Home   |   About   |   Terms   |   Library   |   Contact    
A platform for writers

সে তবে কে?

বাংলা গোয়েন্দা গল্প
লেখক- শান্তনু দাস, হাওড়া, কোলকাতা

All Bengali Stories    49    50    51    52    53    54    55    (56)     57   

-------- বিজ্ঞপ্তি ----------
■ আমাদের এই ওয়েবসাইট ( RiyaButu.com )-এ প্রকাশিত গল্পগুলির মধ্যে থেকে কিছু গল্প নিয়ে এবছরই প্রকাশিত হবে আমাদের 'রিয়াবুটু'র গল্প'।
--------------------------



সে তবে কে?
বাংলা গোয়েন্দা গল্প
লেখক- শান্তনু দাস, হাওড়া, কোলকাতা

পর্ব ৬

বাকী পর্ব গুলি: পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯   

◕ সে তবে কে?
পর্ব ৬
সীমন্তিনী সেনের সাথে আর কোনো কথা হয়নি। অলীকের বাড়ির সব মানুষজনদের মধ্যে আলাদা হলেন সমীরণ বাবু, বিকেলে ওনার সাথে আলাপ হতেই টের পেলাম।

"আপনি সমীরণ সেন? অলীকের দাদা?"

"হ্যাঁ। কি জানতে চান তাড়াতাড়ি বলুন। আমার সময়ের অনেক দাম।"

আমি এক ফাঁকে সমীরণ সেনের চেহারাটা চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম। থলথলে ভারী চেহারা, মুখে গোঁফ দাড়ির লেশ মাত্র নেই, নাক কান থেকে গোছা-গোছা চুল বেরিয়েছে, গোল-গোল ঘোলাটে চোখ, কম পাওয়ারের সরু সোনালি ফ্রেমের চশমাটা বুক পকেট থেকে ঝুলছে; জানি না চোখের ঘুমন্ত ভাবটা সত্যি কিনা।

"সারাদিন ড্রিঙ্ক করে অসংযত জীবনযাপন করে আপনার কি লাভ হয় সমীরণ বাবু?"

"সেটা আমার পারসোন্যাল ব্যাপার গোয়েন্দা বাবু।"

"আপনি কি জানেন আপনার মা আপনাকে সম্পত্তির বৃহত্তর অংশ থেকে বঞ্চিত করেছেন?"

"জানি, আর এও জানি অলীকই প্রায় সবকিছু পাবে।"

"তাহলে খুনের মোটিভটা আপনার না বোঝার কথা নয়।"

"মানে? কি বলতে চাইছেন? আমিই সম্পত্তির লোভে ভাইকে খুন করেছি।"

"ইটস নট ইম্পসিবল।"

"দেখুন আমার বাড়িতে এসে টিকটিকিগিরি করছেন করুন, কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করলে ..."

"বাড়াবাড়ি করলে আপনাকেও লকআপে ঢোকাতে পারি।"

"আমারই বাড়িতে এসে আবার আমাকেই শাসাচ্ছেন? আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।"

"ইউ আর রং সমীরণ বাবু, বাড়িটা আপনার নয়। এখনও পর্যন্ত আপনার মায়ের।"

সমীরণ বাবু হঠাৎ বাতাস বেরিয়ে যাওয়া বেলুনের মত চুপসে গেলেন। ইন্দ্রদার মোবাইলটা তখনই পকেটে বেজে উঠল। "বলুন ইনস্পেক্টর সমাদ্দার?"

"ইন্দ্রজিৎ বাবু, হীরা যে মোবাইল নম্বরটা দিয়েছিল ওটা অন্য একজনের। সারা কোলকাতায় এখনো পর্যন্ত হীরার খোঁজ পাওয়া যায় নি।"

"হীরাকে অ্যাজ সুন অ্যাজ পসিবল খুঁজে বের করুন।"

"ওদিকের খবর কি ইন্দ্রজিৎ বাবু?"

"এখনো পর্যন্ত ব্লাইণ্ড। কিছু জানা গেলে ফোন করবো।"

সন্ধ্যেবেলায় দোতলার ঘরে আমি আর ইন্দ্রদা চাকরানীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। পরনে সাদা কালো মেশানো আঁশের মত বুটিক দেওয়া জীর্ণ সুতির শাড়ি, প্রায় সমস্ত মুখটাকে ঢেকে ঘোমটা দিয়ে থাকলেও বোঝা যায় মুখশ্রী বেশ সুন্দর। মুখ নিচু করে কথা বললেও ঘোমটার ফাঁক দিয়ে দেখছিলাম ফাটা ঠোঁটটা বারবারই ভয়ে দাঁত দিয়ে চেপে ধরছিল।

"তোমার নাম?"

"আজ্ঞে প্রমিলা।"

"অনেকদিন কাজ করছো তাই না?"

"না, ক'বছর মোটে হল। অলীক দাদা বাবু যেদিন কোলকাতা গেলেন ..."

"তুমি একতলায় সমীরণ বাবুর পাশের রুমটাতে থাকো?"

"হ্যাঁ।"

"তুমি অলীকের খুনের ব্যাপারে কিছু বলবে?"

"খুন? অলীক দাদা বাবু খুন হয়েছেন?"

"তুমি জানো না?"

"তবে যে বৌদিমণি বললে অলীক দাদা বাবুর কি একটা রোগ হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি আছে।"

হঠাৎ করে লোডশেডিং হয়ে গেল। প্রমিলা নিচে আলো আনতে গেল। অন্ধকারেই বসে আছি প্রায় কয়েক মিনিট। ইন্দ্রদার অবশ্য টর্চ ছিল, সেটা ব্যাগে আছে। এবার মনে হল জানলার কাছে অন্ধকারের বুকে একটা ছায়া। অন্ধকারেও বুঝতে পারলাম, চোখ কুঁচকে ঠোঁটের উপর আঙ্গুল রেখে আমাকে ইশারায় থামিয়ে ইন্দ্রদা সরীসৃপের মত এক পা এক পা করে এগিয়ে গেল টর্চটা আনতে। কিন্তু টর্চ জ্বালবার আগেই ছায়ামূর্তিটা আমাদের দিকে একটা দলা পাকানো কাগজ ছুঁড়ে দিয়ে ছুটে চলে গেল। আমরাও ছুটে গেলাম। একতলায় তখন সীমন্তিনী দেবীর গলা শোনা যাচ্ছে, "কে, কে? প্রমিলা রে, চোর! চোর ঢুকেছে!"

আমরা একতলায় নেমে আসতেই কারেন্ট চলে এল।

"একটা লোক! একটা, কালো কোট পরা একটা লোক দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল ইন্দ্রজিৎ বাবু!"

ঠিক তখনই মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকলেন সমীরণ সেন। ইন্দ্রদা জিজ্ঞেস করল, "আপনি কাউকে বাইরে পালিয়ে যেতে দেখলেন?"

উনি "জানি না" বলে টলতে-টলতে সোজা নিজের ঘরে ঢুকে গেলেন। ইন্দ্রদা আর আমি বাইরে এসে অনেক খুঁজেও কাউকে দেখতে পেলাম না। প্রমিলা বলল ও পাশের ঘরে আলো জ্বালছিল, বৌদির চিৎকার শুনে ছুটে এসেছে।

"ডোন্ট ওরি মিসেস সেন। ভয়টা আপনাদের পাবার কোনো কারণ নেই। কারণ ভয়টা আমাকে দেখানো হয়েছে যাতে আমি এখান থেকে চলে যাই। তবে রাত্রে একটু সাবধানে থাকবেন। মেনগেট ভালো করে তালা দিয়ে দেবেন।"

আমরা দোতলায় নিজেদের রুমে এলাম। দলা পাকানো কাগজটা সোজা করার চেষ্টা করল ইন্দ্রদা। একটা চিঠি।

টিকটিকি,
একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। কাল সকালে কোলকাতা ফিরে আরাম করুন নিজের বাসায় গিয়ে। তা না হলে ফল ভাল হবে না। জানি আপনাকে ভয় দেখিয়ে তাড়ানো যাবে না। আপনি যদি কেটে না পড়েন তাহলে অলীকের মত এ বাড়িতে আর একজনকে খুন করবো আমি। আপনি কিস্যু করতে পারবেন না। আর তার জন্য দায়ী থাকবেন আপনি।
ইতি
হীরা

ইন্দ্রদা চিঠিটা বারবার পড়ছে, তাই আমার কথা কানে গেল না। "হিরণ্ময় রায় তাহলে আমাদের কাছে কাছেই ঘুরছে?"

"একটা আবছা ক্লু দেখতে পাচ্ছি।"

"কোথায়, চিঠির মধ্যে?"

"একবার সীমন্তিনী সেনের কোলকাতার বাবার বাড়ির ফোন নম্বরটা আনতো?"

"এত রাত্রে ওদের ডিস্টার্ব করবে?"
Next Part


বাকী পর্ব গুলি: পর্ব ১    পর্ব ২    পর্ব ৩    পর্ব ৪    পর্ব ৫    পর্ব ৬    পর্ব ৭    পর্ব ৮    পর্ব ৯   

অন্যান্য গোয়েন্দা গল্প ও উপন্যাস:
নয়নবুধী   
কান্না ভেজা ডাকবাংলোর রাত    
মাণিক্য   
সর্দার বাড়ির গুপ্তধন রহস্য   
প্রেমিকার অন্তর্ধান রহস্য   
লুকানো চিঠির রহস্য   
একা বড়ো একা   



All Bengali Stories    50    51    52    53    54    55    (56)     57   


## Disclaimer: RiyaButu.com is not responsible for any wrong facts presented in the Stories / Poems / Essay / Articles / Audios by the Writers. The opinion, facts, issues etc are fully personal to the respective Writers. RiyaButu.com is not responsibe for that. We are strongly against copyright violation. Also we do not support any kind of superstition / child marriage / violence / animal torture or any kind of addiction like smoking, alcohol etc. ##


◕ RiyaButu.com, এই Website টি সম্পর্কে আপনার কোনও মতামত কিংবা পরামর্শ, কিংবা প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের বলুন। যোগাযোগ:
E-mail: riyabutu.com@gmail.com / riyabutu5@gmail.com
Phone No: +91 8974870845
Whatsapp No: +91 6009890717