে ঘরে এসে বললেন, "একি গো তুমি পাগল হলে নাকি! ঘরের মধ্যে অকারণ একা-একা হাসছো কেন!"

রামলোচন উচ্ছ্বসিত গলায় বললেন, "গিন্নি, অকারণ হাসছি না। একটা ভালো সুযোগ পেয়েছি। তোমার ছেলেদের সারাজীবন অভাব ছুঁতে পারবে না। এই রামলোচন শর্মা সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে।"

রমলা বললেন, "তুমি যে কি বলছো তা আমার মাথায় ঢুকছে না। লটারি পেলে নাকি! ওই দত্ত বাড়ি থেকে ফেরার পরই তুমি আবোল-তাবোল বকছো দেখছি। খোলসা করে বলো দেখি।"

রামলোচন বললেন, "লটারিই বটে। সব মাথায় এখন ঢোকাতে যেও না। আমি যে আবোল-তাবোল বকছি না সেটা ক'দিন পরই বুঝতে পারবে।"

রমলা বললেন, "কি ফন্দি আটছো বলতো! মতলব কি তোমার!"

রামলোচন বললেন, "মতলব আবার কি! এই যাও তো আমার খাবারের ব্যবস্থা করো। কাল আবার একটু সকাল-সকাল দত্ত বাড়ি পুজোয় যেতে হবে।" রমলা কথা না বাড়িয়ে খাবার ব্যবস্থা করলো।

দাওয়ায় বসে রামলোচন খেতে বসে তাঁর বড় ছেলেকে বললেন, "তোকে আমি মারা যাবার আগে পুজোর ভার দিয়ে যাব। তোর দ্বারা তো বিশেষ কিছু হবে না। আমি না থাকলে অন্তত যজমানী করে খেতে পারবি। পুজো করা শিখিয়ে দেব। ব্রাহ্মণ সন্তানের জাত ব্যবসা তো এটাই। তোর ভাইরা তো এসব করবে না। ওরা নবাবপুত্তুর।"

বড় ছেলে বাবার বাধ্য ছেলের মতো ঘাড় নেড়ে বলল, "ঠিক আছে বাবা। তুমি যা বলবে তাই হবে।"

রমলা বলল, "ওমা এ কি অলক্ষুণে কথা রাত দুপুরে! বালাই ষাট, ছেলেপিলে নিয়ে সংসার করছো। খেয়ে ওঠো তো।"

রামলোচনের খাওয়া শেষ হতেই তাঁর তিন ছেলে বাড়ি ফিরল। রামলোচনের এই তিন ছেলেকে দেখলেই জন্মদাতা হিসাবে তাঁর নিজের উপরেই রাগ হয়। রাগ সংবরণ করে এই তিন ছেলেকে ভরণ-পোষণ করতে তিনি বাধ্য হন। তাঁর সুপ্ত রাগ কখনো-কখনো বিরক্তির আকারে বাইরে বেরিয়ে আসে। তিনি বিরক্তি-ভরা গলায় বললেন, "ষাঁড়ের মতো চরে ফিরল আমার তিন নবাবপুত্তুর। ওদের খাবার ব্যবস্থা করো। বাড়িতে গণ্ডেপিণ্ডে গিলে বাইরের মোষ চড়িয়ে ফিরবে।"

রামলোচনকে তাঁর মেজো ছেলে বলল, "বাড়িতে কি করব সারাদিন! জন্ম যখন দিয়েছো তখন তুমি ছাড়া কে খাওয়াবে! একটা ব্যবসা করে দিলে আমরা তিন ভাই মিলে চালাতাম। সেটা তো করে দেবে না!"

মেজ ছেলেটাকে তিনি বড় ভয় পান। ছেলেটার সবেতেই একটা মাতবরি করা স্বভাব আছে। আর দুটো ভাই ওরই কথায় ওঠে বসে। ওই দুটো ছেলেকে মেজ ছেলে পরিচালনা করে সবসময়। রামলোচন ঠোঁটটা ঈষৎ উল্টে বললেন, "ব্যবসা করবে! ব্যবসায় টাকা কত লাগবে জানিস! ভাঁড়ে মা ভবানীতে বুঝি ব্যবসা হয়!"

রমলা বললেন, "ছেলেগুলো এই বাড়ি ফিরল। তুমি আর এত রাত্রে ওদের সঙ্গে ঝামেলা করো না। তুমিও ছেলেমানুষ হলে নাকি! যাও-যাও শুয়ে পড়ো।" রামলোচন তর্কাতর্কি না করে ঘরে গেলেন।

রামলোচন খুব ভোরে উঠেছেন। রমলা এবং ছেলেগুলো নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। প্রাতঃক্রিয়া সম্পন্ন করে তিনি ধোপদস্ত পোশাক পরে সকলের অলক্ষ্যে বিভিন্ন গাছগাছড়া নিয়ে নিবিষ্ট চিত্তে মালবতীর জন্য জড়িবুটি বানালেন। ঘণ্টা-খানেক পর তিনি জড়িবুটি বানানো শেষ করে একটা ক্রুর হাসি হাসলেন। খড়ম দু'খানি পায়ে দিয়ে রমলার উদ্দেশ্য হাঁক পেরে বললেন, "আমি এলাম গো। পুজো সেরে ফিরব।"

রমলা ঘুম জড়ানো গলায় বলল, "এত সকালে যাচ্ছ, যাও! সাবধানে ফিরে এসো।"

মালাবতী রামলোচনের আসার অপেক্ষায় সকাল-সকাল উঠে একতলার বারান্দায় ব্যাকুলভাবে পায়চারি করছিলেন। প্রতাপবাবু এখনো ওঠেন নি। চাকর বিজু একতলায় কোণের ঘরে ঘুমাচ্ছে। রামলোচন নির্দিষ্ট সময়ে মালাবতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। সকলের অলক্ষ্যে তিনি ধুতির কোঁচা থেকে জড়িবুটি ওষুধের প্যাকেটটা নিঃশব্দে বের করে মালাবতীকে দিয়ে বললেন, "সকালে একবার রাত্রে একবার, মোট দুবার করে খাওয়ালেই কাজ হবে।"

মালাবতী ঠাকুরমশাইকে প্রণাম করে বললেন, "আপনি যে আমাকে এতখানি সাহায্য করলেন তা জীবনে ভুলব না।"

রামলোচন বললেন, "দীর্ঘায়ু হও। ঈশ্বর তোমার কোলে ফুটফুটে সন্তান দিক। এখন আমার এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ঠিক হবে না।" তিনি দ্রুত পায়ে বাড়ির বাইরে এলেন।

মালাবতীর হাতের গহনার ঝনঝন শব্দে প্রতাপবাবুর ঘুম ভেঙে গেল। প্রতাপবাবু ঘুমঘোর গলায় মালাবতীকে বললেন, "এত তাড়াতাড়ি উঠে পড়েছো যে..."

মালাবতী বললেন, "ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেল।" তিনি কাপড়ের আঁচলে বাঁধা জড়িবুটি ওষুধ বার করে প্রতাপবাবুর জন্য এনে রাখা এক গ্লাস জলে খানিকটা মিশিয়ে দিলেন, প্রতাপবাবুর চোখের আড়ালে ওষুধ সরিয়ে রাখলেন। প্রতাপবাবু ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে মালাবতীর হাত থেকে জলের গ্লাস নিয়ে ঢকঢক করে এক নিঃশ্বাসে জল পান করলেন। ঘণ্টা-খানেক পর তিনি জলখাবার খেয়ে ব্যবসার কাজে বেরিয়ে গেলেন।

প্রতাপবাবুর শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা জানতে রামলোচন পুনরায় মালাবতীর কাছে খবর নিয়ে গেলেন। প্রতাপবাবু যে ওষুধ খেয়েছেন একথা শুনে রামলোচন সানন্দে বাড়ি ফিরলেন। কর গুণে-গুণে তিনি হিসাব করলেন প্রতাপ দত্তের আয়ুর খুব জোর হলে আর দশদিন। তারপর ওই বিশাল সম্পত্তির মালিকানা আসতে চলেছে তাঁর হাতে। মালাবতী বাচ্চা মেয়ে। তাঁকে ঘায়েল করতে রামলোচনের বেশি সময় লাগবে না। যদি মালাবতী ঘায়েল না হয় তাহলে অন্য উপায়ও তাঁর ভাবা আছে। তাঁর বাবা সাতকড়ি শর্মা বলতেন যে, 'সৎ পথে কেউ কখনো ধনী হয় না, ধনী হতে গেলে অসৎ উপায় বার করতেই হয়।' বাবা যেমনই হন না কেন, ওই বাবার রক্তই তাঁর শরীরের প্রতিটি শিরা-ধমনীতে বইছে। তিনি সেটা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবেন না। তাঁর বাবার কথাগুলো আজ কানে বাজছে। এসব ভাবতে-ভাবতে তাঁর চোখে ধূর্ত দৃষ্টি, মুখে জোরালো কঠিন রেখা ফুটে উঠল।

পাঁচদিন কেটে যাবার পর প্রতাপবাবুর হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বুকে প্রচণ্ড ব্যথা, শ্বাসকষ্ট সঙ্গে ঘন-ঘন বমিতে শরীর কাহিল হয়ে প্রতাপবাবুর। মালাবতী চাকর বিজুকে দিয়ে রামলোচনকে খবর পাঠালেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হলো না। এদিকে মালাবতীর হাতে জড়িবুটি তুলে দেবার পর রামলোচনও শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে প্রতাপবাবুর বাড়ির ছায়াও মাড়ালেন না। মালাবতী গ্রামের ডাক্তার শিবনাথ সরকারকে খবর দিলেন। শিবনাথবাবু প্রতাপবাবুকে দেখে বলল, "দেখুন পরীক্ষা না করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। প্রেসক্রিপশনে আমি কয়েকটি জিনিস পরীক্ষা করতে লিখে দিলাম। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমি আপাতত এই ক'দিনের জন্য কয়েকটি ওষুধ লিখে দিলাম। আশা করছি ঠিক সময় মতো ওষুধগুলি খেলে কমে যাবে।"

শিবনাথ ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে পরের দিন প্রতাপবাবু সাময়িক একটু সুস্থ বোধ করায় মালাবতী পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে মাথা ঘামালেন না। তিনি ভাবলেন যে ওই ওষুধেই প্রতাপবাবু সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু প্রতাপবাবুর উপর তিনি সন্তানের আশায় পুনরায় রামলোচনের দেওয়া জড়িবুটি ওষুধ প্রয়োগ করেন। অজান্তে জড়িবুটি ওষুধ খেয়ে মধ্যরাতে প্রতাপবাবুর শরীরের সঙ্গিন অবস্থা হয়, পূর্বে প্রতাপবাবুর শরীরের যে অবস্থা ছিল তার থেকে আরও খারাপ অবস্থা। প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, রক্তবমি সঙ্গে শ্বাসকষ্ট-জনিত সমস্যার কারণে ওই রাত্রেই তিনি মারা যান। মালাবতী ডাক্তার ডাকার সময়টুকুও পেলেন না। দিশা-হীন মালাবতী কোথা থেকে কি হয়ে গেল বুঝতেই পারলেন না।

ভোররাতে বিজু রামলোচনের কাছে প্রতাপবাবুর মৃত্যু সংবাদ দিলো। এই সুসংবাদ পেয়ে রামলোচনের লোভী মন আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল। তাঁর চোখে শুঁকুনের ন্যায় দৃষ্টি গিয়ে পড়ল প্রতাপবাবুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির উপর। রামলোচন সকালের আলো ফুটতেই প্রতাপবাবুর বাড়ি এলেন। রামলোচনকে দেখে এলো-চুল আলুথালু বেশে মালাবতী কান্নায় ভেঙে পড়লেন। রামলোচন সান্ত্বনার সুরে বললেন, "কেঁদো না মা। যা হবার তা হয়ে গেছে। আমার এই পাঁচদিন এত শরীর খারাপ যে আমি পুজো করতে আসতে পারলাম না। প্রতাপ তো আমার ছেলেরই মতো। পুরোহিত হলেও এতগুলো বছর এই সংসারে ভালো-মন্দের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। ঈশ্বর যে কাকে কখন তাঁর কাছে ডেকে নেবেন তিনিই জানেন।"

মালাবতী কান্না ভেজা গলায় বলল, "আমার সঙ্গেই কেন এরকম হয় বলতে পারেন ঠাকুরমশাই! আমি কি দোষ করেছি!"

রামলোচন সহানুভূতি-পূর্ণ কণ্ঠে বললেন, "সব দোষ মানুষের ভাগ্যের। কান্না মনকে ভিজিয়ে নরম করে দেয়। শক্ত হও। স্বামীর মৃত্যুর সব কাজ তো তোমাকেই করতে হবে।"

মালাবতী হাউহাউ করে বললেন, "ঠাকুরমশাই, আমি পারব না। যা ব্যবস্থা করার আপনি করুন। আমার মাথার ঠিক নেই।"

সদ্য স্বামী-হারা মালাবতীর অনুরোধ রামলোচন উপেক্ষা করতে পারলেন না। বিজুকে সঙ্গে নিয়ে রামলোচন গ্রামের কিছু লোকের সাহায্যে প্রতাপবাবুর মৃত্যুর সৎকার করলেন। প্রতাপবাবুর শ্রাদ্ধ-শান্তি অনুষ্ঠান ভালোভাবেই সম্পন্ন হলো। প্রতাপবাবুর মৃত্যুর এক মাস কেটে যাবার পর তাঁর শিক্ষিত স্ত্রী মালাবতী সংসার, ব্যবসা উভয়েরই ভালো মতো হাল ধরলেন। রামলোচন ভেবেছিলেন যে মালাবতী মেয়ে মানুষ হয়ে সংসারের পরিমিত পরিসরের বাইরে বিচরণ করবেন না। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রামলোচনের হাতেই মালাবতী ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সবকিছু তাঁর ভাবনার বিপরীত হলো। মালাবতী সবকিছু একা হাতে সামলাতে লাগলেন। উপরন্তু প্রতাপবাবু চলে যাবার পর রামলোচনের পুজোর দক্ষিণাও কিছু কমে গেল। মালাবতী কেঁদে রামলোচনকে বলেছিলেন যে, তাঁর স্বামী মারা যাবার পর ব্যবসার হাল তেমন ভালো নয়। তাই রামলোচনকে তিনি অনুরোধ করেন স্বল্প পারিশ্রমিকে পুজোটা করে দেবার। রামলোচন মালাবতীর অনুরোধ একপ্রকার বাধ্য হয়েই মেনে নেন। তিনি ভাবেন, যদি মালাবতী তাঁকে বাড়ির পুজোর কাজে না রাখেন তাহলে তাঁর বাড়ি ঢোকাই বন্ধ হয়ে যাবে। রামলোচন শুধু সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকেন।
Next part


All Bengali Stories    104    105    106    107    108    109    110    111    (112)     113   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717