◕ 'ত্রিপুরা পুলিশ কম্যুনিকেশন'
লেখক - কৃষ্ণ নাহা, ইন্দ্রনগর, আগরতলা, ত্রিপুরা
( লেখক ত্রিপুরা পুলিশ কম্যুনিকেশন বিভাগে কর্মরত )
-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ 'নগেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার - মে, ২০২৪' স্বরচিত গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, ( প্রতি বছর মে মাসে )
Result
--------------------------
■ পত্র-পত্রিকায় বহু কিছু বর্ণিত হয়, বর্ণিত হয় বিভিন্ন পুস্তক-পুস্তিকায়। এই বর্ণনার মধ্যদিয়েই আমরা যেমন জানতে পারি বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ম গতিবিধির খবরাখবর তেমনি জানতে পারি সেই
কর্মচারীবৃন্দের দুর্বার কর্মনিষ্ঠার কথা। এতে একদিকে যেমন কর্মের গতি বেড়ে যেয়, তেমনি কর্মক্ষেত্র তার চলার পথে পেয়ে যায় নতুন-নতুন ছন্দ।
হাজার-হাজার সরকারী প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এমনি একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে 'ত্রিপুরা পুলিশ কম্যুনিকেশন'।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ জানেন কী এই অসামান্য বিভাগটির একাল-সেকাল?
কিংবা এর অসাধ্য সাধনের ক্ষমতা? অথবা মুহূর্তে দুরকে কাছে করে দেবার প্রয়াস ও সাফল্য?
কিংবা কতটুকুই বা আমরা জানি এই বিভাগটির অহর্নিশি কর্মে নিয়োজিত বিভিন্ন পদাধিকারী কর্মচারীবৃন্দের প্রাত্যহিক দিনলিপির কথা?
না , এটা কোনোদিনও বোধ হয় সম্ভব হবে না। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ' রানার ' কবিতার একটি পঙতির আড়ালেই যেন এর সুস্পষ্ট ছবি প্রতীয়মান হয়। কবিতায় কবি বলেছেন,
"এর কথা ঢাকা পড়ে থাকবেই কালো রাত্রির খামে।"
তাই ত্রিপুরা পুলিশের কম্যুনিকেশন বিভাগের কথাও অনেকটা যেন খামের মোড়কে আচ্ছাদিত। কিন্তু প্রিয় পাঠকবৃন্দকে জানাচ্ছি যে, এটা কিন্তু কোনও সরকারি উদাসীনতা নয়, কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য
মনোভাবের পরিচায়কও নয়।
আমাদের দেশমাতা তথা জাতির রক্ষাকল্পে পুলিশ কম্যুনিকেশন বিভাগ এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তাই দেশমাতার সামগ্রিক স্বার্থে এই বিভাগের প্রতি রয়েছে সরকারের সু-চিন্তিত বিধি-নিষেধ,
যার মধ্যদিয়ে ভারতমাতার সু-মহান গৌরবকে অক্ষত ও অম্লান রাখা হয়ে থাকে। বিভাগটিকে ইংরেজি ভাষায় 'TOP SECRET AND HYPER SENSITIVE DEPARTMENT' হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।
সুতরাং এই অতি মহামূল্যবান দপ্তরের সু-মহান কর্মযজ্ঞের গরিমা, গতি এবং সাফল্য চিরকালই রয়ে যাবে পর্দার আড়ালে।
তবু বাহ্যিক সাফল্যের প্রতিফলনের মাধ্যমে মাঝে-মাঝেই যেন এই বিভাগের রূপ-লাবণ্য জন-প্লাবনে প্রতিধ্বনিত হয়। মুহূর্তে এই বিভাগ গোপনে থামিয়ে দেয় বহুজনের বিগলিত অশ্রুধারা,
দুর-দূরান্তের বহুজনের গড়মিল চিন্তাধারায় মিল খুঁজে দেয়, বহু হারিয়ে যাওয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দেয়, সর্বোপরি সবকিছু রক্ষা করার মধ্য দিয়ে আমাদের গর্বের রাজ্য এবং দেশকে রক্ষা করে চলে।
কিন্তু সবটাই ঘটে চলে নীরবে নিভৃতে, অদৃশ্য পর্দার আড়ালে।
■
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬; 'আজকাল' পত্রিকার প্রথম পাতায় ফটোসহ ছাপা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শ্রাবন্তী পালের এডমিট কার্ড হারিয়ে আবার ফিরে পাওয়ার খবরটি একটি সাড়া জাগানো ঘটনা।
কলকাতার এই মেয়েটি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ভিড়ে ঠাসা বাসের মধ্যে তার পরীক্ষার এডমিট কার্ড হারিয়ে ফেলেছিল। পরীক্ষায় বসে তো দূরের কথা, ওর প্রস্ফুটিত জীবনটাই হয়তো
নষ্ট হয়ে যেতো। কিন্তু তা হতে দিল না কলকাতার ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের মহানুভব কর্তব্য, পুলিশ আইন বিভাগের আন্তরিক প্রয়াস; সর্বোপরি একেবারে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে পুলিশ কম্যুনিকেশনের
মাধ্যমে মুহূর্তে সামগ্রিক যোগাযোগ ঘটিয়ে সুনির্দিষ্ট সময়ে শ্রাবন্তী পালকে পাইয়ে দিল তার এডমিট কার্ড। কলকাতার এক গার্ল-স্কুলের মেয়েটির জীবন পেল নতুন ছন্দ, সফল জীবনের
জয়-টিকা যেন উঠে গেল তার কপালে। সার্থকতার আনন্দে মাতোয়ারা হল ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ, পুলিশ আইন বিভাগ, আর সার্বিক সাফল্যের স্বর্ণিম দিকটাকে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করে আনন্দের রশ্মিছটা বুকের ভেতর নিয়ে
আবার পর্দার আড়ালে লুক্কায়িত হয়ে গেল 'পুলিশ কম্যুনিকেশন বিভাগ'।
■
আরেকটি ঘটনা, দক্ষিণ ত্রিপুরার এক গ্রামের যুবক তার আদিম লালসা এক শিশু কন্যার উপর চরিতার্থ করে রাজ্য থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু 'ত্রিপুরা পুলিশ কম্যুনিকেশন মাধ্যম'
ঐ অপরাধীকে পালিয়ে যেতে দিল না। আবারও সেই পুলিশ আইন বিভাগ ও কম্যুনিকেশন বিভাগের তাল-লয় এক হয়ে গেল। বেরিয়ে এল সার্থক ছন্দ। যৌথ প্রয়াসের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটে গেল।
যৌথ সাফল্যের নিরিখে পালিয়ে যেতে পারল না অপরাধী। ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া থানার ও.সি'র একনিষ্ঠতায় পার পেল না ত্রিপুরার আরেকটি অপরাধ ও অপরাধী। পুলিশ আইন বিভাগের সাফল্যের
খতিয়ানে জুড়ল আরেকটি পালক। কিন্তু পুলিশ কম্যুনিকেশন বিভাগ! সামগ্রিক সাফল্যের জন্য তাকে হতে হয়েছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে মুহূর্তের মধ্যেই
তাকে ছড়িয়ে দিতে হয়েছে নিশ্ছিদ্র জাল। সু-বিশাল দায়িত্ব, অসামান্য কর্ম-প্রয়োগ, সর্বোপরি বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সার্থক প্রতিফলনই হল এই অপরাধীর ধরা পড়ার নেপথ্য কাহিনী। সাফল্যের রূপ-লাবণ্যের আনন্দ আবাহন
বুকে নিয়ে পর্দার আড়ালে কম্যুনিকেশন বিভাগ কখন যে চলে গেছে কেউ-ই তা জানে না।
এরকম অগণিত সাফল্যের প্রাণ-প্রতিষ্ঠান 'ত্রিপুরা পুলিশ কম্যুনিকেশন বিভাগ'। এ যেন এক অফুরন্ত কর্মনিষ্ঠা। এক মহান ত্রাতার ভূমিকায় পুলিশ কম্যুনিকেশন বিভাগ যেমন অবতীর্ণ হয়,
তেমনি সাফল্যের চূড়ান্ত রূপ প্রদান করে সে আবার চলে যায় নীরবে, নিভৃতে। কালো রাত্রির খামে চাপা পড়ে থাকে এর সব কথা; যা কেউ কোনও দিন জানতেও পারবে না।
এভাবেই দিনের-পর দিন, রাতের-পর রাত পার হয়ে যায়। পার হয়ে যায় মাস, পার হয়ে যায় বছর, কিন্তু
পুলিশ কম্যুনিকেশন বিভাগ তার সু-মহান ঐতিহ্য নিয়ে সদা-সর্বদা জেগে রয় সকলের পাসে।
( সমাপ্ত )
ত্রিপুরা সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য:
◎ All Articles On Tripura
পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
পর্ব ৫
পর্ব ৬
পর্ব ৭
পর্ব ৮
পর্ব ৯
পর্ব ১০
পর্ব ১১
## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers.
The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation.
Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##
◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717